পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَات
অর্থাৎ, এতএব তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা কর। (সূরা বাক্বারাহ ১৪৮) তিনি আরো বলেছেন,
وَسَارِعُوا إِلَى مَغْفِرَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ
অর্থাৎ, তোমরা প্রতিযোগিতা (ত্বরা) কর, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে ক্ষমা এবং জান্নাতের জন্য, যার প্রস্থ আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা ধর্মভীরুদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। (সূরা আলে ইমরান ১৩৩ আয়াত) এ বিষয়ে হাদীসসমূহ নিম্নরূপ
(৪২৮) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা অন্ধকার রাতের টুকরোসমূহের মত (যা একটার পর একটা আসতে থাকে এমন) ফিতনাসমূহ আসার পূর্বে নেকীর কাজ দ্রুত ক’রে ফেল। মানুষ সে সময়ে সকালে মু’মিন থাকবে এবং সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে অথবা সন্ধ্যায় মু’মিন থাকবে এবং সকালে কাফের হয়ে যাবে। নিজের দ্বীনকে দুনিয়ার সম্পদের বিনিময়ে বিক্রয় করবে।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ الله ﷺ قَالَ بَادِرُوا بِالأعْمَال فتناً كَقِطَعِ اللَّيْلِ المُظْلِمِ يُصْبحُ الرَّجُلُ مُؤْمِناً وَيُمْسِي كَافِراً وَيُمْسِي مُؤمِناً ويُصبحُ كَافِراً يَبيعُ دِينَهُ بعَرَضٍ مِنَ الدُّنيا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪২৯) আবূ সিরওয়াআহ উক্ববাহ ইবনে হারেস (রাঃ) বলেন যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে মদীনায় আসরের নামায পড়লাম। অতঃপর সালাম ফিরে তিনি অতি শীঘ্র দাঁড়িয়ে পড়লেন। তারপর লোকদের গর্দান টপকে তাঁর কোন এক স্ত্রীর কামরায় চলে গেলেন। লোকেরা তাঁর শীঘ্রতা দেখে ঘাবড়ে গেল। অতঃপর তিনি বের হয়ে এলেন; দেখলেন লোকেরা তাঁর শীঘ্রতার কারণে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে। তিনি বললেন, (নামাযে) আমার মনে পড়ল যে, (বাড়ীতে সোনা অথবা চাঁদির) একটি টুকরা রয়ে গেছে। আমি চাইলাম না যে, তা আমাকে আল্লাহর স্মরণে বাধা দেবে। যার জন্য আমি (দ্রুত বাড়ীতে গিয়ে) তা বন্টন করার আদেশ দিলাম।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমি বাড়ীতে সাদকার একটি স্বর্ণখণ্ড ছেড়ে এসেছিলাম। অতঃপর আমি তা রাতে নিজ গৃহে রাখা পছন্দ করলাম না।
عَنْ أَبيْ سِرْوَعَةَ عُقبةَ بنِ الحَارِثِ قَالَ : صَلَّيتُ وَرَاءَ النَّبيّ ﷺ بالمَدِينَةِ العَصْرَ فَسَلَّمَ ثُمَّ قَامَ مُسْرِعاً فَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ إِلَى بعْضِ حُجَرِ نِسَائِهِ فَفَزِعَ النَّاسُ مِنْ سُرْعَتِهِ فَخَرَجَ عَلَيهمْ فَرأى أنَّهمْ قَدْ عَجِبُوا مِنْ سُرعَتهِ قَالَ ذَكَرتُ شَيئاً مِنْ تِبرٍ عَندَنَا فَكَرِهتُ أنْ يَحْبِسَنِي فَأمَرتُ بِقِسْمَتِهِ رواه البخاري - وفي رواية لَهُ كُنتُ خَلَّفتُ في البَيْتِ تِبراً مِنَ الصَّدَقةِ فَكَرِهتُ أنْ أُبَيِّتَهُ
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪৩০) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, উহুদ যুদ্ধের দিন এক সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, আপনি বলুন! আমি যদি (কাফেরদের হাতে) মারা যাই, তাহলে আমি কোথায় যাব? তিনি বললেন, জান্নাতে। এ কথা শোনামাত্র তিনি তাঁর হাতের খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। তারপর (কাফেরদের সাথে) যুদ্ধ করতে করতে শাহাদত বরণ করলেন।
عَن جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِي ﷺ يَومَ أُحُد : أَرَأيتَ إنْ قُتِلتُ فَأَيْنَ أَنَا ؟ قَالَ في الجنَّةِ فَأَلْقَى تَمَرَاتٍ كُنَّ في يَدِهِ ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪৩১) আনাস (রাঃ) বলেন, বদর যুদ্ধের দিন যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা এমন জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মতো। এ কথা শুনে উমায়ের ইবনে হুমাম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান ও যমীনের মতো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন উমায়ের (রাঃ) বলে উঠলেন, ’ইস্! এ তো অতি চমৎকার। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ কথা বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো?
তিনি বললেন, হে আল্লাহ রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি তার অধিবাসী হওয়ার আশায় এরূপ বলেছি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি অবশ্যই তার অধিবাসী হবে। তারপর তিনি তাঁর তূণ থেকে কয়েকটি খেজুর বের করলেন এবং তা খেতে লাগলেন। তারপর বললেন, আমি যদি এ খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত বেঁচে যাই তবে তা হবে এক দীর্ঘ জীবন। তারপর তিনি তাঁর কাছে রক্ষিত খেজুরগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি শহীদ হয়ে গেলেন।
عَن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ (يوم بدر) قُومُوا إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ قَالَ يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ الأَنْصَارِىُّ يَا رَسُولَ اللهِ جَنَّةٌ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ قَالَ نَعَمْ قَالَ بَخٍ بَخٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا يَحْمِلُكَ عَلَى قَوْلِكَ بَخٍ بَخٍ قَالَ لاَ وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ إِلاَّ رَجَاءَةَ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِهَا قَالَ فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِهَا فَأَخْرَجَ تَمَرَاتٍ مِنْ قَرْنِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ مِنْهُنَّ ثُمَّ قَالَ لَئِنْ أَنَا حَيِيتُ حَتَّى آكُلَ تَمَرَاتِى هَذِهِ إِنَّهَا لَحَيَاةٌ طَوِيلَةٌ - قَالَ - فَرَمَى بِمَا كَانَ مَعَهُ مِنَ التَّمْرِ ثُمَّ قَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪৩২) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ সাদকাহ নেকীর দিক দিয়ে বড়? তিনি বললেন, তোমার সে সময়ের সাদকাহ করা (বৃহত্তম নেকীর কাজ) যখন তুমি সুস্থ থাকবে, মালের লোভ অন্তরে থাকবে, তুমি দরিদ্রতার ভয় করবে এবং ধন-দৌলতের আশা রাখবে। আর তুমি সাদকাহ করতে বিলম্ব করো না। পরিশেষে যখন তোমার প্রাণ কণ্ঠাগত হবে, তখন বলবে, ’অমুকের জন্য এত, অমুকের জন্য এত। অথচ তা অমুক (উত্তরাধিকারীর) হয়েই গেছে।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبيِّ ﷺ فَقَالَ : يَا رسولَ الله أيُّ الصَّدَقَةِ أعْظَمُ أجْراً؟ قَالَ أنْ تَصَدَّقَ وَأنتَ صَحيحٌ شَحيحٌ تَخشَى الفَقرَ وتَأمُلُ الغِنَى وَلاَ تُمهِلْ حَتَّى إِذَا بَلَغتِ الحُلقُومَ قُلْتَ لِفُلاَنٍ كَذَا وَلِفُلاَنٍ كَذَا وقَدْ كَانَ لِفُلانٍ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪৩৩) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানি তরবারি হাতে নিয়ে বললেন, আমার কাছ থেকে এই তরবারি কে নেবে? সাহাবীগণ নিজ নিজ হাত বাড়িয়ে দিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রত্যেকেই বলতে লাগলেন, আমি, আমি। তিনি বললেন, কে এর হক আদায়ের জন্য নেবে? (এ কথা শুনে) সবাই থমকে গেলেন। অতঃপর আবূ দুজানা (রাঃ) বললেন, আমি এর হক আদায়ের জন্য নেব। তারপর তিনি তা নিয়ে নিলেন এবং তার দ্বারা মুশরিকদের শিরশ্ছেদ করতে থাকলেন।
عَن أَنَسٍ أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَخَذَ سَيفاً يَومَ أُحُدٍ فَقَالَ مَنْ يَأخُذُ منِّي هَذَا ؟ فَبَسطُوا أيدِيَهُمْ كُلُّ إنسَانٍ مِنْهُمْ يقُولُ : أَنَا أَنَا قَالَ فَمَنْ يَأخُذُهُ بحَقِّه ؟ فَأَحْجَمَ القَومُ فَقَالَ أَبُو دُجَانَةَ أنا آخُذُهُ بِحَقِّهِ فَأَخَذَهُ فَفَلقَ بِهِ هَامَ المُشْرِكِينَ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪৩৪) যুবাইর ইবনে আদী বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) এর নিকটে এলাম এবং তাঁর কাছে হাজ্জাজের অত্যাচারের অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা ধৈর্য ধারণ কর। কারণ, এখন যে যুগ আসবে তার পরবর্তী যুগ ওর চেয়ে খারাপ হবে, শেষ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। (আনাস (রাঃ) বলেন,) এ কথা আমি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে শুনেছি।
عَن الزُّبَيرِ بنِ عَدِيّ قَالَ : أَتَيْنَا أَنَسَ بنَ مَالِكٍ فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَلْقَى مِنَ الحَجَّاجِ فَقَالَ اصْبرُوا فَإنَّهُ لاَ يَأتِي زَمَانٌ إلاَّ وَالَّذِي بَعدَهُ شَرٌّ مِنهُ حَتَّى تَلقَوا رَبَّكُمْ سَمِعتُهُ مِنْ نَبِيِّكُمْ ﷺ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
(৪৩৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের দিন বললেন, নিশ্চয় আমি, এই পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দেব যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসে। আল্লাহ তা’আলা তার হাতে বিজয় দান করবেন। উমার (রাঃ) বলেন, আমি কখনো কর্তৃত্বভার গ্রহণের ইচ্ছা করিনি (কিন্তু সেদিনই আমার বাসনা হল)। সুতরাং আমি এই আশাতে উঠে উঁচু হয়ে দাঁড়াতে থাকলাম; যেন আমাকে এর জন্য ডাকা হয়। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী বিন আবী তালেব (রাঃ) কে ডাকলেন। তারপর তিনি তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়ে বললেন, তুমি চলতে শুরু কর এবং কোন দিকে তাকাবে না; যে পর্যন্ত না আল্লাহ তা’আলা তোমাকে বিজয় দান করবেন।
অতঃপর আলী কিছু দূর গিয়ে থেমে গেলেন এবং কোন দিকে না তাকিয়ে উঁচু আওয়াজে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কিসের জন্য লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব? তিনি বললেন, তুমি সে পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যে পর্যন্ত তারা এ কথার সাক্ষ্য না দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (কেউ সত্য) উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রসূল। যখন তারা এ কাজ করবে তখন নিঃসন্দেহে তাদের জান ও মালকে তোমার হাত হতে বাঁচিয়ে নেবে। কিন্তু তার অধিকারের সাথে (অর্থাৎ সে যদি কোন মুসলিমকে হত্যা করে, তাহলে প্রতিশোধ স্বরূপ তাকে হত্যা করা বৈধ হবে এবং সে যদি কারোর মাল ছিনিয়ে নেয় অথবা যাকাত না দেয়, তাহলে সে মাল তার কাছ থেকে আদায় করা জরুরী।) আর তাদের হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أن رَسُولَ الله ﷺ قَالَ يَومَ خَيبَر لأُعْطِيَنَّ هذِهِ الرَّايَةَ رَجُلاً يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ يَفتَحُ اللهُ عَلَى يَدَيهِ قَالَ عُمَرُ مَا أحبَبْتُ الإِمَارَة إلاَّ يَومَئِذٍ فَتَسَاوَرتُ لَهَا رَجَاءَ أنْ أُدْعَى لَهَا فَدَعَا رَسُولُ الله ﷺ عَلِيَّ بنَ أبِي طَالِبٍ فَأعْطَاهُ إيَّاهَا وَقَالَ امْشِ وَلا تَلتَفِتْ حَتَّى يَفتَحَ اللهُ عَلَيكَ فَسَارَ عليٌّ شيئاً ثُمَّ وَقَفَ وَلَمْ يَلتَفِتْ فَصَرَخَ : يَا رَسُولَ الله عَلَى مَاذَا أُقَاتِلُ النّاسَ ؟ قَالَ قاتِلْهُمْ حَتَّى يَشْهَدُوا أنْ لَا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ الله فَإِذَا فَعَلُوا فقَدْ مَنَعُوا مِنْكَ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إلاَّ بحَقِّهَا وحِسَابُهُمْ عَلَى الله رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ শুভকাজে প্রতিযোগিতা ও শীঘ্র করা এবং পুণ্যকামীকে পুণ্যের প্রতি তৎপরতার সাথে নির্দ্বিধায় সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَفِي ذَلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ
অর্থাৎ, এ ব্যাপারে (জান্নাত লাভের জন্য) প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক। (সূরা মুত্বাফফিফীন ২৬ আয়াত)
(৪৩৬) সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে কোন পানীয় পরিবেশন করা হল। তিনি তা থেকে পান করলেন। তাঁর ডান দিকে ছিল একটি বালক আর বাম দিকে ছিল কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। (নিয়ম হল, ডান দিকে আগে দেওয়া তাই) তিনি বালকটিকে বললেন, তুমি কি আমাকে অনুমতি দেবে, আমি ঐ বয়স্ক লোকদেরকে আগে পান করতে দিই? বালকটি বলল, ’আল্লাহর কসম! হে আল্লাহর রসূল! আপনার কাছ থেকে আমার ভাগে আসা জিনিসের ক্ষেত্রে আমি কাউকে আমার উপর অগ্রাধিকার দেব না। (সা’দ বলেন,) ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন পেয়ালাটি তার হাতে তুলে দিলেন।
(বুখারী ২৪৫১, মুসলিম ৫৪১২)
وَعَن سَهْلِ بن سَعدٍ أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أُتِيَ بِشَرابٍ فَشَرِبَ مِنْهُ وَعَن يَمِينِهِ غُلاَمٌ وَعَن يَسَارِهِ الأشْيَاخُ فَقَالَ لِلغُلاَمِ أتَأذَنُ لِي أنْ أُعْطِيَ هَؤُلاَءِ ؟ فَقَالَ الغُلامُ : لاَ وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ لاَ أُوْثِرُ بِنَصِيبي مِنْكَ أحَداً فَتَلَّهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ في يَدِهِ متفقٌ عَلَيْهِ