পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ

অর্থাৎ, নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তারা (অপরকে) নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়। (সূরা হাশর ৯)

তিনি আরো বলেন,

وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِيناً وَيَتِيماً وَأَسِيراً

অর্থাৎ, আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে অন্নদান করে। (সূরা দাহার ৮)


(২৪৬) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’আমি ক্ষুধায় কাতর হয়ে আছি।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট সংবাদ পাঠালেন। তিনি বললেন, ’সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সঙ্গে পাঠিয়েছেন! আমার কাছে পানি ছাড়া কিছুই নেই।’ অতঃপর অন্য স্ত্রীর নিকট পাঠালেন। তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত সকল (স্ত্রী)ই ঐ একই কথা বললেন, ’সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সাথে পাঠিয়েছেন! আমার কাছে পানি ছাড়া কোন কিছুই নেই।’

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আজকের রাতে কে একে মেহমান হিসাবে গ্রহণ করবে? এক আনসারী বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি একে মেহমান হিসাবে গ্রহণ করব।’ সুতরাং তিনি তাকে সাথে করে নিজ গৃহে নিয়ে গেলেন এবং তাঁর স্ত্রীকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেহমানের খাতির কর।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি (আনসারী) তাঁর স্ত্রীকে বললেন, তোমার নিকট কোন কিছু আছে কি? তিনি বললেন না, কেবলমাত্র বাচ্চাদের খাবার আছে। তিনি বললেন, কোন জিনিস দ্বারা তাদেরকে ভুলিয়ে রাখবে এবং তারা যখন রাত্রে খাবার চাইবে, তখন তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। অতঃপর যখন আমাদের মেহমান (ঘরে) প্রবেশ করবে, তখন বাতি নিভিয়ে দেবে এবং তাকে দেখাবে যে, আমরাও খাচ্ছি।

সুতরাং তাঁরা সকলেই খাওয়ার জন্য বসে গেলেন; মেহমান খাবার খেল এবং তাঁরা দু’জনে উপবাসে রাত কাটিয়ে দিলেন। অতঃপর যখন তিনি সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলেন, তখন তিনি বললেন, তোমাদের দু’জনের আজকের রাতে নিজ মেহমানের সাথে তোমাদের ব্যবহারে আল্লাহ বিস্মিত হয়েছেন!

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ : إنِّي مَجْهُودٌ فَأرسَلَ إِلَى بَعْضِ نِسَائِهِ فَقَالَت : وَالَّذي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا عَندِي إِلاَّ مَاءٌ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُخْرَى فَقَالَتْ مِثلَ ذَلِكَ حَتَّى قُلْنَ كُلُّهُنَّ مِثلَ ذَلِكَ : لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا عَندِي إِلاَّ مَاءٌ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَنْ يُضِيفُ هَذَا اللَّيْلَةَ ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأنْصَارِ : أنَا يَا رَسُولَ اللهِ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَحْلِهِ فَقَالَ لامْرَأَتِهِ : أكرِمِي ضَيْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ - وفي روايةٍ قَالَ لامْرَأَتِهِ : هَلْ عَندَكِ شَيْءٌ ؟ فَقَالَتْ : لاَ إِلاَّ قُوتَ صِبيَانِي قَالَ: فَعَلِّليهم بِشَيْءٍ وَإذَا أرَادُوا العَشَاءَ فَنَوِّمِيهمْ وَإِذَا دَخَلَ ضَيْفُنَا فَأطْفِئي السِّرَاجَ وَأَرِيهِ أنَّا نَأكُلُ فَقَعَدُوا وَأكَلَ الضَّيْفُ وَبَاتَا طَاوِيَيْنِ فَلَمَّا أصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبيِّ ﷺ فَقَالَ لَقَدْ عَجِبَ الله مِنْ صَنِيعِكُمَا بِضَيْفِكُمَا اللَّيْلَةَ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة قال : جاء رجل الى النبي ﷺ فقال : اني مجهود فارسل الى بعض نساىه فقالت : والذي بعثك بالحق ما عندي الا ماء ثم ارسل الى اخرى فقالت مثل ذلك حتى قلن كلهن مثل ذلك : لا والذي بعثك بالحق ما عندي الا ماء فقال النبي ﷺ من يضيف هذا الليلة ؟ فقال رجل من الانصار : انا يا رسول الله فانطلق به الى رحله فقال لامراته : اكرمي ضيف رسول الله ﷺ - وفي رواية قال لامراته : هل عندك شيء ؟ فقالت : لا الا قوت صبياني قال: فعلليهم بشيء واذا ارادوا العشاء فنوميهم واذا دخل ضيفنا فاطفىي السراج واريه انا ناكل فقعدوا واكل الضيف وباتا طاويين فلما اصبح غدا على النبي ﷺ فقال لقد عجب الله من صنيعكما بضيفكما الليلة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

(২৪৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেহমান হয়ে এল। তিনি উম্মুল মুমিনীনদের কাছে কিছু আছে কি না তা জানতে চাইলেন। তাঁরা বললেন, তাঁদের কিছু পানি ছাড়া খাবার কিছু নেই। ফলে তিনি ঘোষণা করে বললেন, কে এর মেহমান-নেওয়াযী করবে? এ কথা শুনে আনসারদের এক ব্যক্তি বলল, ’আমি, হে আল্লাহর রসূল!’ অতঃপর তাকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বলল, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেহমানের খাতির কর।’ স্ত্রী বলল, ’কিন্তু ঘরে তো বাচ্চাদের খাবার মত খাবার ছাড়া অন্য কিছু নেই।’ স্বামী বলল, ’খাবার তৈরী কর। বাতি জ্বালিয়ে দাও। অতঃপর বাচ্চাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দাও!’ মহিলা তাই করল।

অতঃপর বাতি ঠিক করার ভান করে উঠে বাতিটাকে নিভিয়ে দিল। (নিয়ম হচ্ছে মেহমানের সাথে খাওয়া। কিন্তু খাবার ছিল মাত্র একজনের। ফলে মেহমানকে খেতে আদেশ করল এবং অন্ধকারে) তারা স্বামী-স্ত্রীতে এমন ভাব প্রকাশ করল যে, তারাও খানা খাচ্ছে! অতএব তারা উভয়ে বাচ্চাসহ উপবাসে রাত্রি অতিবাহিত করল! সকাল হলে লোকটি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, গত রাত্রে তোমাদের উভয়ের কাণ্ড দেখে আল্লাহ হেসেছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়েছিল,

وَالَّذِينَ تَبَوَّؤُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِن قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِّمَّا أُوتُوا وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

অর্থাৎ, (মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে) যারা এ নগরীতে (মদীনায়) বসবাস করেছে ও ঈমান এনেছে তারা মুহাজিরদেরকে ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে তার জন্য তারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না; আর তারা তাদেরকে নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। যারা কার্পণ্য হতে নিজেদেরকে মুক্ত করেছে তারাই সফলকাম। (সূরা হাশর ৯ আয়াত)

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَبَعَثَ إِلَى نِسَائِهِ فَقُلْنَ مَا مَعَنا إِلَّا الْمَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ يَضُمُّ أَوْ يُضِيفُ هَذَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ أَنَا فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَقَالَ أَكْرِمِي ضَيْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَتْ مَا عَندَنَا إِلَّا قُوتُ صِبْيَانِي فَقَالَ هَيِّئِي طَعَامَكِ وَأَصْبِحِي سِرَاجَكِ وَنَوِّمِي صِبْيَانَكِ إِذَا أَرَادُوا عَشَاءً فَهَيَّأَتْ طَعَامَهَا وَأَصْبَحَتْ سِرَاجَهَا وَنَوَّمَتْ صِبْيَانَهَا ثُمَّ قَامَتْ كَأَنَّهَا تُصْلِحُ سِرَاجَهَا فَأَطْفَأَتْهُ فَجَعَلَا يُرِيَانِهِ أَنَّهُمَا يَأْكُلَانِ فَبَاتَا طَاوِيَيْنِ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالَ ضَحِكَ اللهُ اللَّيْلَةَ أَوْ عَجِبَ مِنْ فَعَالِكُمَا فَأَنْزَلَ اللهُ وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ

عن ابي هريرة رضي الله عنه ان رجلا اتى النبي ﷺ فبعث الى نساىه فقلن ما معنا الا الماء فقال رسول الله ﷺ من يضم او يضيف هذا فقال رجل من الانصار انا فانطلق به الى امراته فقال اكرمي ضيف رسول الله ﷺ فقالت ما عندنا الا قوت صبياني فقال هيىي طعامك واصبحي سراجك ونومي صبيانك اذا ارادوا عشاء فهيات طعامها واصبحت سراجها ونومت صبيانها ثم قامت كانها تصلح سراجها فاطفاته فجعلا يريانه انهما ياكلان فباتا طاويين فلما اصبح غدا الى رسول الله ﷺ فقال ضحك الله الليلة او عجب من فعالكما فانزل الله ويوثرون على انفسهم ولو كان بهم خصاصة ومن يوق شح نفسه فاولىك هم المفلحون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

(২৪৮) উক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’জনের খাবার তিনজনের জন্য এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজনের খাবার দু’জনের জন্য, দু’জনের খাবার চারজনের জন্য এবং চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।

وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺطَعَامُ الاثْنَيْنِ كَافِي الثَّلاَثَةِ وَطَعَامُ الثَّلاَثَةِ كَافِي الأربَعَةِ متفقٌ عَلَيْهِ وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسلِمٍ عَن جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ طَعَامُ الوَاحِدِ يَكْفِي الاثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ وَطَعَامُ الأَرْبَعَة يَكْفِي الثَّمَانِية

وعنه قال : قال رسول الله ﷺطعام الاثنين كافي الثلاثة وطعام الثلاثة كافي الاربعة متفق عليه وفي رواية لمسلم عن جابر عن النبي ﷺ قال طعام الواحد يكفي الاثنين وطعام الاثنين يكفي الاربعة وطعام الاربعة يكفي الثمانية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

(২৪৯) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। ইতিমধ্যে একটি লোক তার একটি সওয়ারীর উপর চড়ে (আমাদের নিকট) এল এবং ডানে ও বামে তার দৃষ্টি ফিরাতে লাগল। (এ দেখে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার নিকট উদ্বৃত্ত সওয়ারী আছে, সে যেন তা ঐ ব্যক্তিকে দেয়, যার নিকট কোন সওয়ারী নেই। আর যার নিকট উদ্বৃত্ত পাথেয় (খাদ্য) রয়েছে, সে যেন ঐ ব্যক্তিকে দেয়, যার কোন পাথেয় নেই। এভাবে তিনি বিভিন্ন প্রকার মালের কথা উল্লেখ করলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, উদ্বৃত্ত মালে আমাদের কারো অধিকার নেই।

وَعَنْ أَبيْ سَعِيدٍ الخُدرِي قَالَ : بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ مَعَ النَّبيِّ ﷺ إذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَةٍ لَهُ فَجَعَلَ يَصرِفُ بَصَرَهُ يَميناً وَشِمَالاً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَليَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهرَ لَهُ وَمَنْ كَانَ لَهُ فَضْلٌ مِنْ زَادٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ فَذَكَرَ مِنْ أصْنَافِ المالِ مَا ذَكَرَ حَتَّى رَأيْنَا أنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي فَضْلٍ رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري قال : بينما نحن في سفر مع النبي ﷺ اذ جاء رجل على راحلة له فجعل يصرف بصره يمينا وشمالا فقال رسول الله ﷺ من كان معه فضل ظهر فليعد به على من لا ظهر له ومن كان له فضل من زاد فليعد به على من لا زاد له فذكر من اصناف المال ما ذكر حتى راينا انه لا حق لاحد منا في فضل رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

(২৫০) সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটি (হাতে) বুনা চাদর নিয়ে এল। সে বলল, ’আপনার পরিধানের জন্য চাদরটি আমি নিজ হাতে বুনেছি।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা গ্রহণ করলেন এবং তাঁর চাদরের প্রয়োজনও ছিল। তারপর তিনি লুঙ্গীরূপে পরিধান করে আমাদের সামনে আসলেন। তখন অমুক ব্যক্তি বলল, এটি আমাকে পরার জন্য দান করে দিন। এটি কত সুন্দর! তিনি বললেন, হ্যাঁ, (তাই দেব।)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসে (কিছুক্ষণ) বসলেন। অতঃপর ফিরে গিয়ে তা ভাঁজ করে ঐ লোকটির কাছে পাঠিয়ে দিলেন। লোকেরা বলল, ’তুমি কাজটা ভাল করলে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তাঁর প্রয়োজনে পরেছিলেন, তবুও তুমি চেয়ে বসলে। অথচ তুমি জান যে, তিনি কারো চাওয়া রদ করেন না। ঐ ব্যক্তি বলল, ’আল্লাহর কসম! আমি তা পরার উদ্দেশ্যে চাইনি, আমার চাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য যে, তা আমার কাফন হবে। সাহল বলেন, শেষ পর্যন্ত তা তাঁর কাফনই হয়েছিল।

وَعَن سَهلِ بنِ سَعدٍ أنَّ أمْرَأةً جَاءَتْ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ بِبُرْدَةٍ مَنْسُوجَةٍ فَقَالَتْ : نَسَجْتُهَا بِيَدَيَّ لأَكْسُوكَهَا فَأَخَذَهَا النَّبيُّ ﷺ مُحْتَاجاً إِلَيْهَا فَخَرَجَ إِلَيْنَا وَإنَّهَا إزَارُهُ فَقَالَ فُلانٌ : اكْسُنِيهَا مَا أحْسَنَهَا فَقَالَ نَعَمْ فَجَلَسَ النَّبيُّ ﷺ في المَجْلِسِ ثُمَّ رَجَعَ فَطَواهَا ثُمَّ أرْسَلَ بِهَا إِلَيْهِ : فَقَالَ لَهُ الْقَومُ : مَا أحْسَنْتَ لَبِسَهَا النَّبيُّ ﷺ مُحتَاجَاً إِلَيْهَا ثُمَّ سَألْتَهُ وَعَلِمْتَ أنَّهُ لاَ يَرُدُّ سَائِلاً فَقَالَ : إنّي وَاللهِ مَا سَألْتُهُ لأَلْبِسَهَا إنَّمَا سَألْتُهُ لِتَكُونَ كَفَنِي قَالَ سَهْلٌ : فَكَانَتْ كَفَنَهُ رواه البخاري

وعن سهل بن سعد ان امراة جاءت الى رسول الله ﷺ ببردة منسوجة فقالت : نسجتها بيدي لاكسوكها فاخذها النبي ﷺ محتاجا اليها فخرج الينا وانها ازاره فقال فلان : اكسنيها ما احسنها فقال نعم فجلس النبي ﷺ في المجلس ثم رجع فطواها ثم ارسل بها اليه : فقال له القوم : ما احسنت لبسها النبي ﷺ محتاجا اليها ثم سالته وعلمت انه لا يرد ساىلا فقال : اني والله ما سالته لالبسها انما سالته لتكون كفني قال سهل : فكانت كفنه رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

(২৫১) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আশআরী গোত্রের লোকেদের যখন জিহাদের পাথেয় ফুরিয়ে যায় অথবা মদীনাতে তাদের পরিবার পরিজনদের খাদ্য কমে যায়, তখন তারা তাদের নিকট যা কিছু থাকে, তা সবই একটি কাপড়ে জমা করে। অতঃপর তা নিজেদের মধ্যে একটি পাত্রে সমানভাবে বন্টন করে নেয়। সুতরাং তারা আমার (দলভুক্ত) এবং আমিও তাদের (দলভুক্ত)।

وَعَنْ أَبيْ مُوسَى قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّ الأشْعَرِيِّينَ إِذَا أرْمَلُوا في الغَزْوِ أَوْ قَلَّ طَعَامُ عِيَالِهِمْ بِالمَديِنَةِ جَمَعُوا مَا كَانَ عَندَهُمْ في ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ اقْتَسَمُوهُ بَيْنَهُمْ في إنَاءٍ وَاحدٍ بِالسَّوِيَّةِ فَهُمْ مِنِّي وَأنَا مِنْهُمْ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي موسى قال : قال رسول الله ﷺ ان الاشعريين اذا ارملوا في الغزو او قل طعام عيالهم بالمدينة جمعوا ما كان عندهم في ثوب واحد ثم اقتسموه بينهم في اناء واحد بالسوية فهم مني وانا منهم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

(২৫২) ইব্রাহীম বিন সা’দ তাঁর পিতা এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুসলিমরা যখন মদীনায় এলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুর রহমান বিন আওফ ও সা’দ বিন রাবী’র মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন ক’রে দিলেন। তিনি আব্দুর রহমানকে বললেন, ’আমি আনসারদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। আমার মালধন দুইভাগে ভাগ করে অর্ধেক তোমার রইল। আর আমার দুই স্ত্রী, তোমার যেটা পছন্দ, আমি সেটাকে তালাক দিয়ে দেব। অতঃপর তার ইদ্দত অতিবাহিত হলে তুমি তাকে বিবাহ কর!

عَن إِبْرَاهِيم بْن سَعْدٍ عَنْ أَبيْ هِ عَن جَدِّهِ قَالَ لَمَّا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ آخَى رَسُولُ اللهِ ﷺ بَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَسَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنِّي أَكْثَرُ الْأَنْصَارِ مَالًا فَأَقْسِمُ مَالِي نِصْفَيْنِ وَلِي امْرَأَتَانِ فَانْظُرْ أَعْجَبَهُمَا إِلَيْكَ فَسَمِّهَا لِي أُطَلِّقْهَا فَإِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا فَتَزَوَّجْهَا

عن ابراهيم بن سعد عن ابي ه عن جده قال لما قدموا المدينة اخى رسول الله ﷺ بين عبد الرحمن بن عوف وسعد بن الربيع قال لعبد الرحمن اني اكثر الانصار مالا فاقسم مالي نصفين ولي امراتان فانظر اعجبهما اليك فسمها لي اطلقها فاذا انقضت عدتها فتزوجها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে