পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৮৯) আবূ সা’লাবা খুশানী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জ্বিন তিন শ্রেণীর। এক শ্রেণীর ডানা আছে, তারা তার সাহায্যে বাতাসে উড়ে বেড়ায়, এক শ্রেণী সাপ-কুকুর আকারে বসবাস করে, আর এক শ্রেণী স্থায়ীভাবে বসবাস করে ও ভ্রমণ করে।

عَنْ أَبيْ ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ الْجِنُّ عَلَى ثَلاثَةِ أَصْنَافٍ: صِنْفٌ لَهُمْ أَجْنِحَةٌ يَطِيرُونَ فِي الْهَوَاءِ وَصِنْفٌ حَيَّاتٌ وَصِنْفٌ يَحِلُّونَ وَيَظْعَنونَ

عن ابي ثعلبة الخشني: ان رسول الله ﷺ قال الجن على ثلاثة اصناف: صنف لهم اجنحة يطيرون في الهواء وصنف حيات وصنف يحلون ويظعنون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯০) আমের বলেন, আমি আলকামাহকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কি জ্বিনের রাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, আমি ইবনে মাসঊদকে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনাদের কেউ কি জ্বিনের রাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন? তিনি বললেন, ’না। তবে এক রাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমরা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সুতরাং আমরা তাঁকে উপত্যকা ও গিরিপথে খুঁজে বেড়াতে লাগলাম। বলতে লাগলাম, ’তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আততায়ী দ্বারা খুন করা হয়েছে।’ আমরা সম্প্রদায়ের একটি মন্দতম রাত্রি অতিবাহিত করলাম। সকাল হলে তিনি হিরার দিক থেকে আগমন করলেন।

অতঃপর আমরা তাঁকে বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনাকে হারিয়ে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সম্প্রদায়ের একটি মন্দতম রাত্রি অতিবাহিত করলাম।’ তিনি বললেন, আমার কাছে এক জ্বিনের আহবায়ক এসেছিল। আমি তার সঙ্গে গিয়ে তাদের কাছে কুরআন পড়লাম। অতঃপর তিনি আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাদের বিভিন্ন চিহ্ন ও তাদের আগুনের চিহ্ন দেখালেন। তারা তাঁর নিকট খাদ্য চেয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, আল্লাহর নাম উল্লেখ করে যে কোন হাড্ডির উপর তোমাদের হাত পড়বে, তা তোমাদের জন্য পর্যাপ্ত গোশ্তে পরিণত হবে। আর প্রত্যেক গোবর হবে তোমাদের পশুখাদ্য। অতঃপর তিনি বললেন, সুতরাং তোমরা ঐ দুটি জিনিস দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে না। কারণ তা তোমাদের (জ্বিন) ভাইদের খাদ্য।

عَن عَامِرٍ قَالَ سَأَلْتُ عَلْقَمَةَ هَلْ كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ شَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ لَيْلَةَ الْجِنِّ قَالَ فَقَالَ عَلْقَمَةُ أَنَا سَأَلْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ فَقُلْتُ هَلْ شَهِدَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ لَيْلَةَ الْجِنِّ قَالَ لاَ وَلَكِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَفَقَدْنَاهُ فَالْتَمَسْنَاهُ فِى الأَوْدِيَةِ وَالشِّعَابِ فَقُلْنَا اسْتُطِيرَ أَوِ اغْتِيلَ قَالَ فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا إِذَا هُوَ جَاءٍ مِنْ قِبَلِ حِرَاءٍ قَالَ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ فَقَدْنَاكَ فَطَلَبْنَاكَ فَلَمْ نَجِدْكَ فَبِتْنَا بِشَرِّ لَيْلَةٍ بَاتَ بِهَا قَوْمٌ فَقَالَ أَتَانِى دَاعِى الْجِنِّ فَذَهَبْتُ مَعَهُ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ قَالَ فَانْطَلَقَ بِنَا فَأَرَانَا آثَارَهُمْ وَآثَارَ نِيرَانِهِمْ وَسَأَلُوهُ الزَّادَ فَقَالَ لَكُمْ كُلُّ عَظْمٍ ذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ يَقَعُ فِى أَيْدِيكُمْ أَوْفَرَ مَا يَكُوْنُ لَحْمًا وَكُلُّ بَعَرَةٍ عَلَفٌ لِدَوَابِّكُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلاَ تَسْتَنْجُوا بِهِمَا فَإِنَّهُمَا طَعَامُ إِخْوَانِكُمْ

عن عامر قال سالت علقمة هل كان ابن مسعود شهد مع رسول الله ﷺ ليلة الجن قال فقال علقمة انا سالت ابن مسعود فقلت هل شهد احد منكم مع رسول الله ﷺ ليلة الجن قال لا ولكنا كنا مع رسول الله ﷺ ذات ليلة ففقدناه فالتمسناه فى الاودية والشعاب فقلنا استطير او اغتيل قال فبتنا بشر ليلة بات بها قوم فلما اصبحنا اذا هو جاء من قبل حراء قال فقلنا يا رسول الله فقدناك فطلبناك فلم نجدك فبتنا بشر ليلة بات بها قوم فقال اتانى داعى الجن فذهبت معه فقرات عليهم القران قال فانطلق بنا فارانا اثارهم واثار نيرانهم وسالوه الزاد فقال لكم كل عظم ذكر اسم الله عليه يقع فى ايديكم اوفر ما يكون لحما وكل بعرة علف لدوابكم فقال رسول الله ﷺ فلا تستنجوا بهما فانهما طعام اخوانكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯১) আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযীদ খাত্বমীর বর্ণনা, তিনি বলেছেন, উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) আমাদের প্রতি লিখে পাঠালেন যে, তোমরা তোমাদের পানীয়কে পাকাতে থাকো, যে পর্যন্ত না তার মধ্য হতে শয়তানের ভাগ চলে যায়। যেহেতু তার রয়েছে দুটি, আর তোমাদের জন্য একটি (ভাগ)।

أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْخَطْمِيَّ قَالَ: كَتَبَ إِلَيْنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ: «أَمَّا بَعْدُ فَاطْبُخُوا شَرَابَكُمْ حَتَّى يَذْهَبَ مِنْهُ نَصِيبُ الشَّيْطَانِ فَإِنَّ لَهُ اثْنَيْنِ وَلَكُمْ وَاحِدٌ

ان عبد الله بن يزيد الخطمي قال: كتب الينا عمر بن الخطاب رضي الله عنه: «اما بعد فاطبخوا شرابكم حتى يذهب منه نصيب الشيطان فان له اثنين ولكم واحد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯২) আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) এক আনসারী থেকে বর্ণনা করে বলেন, একদা এক রাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাহাবাগণ উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় উজ্জ্বল হয়ে একটি উল্কাপাত হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, এরূপ উল্কাপাত হলে তোমরা জাহেলী যুগে কী বলতে? তাঁরা বললেন, ’আল্লাহ ও তাঁর রসূল বেশি জানেন। আমরা বলতাম, আজ রাতে কোন মহান ব্যক্তির জন্ম হল অথবা কোন মহান ব্যক্তি মারা গেল।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যক্তির মৃত্যু বা জন্মের কারণে উল্কাপাত হয় না। আসলে আমাদের প্রতিপালক তাবারাকা অতা’আল্লাহ যখন কিছু ফায়সালা করেন, তখন আরশবাহী ফিরিশতাগণ তসবীহ পড়েন।

অতঃপর তার পরবর্তী নিম্নের আসমানবাসী তসবীহ পড়েন। পরিশেষে এই দুনিয়ার আসমানে তসবীহ এসে পৌঁছে। অতঃপর আরশবাহী ফিরিশতাগণের কাছাকাছি আসমানবাসীরা তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ’আপনাদের প্রতিপালক কী বললেন?’ সুতরাং তিনি যা বলেন, তার খবর তাঁরা জানিয়ে দেন। এইভাবে প্রত্যেক আসমানবাসী পরস্পরের মধ্যে খবর জানাজানি করেন। পরিশেষে এই দুনিয়ার আসমানে খবর এসে পৌঁছে। জ্বিনেরা সেই খবর লুফে নেয় এবং তাদের বন্ধুদের কাছে প্রক্ষিপ্ত করে। সুতরাং যে খবর তারা হুবহু আনয়ন করে, তা সত্য। কিন্তু আসলে তারা তাতে মিথ্যার সংমিশ্রণ ঘটায় ও সংযোজিত করে।

عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَخْبَرَنِى رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِىِّ ﷺ مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُمْ بَيْنَمَا هُمْ جُلُوسٌ لَيْلَةً مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ رُمِىَ بِنَجْمٍ فَاسْتَنَارَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَاذَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ فِى الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا رُمِىَ بِمِثْلِ هَذَا قَالُوْا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ كُنَّا نَقُولُ وُلِدَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ عَظِيمٌ وَمَاتَ رَجُلٌ عَظِيمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَإِنَّهَا لاَ يُرْمَى بِهَا لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنْ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى اسْمُهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا سَبَّحَ حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثُمَّ سَبَّحَ أَهْلُ السَّمَاءِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ التَّسْبِيحُ أَهْلَ هَذِهِ السَّمَاءِ الدُّنْيَا ثُمَّ قَالَ الَّذِينَ يَلُونَ حَمَلَةَ الْعَرْشِ لِحَمَلَةِ الْعَرْشِ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ فَيُخْبِرُونَهُمْ مَاذَا قَالَ قَالَ فَيَسْتَخْبِرُ بَعْضُ أَهْلِ السَّمَوَاتِ بَعْضًا حَتَّى يَبْلُغَ الْخَبَرُ هَذِهِ السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَتَخْطَفُ الْجِنُّ السَّمْعَ فَيَقْذِفُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ وَيُرْمَوْنَ بِهِ فَمَا جَاءُوا بِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَهُوَ حَقٌّ وَلَكِنَّهُمْ يَقْرِفُونَ فِيهِ وَيَزِيدُونَ

عن عبد الله بن عباس قال اخبرنى رجل من اصحاب النبى ﷺ من الانصار انهم بينما هم جلوس ليلة مع رسول الله ﷺ رمى بنجم فاستنار فقال لهم رسول الله ﷺ ماذا كنتم تقولون فى الجاهلية اذا رمى بمثل هذا قالوا الله ورسوله اعلم كنا نقول ولد الليلة رجل عظيم ومات رجل عظيم فقال رسول الله ﷺ فانها لا يرمى بها لموت احد ولا لحياته ولكن ربنا تبارك وتعالى اسمه اذا قضى امرا سبح حملة العرش ثم سبح اهل السماء الذين يلونهم حتى يبلغ التسبيح اهل هذه السماء الدنيا ثم قال الذين يلون حملة العرش لحملة العرش ماذا قال ربكم فيخبرونهم ماذا قال قال فيستخبر بعض اهل السموات بعضا حتى يبلغ الخبر هذه السماء الدنيا فتخطف الجن السمع فيقذفون الى اولياىهم ويرمون به فما جاءوا به على وجهه فهو حق ولكنهم يقرفون فيه ويزيدون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৩) একদা আবুস সায়েব আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর নিকট তাঁর বাড়িতে গেলেন। দেখলেন, তিনি নামায পড়ছেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর নামায শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। ইত্যবসরে বাড়ির এক প্রান্তে (ছাদে লাগানো) খেজুর কাঁদির ডালগুলিতে কিছু নড়া-সরা করার শব্দ শুনতে পেলাম। দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখি, একটি সাপ। আমি লাফিয়ে উঠে তা মারতে উদ্যত হলাম। কিন্তু তিনি আমাকে ইশারা করে বললেন, ’বসে যাও।’ সুতরাং আমি বসে গেলাম। অতঃপর নামায শেষ হলে তিনি আমাকে বাড়ির ভিতরে একটা ঘর দেখিয়ে বললেন, ’এ ঘরটা দেখছ?’ আমি বললাম, ’জী।’

তিনি বললেন, ’এ ঘরে আমাদেরই একজন নব্য বিবাহিত যুবক ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে খন্দকের প্রতি বের হয়েছিলাম। সেই যুবক দুপুরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অনুমতি নিয়ে নিজ বাসায় ফিরত। সে একদিন তাঁর নিকট অনুমতি নিল। তিনি বললেন, তুমি তোমার অস্ত্র সঙ্গে নাও। তোমার প্রতি কুরাইযার আশঙ্কা হয়।

সুতরাং সে নিজ অস্ত্র নিয়ে বাসায় ফিরল। দেখল তার (নতুন) বউ দরজার দুই চৌকাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। সে ঈর্ষান্বিত হয়ে বর্শা তুলে তাকে আঘাত করতে উদ্যত হল! তার স্ত্রী তাকে বলল, ’আপনি আপনার বর্শা নিবারণ করুন। বাসায় প্রবেশ করুন, তাহলে দেখতে পাবেন, কে আমাকে বের করেছে?’

সুতরাং সে বাসায় প্রবেশ করে দেখল, একটি বৃহদাকার সাপ বিছানায় কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে! অতএব সে বর্শা দিয়ে আঘাত করে তাকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর কক্ষ থেকে বের হয়ে বাড়ির (মাটিতে) বর্শাটিকে গেড়ে দিল। তৎক্ষণাৎ সাপটি ছট্‌ফট্ করে লাফিয়ে উঠে তার উপর হামলা করল। অতঃপর জানা গেল না যে, কে আগে সত্বর মারা গেল; সাপটি, নাকি যুবকটি?

আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে এ ঘটনা বর্ণনা করলাম এবং বললাম, ’আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন, যাতে তিনি ওকে বাঁচিয়ে তোলেন।’ তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর বললেন, অবশ্যই মদীনায় কিছু জ্বিন আছে, যারা মুসলিম হয়েছে। সুতরাং তাদের কাউকে (সর্পাকারে) দেখলে তাকে তিন দিন সতর্ক কর। অতঃপর উচিত মনে হলে তাকে হত্যা কর। কারণ সে শয়তান।

عَنْ أَبيْ السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ فِى بَيْتِهِ قَالَ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّى فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى يَقْضِىَ صَلاَتَهُ فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا فِى عَرَاجِينَ فِى نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا حَيَّةٌ فَوَثَبْتُ لأَقْتُلَهَا فَأَشَارَ إِلَىَّ أَنِ اجْلِسْ فَجَلَسْتُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِى الدَّارِ فَقَالَ أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ كَانَ فِيهِ فَتًى مِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ قَالَ - فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ إِلَى الْخَنْدَقِ فَكَانَ ذَلِكَ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللهِ ﷺ بِأَنْصَافِ النَّهَارِ فَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنَهُ يَوْمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ خُذْ عَلَيْكَ سِلاَحَكَ فَإِنِّى أَخْشَى عَلَيْكَ قُرَيْظَةَ فَأَخَذَ الرَّجُلُ سِلاَحَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَإِذَا امْرَأَتُهُ بَيْنَ الْبَابَيْنِ قَائِمَةً فَأَهْوَى إِلَيْهَا الرُّمْحَ لِيَطْعَنهَا بِهِ وَأَصَابَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَهُ اكْفُفْ عَلَيْكَ رُمْحَكَ وَادْخُلِ الْبَيْتَ حَتَّى تَنْظُرَ مَا الَّذِى أَخْرَجَنِى فَدَخَلَ فَإِذَا بِحَيَّةٍ عَظِيمَةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَانْتَظَمَهَا بِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَرَكَزَهُ فِى الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْحَيَّةُ أَمِ الْفَتَى قَالَ فَجِئْنَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ وَقُلْنَا ادْعُ اللهَ يُحْيِيهِ لَنَا فَقَالَ اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ ثُمَّ قَالَ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ

عن ابي الساىب مولى هشام بن زهرة انه دخل على ابى سعيد الخدرى فى بيته قال فوجدته يصلى فجلست انتظره حتى يقضى صلاته فسمعت تحريكا فى عراجين فى ناحية البيت فالتفت فاذا حية فوثبت لاقتلها فاشار الى ان اجلس فجلست فلما انصرف اشار الى بيت فى الدار فقال اترى هذا البيت فقلت نعم قال كان فيه فتى منا حديث عهد بعرس قال - فخرجنا مع رسول الله ﷺ الى الخندق فكان ذلك الفتى يستاذن رسول الله ﷺ بانصاف النهار فيرجع الى اهله فاستاذنه يوما فقال له رسول الله ﷺ خذ عليك سلاحك فانى اخشى عليك قريظة فاخذ الرجل سلاحه ثم رجع فاذا امراته بين البابين قاىمة فاهوى اليها الرمح ليطعنها به واصابته غيرة فقالت له اكفف عليك رمحك وادخل البيت حتى تنظر ما الذى اخرجنى فدخل فاذا بحية عظيمة منطوية على الفراش فاهوى اليها بالرمح فانتظمها به ثم خرج فركزه فى الدار فاضطربت عليه فما يدرى ايهما كان اسرع موتا الحية ام الفتى قال فجىنا الى رسول الله ﷺ فذكرنا ذلك له وقلنا ادع الله يحييه لنا فقال استغفروا لصاحبكم ثم قال ان بالمدينة جنا قد اسلموا فاذا رايتم منهم شيىا فاذنوه ثلاثة ايام فان بدا لكم بعد ذلك فاقتلوه فانما هو شيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৪) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার সাথে সঙ্গী জ্বিন নিযুক্ত নেই। লোকেরা বলল, ’আর আপনার সাথেও কি আছে, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, আমার সাথেও আছে। তবে আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করেছেন বলে সে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সুতরাং আমাকে সে মঙ্গল ছাড়া অন্য কিছুর আদেশ দেয় না।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ قَرِينُهُ مِنَ الْجِنِّ قَالُوْا وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ وَإِيَّاىَ إِلاَّ أَنَّ اللهَ أَعَانَنِى عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلاَ يَأْمُرُنِى إِلاَّ بِخَيْرٍ

عن عبد الله بن مسعود قال قال رسول الله ﷺ ما منكم من احد الا وقد وكل به قرينه من الجن قالوا واياك يا رسول الله قال واياى الا ان الله اعاننى عليه فاسلم فلا يامرنى الا بخير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৫) একদা রাত্রি বেলায় আয়েশা (রাঃ) সতীনদের প্রতি ঈর্ষা প্রকাশ করলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, আয়েশা! তোমাকে তোমার শয়তান ধরেছে। আয়েশা বললেন, ’আপনার কি শয়তান নেই?’ তিনি বললেন, এমন কোন আদম-সন্তান (আদমী বা মানুষ) নেই, যার শয়তান নেই। আয়েশা বললেন, ’আর আপনি হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, আর আমিও। তবে আমি তার বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে দু’আ করেছি, তাই আমি নিরাপদ থাকি।

يَا عَائِشَةُ أَخَذَكِ شَيْطَانُكِ فَقُلْتُ : أَمَا لَكَ شَيْطَانٌ؟ قَالَ مَا مِنْ آدَمِىٍّ إِلاَّ لَهُ شَيْطَانٌ فَقُلْتُ : وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ وَأَنَا لَكِنِّى دَعَوْتُ اللهَ عَلَيْهِ فَأَسْلَم

يا عاىشة اخذك شيطانك فقلت : اما لك شيطان؟ قال ما من ادمى الا له شيطان فقلت : وانت يا رسول الله؟ قال وانا لكنى دعوت الله عليه فاسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় মু’মিন তার শয়তানদেরকে কৃশ (দূর্বল) করে ফেলে, যেমন তোমাদের কেউ সফরে তার (সওয়ারী) উটকে কৃশ ক’রে ফেলে।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَيُنْضِي شَيَاطِينَهُ كَمَا يُنْضِي أَحَدُكُمْ بَعِيرَهُ فِي السَّفَرِ

عن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال ان المومن لينضي شياطينه كما ينضي احدكم بعيره في السفر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৭) আবুদ দারদা (রাঃ) বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায পড়ছিলেন। আমরা শুনলাম, তিনি ’আঊযু বিল্লাহি মিনক্’ বলছেন। পরক্ষনেই তিনবার বললেন, ’আলআনুকা বিলা’নাতিল্লাহ।’ (আল্লাহর অভিশাপে তোকে অভিশাপ দিচ্ছি।) সেই সাথে তিনি হাত বাড়িয়ে কিছু ধরতে যাচ্ছিলেন। অতঃপর তিনি নামায শেষ করলে আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনাকে নামাযে এমন কিছু বলতে শুনলাম, যা ইতিপূর্বে আপনাকে বলতে শুনিনি। আর দেখলাম, আপনি আপনার হাত বাড়াচ্ছেন।’ তিনি বললেন, ’’আসলে আল্লাহর দুশমন ইবলীস একটি অগ্নিশিখা নিয়ে আমার মুখমণ্ডলে রাখতে চাইল। তাই আমি তিনবার বললাম, ’আঊযু বিল্লাহি মিনক্’। অতঃপর বললাম, ’আলআনুকা বিলা’নাতিল্লাহ।’ তবুও সে সরল না। এরূপ তিনবার বললাম। অতঃপর তাকে ধরার ইচ্ছা করলাম। আল্লাহর কসম! যদি আমাদের ভাই সুলাইমানের দু’আ না হতো, তাহলে সে বন্দী অবস্থায় সকাল করত এবং মদীনাবাসীর শিশুরা তাকে নিয়ে খেলা করত।

عَن أَبِى الدَّرْدَاءِ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَسَمِعَناهُ يَقُولُ أَعُوذُ بِاللهِ مِنْكَ ثُمَّ قَالَ أَلْعَنكَ بِلَعَنةِ اللهِ ثَلاَثًا وَبَسَطَ يَدَهُ كَأَنَّهُ يَتَنَاوَلُ شَيْئًا فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصَّلاَةِ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ سَمِعَناكَ تَقُولُ فِى الصَّلاَةِ شَيْئًا لَمْ نَسْمَعْكَ تَقُولُهُ قَبْلَ ذَلِكَ وَرَأَيْنَاكَ بَسَطْتَ يَدَكَ قَالَ إِنَّ عَدُوَّ اللهِ إِبْلِيسَ جَاءَ بِشِهَابٍ مِنْ نَارٍ لِيَجْعَلَهُ فِى وَجْهِى فَقُلْتُ أَعُوذُ بِاللهِ مِنْكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قُلْتُ أَلْعَنكَ بِلَعَنةِ اللهِ التَّامَّةِ فَلَمْ يَسْتَأْخِرْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أَرَدْتُ أَخْذَهُ وَاللهِ لَوْلاَ دَعْوَةُ أَخِينَا سُلَيْمَانَ لأَصْبَحَ مُوثَقًا يَلْعَبُ بِهِ وِلْدَانُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ

عن ابى الدرداء قال قام رسول الله ﷺ فسمعناه يقول اعوذ بالله منك ثم قال العنك بلعنة الله ثلاثا وبسط يده كانه يتناول شيىا فلما فرغ من الصلاة قلنا يا رسول الله قد سمعناك تقول فى الصلاة شيىا لم نسمعك تقوله قبل ذلك ورايناك بسطت يدك قال ان عدو الله ابليس جاء بشهاب من نار ليجعله فى وجهى فقلت اعوذ بالله منك ثلاث مرات ثم قلت العنك بلعنة الله التامة فلم يستاخر ثلاث مرات ثم اردت اخذه والله لولا دعوة اخينا سليمان لاصبح موثقا يلعب به ولدان اهل المدينة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি শক্তিশালী জ্বিন গতরাত্রে আমার নামায নষ্ট করার জন্য আমার ঔদাস্যের সুযোগ নিতে চাচ্ছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ তাকে আমার আয়ত্তে করে দিলেন, সুতরাং আমি তার গলা টিপে ধরলাম। আমি সংকল্প করলাম, মসজিদের খুঁটিসমূহের কোন এক খুঁটিতে তাকে বেঁধে রাখি। যাতে সকালে তোমরা সকলে তাকে দেখতে পাও। অতঃপর আমার ভাই সুলাইমানের দু’আ স্মরণ হল, ’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে এমন এক রাজ্য দান কর, যার অধিকারী আমার পরে অন্য কেউ হতে পারবে না।’ (সোয়াদঃ ৩৫) সুতরাং আল্লাহ তাকে নিকৃষ্ট অবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ جَعَلَ يَفْتِكُ عَلَىَّ الْبَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَىَّ الصَّلاَةَ وَإِنَّ اللهَ أَمْكَنَنِى مِنْهُ فَذَعَتُّهُ فَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ إِلَى جَنْبِ سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِى الْمَسْجِدِ حَتَّى تُصْبِحُوا تَنْظُرُونَ إِلَيْهِ أَجْمَعُونَ أَوْ كُلُّكُمْ - ثُمَّ ذَكَرْتُ قَوْلَ أَخِى سُلَيْمَانَ رَبِّ اغْفِرْ لِى وَهَبْ لِى مُلْكًا لاَ يَنْبَغِى لأَحَدٍ مِنْ بَعْدِى فَرَدَّهُ اللهُ خَاسِئًا

عن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ ان عفريتا من الجن جعل يفتك على البارحة ليقطع على الصلاة وان الله امكننى منه فذعته فلقد هممت ان اربطه الى جنب سارية من سوارى المسجد حتى تصبحوا تنظرون اليه اجمعون او كلكم - ثم ذكرت قول اخى سليمان رب اغفر لى وهب لى ملكا لا ينبغى لاحد من بعدى فرده الله خاسىا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(৯৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণের একটি দলের সাথে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তখন আসমানী খবর ও শয়তানদের মাঝে অন্তরাল সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের প্রতি জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করা হচ্ছে। শয়তানেরা নিজেদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে এলে তারা বলল, ’কী ব্যাপার তোমাদের?’ শয়তানেরা বলল, ’আসমানে আমাদেরকে বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে, আমাদের প্রতি জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করা হচ্ছে।’ তারা বলল, ’তোমাদেরকে আসমানে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার নিশ্চয় কোন নতুন কারণ আছে। সুতরাং পৃথিবীর প্রাচ্য ও প্রতীচ্য ভ্রমণ করে দেখ, কিসে তোমাদেরকে আসমানে বাধাপ্রাপ্ত করছে?’ সুতরাং তাদের যে দলটি তিহামার দিকে যাত্রা করেছিল, তারা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি আকৃষ্ট হল।

তিনি তখন উকায বাজারের যাত্রা পথে নাখলা নামক জায়গায় সাহাবাগণকে নিয়ে ফজরের নামায পড়ছিলেন। সুতরাং তারা যখন কুরআন শুনতে পেল, তখন মনোযোগ সহকারে শুনতে লাগল। অতঃপর বলল, ’এটাই তোমাদেরকে আসমানে বাধাপ্রাপ্ত করছে?’ সুতরাং তারা (সেখানে ঈমান এনে) নিজেদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। যা সঠিক পথ-নির্দেশ করে; ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আর আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থাপন করব না। (জ্বিনঃ ১-২) অতঃপর মহান আল্লাহ নিজ নবীর উপর উক্ত সূরা জ্বিন অবতীর্ণ করলেন। আর তা ছিল জ্বিনদের কথা।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: انْطَلَقَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فِى طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ عَامِدِينَ إِلَى سُوقِ عُكَاظٍ وَقَدْ حِيلَ بَيْنَ الشَّيَاطِينِ وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ وَأُرْسِلَتْ عَلَيْهِمُ الشُّهُبُ فَرَجَعَتِ الشَّيَاطِينُ إِلَى قَوْمِهِمْ فَقَالُوْا مَا لَكُمْ قَالُوْا حِيلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ وَأُرْسِلَتْ عَلَيْنَا الشُّهُبُ قَالُوْا مَا ذَاكَ إِلاَّ مِنْ شَىْءٍ حَدَثَ فَاضْرِبُوا مَشَارِقَ الأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا فَانْظُرُوا مَا هَذَا الَّذِى حَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ فَانْطَلَقُوا يَضْرِبُونَ مَشَارِقَ الأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا فَمَرَّ النَّفَرُ الَّذِينَ أَخَذُوا نَحْوَ تِهَامَةَ وَهُوَ بِنَخْلٍ عَامِدِينَ إِلَى سُوقِ عُكَاظٍ وَهُوَ يُصَلِّى بِأَصْحَابِهِ صَلاَةَ الْفَجْرِ فَلَمَّا سَمِعُوا الْقُرْآنَ اسْتَمَعُوا لَهُ وَقَالُوْا هَذَا الَّذِى حَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ فَرَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ فَقَالُوْا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعَنا قُرْآنًا عَجَبًا يَهْدِى إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَبِيِّهِ مُحَمَّدٍ ﷺ قُلْ أُوحِىَ إِلَىَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ

عن ابن عباس قال: انطلق رسول الله ﷺ فى طاىفة من اصحابه عامدين الى سوق عكاظ وقد حيل بين الشياطين وبين خبر السماء وارسلت عليهم الشهب فرجعت الشياطين الى قومهم فقالوا ما لكم قالوا حيل بيننا وبين خبر السماء وارسلت علينا الشهب قالوا ما ذاك الا من شىء حدث فاضربوا مشارق الارض ومغاربها فانظروا ما هذا الذى حال بيننا وبين خبر السماء فانطلقوا يضربون مشارق الارض ومغاربها فمر النفر الذين اخذوا نحو تهامة وهو بنخل عامدين الى سوق عكاظ وهو يصلى باصحابه صلاة الفجر فلما سمعوا القران استمعوا له وقالوا هذا الذى حال بيننا وبين خبر السماء فرجعوا الى قومهم فقالوا يا قومنا انا سمعنا قرانا عجبا يهدى الى الرشد فامنا به ولن نشرك بربنا احدا فانزل الله عز وجل على نبيه محمد ﷺ قل اوحى الى انه استمع نفر من الجن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০০) একদা উমার (রাঃ) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, যে জাহেলী যুগে গণক ছিল, ’তোমার জিন্নিয়াহ যে সব কথা বা ঘটনা তোমার কাছে আনয়ন করেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্ময়কর কী ছিল?’ সে বলল, ’আমি একদিন বাজারে ছিলাম। তখন সে আমার নিকট এল, আর তার মধ্যে ত্রাস ছিল। সে বলল, ’তুমি কি জ্বিনদের নৈরাশ্য, স্বস্তির পরে তাদের হতাশা এবং যুবতী উটনী ও তার জিনপোশের সাথে তাদের (মদীনায়) মিলিত হওয়া দেখতে পাওনি?’ (অর্থাৎ, তারা এক সময় স্বস্তির সাথে আসমানের খবর শুনত। এখন তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। ফলে তারা নিরাশ হয়ে গেছে এবং তারা মদীনার দিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি যাত্রা শুরু করেছে।) উমার (রাঃ) বলেন, ও ঠিকই বলেছে। আমি একদিন ওদের দেবতাদের কাছে ঘুমিয়ে ছিলাম।

ইত্যবসরে একটি লোক একটি বাছুর গরু নিয়ে এসে যবেহ করল। এমন সময় একজনের এমন চিৎকার-ধ্বনি শুনতে পেলাম, ইতিপূর্বে তার চাইতে বিকট চিৎকার আমি কখনও শুনিনি। সে বলল, ওহে জালীহ! একটি সফল ব্যাপার সত্বর সংঘটিত হবে, একজন বাগ্মী বলবেন, ’আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার উপাস্য নেই। এ কথা শুনে লোকেরা লাফিয়ে উঠল। আমি বললাম, এ ঘোষণার রহস্য জানার অপেক্ষায় থাকব। অতঃপর আবার ঘোষণা দিল, ওহে জালীহ! একটি সফল ব্যাপার সত্বর সংঘটিত হবে, একজন বাগ্মী বলবেন, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার উপাস্য নেই। অতঃপর আমি উঠে দাঁড়ালাম। তারপর কিছুদিন অপেক্ষা করতেই, বলা হল, ইনিই নবী।

قَالَ عُمَرُ لكاَهِن: فَمَا أَعْجَبُ مَا جَاءَتْكَ بِهِ جِنِّيَّتُكَ قَالَ بَيْنَمَا أَنَا يَوْمًا فِي السُّوقِ جَاءَتْنِي أَعْرِفُ فِيهَا الْفَزَعَ فَقَالَتْ أَلَمْ تَرَ الْجِنَّ وَإِبْلَاسَهَا وَيَأْسَهَا مِنْ بَعْدِ إِنْكَاسِهَا وَلُحُوقَهَا بِالْقِلَاصِ وَأَحْلَاسِهَا قَالَ عُمَرُ صَدَقَ بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ عَندَ آلِهَتِهِمْ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ بِعِجْلٍ فَذَبَحَهُ فَصَرَخَ بِهِ صَارِخٌ لَمْ أَسْمَعْ صَارِخًا قَطُّ أَشَدَّ صَوْتًا مِنْهُ يَقُولُ يَا جَلِيحْ أَمْرٌ نَجِيحْ رَجُلٌ فَصِيحْ يَقُولُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ فَوَثَبَ الْقَوْمُ قُلْتُ لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَعْلَمَ مَا وَرَاءَ هَذَا ثُمَّ نَادَى يَا جَلِيحْ أَمْرٌ نَجِيحْ رَجُلٌ فَصِيحْ يَقُولُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ فَقُمْتُ فَمَا نَشِبْنَا أَنْ قِيلَ هَذَا نَبِيٌّ

قال عمر لكاهن: فما اعجب ما جاءتك به جنيتك قال بينما انا يوما في السوق جاءتني اعرف فيها الفزع فقالت الم تر الجن وابلاسها وياسها من بعد انكاسها ولحوقها بالقلاص واحلاسها قال عمر صدق بينما انا ناىم عند الهتهم اذ جاء رجل بعجل فذبحه فصرخ به صارخ لم اسمع صارخا قط اشد صوتا منه يقول يا جليح امر نجيح رجل فصيح يقول لا اله الا الله فوثب القوم قلت لا ابرح حتى اعلم ما وراء هذا ثم نادى يا جليح امر نجيح رجل فصيح يقول لا اله الا الله فقمت فما نشبنا ان قيل هذا نبي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০১) ইয়ায বিন হিমার মুজাশেয়ী (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর খুতবায় বললেন, শোনো! নিশ্চয় আমার প্রতিপালক আমাকে আদেশ করেছেন যে, তিনি আমাকে আজকের দিন যা শিখিয়েছেন, তা হতে আমি তোমাদেরকে তা শিক্ষা দিই, যা তোমাদের অজানা। (তিনি বলেছেন,) প্রত্যেক সেই সম্পদ যা আমি কোন বান্দাকে দান করেছি, তা তার জন্য হালাল। (সে নিজে তা হারাম করতে পারে না।) নিশ্চয় আমি আমার সকল বান্দাগণকে একনিষ্ঠরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদের নিকট শয়তানদল এসে তাদেরকে তাদের দ্বীন হতে পথভ্রষ্ট করেছে। তাদের জন্য তা হারাম করেছে, যা আমি তাদের জন্য হালাল করেছি এবং তাদেরকে আদেশ করেছে, যাতে তারা সেই জিনিসকে আমার সাথে শরীক করে, যার কোন প্রমাণ আমি অবতীর্ণ করিনি।

عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ الْمُجَاشِعِىِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ ذَاتَ يَوْمٍ فِى خُطْبَتِهِ أَلاَ إِنَّ رَبِّى أَمَرَنِى أَنْ أُعَلِّمَكُمْ مَا جَهِلْتُمْ مِمَّا عَلَّمَنِى يَوْمِى هَذَا كُلُّ مَالٍ نَحَلْتُهُ عَبْدًا حَلاَلٌ وَإِنِّى خَلَقْتُ عِبَادِى حُنَفَاءَ كُلَّهُمْ وَإِنَّهُمْ أَتَتْهُمُ الشَّيَاطِينُ فَاجْتَالَتْهُمْ عَن دِينِهِمْ وَحَرَّمَتْ عَلَيْهِمْ مَا أَحْلَلْتُ لَهُمْ وَأَمَرَتْهُمْ أَنْ يُشْرِكُوا بِى مَا لَمْ أُنْزِلْ بِهِ سُلْطَانًا

عن عياض بن حمار المجاشعى ان رسول الله ﷺ قال ذات يوم فى خطبته الا ان ربى امرنى ان اعلمكم ما جهلتم مما علمنى يومى هذا كل مال نحلته عبدا حلال وانى خلقت عبادى حنفاء كلهم وانهم اتتهم الشياطين فاجتالتهم عن دينهم وحرمت عليهم ما احللت لهم وامرتهم ان يشركوا بى ما لم انزل به سلطانا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০২) সুলাইমান বিন আমর বিন আহওয়াস (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, ’’সাবধান! শয়তান এ বিষয়ে নিরাশ হয়েছে যে, তোমাদের এই দেশে কখনও তার উপাসনা করা হবে। তবে তোমরা তোমাদের যে কর্মকে তুচ্ছ গণ্য কর, তাতে তার আনুগত্য করা হবে। আর তা নিয়েই সে তুষ্ট হবে।

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ عَنْ أَبيْ هِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا وَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ مِنْ أَنْ يُعْبَدَ فِي بِلَادِكُمْ هَذِهِ أَبَدًا وَلَكِنْ سَتَكُونُ لَهُ طَاعَةٌ فِيمَا تَحْتَقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَسَيَرْضَى بِهِ

عن سليمان بن عمرو بن الاحوص عن ابي ه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم الا وان الشيطان قد ايس من ان يعبد في بلادكم هذه ابدا ولكن ستكون له طاعة فيما تحتقرون من اعمالكم فسيرضى به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০৩) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় শয়তান এ বিষয়ে নিরাশ হয়েছে যে, আরব উপদ্বীপে নামাযীরা তার উপাসনা করবে। তবে সে তাদের মাঝে (হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ, গৃহদ্বন্দ্ব, যুদ্ধ প্রভৃতি সৃষ্টি করে) উস্কানি দিতে সক্ষম হবে।

عَنْ جَابِرٍ قَالَ أن النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ أَنْ يَعْبُدَهُ الْمُصَلُّونَ فِى جَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَلَكِنْ فِى التَّحْرِيشِ بَيْنَهُمْ

عن جابر قال ان النبى صلى الله عليه وسلم قال ان الشيطان قد ايس ان يعبده المصلون فى جزيرة العرب ولكن فى التحريش بينهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মারয়্যাম ও তাঁর পুত্র ব্যতীত প্রত্যেক আদম-সন্তান (শিশু) কে তার মা যেদিন ভূমিষ্ঠ করে, সেদিন শয়তান তাকে স্পর্শ করে।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ كُلُّ بَنِى آدَمَ يَمَسُّهُ الشَّيْطَانُ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ إِلاَّ مَرْيَمَ وَابْنَهَا

عن ابى هريرة عن رسول الله ﷺ انه قال كل بنى ادم يمسه الشيطان يوم ولدته امه الا مريم وابنها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০৫) উক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক আদম-সন্তানের জন্মের সময় তার দুই পাঁজরে শয়তান নিজ আঙ্গুল দ্বারা খোঁচা মারে। তবে ঈসা বিন মারয়্যামকে মারেনি। তাঁকে খোঁচা মারতে গিয়ে সে পর্দায় খোঁচা মেরেছিল।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ كُلُّ بَنِي آدَمَ يَطْعَن الشَّيْطَانُ فِي جَنْبَيْهِ بِإِصْبَعِهِ حِينَ يُولَدُ غَيْرَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَهَبَ يَطْعَن فَطَعَن فِي الْحِجَابِ

عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال النبي ﷺ كل بني ادم يطعن الشيطان في جنبيه باصبعه حين يولد غير عيسى ابن مريم ذهب يطعن فطعن في الحجاب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০৬) আর এক বর্ণনায় আছে, এমন কোন নব জাতক আদম-সন্তান নেই, যাকে তার জন্মের সময় শয়তান স্পর্শ করে না। সে সময় সে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। তবে মারয়্যাম ও তাঁর সন্তানের কথা স্বতন্ত্র।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ مَا مِنْ مَوْلُودٍ يُولَدُ إِلَّا وَالشَّيْطَانُ يَمَسُّهُ حِينَ يُولَدُ فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا مِنْ مَسِّ الشَّيْطَانِ إِيَّاهُ إِلَّا مَرْيَمَ وَابْنَهَا

عن ابي هريرة رضي الله عنه ان النبي ﷺ قال ما من مولود يولد الا والشيطان يمسه حين يولد فيستهل صارخا من مس الشيطان اياه الا مريم وابنها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০৭) আবূ মূসা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের ধ্বংস রয়েছে যুদ্ধ ও প্লেগ রোগে। বলা হল, হে আল্লাহর রসূল! যুদ্ধ তো চিনলাম, কিন্তু প্লেগ কী? তিনি বললেন, তা হল জ্বিন জাতির তোমাদের দুশমনদের খোঁচা। আর উভয়ের মধ্যেই রয়েছে শহীদের মর্যাদা।

عَنْ أَبيْ مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَنَاءُ أُمَّتِي بِالطَّعَن وَالطَّاعُونِ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ هَذَا الطَّعَن قَدْ عَرَفْنَاهُ فَمَا الطَّاعُونُ؟ قَالَ وَخْزُ أَعْدَائِكُمْ مِنْ الْجِنِّ وَفِي كُلٍّ شُهَدَاءُ

عن ابي موسى قال قال رسول الله ﷺ فناء امتي بالطعن والطاعون فقيل يا رسول الله هذا الطعن قد عرفناه فما الطاعون؟ قال وخز اعداىكم من الجن وفي كل شهداء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান

পরিচ্ছেদঃ জ্বিন ও শয়তান জগৎ

(১০৮) অন্য এক বর্ণনায় আছে, প্লেগ রোগ হল জ্বিন জাতির তোমাদের দুশমনদের খোঁচা। আর তা হল তোমাদের জন্য শহীদী মরণ।

عَنْ أَبيْ مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الطاعون وَخْزُ أَعْدَائِكُمْ مِنَ الْجِنِّ وَهُوَ لَكُمْ شَهَادَةٌ

عن ابي موسى قال قال رسول الله ﷺ الطاعون وخز اعداىكم من الجن وهو لكم شهادة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১/ ঈমান
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »