পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪১৯। ইয়াযীদ ইবনু সু’আইম ইবনু হায্‌যাল (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাঈয ইবনু মালিক ইয়াতিম ছিলো। সে আমার পিতার তত্ত্বাবধানে ছিলো। সে এক গোত্রের জনৈক বাঁদীর সঙ্গে সঙ্গম করে। আমার পিতা তাকে বলেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাও এবং তাঁকে তোমার কৃতকর্মের ব্যাপারে জানাও। তিনি হয় তো তোমার জন্য ক্ষমা চাইবেন। বস্তুতঃ এর দ্বারা তিনি তার অপরাধ থেকে মুক্তির সন্ধানই চেয়েছেন।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সে তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো যেনা করেছি; সুতরাং আমার উপর আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি বাস্তবায়িত করুন। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে পুনরায় বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো যেনা করেছি; আমার উপর আল্লাহর কিতাব বাস্তবায়িত করুন। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে আবারো বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো যেনা করেছি; আমার উপর আল্লাহর কিতাব বাস্তবায়িত করুন। একথা সে চারবার বলার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো চারবার একথা বললেন, তা কার সঙ্গে? সে বললো, অমুক নারীর সঙ্গে।

তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি তার সঙ্গে শুয়েছ? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি তার শরীরে শরীর মিশিয়েছ? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি তার সঙ্গে সঙ্গম করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাকে আল-হাররা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হলো। যখন তাকে পাথর মারা শুরু হলো, সে আঘাতের চোটে আতঙ্কিত হলো এবং দ্রুত দৌঁড়াতে লাগলো।

আব্দুল্লাহ ইবনু উনাইস (রাঃ) এমতাবস্থায় তার সাক্ষাৎ পেলেন যে, তাকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিগণ তাকে ধরতে অপারগ হলো। তিনি উটের সামনের পায়ের হাড় তুলে তার দিকে নিক্ষেপ করেন এবং তাতে সে নিহত হয়। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এ ঘটনা ব্যক্ত করেন। তিনি বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন? সে হয় তো তওবা করতো, আর আল্লাহ তার তওবা কবূল করতেন।[1]

সহীহঃ এ কথাটি বাদেঃ (... لعله أن)

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي، فَأَصَابَ جَارِيَةً مِنَ الْحَيِّ، فَقَالَ لَهُ أَبِي: ائْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبِرْهُ بِمَا صَنَعْتَ لَعَلَّهُ يَسْتَغْفِرُ لَكَ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ لَهُ مَخْرَجًا، فَأَتَاهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَيَّ كِتَابَ اللَّهِ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَعَادَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ فَأَقِمْ عَلَيَّ كِتَابَ اللَّهِ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَعَادَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ، فَأَقِمْ عَلَيَّ كِتَابَ اللَّهِ، حَتَّى قَالَهَا أَرْبَعَ مِرَارٍ، قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكَ قَدْ قُلْتَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، فَبِمَنْ؟ قَالَ: بِفُلَانَةٍ، فَقَالَ: هَلْ ضَاجَعْتَهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: هَلْ بَاشَرْتَهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: هَلْ جَامَعْتَهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ، فَأُخْرِجَ بِهِ إِلَى الْحَرَّةِ، فَلَمَّا رُجِمَ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ جَزِعَ فَخَرَجَ يَشْتَدُّ، فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَقَدْ عَجَزَ أَصْحَابُهُ، فَنَزَعَ لَهُ بِوَظِيفِ بَعِيرٍ فَرَمَاهُ بِهِ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: هَلَّا تَرَكْتُمُوهُ لَعَلَّهُ أَنْ يَتُوبَ، فَيَتُوبَ اللَّهُ عَلَيْهِ

صحيح (دون قوله لعله أن ...)

حدثنا محمد بن سليمان الانباري، حدثنا وكيع، عن هشام بن سعد، قال: حدثني يزيد بن نعيم بن هزال، عن ابيه، قال: كان ماعز بن مالك يتيما في حجر ابي، فاصاب جارية من الحي، فقال له ابي: اىت رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاخبره بما صنعت لعله يستغفر لك، وانما يريد بذلك رجاء ان يكون له مخرجا، فاتاه، فقال: يا رسول الله، اني زنيت فاقم علي كتاب الله، فاعرض عنه، فعاد، فقال: يا رسول الله، اني زنيت فاقم علي كتاب الله، فاعرض عنه فعاد، فقال: يا رسول الله، اني زنيت، فاقم علي كتاب الله، حتى قالها اربع مرار، قال صلى الله عليه وسلم: انك قد قلتها اربع مرات، فبمن؟ قال: بفلانة، فقال: هل ضاجعتها؟ قال: نعم، قال: هل باشرتها؟ قال: نعم، قال: هل جامعتها؟ قال: نعم، قال: فامر به ان يرجم، فاخرج به الى الحرة، فلما رجم فوجد مس الحجارة جزع فخرج يشتد، فلقيه عبد الله بن انيس وقد عجز اصحابه، فنزع له بوظيف بعير فرماه به فقتله، ثم اتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، فقال: هلا تركتموه لعله ان يتوب، فيتوب الله عليه صحيح (دون قوله لعله ان ...)


Narrated Nu'aym ibn Huzzal:

Yazid ibn Nu'aym ibn Huzzal, on his father's authority said: Ma'iz ibn Malik was an orphan under the protection of my father. He had illegal sexual intercourse with a slave-girl belonging to a clan. My father said to him: Go to the Messenger of Allah (ﷺ) and inform him of what you have done, for he may perhaps ask Allah for your forgiveness. His purpose in that was simply a hope that it might be a way of escape for him.

So he went to him and said: Messenger of Allah! I have committed fornication, so inflict on me the punishment ordained by Allah. He (the Prophet) turned away from him, so he came back and said: Messenger of Allah! I have committed fornication, so inflict on me the punishment ordained by Allah. He (again) turned away from him, so he came back and said: Messenger of Allah! I have committed fornication, so inflict on me the punishment ordained by Allah.

When he uttered it four times, the Messenger of Allah (ﷺ) said: You have said it four times. With whom did you commit it?

He replied: With so and so. He asked: Did you lie down with her? He replied: Yes. He asked: Had your skin been in contact with hers? He replied. Yes. He asked: Did you have intercourse with her? He said: Yes. So he (the Prophet) gave orders that he should be stoned to death. He was then taken out to the Harrah, and while he was being stoned he felt the effect of the stones and could not bear it and fled. But Abdullah ibn Unays encountered him when those who had been stoning him could not catch up with him. He threw the bone of a camel's foreleg at him, which hit him and killed him. They then went to the Prophet (ﷺ) and reported it to him.

He said: Why did you not leave him alone. Perhaps he might have repented and been forgiven by Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২০। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মাঈয ইবনু মালিকের ঘটনা আসিম ইবনু উমার ইবনু কাতাদাহর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, হাসান ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইবনু আবূ তালিব আমাকে বলেছেন, এরা আসলাম গোত্রের কতক লোক যাদেরকে আমি দোষারোপ করি না এবং যাদের নিকট থেকে তুমি আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ’’তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন’’ বর্ণনা করেছো আমি এ হাদীস হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি।

অতএব আমি তাকে জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, আসলাম গোত্রের কয়েকজন লোক বর্ণনা করছে যে, পাথর নিক্ষেপের মারাত্মক চোট পেয়ে মাঈযের হতবুদ্ধি হয়ে যাওয়ার ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আলোচনা করাতে তিনি বলেনঃ ’’তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন?’’ অথচ আমি তো এ হাদীস সম্পর্কে জানি না। জাবির বললেন, হে ভাতিজা! এ হাদীস সম্পর্কিত ঘটনা আমি অধিক জ্ঞাত। কেননা আমিও লোকটিকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিদের অন্যতম।

আমরা যখন তাকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে পাথর মারা শুরু করলাম তখন পাথর নিক্ষেপের মারাত্মক চোট পেয়ে সে আমাদের নিকট চিৎকার করে বলতে লাগলো, হে লোক সকল! তোমরা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরিয়ে নিয়ে চলো। আমার আপনজনেরাই আমাকে হত্যার জন্য দায়ী। তারা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা আমাকে বলেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে হত্যা করবেন না।

তথাপি আমরা তাকে হত্যা না করে ছাড়িনি। অতঃপর আমরা যখন ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসব কথা বললাম, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন এবং আমার নিকট নিয়ে এলে না কেন? যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অনুতাপ কবূল করতেন। কিন্তু তিনি হাদ্দ পরিত্যাগ করার জন্য একথা বলেননি। বর্ণনাকারী বলেন, এবার আমি এ হাদীসের মর্ম বুঝতে পারলাম।[1]

হাসান।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: ذَكَرْتُ لِعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، قِصَّةَ مَاعِزِ ابْنِ مَالِكٍ، فَقَالَ: لِي حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي ذَلِكَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَهَلَّا تَرَكْتُمُوهُ مَنْ شِئْتُمْ مِنْ رِجَالِ أَسْلَمَ مِمَّنْ لَا أَتَّهِمُ، قَالَ: وَلَمْ أَعْرِفْ هَذَا الْحَدِيثَ، قَالَ: فَجِئْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَقُلْتُ: إِنَّ رِجَالًا مِنْ أَسْلَمَ يُحَدِّثُونَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُمْ حِينَ ذَكَرُوا لَهُ جَزَعَ مَاعِزٍ مِنَ الْحِجَارَةِ حِينَ أَصَابَتْهُ: أَلَّا تَرَكْتُمُوهُ، وَمَا أَعْرِفُ الْحَدِيثَ، قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذَا الْحَدِيثِ، كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَ الرَّجُلَ، إِنَّا لَمَّا خَرَجْنَا بِهِ فَرَجَمْنَاهُ، فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ صَرَخَ بِنَا: يَا قَوْمُ رُدُّونِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّ قَوْمِي قَتَلُونِي، وَغَرُّونِي مِنْ نَفْسِي، وَأَخْبَرُونِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ قَاتِلِي، فَلَمْ نَنْزَعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ، فَلَمَّا رَجَعْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ: فَهَلَّا تَرَكْتُمُوهُ وَجِئْتُمُونِي بِهِ لِيَسْتَثْبِتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ، فَأَمَّا لِتَرْكِ حَدٍّ فَلَا، قَالَ: فَعَرَفْتُ وَجْهَ الْحَدِيثِ

حسن

حدثنا عبيد الله بن عمر بن ميسرة، حدثنا يزيد بن زريع، عن محمد بن اسحاق، قال: ذكرت لعاصم بن عمر بن قتادة، قصة ماعز ابن مالك، فقال: لي حدثني حسن بن محمد بن علي بن ابي طالب، قال حدثني ذلك من قول رسول الله صلى الله عليه وسلم: فهلا تركتموه من شىتم من رجال اسلم ممن لا اتهم، قال: ولم اعرف هذا الحديث، قال: فجىت جابر بن عبد الله، فقلت: ان رجالا من اسلم يحدثون، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لهم حين ذكروا له جزع ماعز من الحجارة حين اصابته: الا تركتموه، وما اعرف الحديث، قال: يا ابن اخي، انا اعلم الناس بهذا الحديث، كنت فيمن رجم الرجل، انا لما خرجنا به فرجمناه، فوجد مس الحجارة صرخ بنا: يا قوم ردوني الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فان قومي قتلوني، وغروني من نفسي، واخبروني ان رسول الله صلى الله عليه وسلم غير قاتلي، فلم ننزع عنه حتى قتلناه، فلما رجعنا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، واخبرناه قال: فهلا تركتموه وجىتموني به ليستثبت رسول الله صلى الله عليه وسلم منه، فاما لترك حد فلا، قال: فعرفت وجه الحديث حسن


Narrated Jabir ibn Abdullah:

Muhammad ibn Ishaq said: I mentioned the story of Ma'iz ibn Malik to Asim ibn Umar ibn Qatadah. He said to me: Hasan ibn Muhammad ibn Ali ibn AbuTalib said to me: Some men of the tribe of Aslam whom I do not blame and whom you like have transmitted to me the saying of the Messenger of Allah (ﷺ): Why did you not leave him alone?

He said: But I did not understand this tradition. So I went to Jabir ibn Abdullah and said (to him): Some men of the tribe of Aslam narrate that the Messenger of Allah (ﷺ) said when they mentioned to him the anxiety of Ma'iz when the stones hurt him: "Why did you not leave him alone?' But I do not know this tradition.

He said: My cousin, I know this tradition more than the people. I was one of those who had stoned the man. When we came out with him, stoned him and he felt the effect of the stones, he cried: O people! return me to the Messenger of Allah (ﷺ). My people killed me and deceived me; they told me that the Messenger of Allah (ﷺ) would not kill me. We did not keep away from him till we killed him. When we returned to the Messenger of Allah (ﷺ) we informed him of it.

He said: Why did you not leave him alone and bring him to me? and he said this so that the Messenger of Allah (ﷺ) might ascertain it from him. But he did not say this to abandon the prescribed punishment. He said: I then understood the intent of the tradition.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২১। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা মাঈয ইবনু মালিক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো যে, সে যেনা করেছে। একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে কয়েকবার একথা বললো, আর তিনি প্রতিবার মুখ ফিরিয়ে নিলেন। অতঃপর তিনি তার গোত্রের লোকদের প্রশ্ন করলেনঃ সে কি পাগল? তারা বললো, তার তো কোনো সমস্যা নেই। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি তার সঙ্গে এটা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। অতএব তিনি তাকে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ দিলেন। অতঃপর তাকে নিয়ে যাওয়া হলো এবং পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হলো। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর জানাযার সালাত পড়েননি।[1]

সনদ সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي الْحَذَّاءَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ إِنَّهُ زَنَى، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَأَعَادَ عَلَيْهِ مِرَارًا، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَسَأَلَ قَوْمَهُ: أَمَجْنُونٌ هُوَ؟ قَالُوا: لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ، قَالَ: أَفَعَلْتَ بِهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ، فَانْطُلِقَ بِهِ فَرُجِمَ، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ

صحيح الإسناد

حدثنا ابو كامل، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا خالد يعني الحذاء، عن عكرمة، عن ابن عباس، ان ماعز بن مالك، اتى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال انه زنى، فاعرض عنه، فاعاد عليه مرارا، فاعرض عنه، فسال قومه: امجنون هو؟ قالوا: ليس به باس، قال: افعلت بها؟ قال: نعم، فامر به ان يرجم، فانطلق به فرجم، ولم يصل عليه صحيح الاسناد


Narrated Abdullah ibn Abbas:

Ma'iz ibn Malik came to the Prophet (ﷺ) and said that he had committed fornication and he (the Prophet) turned away from him. He repeated it many times, but he (the Prophet) turned away from him. He asked his people: Is he mad? They replied: There is no defect in him. He asked: Have you done it with her? He replied: Yes. so he ordered that he should be stoned to death. He was taken out and stoned to death, and he (the Prophet) did not pray over him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২২। জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মাঈয ইবনু মালিককে দেখেছি, যখন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির করা হয়। সে ছিলো বেটে, মাংসল ও বলিষ্ঠ গড়নের লোক, তার দেহে কোনো চাঁদর ছিলো না। সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিয়ে বলে যে, সে যেনা করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সম্ভবত তুমি তাকে চুমু দিয়েছ। সে বললো, না, আল্লাহর কসম! এ দুর্ভাগা নিশ্চয়ই যেনা করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়।

অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভাষন দিতে গিয়ে বলেনঃ জেনে রাখো! আমরা যখনই আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যাই, আর এদিকে যদি তাদের কেউ পিছনে গিয়ে পাঠা ছাগলের ন্যায় ভ্যাভ্যা করে এবং কোনো নারীকে যৎকিঞ্চিৎ বীর্য দান করে, জেনে রাখো! আল্লাহ যদি আমাকে তাদের কারো উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দেন, তবে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে নারীদের থেকে প্রতিহত করবো।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ جِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَجُلًا قَصِيرًا، أَعْضَلَ، لَيْسَ عَلَيْهِ رِدَاءٌ، فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أَنَّهُ قَدْ زَنَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَلَعَلَّكَ قَبَّلْتَهَا؟ قَالَ: لَا، وَاللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى الْآخِرُ، قَالَ: فَرَجَمَهُ، ثُمَّ خَطَبَ، فَقَالَ: أَلَا كُلَّمَا نَفَرْنَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ، أَمَا إِنَّ اللَّهَ إِنْ يُمَكِّنِّي مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلَّا نَكَلْتُهُ عَنْهُنّ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا ابو عوانة، عن سماك، عن جابر بن سمرة، قال: رايت ماعز بن مالك حين جيء به الى النبي صلى الله عليه وسلم، رجلا قصيرا، اعضل، ليس عليه رداء، فشهد على نفسه اربع مرات انه قد زنى، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فلعلك قبلتها؟ قال: لا، والله انه قد زنى الاخر، قال: فرجمه، ثم خطب، فقال: الا كلما نفرنا في سبيل الله عز وجل، خلف احدهم له نبيب كنبيب التيس يمنح احداهن الكثبة، اما ان الله ان يمكني من احد منهم الا نكلته عنهن صحيح


Jabir b. Samurah said:
I saw Ma’iz b. Malik when he was brought to the Prophet (ﷺ). He was a small and muscular man. He did not wear the loose outer garment. He made confession about him four times that he committed fornication. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Perhaps you kissed her. He said that this most discarded man has committed fornication. He said: So he had him stoned to death and gave an address, saying: Beware, whenever we go out on an expedition in the path of Allah, one of them (I.e. the people) lags behind with a bleating sound like that of a he-goat, and gives modicum of his milk(i.e. sperm) to one of the women. If Allah gives control over any of them, I shall deter him from them (i.e. women) by punishing him severely.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৩। সিমাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ)-কে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তবে পূর্বোক্ত বর্ণনাটি পূর্ণাঙ্গ। তিনি বলেন, সে দু’বার এ কথা বলেছে। সিমাক বলেন, আমি সাঈদ ইবনু জুবাইরের নিকট এ হাদীস বর্ণনা করলে তিনি বলেন, সে বরং চারবার একথা বলেছে।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَالْأَوَّلُ أَتَمُّ قَالَ: فَرَدَّهُ مَرَّتَيْنِ، قَالَ سِمَاكٌ: فَحَدَّثْتُ بِهِ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، فَقَالَ: إِنَّهُ رَدَّهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ

صحيح

حدثنا محمد بن المثنى، عن محمد بن جعفر، عن شعبة، عن سماك، قال: سمعت جابر بن سمرة، بهذا الحديث والاول اتم قال: فرده مرتين، قال سماك: فحدثت به سعيد بن جبير، فقال: انه رده اربع مرات صحيح


Simak said:
I heard this tradition from Jabir b. Samurah. But the first version is more perfect. This version has: He repeated twice, Simak said: I narrated to Sa’id b. Jubair. He said: He repeated it four times.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সিমাক ইবন হারব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৪। শূ’বাহ (রহঃ) বলেন, আমি সিমাককে ’কুসবাহ’ এর অর্থ বললাম। তিনি বললেন, অল্প দুধ।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ شُعْبَةُ، فَسَأَلْتُ سِمَاكًا عَنِ الكُثْبَةِ، فَقَالَ: اللَّبَنُ الْقَلِيلُ

صحيح مقطوع

حدثنا عبد الغني بن ابي عقيل المصري، حدثنا خالد يعني ابن عبد الرحمن، قال: قال شعبة، فسالت سماكا عن الكثبة، فقال: اللبن القليل صحيح مقطوع


Shu’bah said:
I asked Simak about the meaning of KUTHBAH. He said: A small quantity of milk.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু'বা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৫। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈয ইবনু মালিককে ডেকে বললেনঃ তোমার সম্বন্ধে যে সংবাদ আমার কানে পৌঁছেছে তা কি সত্য? সে বললো, আমার সম্বন্ধে আপনার নিকট কিরূপ সংবাদ পৌঁছেছে? তিনি বললেনঃ তুমি নাকি অমুক গোত্রের জনৈক বাঁদীর সঙ্গে যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। অতঃপর সে চারবার একথার স্বীকারোক্তি করে। সুতরাং তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আদেশ দেন। অতঃপর তাকে পাথর মারা হয়।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ: أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ؟ قَالَ: وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي؟ قَالَ: بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي فُلَانٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ

صحيح

حدثنا مسدد، حدثنا ابو عوانة، عن سماك بن حرب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لماعز بن مالك: احق ما بلغني عنك؟ قال: وما بلغك عني؟ قال: بلغني عنك انك وقعت على جارية بني فلان؟ قال: نعم، فشهد اربع شهادات، فامر به فرجم صحيح


Ibn ‘Abbas said:
The Messenger of Allah (ﷺ) asked Ma’iz b. Malik : Is what I have heard about you is true? He said: What have you heard about me? He said: I have heard that you have had intercourse with a girl belonging to the family of so and so. He said: Yes. He then testified four times. He (The prophet) then gave order regarding him and he was stoned to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মাঈয ইবনু মালিক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে যেনা করেছে বলে দু’বার সাক্ষ্য দেয়। তিনি তাকে তাড়িয়ে দিলে সে আবারো এসে দু’বার যেনার স্বীকারোক্তি করে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তুমি নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দিয়েছে। তোমরা একে নিয়ে যাও এবং ’রজম’ করো।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ، فَطَرَدَهُ، ثُمَّ جَاءَ فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا مَرَّتَيْنِ، فَقَالَ: شَهِدْتَ عَلَى نَفْسِكَ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ

صحيح

حدثنا نصر بن علي، اخبرنا ابو احمد، اخبرنا اسراىيل، عن سماك بن حرب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال: جاء ماعز بن مالك الى النبي صلى الله عليه وسلم، فاعترف بالزنا مرتين، فطرده، ثم جاء فاعترف بالزنا مرتين، فقال: شهدت على نفسك اربع مرات، اذهبوا به فارجموه صحيح


Narrated Abdullah ibn Abbas:

Ma'iz ibn Malik came to the Prophet (ﷺ) and admitted fornication twice. But he drove him away. He then came and admitted fornication twice. But he drove him away. He then came and admitted fornication twice. He (the Prophet) said: You have testified to yourself four times. Take him away and stone him to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৭। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈয ইবনু মালিককে বললেনঃ তুমি সম্ভবতঃ চুমু খেয়েছো অথবা হাতে স্পর্শ করেচো অথবা তাকিয়েছো? সে বললো, না। তিনি বললেনঃ তবে কি তুমি যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, সে একথা বলতেই তিনি তাকে পাথর মেরে হত্যা করার আদেশ দেন। বর্ণনাকারী মূসা (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেননি, বরং এটি ওয়াহবের বর্ণনা।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنِي يَعْلَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ح حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ يَعْلَى يَعْنِي ابْنَ حَكِيمٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ: لَعَلَّكَ قَبَّلْتَ، أَوْ غَمَزْتَ، أَوْ نَظَرْتَ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أَفَنِكْتَهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ بِرَجْمِهِ، وَلَمْ يَذْكُرْ مُوسَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهَذَا لَفْظُ وَهْبٍ

صحيح

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا جرير، حدثني يعلى، عن عكرمة، ان النبي صلى الله عليه وسلم، ح حدثنا زهير بن حرب، وعقبة بن مكرم، قالا: حدثنا وهب بن جرير، حدثنا ابي، قال: سمعت يعلى يعني ابن حكيم، يحدث عن عكرمة، عن ابن عباس، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لماعز بن مالك: لعلك قبلت، او غمزت، او نظرت؟ قال: لا، قال: افنكتها؟ قال: نعم، قال: فعند ذلك امر برجمه، ولم يذكر موسى، عن ابن عباس، وهذا لفظ وهب صحيح


Narrated Abdullah ibn Abbas:

The Prophet (ﷺ) said to Ma'iz ibn Malik: Perhaps you kissed, or squeezed, or looked. He said: No. He then said: Did you have intercourse with her? He said: Yes. On the (reply) he (the Prophet) gave order that he should be stoned to death. The narrator did not mention "on the authority of Ibn 'Abbas". This is Wahb's version.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেছেন, একদা আসলাম গোত্রীয় এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য দেয় যে, সে জনৈকা নারীর সঙ্গে হারাম কাজ করেছে। প্রতিবারই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পঞ্চমবার সে একথা বললে তিনি তার দিকে ফিরে প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি তার সঙ্গে যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার লজ্জাস্থান কি তার লজ্জাস্থানে ঢুকেছে? সে বললো, হ্যাঁ।

তিনি বললেনঃ যেরূপ সুরমা শলাকা সুরমা দানীতে ঢুকে যায় এবং রশি যেরূপ কূপের মধ্যে ঢুকে পড়ে? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি জানো, যেনা কি? সে বললো, হ্যাঁ। কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে বৈধ সহবাস করে, আমি ঐ নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে তা করেছি। তিনি বললেনঃ তোমার এ কথা বলার উদ্দেশ্য কি? সে বললো, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন, এটাই আমার উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি আদেশ দিলেন তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলো।

অতঃপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনতে পান যে, তাঁর দু’ জন সাহাবী একে অপরকে বলছেন লোকটিকে দেখো, আল্লাহ যার অপরাধ গোপন রাখলেন, অথচ নিজেকেই সে রক্ষা করতে পারলো না, অতঃপর কুকুরের মতো তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। তিনি তাদের এ কথা শুনে চুপ থাকলেন এবং কিছু সময় চলার পর একটি গাধার লাশের নিকট এলেন যার পা উপরের দিকে উঠেছিল।

তিনি বললেনঃ অমুক অমুক কোথায়? তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এখানে। তিনি বললেনঃ তোমরা দু’জন নেমে গিয়ে এ গাধার মাংস খাও। তারা বললো, হে আল্লাহর নবী! এটা কি কেউ খেতে পারে? তিনি বললেনঃ তোমরা এখন তোমাদের এক ভাইয়ের মর্যাদা নিয়ে যেরূপ মন্তব্য করেছো, তা এর মাংস খাওয়ার চাইতেও গুরুতর। সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই সে এখন জান্নাতের ঝর্ণাসমূহে আনন্দে ডুব দিচ্ছে।[1]

দুর্বলঃ ইরওয়া হা/ ২৩৫৪, যঈফাহ হা/ ২৯৫৭।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الصَّامِتِ، ابْنَ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: جَاءَ الْأَسْلَمِيُّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ أَصَابَ امْرَأَةً حَرَامًا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ فِي الْخَامِسَةِ، فَقَالَ: أَنِكْتَهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: حَتَّى غَابَ ذَلِكَ مِنْكَ فِي ذَلِكَ مِنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: كَمَا يَغِيبُ الْمِرْوَدُ فِي الْمُكْحُلَةِ، وَالرِّشَاءُ فِي الْبِئْرِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَهَلْ تَدْرِي مَا الزِّنَا؟» قَالَ: نَعَمْ، أَتَيْتُ مِنْهَا حَرَامًا مَا يَأْتِي الرَّجُلُ مِنَ امْرَأَتِهِ حَلَالًا، قَالَ: فَمَا تُرِيدُ بِهَذَا الْقَوْلِ؟ قَالَ: أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ، فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِهِ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: انْظُرْ إِلَى هَذَا الَّذِي سَتَرَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَلَمْ تَدَعْهُ نَفْسُهُ حَتَّى رُجِمَ رَجْمَ الْكَلْبِ، فَسَكَتَ عَنْهُمَا، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً حَتَّى مَرَّ بِجِيفَةِ حِمَارٍ شَائِلٍ بِرِجْلِهِ، فَقَالَ: أَيْنَ فُلَانٌ وَفُلَانٌ؟ فَقَالَا: نَحْنُ ذَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: انْزِلَا فَكُلَا مِنْ جِيفَةِ هَذَا الْحِمَارِ، فَقَالَا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، مَنْ يَأْكُلُ مِنْ هَذَا؟ قَالَ: فَمَا نِلْتُمَا مِنْ عِرْضِ أَخِيكُمَا آنِفًا أَشَدُّ مِنْ أَكْلٍ مِنْهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّهُ الْآنَ لَفِي أَنْهَارِ الْجَنَّةِ يَنْقَمِسُ فِيهَا

ضعيف، الإرواء (٢٣٥٤)، الضعيفة (٢٩٥٧)

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عبد الرزاق، عن ابن جريج، قال: اخبرني ابو الزبير، ان عبد الرحمن بن الصامت، ابن عم ابي هريرة، اخبره، انه سمع ابا هريرة، يقول: جاء الاسلمي نبي الله صلى الله عليه وسلم، فشهد على نفسه انه اصاب امراة حراما اربع مرات، كل ذلك يعرض عنه النبي صلى الله عليه وسلم، فاقبل في الخامسة، فقال: انكتها؟ قال: نعم، قال: حتى غاب ذلك منك في ذلك منها؟ قال: نعم، قال: كما يغيب المرود في المكحلة، والرشاء في البىر؟ قال: نعم، قال: «فهل تدري ما الزنا؟» قال: نعم، اتيت منها حراما ما ياتي الرجل من امراته حلالا، قال: فما تريد بهذا القول؟ قال: اريد ان تطهرني، فامر به فرجم، فسمع النبي صلى الله عليه وسلم رجلين من اصحابه يقول احدهما لصاحبه: انظر الى هذا الذي ستر الله عليه، فلم تدعه نفسه حتى رجم رجم الكلب، فسكت عنهما، ثم سار ساعة حتى مر بجيفة حمار شاىل برجله، فقال: اين فلان وفلان؟ فقالا: نحن ذان يا رسول الله، قال: انزلا فكلا من جيفة هذا الحمار، فقالا: يا نبي الله، من ياكل من هذا؟ قال: فما نلتما من عرض اخيكما انفا اشد من اكل منه، والذي نفسي بيده، انه الان لفي انهار الجنة ينقمس فيها ضعيف، الارواء (٢٣٥٤)، الضعيفة (٢٩٥٧)


Narrated AbuHurayrah:

A man of the tribe of Aslam came to the Prophet (ﷺ) and testified four times against himself that he had had illicit intercourse with a woman, while all the time the Prophet (ﷺ) was turning away from him.

Then when he confessed a fifth time, he turned round and asked: Did you have intercourse with her? He replied: Yes. He asked: Have you done it so that your sexual organ penetrated hers? He replied: Yes. He asked: Have you done it like a collyrium stick when enclosed in its case and a rope in a well? He replied: Yes. He asked: Do you know what fornication is? He replied: Yes. I have done with her unlawfully what a man may lawfully do with his wife.

He then asked: What do you want from what you have said? He said: I want you to purify me. So he gave orders regarding him and he was stoned to death. Then the Prophet (ﷺ) heard one of his companions saying to another: Look at this man whose fault was concealed by Allah but who would not leave the matter alone, so that he was stoned like a dog. He said nothing to them but walked on for a time till he came to the corpse of an ass with its legs in the air.

He asked: Where are so and so? They said: Here we are, Messenger of Allah (ﷺ)! He said: Go down and eat some of this ass's corpse. They replied: Messenger of Allah! Who can eat any of this? He said: The dishonour you have just shown to your brother is more serious than eating some of it. By Him in Whose hand my soul is, he is now among the rivers of Paradise and plunging into them.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪২৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে আরো রয়েছেঃ হাসান ইবনু আলী বলেন, বর্ণনাকারী বিভিন্ন শব্দে হাদীসটি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, লোকজন মাঈযকে গাছের সঙ্গে বেঁধেছিল আবার কেউ বলেছেন, তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।[1]

দুর্বল।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِنَحْوِهِ زَادَ: وَاخْتَلَفُوا عَلَيَّ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: رُبِطَ إِلَى شَجَرَةٍ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: وُقِفَ

ضعيف

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا ابو عاصم، حدثنا ابن جريج، قال: اخبرني ابو الزبير، عن ابن عم ابي هريرة، عن ابي هريرة بنحوه زاد: واختلفوا علي، فقال بعضهم: ربط الى شجرة، وقال بعضهم: وقف ضعيف


A similar tradition has also been transmitted by Abu Hurrairah through a different chain of narrators. This version adds:
The narrator Hasan b. “All said: The transmitters have differed in the wordings (of this tradition) reported to me. Some said: He (Ma’iz) was tied to a tree, and others said: He was made to stand.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩০। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে যেনার কথা স্বীকার করলে তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে আবারো সাক্ষ্য দিলো। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এরূপে সে চারবার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করেনঃ তোমার পাগলামী রোগ আছে নাকি? সে বললো, না। তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বললো, হ্যাঁ।

বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পাথর মারার আদেশ দিলেন। ঈদগাহে তাকে পাথর মারা হয়। পাথরের আঘাত যখন তাকে সন্ত্রস্ত করে তুললো সে পালাতে লাগলো। অতঃপর তাকে ধরে এনে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে উত্তম কথা বলেছেন, তবে তার জানাযা পড়েননি।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلَانِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ اعْتَرَفَ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبِكَ جُنُونٌ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: أُحْصِنْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَ فِي الْمُصَلَّى، فَلَمَّا أَذَلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ فَرَّ، فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ حَتَّى مَاتَ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرًا، وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ

صحيح

حدثنا محمد بن المتوكل العسقلاني، والحسن بن علي، قالا: حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن ابي سلمة، عن جابر بن عبد الله ، ان رجلا من اسلم جاء الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاعترف بالزنا، فاعرض عنه، ثم اعترف، فاعرض عنه، حتى شهد على نفسه اربع شهادات، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: ابك جنون؟ قال: لا، قال: احصنت؟ قال: نعم، قال: فامر به النبي صلى الله عليه وسلم فرجم في المصلى، فلما اذلقته الحجارة فر، فادرك فرجم حتى مات، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم خيرا، ولم يصل عليه صحيح


Jabir b. ‘Abd Allah said:
A man of the tribe of Asalam came to the Messenger of Allah (ﷺ) and made confession of fornication. He (the prophet) turned away from him. When he testified against him four times, the Prophet (ﷺ) said: Are you mad? He said: No. he asked: Are you married? He replied: Yes. The Prophet (ﷺ) then commanded regarding him and he was stoned in the place of prayer. Then when the stones hurt him, he fled, but was overtaken and stoned to death. The Prophet (ﷺ) then spoke well of him and did not pray over him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩১। আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈয ইবনু মালিককে পাথর মারার আদেশ করলে আমরা তাকে নিয়ে আল-বাকী’ নামক স্থানে যাই। আল্লাহর কসম! আমরা তাকে বাঁধিওনি এবং তার জন্য গর্তও খনন করিনি; কিন্তু তবু সে দাঁড়িয়ে থাকে। আবূ কামিল বললেন, আবূ সাঈদ বলেছেন, অতঃপর আমরা তার শরীরে হাড়, মাটির ঢিলা ও কংকর নিক্ষেপ করতে লাগলাম। সে দৌড়াতে লাগলো, আমরাও তার পিছনে দৌড়াতে লাগলাম। অবশেষে সে সেই প্রস্তরময় প্রান্তরের এক প্রান্তে গিয়ে আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে গেলো। আমরা তাকে পাথর নিক্ষেপ করলাম। অবশেষে সে চুপ হয়ে গেলো (মৃত্যুবরণ করলো)। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেননি, তাকে গালিও দেননি।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ، ح وحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، وَهَذَا لَفْظُهُ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: «لَمَّا أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ، خَرَجْنَا بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ، فَوَاللَّهِ، مَا أَوْثَقْنَاهُ، وَلَا حَفَرْنَا لَهُ، وَلَكِنَّهُ قَامَ لَنَا - قَالَ أَبُو كَامِلٍ: - قَالَ: فَرَمَيْنَاهُ بِالْعِظَامِ وَالْمَدَرِ، وَالْخَزَفِ فَاشْتَدَّ، وَاشْتَدَدْنَا خَلْفَهُ، حَتَّى أَتَى عَرْضَ الْحَرَّةِ، فَانْتَصَبَ لَنَا فَرَمَيْنَاهُ بِجَلَامِيدِ الْحَرَّةِ حَتَّى سَكَتَ، قَالَ: فَمَا اسْتَغْفَرَ لَهُ، وَلَا سَبَّهُ

صحيح

حدثنا ابو كامل، حدثنا يزيد يعني ابن زريع، ح وحدثنا احمد بن منيع، عن يحيى بن زكريا، وهذا لفظه، عن داود، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، قال: «لما امر النبي صلى الله عليه وسلم برجم ماعز بن مالك، خرجنا به الى البقيع، فوالله، ما اوثقناه، ولا حفرنا له، ولكنه قام لنا - قال ابو كامل: - قال: فرميناه بالعظام والمدر، والخزف فاشتد، واشتددنا خلفه، حتى اتى عرض الحرة، فانتصب لنا فرميناه بجلاميد الحرة حتى سكت، قال: فما استغفر له، ولا سبه صحيح


Abu Sa’id said:
When the Prophet (May peace e upon him) commanded to stone Ma’iz b. Malik, we took him out to Baql. I swear by Allah, we did not tie him, nor did we dig a pit for him. But he was standing before us. The narrator Abu Kamil said: So we threw at him bones, clods of mud and pieces of earthenware. He ran away and we ran after him till he came to a side of the Harrah. He stood there before us and we threw at him big stones of the Harrah until he died. He (the Prophet) did not ask forgiveness for him, nor did he speak ill of him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩২। আবূ নাদরাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলো। অতঃপর অনুরূপ সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন, তবে অপূর্ণাঙ্গভাবে। তিনি বলেন, উপস্থিত জনতা লোকটিকে গালি দিতে শুরু করলে তিনি তাদের নিষেধ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলে তিনি তাদের নিষেধ করে বললেনঃ লোকটি গুনাহ করেছে, আল্লাহই তার হিসাব গ্রহণের জন্য যথেষ্ট।[1]

যঈফ মুরসালঃ ইরওয়া (৭/২৫৫-২৫৬)।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَحْوَهُ وَلَيْسَ بِتَمَامِهِ، قَالَ: ذَهَبُوا يَسُبُّونَهُ فَنَهَاهُمْ، قَالَ: ذَهَبُوا يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ فَنَهَاهُمْ، قَالَ: هُوَ رَجُلٌ أَصَابَ ذَنْبًا حَسِيبُهُ اللَّهُ

ضعيف مرسل، الإرواء (٧/٢٥٥-٢٥٦)

حدثنا مومل بن هشام، حدثنا اسماعيل، عن الجريري، عن ابي نضرة، قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم، نحوه وليس بتمامه، قال: ذهبوا يسبونه فنهاهم، قال: ذهبوا يستغفرون له فنهاهم، قال: هو رجل اصاب ذنبا حسيبه الله ضعيف مرسل، الارواء (٧/٢٥٥-٢٥٦)


Abu Nadrah said:
A man came to Prophet (ﷺ). He then mentioned a similar tradition but not completely. This version has: People began to speak ill of him but he (the Prophet) forbade them. Then they began to ask forgiveness from him, but he forbade them by saying. He is a man who had committed a sin. Allah will call him to account himself.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ নাদরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩৩। ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈযের মুখের গন্ধ শুঁকলেন, (নেশাগ্রস্ত কিনা জানার জন্য)।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ غَيْلَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَنْكَهَ مَاعِزًا

صحيح

حدثنا محمد بن ابي بكر بن ابي شيبة، حدثنا يحيى بن يعلى بن الحارث، حدثنا ابي، عن غيلان، عن علقمة بن مرثد، عن ابن بريدة، عن ابيه، ان النبي صلى الله عليه وسلم استنكه ماعزا صحيح


Buraidah said. :
The Prophet (ﷺ) smelt the breath of Ma’iz.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩৪। আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ পরস্পর আলোচনা করতাম যে, ’গামিদ’ গোত্রের ঐ নারী এবং মাঈয ইবনু মালিক যদি তাদের স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করতো অথবা তিনি বলেন, তারা স্বীকারোক্তির পর যদি তার পুনরাবৃত্তি না করতো, তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের তলব করতেন না। তিনি তাদেরকে পাথর মেরেছেন চারবার স্বীকারোক্তির পর।[1]

দুর্বলঃ ইরওয়া হা/ ২৩৫৯।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا بُشَيْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنَّا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَتَحَدَّثُ أَنَّ الْغَامِدِيَّةَ، وَمَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ لَوْ رَجَعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا - أَوْ قَالَ: لَوْ لَمْ يَرْجِعَا بَعْدَ اعْتِرَافِهِمَا - لَمْ يَطْلُبْهُمَا، وَإِنَّمَا رَجَمَهُمَا عِنْدَ الرَّابِعَةِ

ضعيف، ضعيفة (٢٣٥٩)

حدثنا احمد بن اسحاق الاهوازي، حدثنا ابو احمد، حدثنا بشير بن المهاجر، حدثني عبد الله بن بريدة، عن ابيه، قال: كنا اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم، نتحدث ان الغامدية، وماعز بن مالك لو رجعا بعد اعترافهما - او قال: لو لم يرجعا بعد اعترافهما - لم يطلبهما، وانما رجمهما عند الرابعة ضعيف، ضعيفة (٢٣٥٩)


Narrated Buraydah ibn al-Hasib:

We, the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ), used to talk mutually: Would that al-Ghamidiyyah and Ma'iz ibn Malik had withdrawn after their confession; or he said: Had they not withdrawn after their confession, he would not have pursued them (for punishment). He had them stoned after the fourth (confession).


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩৫। খালিদ ইবনু লাজলাজ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বাজারে বসে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় এক মহিলা একটি শিশুসহ এ পথ দিয়ে যাচ্ছিল। কিছু লোকেরা তার সঙ্গে ভীড় করছিল এবং আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছলে তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমার সঙ্গের এ শিশুর পিতা কে? সে চুপ থাকলো। তার পাশে দাঁড়ানো এক যুবক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমিই এ শিশুটির পিতা।

তিনি মহিলার দিকে মুখ করে বললেনঃ তোমার সঙ্গের এ শিশুটির পিতা কে? যুবকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এর পিতা। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চারপাশের লোকজনের নিকট তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বললো, তাকে আমরা ভালো লোক বলেই জানি। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকেই প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কি বিবাহিত? সে বললো, হ্যাঁ।

অতঃপর তাঁর হুকুমে লোকটিকে পাথর মারা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, তার জন্য গর্ত খনন করে তাকে তাতে রাখলাম এবং তাকে রজম করলাম। ফলে সে মারা গেলো। একজন লোক এসে পাথর নিক্ষেপে নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো। আমরা তাকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হয়ে বললাম, এ লোকটি এসে অপবিত্র ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করেছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে তো মহান আল্লাহর নিকট মৃগনাভীর চেয়েও অধিক সুগন্ধযুক্ত। পরে দেখা গেলো যে, আগন্তুক লোকটি নিহত ব্যক্তির পিতা। অতঃপর আমরা তাকে এর গোসল, কাফন ও দাফন করতে সাহায্য করি। খালিদ বলেন, তার জানাযার সালাত পড়া হয়েছিল কিনা এ সম্পর্কে আমি জানি না।[1]

সনদ হাসান।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ صَبِيحٍ، قَالَ عَبْدَةُ: أَخْبَرَنَا حَرَمِيُّ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُلَاثَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّ خَالِدَ بْنَ اللَّجْلَاجِ، حَدَّثَهُ، أَنَّ اللَّجْلَاجَ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ كَانَ قَاعِدًا يَعْتَمِلُ فِي السُّوقِ، فَمَرَّتِ امْرَأَةٌ تَحْمِلُ صَبِيًّا، فَثَارَ النَّاسُ مَعَهَا، وَثُرْتُ فِيمَنْ ثَارَ، فَانْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَقُولُ: مَنْ أَبُو هَذَا مَعَكِ؟ فَسَكَتَتْ، فَقَالَ شَابٌّ حَذْوَهَا: أَنَا أَبُوهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَقْبَلَ عَلَيْهَا، فَقَالَ: مَنْ أَبُو هَذَا مَعَكِ؟ قَالَ الْفَتَى: أَنَا أَبُوهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَعْضِ مَنْ حَوْلَهُ يَسْأَلُهُمْ عَنْهُ،، فَقَالُوا: مَا عَلِمْنَا إِلَّا خَيْرًا، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحْصَنْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ، قَالَ: فَخَرَجْنَا بِهِ فَحَفَرْنَا لَهُ حَتَّى أَمْكَنَّا، ثُمَّ رَمَيْنَاهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى هَدَأَ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْأَلُ عَنِ المَرْجُومِ، فَانْطَلَقْنَا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْنَا: هَذَا جَاءَ يَسْأَلُ عَنِ الْخَبِيثِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَهُوَ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ، فَإِذَا هُوَ أَبُوهُ، فَأَعَنَّاهُ عَلَى غُسْلِهِ وَتَكْفِينِهِ وَدَفْنِهِ، وَمَا أَدْرِي قَالَ: وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ، أَمْ لَا، وَهَذَا حَدِيثُ عَبْدَةَ وَهُوَ أَتَمُّ

حسن الإسناد

حدثنا عبدة بن عبد الله، ومحمد بن داود بن صبيح، قال عبدة: اخبرنا حرمي بن حفص، قال: حدثنا محمد بن عبد الله بن علاثة، حدثنا عبد العزيز بن عمر بن عبد العزيز، ان خالد بن اللجلاج، حدثه، ان اللجلاج اباه اخبره، انه كان قاعدا يعتمل في السوق، فمرت امراة تحمل صبيا، فثار الناس معها، وثرت فيمن ثار، فانتهيت الى النبي صلى الله عليه وسلم، وهو يقول: من ابو هذا معك؟ فسكتت، فقال شاب حذوها: انا ابوه يا رسول الله، فاقبل عليها، فقال: من ابو هذا معك؟ قال الفتى: انا ابوه يا رسول الله، فنظر رسول الله صلى الله عليه وسلم الى بعض من حوله يسالهم عنه،، فقالوا: ما علمنا الا خيرا، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: احصنت؟ قال: نعم، فامر به فرجم، قال: فخرجنا به فحفرنا له حتى امكنا، ثم رميناه بالحجارة حتى هدا، فجاء رجل يسال عن المرجوم، فانطلقنا به الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقلنا: هذا جاء يسال عن الخبيث، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لهو اطيب عند الله من ريح المسك، فاذا هو ابوه، فاعناه على غسله وتكفينه ودفنه، وما ادري قال: والصلاة عليه، ام لا، وهذا حديث عبدة وهو اتم حسن الاسناد


Narrated Al-Lajlaj al-Amiri:

I was working in the market. A woman passed carrying a child. The people rushed towards her, and I also rushed along with them.

I then went to the Prophet (ﷺ) while he was asking: Who is the father of this (child) who is with you? She remained silent.

A young man by her side said: I am his father, Messenger of Allah!

He then turned towards her and asked: Who is the father of this child with you?

The young man said: I am his father, Messenger of Allah! The Messenger of Allah (ﷺ) then looked at some of those who were around him and asked them about him. They said: We only know good (about him).

The Prophet (ﷺ) said to him: Are you married? He said: Yes. So he gave orders regarding him and he was stoned to death.

He (the narrator) said: We took him out, dug a pit for him and put him in it. We then threw stones at him until he died. A man then came asking about the man who was stoned.

We brought him to the Prophet (ﷺ) and said: This man has come asking about the wicked man.

The Messenger of Allah (ﷺ) said: He is more agreeable than the fragrance of musk in the eyes of Allah. The man was his father. We then helped him in washing, shrouding and burying him. (The narrator said:) I do not know whether he said or did not say "in praying over him." This is the tradition of Abdah, and it is more accurate.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩৬। খালিদ ইবনুল লাজলাজ (রাঃ) থেকে তার পিতা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপরোক্ত হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণিত।[1]

সনদ হাসান।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، ح وحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الْأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، جَمِيعًا قَالَا: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، وَقَالَ: هِشَامٌ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشُّعَيْثِيُّ، عَنْ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ اللَّجْلَاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ

حسن الإسناد

حدثنا هشام بن عمار، حدثنا صدقة بن خالد، ح وحدثنا نصر بن عاصم الانطاكي، حدثنا الوليد، جميعا قالا: حدثنا محمد، وقال: هشام محمد بن عبد الله الشعيثي، عن مسلمة بن عبد الله الجهني، عن خالد بن اللجلاج، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم ببعض هذا الحديث حسن الاسناد


A part of tradition has also been transmitted by al-Lajlaj from the Prophet (ﷺ) through a different chain of narrators.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩৭। সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে স্বীকারোক্তি করলো যে, সে এক নারীর সঙ্গে যেনা করেছে। সে তাঁর নিকট সেই নারীর নামও বলেছে। অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই নারীর নিকট লোক পাঠিয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে তা অস্বীকার কলে। অতএব তিনি পুরুষ লোকটির উপর বেত্রাঘাতের হাদ্দ কার্যকর করেন এবং নারীকে রেহাই দেন।[1]

সহীহ।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ رَجُلًا أَتَاهُ فَأَقَرَّ عِنْدَهُ أَنَّهُ زَنَى بِامْرَأَةٍ سَمَّاهَا لَهُ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم إِلَى الْمَرْأَةِ، فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَأَنْكَرَتْ أَنْ تَكُونَ زَنَتْ، فَجَلَدَهُ الْحَدَّ وَتَرَكَهَا

صحيح

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا طلق بن غنام، حدثنا عبد السلام بن حفص، حدثنا ابو حازم، عن سهل بن سعد، عن النبي صلى الله عليه وسلم: ان رجلا اتاه فاقر عنده انه زنى بامراة سماها له، فبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم الى المراة، فسالها عن ذلك فانكرت ان تكون زنت، فجلده الحد وتركها صحيح


Narrated Sahl ibn Sa'd:

A man came to the Prophet (ﷺ) and confessed before him that he had committed fornication with a woman whom he named. The Messenger of Allah (ﷺ) sent for the woman and asked her about it. But she denied that she had committed fornication. So he inflicted the prescribed punishment of flogging on him, and let her go.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মাঈয ইবনু মালিকের রজম করার ঘটনা

৪৪৩৮। জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি এক মহিলার সঙ্গে যেনা করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। অতঃপর তাঁকে অবহিত করা হয় যে, সে বিবাহিত; কাজেই তিনি নির্দেশ দিলে তাকে পাথর মারা হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু বাকর আল-বুরসানী এ হাদীস ইবনু জুরাইজ থেকে জাবির (রাঃ) সূত্রে মাওকুফভাবে বর্ণনা করেছেন। আবূ ’আসিম এ হাদীস ইবনু জুরাইজ সূত্রে ইবনু ওয়াহবের মতই বর্ণনা করেছেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উল্লেখ করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, এক ব্যক্তি যেনা করলো, কিন্তু সে বিবাহিত কিনা তা জানা গেলো না। অতএব তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। পরে তার বৈবাহিক অবস্থা জানা গেলে তাকে রজম করা হয়।[1]

সনদ দুর্বল।

بَابُ رَجْمِ مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ح وحَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ الْمَعْنَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلًا زَنَى بِامْرَأَةٍ، فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجُلِدَ الْحَدَّ، ثُمَّ أُخْبِرَ أَنَّهُ مُحْصَنٌ، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، مَوْقُوفًا عَلَى جَابِرٍ، وَرَوَاهُ أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِنَحْوِ ابْنِ وَهْبٍ، لَمْ يَذْكُرِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ رَجُلًا زَنَى فَلَمْ يُعْلَمْ بِإِحْصَانِهِ، فَجُلِدَ، ثُمَّ عُلِمَ بِإِحْصَانِهِ فَرُجِمَ

ضعيف الإسناد

حدثنا قتيبة بن سعيد، قال: حدثنا ح وحدثنا ابن السرح المعنى، قال: اخبرنا عبد الله بن وهب، عن ابن جريج، عن ابي الزبير، عن جابر، ان رجلا زنى بامراة، فامر به النبي صلى الله عليه وسلم، فجلد الحد، ثم اخبر انه محصن، فامر به فرجم قال ابو داود: روى هذا الحديث محمد بن بكر البرساني، عن ابن جريج، موقوفا على جابر، ورواه ابو عاصم، عن ابن جريج بنحو ابن وهب، لم يذكر النبي صلى الله عليه وسلم قال: ان رجلا زنى فلم يعلم باحصانه، فجلد، ثم علم باحصانه فرجم ضعيف الاسناد


Narrated Jabir ibn Abdullah:

A man committed fornication with a woman. So the Messenger of Allah (ﷺ) ordered regarding him and the prescribed punishment of flogging was inflicted on him. He was then informed that he was married. So he commanded regarding him and he was stoned to death.

Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by Muhammad b. Bakr al-Barsani from Ibn Juraij as a statement of Jabir, and Abu 'Asim has transmitted it from Ibn Juraid similar to that of Ibn Wahb. He did not mention the Prophet (ﷺ). But he said: A man committed fornication, but did not know that he was married ; so he was flogged. It was then known that he was married, so he was stoned to death.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »