পরিচ্ছেদঃ ২৫. নবী (ﷺ) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪০। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা জুহাইনাহ গোত্রের জনৈকা মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, সে যেনা করেছে এবং অন্তঃসত্তা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অভিভাবককে ডেকে এনে বলেনঃ এর সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যখন সে সন্তান প্রসব করবে, তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো। অতঃপর সে সন্তান প্রসব করলে অভিবাবক তাকে নিয়ে এলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে তাকে কাপড় দিয়ে বেঁধে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হয়। অতঃপর তিনি সাহাবীদের আদেশ দিলেন তার জানাযার সালাত পড়তে।

উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার জানাযার সালাত পড়বেন? সে তো যেনা করেছে। তিনি বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম! সে এরূপ তওবা করেছে, যা মদীনাবাসীদের সত্তরজনের মধ্যে বণ্টন করে দিলেও তাদের জন্য তা যথেষ্ট হবে। তুমি তার চাইতে উত্তম কোনো ব্যক্তিকে পাবে যে নিজের সত্তাকে উৎসর্গ করে দিলো। আবান সূত্রে বর্ণিত হাদীসে কাপড় দিয়ে বাঁধার কথাটুকু নেই।[1]

সহীহ।

بَابُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ هِشَامًا الدَّسْتُوَائِيَّ، وَأَبَانَ ابْنَ يَزِيدَ، حَدَّثَاهُمْ، الْمَعْنَى، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ امْرَأَةً، - قَالَ فِي حَدِيثِ أَبَانَ: مِنْ جُهَيْنَةَ -، أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ إِنَّهَا زَنَتْ، وَهِيَ حُبْلَى، فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِيًّا لَهَا، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحْسِنْ إِلَيْهَا، فَإِذَا وَضَعَتْ فَجِئْ بِهَا، فَلَمَّا أَنْ وَضَعَتْ جَاءَ بِهَا، فَأَمَرَ بِهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا، ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ فَصَلُّوا عَلَيْهَا، فَقَالَ عُمَرُ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُصَلِّي عَلَيْهَا وَقَدْ زَنَتْ؟ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِّمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ، وَهَلْ وَجَدْتَ أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا» لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبَانَ: فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا

صحيح

حدثنا مسلم بن ابراهيم، ان هشاما الدستواىي، وابان ابن يزيد، حدثاهم، المعنى، عن يحيى، عن ابي قلابة، عن ابي المهلب، عن عمران بن حصين، ان امراة، - قال في حديث ابان: من جهينة -، اتت النبي صلى الله عليه وسلم، فقالت انها زنت، وهي حبلى، فدعا النبي صلى الله عليه وسلم وليا لها، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «احسن اليها، فاذا وضعت فجى بها، فلما ان وضعت جاء بها، فامر بها النبي صلى الله عليه وسلم، فشكت عليها ثيابها، ثم امر بها فرجمت، ثم امرهم فصلوا عليها، فقال عمر، يا رسول الله، تصلي عليها وقد زنت؟ قال: والذي نفسي بيده، لقد تابت توبة لو قسمت بين سبعين من اهل المدينة لوسعتهم، وهل وجدت افضل من ان جادت بنفسها» لم يقل عن ابان: فشكت عليها ثيابها صحيح


Narrated Imran ibn Husayn:

A woman belonging to the tribe of Juhaynah (according to the version of Aban) came to the Prophet (ﷺ) and said that she had committed fornication and that she was pregnant. The Messenger of Allah (ﷺ) called her guardian.

Then the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: Be good to her, and when she bears a child, bring her (to me). When she gave birth to the child, he brought her (to him). The Prophet (ﷺ) gave orders regarding her, and her clothes were tied to her. He then commanded regarding her and she was stoned to death. He commanded the people (to pray) and they prayed over her.

Thereupon Umar said: Are you praying over her, Messenger of Allah, when she has committed fornication?

He said: By Him in Whose hand my soul is, she has repented to such an extent that if it were divided among the seventy people of Medina, it would have been enough for them all. And what do you find better than the fact that she gave her life.

Aban did not say in his version: Then her clothes were tied to her.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৫. নবী (ﷺ) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪১। আওযাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাকে তার কাপড় শক্তভাবে পরানো হয়।[1]

সহীহ।

بَابُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَزِيرِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا يَعْنِي: فَشُدَّتْ
صحيح

حدثنا محمد بن الوزير الدمشقي، حدثنا الوليد، عن الاوزاعي، قال: فشكت عليها ثيابها يعني: فشدت صحيح


Al-Auza’i said:
The word shukkta means tied, meaning her clothes were tied on her.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওযায়ী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৫. নবী (ﷺ) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪২। আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। গামিদ গোত্রের এক নারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আমি ব্যভিচার করেছি, তিনি বললেনঃ ফিরে যাও। সে ফিরে চলে গেলো। পরদিনে সকালে সে আবার তাঁর নিকট এসে বললো, আপনি যেরূপ মাঈয ইবনু মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সম্ভবত আমাকেও সেরূপ ফিরিয়ে দিতে চান। আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয়ই গর্ভবতী।

তিনি এবারো তাকে ফিরিয়ে যেতে বললে সে চলে গেলো। পরদিন সে পুনরায় আসতেই তিনি বললেনঃ তুমি ফির যাও, যতক্ষণ না সন্তান প্রসব করো। সে ফিরে গেলো। যখন সে পুত্র সন্তান প্রসব করলো, তখন সেই শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে এসে বললো, এই শিশুটিকে আমি প্রসব করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি ফিরে যাও এবং দুধ ছাড়ানো পর্যন্ত তাকে দুধ পান করাতে থাকো। অবশেষে দুধ ছাড়ানো হলে শিশুটিকে নিয়ে সে হাযির হলো।

শিশুটি খাদ্য হাতে নিয়ে খাচ্ছিল। তিনি একজন মুসলিমে তার ছেলেটিকে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন। অতঃপর তার জন্য গর্ত খনন করতে আদেশ দিলেন তা খনন করা হলো এবং পাথর মেরে হত্যার আদেশ দিলে তাকে এভাবে হত্যা করা হলো। তাকে পাথর মারার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে খালিদ (রাঃ)-ও ছিলেন। তিনি তাকে পাথর মারলে এক ফোঁটা রক্ত ছিটে এসে তাঁর গাড়ে পড়তেই তিনি তাকে গালি দেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হে খালিদ! অনুগ্রহ করো। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম! সে এরূপ তওবা করেছে যে, কোনো যালিম কর আদায়কারীও যদি সেরূপ তওবা করতো, তাহলে অবশ্যই তাকে মাফ করা হতো। অতঃপর তাঁর আদেশে তার জানাযার সালাত পড়া হয় এবং তাকে দাফন করা হয়।[1]

সহীহ।

بَابُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ امْرَأَةً - يَعْنِي - مِنْ غَامِدٍ، أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنِّي قَدْ فَجَرْتُ، فَقَالَ: ارْجِعِي، فَرَجَعَتْ، فَلَمَّا أَنْ كَانَ الْغَدُ أَتَتْهُ، فَقَالَتْ: لَعَلَّكَ أَنْ تَرُدَّنِي كَمَا رَدَدْتَ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَحُبْلَى، فَقَالَ لَهَا: ارْجِعِي، فَرَجَعَتْ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ أَتَتْهُ، فَقَالَ لَهَا: ارْجِعِي حَتَّى تَلِدِي، فَرَجَعَتْ، فَلَمَّا وَلَدَتْ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ، فَقَالَتْ: هَذَا قَدْ وَلَدْتُهُ، فَقَالَ لَهَا: ارْجِعِي فَأَرْضِعِيهِ حَتَّى تَفْطِمِيهِ فَجَاءَتْ بِهِ وَقَدْ فَطَمَتْهُ، وَفِي يَدِهِ شَيْءٌ يَأْكُلُهُ، فَأَمَرَ بِالصَّبِيِّ فَدُفِعَ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا فَحُفِرَ لَهَا، وَأَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ، وَكَانَ خَالِدٌ فِيمَنْ يَرْجُمُهَا، فَرَجَمَهَا بِحَجَرٍ فَوَقَعَتْ قَطْرَةٌ مِنْ دَمِهَا عَلَى وَجْنَتِهِ، فَسَبَّهَا، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَهْلًا يَا خَالِدُ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَغُفِرَ لَهُ، وَأَمَرَ بِهَا فَصُلِّيَ عَلَيْهَا وَدُفِنَتْ

صحيح

حدثنا ابراهيم بن موسى الرازي، اخبرنا عيسى بن يونس، عن بشير بن المهاجر، حدثنا عبد الله بن بريدة، عن ابيه، ان امراة - يعني - من غامد، اتت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت: اني قد فجرت، فقال: ارجعي، فرجعت، فلما ان كان الغد اتته، فقالت: لعلك ان تردني كما رددت ماعز بن مالك، فوالله اني لحبلى، فقال لها: ارجعي، فرجعت، فلما كان الغد اتته، فقال لها: ارجعي حتى تلدي، فرجعت، فلما ولدت اتته بالصبي، فقالت: هذا قد ولدته، فقال لها: ارجعي فارضعيه حتى تفطميه فجاءت به وقد فطمته، وفي يده شيء ياكله، فامر بالصبي فدفع الى رجل من المسلمين، وامر بها فحفر لها، وامر بها فرجمت، وكان خالد فيمن يرجمها، فرجمها بحجر فوقعت قطرة من دمها على وجنته، فسبها، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: مهلا يا خالد، فوالذي نفسي بيده لقد تابت توبة لو تابها صاحب مكس لغفر له، وامر بها فصلي عليها ودفنت صحيح


Buraidah said:
A woman of Ghamid came to the Prophet (ﷺ) and said: I have committed fornication. He said: Go back. She returned, and on the next day she came to him again, and said: Perhaps you want to send me back as you did to Ma’iz b. Malik. I swear by Allah, I am pregnant. He said to her: Go back. She then returned and came to him the next day. He said to her: Go back until you give birth to a child. She then returned. When she gave birth to a child, she brought the child to him, and said: Here it is! I have given birth to it. He said: Go back, and suckle him until you wean him. When she had weaned him, she brought him (the boy) to him with something in his hand which he was eating. The boy was then given to a certain man of the Muslims and he (the Prophet) commanded regarding her. So a pit was dug for her, and he gave orders about her and she was stoned to death. Khalid was one of those who were throwing stones at her. He threw a stone at her. When a drop blood fell on his cheeks, he abused her. The Prophet (ﷺ) said to him: Gently, Khalid. By Him in whose hand my soul is, she has reported to such an extent that if one who wrongfully takes extra tax were to repent to a like extent, he would be forgiven. Then giving command regarding her, prayed over her and she was buried.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৫. নবী (ﷺ) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪৩। ইবনু আবূ বকরাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈকা মহিলাকে রজম করেন। তার জন্য বুক পর্যন্ত গর্ত খনন করা হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এক লোক উসমান সূত্রে বর্ণনা করে এ হাদীস আমাকে বুঝিয়ে দেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, গাসসানী বলেছেন, জুহাইনা গামিদ ও বারিক একই গোত্র।[1]

সহীহ।

بَابُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ زَكَرِيَّا أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ شَيْخًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ امْرَأَةً، فَحُفِرَ لَهَا إِلَى الثَّنْدُوَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَفْهَمَنِي رَجُلٌ عَنْ عُثْمَانَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قَالَ الْغَسَّانِيُّ: جُهَيْنَةُ وَغَامِدٌ وَبَارِقٌ وَاحِدٌ

صحيح

حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا وكيع بن الجراح، عن زكريا ابي عمران، قال: سمعت شيخا، يحدث عن ابن ابي بكرة، عن ابيه، ان النبي صلى الله عليه وسلم رجم امراة، فحفر لها الى الثندوة قال ابو داود: افهمني رجل عن عثمان. قال ابو داود: قال الغساني: جهينة وغامد وبارق واحد صحيح


Narrated Zakariya Abi 'Imran:

I heard an old man who transmitted from Abu Bakrah on this father's authority that the Prophet (ﷺ) had a woman stoned and a pit was dug up to her breasts.

Abu Dawud said: A man made me understand it from 'Uthman (b. Abi Shaibah)

Abu Dawud said: Al-Ghassani said: Juhainah, Ghamid and Bariq as the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৫. নবী (ﷺ) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪৪। যাকারিয়া ইবনু সুলাইম সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তাতে আরো আছেঃ অতঃপর তাকে চানাবুটের ক্ষুদ্র কংকর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি বলেনঃ তার মুখমণ্ডল বাদ দিয়ে পাথর নিক্ষেপ করো। সে যখন মারা গেলো, তাকে গর্ত থেকে বের করলেন এবং তার জানাযা পড়লেন। তার তওবা সম্পর্কে বুরাইদাহ বর্ণিত হাদীসের মতই বলেছেন।[1]

সনদ দুর্বল।

بَابُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حُدِّثْتُ عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ سُلَيْمٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ زَادَ: ثُمَّ رَمَاهَا بِحَصَاةٍ مِثْلَ الْحِمِّصَةِ، ثُمَّ قَالَ: ارْمُوا وَاتَّقُوا الْوَجْهَ، فَلَمَّا طَفِئَتْ أَخْرَجَهَا فَصَلَّى عَلَيْهَا وَقَالَ: فِي التَّوْبَةِ نَحْوَ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ

ضعيف الإسناد

قال ابو داود: حدثت عن عبد الصمد بن عبد الوارث، قال: حدثنا زكريا بن سليم، باسناده نحوه زاد: ثم رماها بحصاة مثل الحمصة، ثم قال: ارموا واتقوا الوجه، فلما طفىت اخرجها فصلى عليها وقال: في التوبة نحو حديث بريدة ضعيف الاسناد


Abu Dawud said:
A similar tradition has been transmitted by Zakariya b. Salim through a different chain of narrators. This version adds: He (the Prophet) then threw a pebble like a gram at her. He then said: Throw at her and avoid her face. When se died, he took her out and prayed over her. About repentance he said similar to the tradition on Buraidah.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ যাকারিয়া (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২৫. নবী (ﷺ) জুহাইনাহ গোত্রের যে মহিলাকে পাথর মারার আদেশ দিয়েছিলেন

৪৪৪৫। উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ ইবনু মাসঊদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আবূ হুরাইরাহ এবং যায়িদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, দু’ বিবাদমান ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলো। তাদের একজন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! কুরআন অনুসারে আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিন। দ্বিতীয়জন বললো, সে ছিলো তাদের দু’ জনের মধ্যে অধিক বুদ্ধিমান, হ্যাঁ ঠিক আছে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে দিন, আর আমাকে কিছু বলার অনুমতি দিন।

তিনি বললেনঃ বলো। সে বললো, আমার ছেলে এই লোকটির শ্রমিক ছিলো। সে তার স্ত্রীর সঙ্গে যেনা করেছে। কতক লোক আমাকে জানিয়েছে, আমার ছেলের দন্ড হলো পাথর নিক্ষেপে হত্যা। সুতরাং আমি তার পক্ষ থেকে একশী বকরী ও আমার একটি দাসী জরিমানা দেই। পুনরায় আমি এ ব্যাপারে জ্ঞানীদের প্রশ্ন করলে তারা আমাকে বলেন যে, আমার ছেলের শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন, আর এই লোকটির স্ত্রীর শাস্তি হলো পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা।

এ ঘটনা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জেনে রাখো, যে পবিত্র সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! আমি অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফায়সালা করবো। তোমার বকরী ও দাসী তুমি ফিরে পাবে। অতঃপর তিনি তার ছেলেকে একশো বেত্রাঘাত করেন এবং এক বছরের নির্বাসন দেন এবং উনাইস আল-আসলামীকে আদেশ দেন অপর লোকটির স্ত্রীর নিকট যেতে এবং সে যদি স্বীকারোক্তি করে তাহলে তাকে রজম করতে। অতএব সে স্বীকারোক্তি করলে তিনি তাকে রজম করলেন।[1]

সহীহ।

بَابُ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ، أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَقَالَ الْآخَرُ وَكَانَ أَفْقَهَهُمَا: أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ، وَأْذَنْ لِي أَنْ أَتَكَلَّمَ، قَالَ: تَكَلَّمْ، قَالَ: إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا - وَالْعَسِيفُ: الْأَجِيرُ - فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ، وَبِجَارِيَةٍ لِي، ثُمَّ إِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ، وَتَغْرِيبَ عَامٍ، وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَتِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ، أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ إِلَيْكَ وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً، وَغَرَّبَهُ عَامًا، وَأَمَرَ أُنَيْسًا الْأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الْآخَرِ، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ رَجَمَهَا، فَاعْتَرَفَتْ، فَرَجَمَهَا

صحيح

حدثنا عبد الله بن مسلمة القعنبي، عن مالك، عن ابن شهاب، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود، عن ابي هريرة، وزيد بن خالد الجهني، انهما اخبراه، ان رجلين اختصما الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال احدهما: يا رسول الله، اقض بيننا بكتاب الله، وقال الاخر وكان افقههما: اجل يا رسول الله، فاقض بيننا بكتاب الله، واذن لي ان اتكلم، قال: تكلم، قال: ان ابني كان عسيفا على هذا - والعسيف: الاجير - فزنى بامراته، فاخبروني ان على ابني الرجم، فافتديت منه بماىة شاة، وبجارية لي، ثم اني سالت اهل العلم، فاخبروني ان على ابني جلد ماىة، وتغريب عام، وانما الرجم على امراته، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اما والذي نفسي بيده لاقضين بينكما بكتاب الله، اما غنمك وجاريتك فرد اليك وجلد ابنه ماىة، وغربه عاما، وامر انيسا الاسلمي ان ياتي امراة الاخر، فان اعترفت رجمها، فاعترفت، فرجمها صحيح


Abu Hurairah and Zaid b. Khalid al-Juhani said:
Two men brought a dispute before the Messenger of Allah (ﷺ). One of them said: Pronounce judgement between us in accordance with Allah’s Book, Messenger of Allah! The other who had more understanding said: Yes, Messenger of Allah! Pronounce judgement between us in accordance with Allah’s Book, and allow me to speak. He (the Prophet) said: Speak, He then said: My son who was a hired servant with this(man) committed fornication with his wife, and when I was told that my son must be stoned to death, I ransomed him with a hundred sheep and a slave girl of mine; but when I asked the learned, they told me that my son should receive a hundred lashes and be banished for a year, and that stoning to death applied only to man’s wife. The apostle of Allah (ﷺ) replied: By him in whose hand my soul is, I shall certainly pronounce judgment between you in accordance with Allah’s Book. Your sheep and your slave girl must be returned to you, and your son shall receive a hundred lashes and be banished for a year. And he commanded Unias al-Aslami go to that man’s wife, and if she confessed, he should stone her to death. She confessed and he stoned her.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৩/ অপরাধ ও তার শাস্তি (كتاب الحدود) 33. Prescribed Punishments (Kitab Al-Hudud)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে