পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৯৪-[১১] আবূ মূসা আল আ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাহাবীগণ যখনই কোন মাসআলায় সন্দেহ বা সমস্যায় পড়তাম, “আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলে তার কাছে তার সঠিক উত্তর বা সমাধান পেয়ে যেতাম।
[ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ أَزْوَاجِ)
عَن أبي مُوسَى قَالَ: مَا أُشْكِلَ عَلَيْنَا أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ قَطُّ فَسَأَلْنَا عَائِشَةَ إِلَّا وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيب
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3883) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (إِلَّا وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا) অর্থাৎ অবশ্যই আমরা তার কাছে সেই বিষয়ে কোন না কোন জ্ঞান পেতাম।
মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা বলেন, হয়তো সে বিষয় তাঁর কাছে সরাসরি কোন হাদীস পাওয়া যেত অথবা এমন কোন হাদীস পাওয়া যেত যার ব্যাখ্যা করে উক্ত মাসআলার সমাধান দেয়া যেত।
তবে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর ব্যাপারে আরেকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা হলো যে, তোমরা হুমায়রাহ্ থেকে তোমাদের দীনের অর্ধেক গ্রহণ করো। [হুমায়রাহ্ বলতে এখানে আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে]
এ হাদীসটির ব্যাপারে ইবনু হাজার আল আসক্বালানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর সনদ সম্পর্কে আমি অবগত হতে পারিনি এবং এটি হাদীসের কোন কিতাবে নেই। তবে ইবনুল আসির নিহায়াহ্ গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি এটি বলেননি যে, কে এই হাদীসের রাবী। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা
৬১৯৫-[১২] মূসা ইবনু ত্বলহাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর চেয়ে শুদ্ধভাষী আর কাউকে দেখিনি। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ ও গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ أَزْوَاجِ)
وَعَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَفْصَحَ مِنْ عَائِشَةَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3884) * فیہ عبد الملک بن عمیر مدلس و عنعن و المفھوم صحیح
ব্যাখ্যা: তুহফাতুল আহওয়াযীতে বলা হয়েছে, বিশুদ্ধভাষী বলতে বুঝানো হয় এমন ব্যক্তিকে যে, এমন বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলে যা মানুষের কাছে বিশুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এ জাতীয় বিশুদ্ধভাষিণী ছিলেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৯ম খণ্ড, হা. ৩৮৯৬)