পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০০-[১৪] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কোন মুনাফিক ’আলী-কে ভালোবাসে না এবং কোন মু’মিন ’আলী-এর প্রতি বিদ্বেষ রাখে না। [আহমাদ ও তিরমিযী এবং ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, হাদীসটি হাসান এবং সনদের দিক দিয়ে গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُحِبُّ عَلِيًّا مُنَافِقٌ وَلَا يُبْغِضُهُ مُؤْمِنٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب إِسْنَادًا
ضعیف ، رواہ احمد (6 / 282 ح 27040) و الترمذی (2 / 3717 و حسنہ و سندہ ضعیف) * مساور الحمیری مجھول و حدیث الترمذی (3736) و مسلم (78) یغنی عنہ ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: ‘আলী (রাঃ)-কে পূর্ণ মু'মিন ব্যক্তি ছাড়া কেউ ভালোবাসে না, আর পূর্ণ মুনাফিক ছাড়া কেউ তাকে ঘৃণা করে না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০১-[১৫] উক্ত রাবী [উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে লোক ’আলীকে গালি দিল, সে যেন আমাকে গালি দিল। (আহমাদ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَبَّ عَلِيًّا فَقَدْ سَبَّنِي» . رَوَاهُ أَحْمد
اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (6 / 323 ح 27284) [و صححہ الحاکم (3 / 121) و وافقہ الذھبی] * ابو اسحاق مدلس و عنعن ، و روی ابو یعلی (7013) من حدیث السدی (اسماعیل بن عبد الرحمن) عن ابی عبداللہ الجدلی قال :’’ قالت ام سلمۃ : ایسب رسول اللہ صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم علی المنابر ؟ قلت : و انی ذلک ؟ قالت : الیس یسب علی و من یحبہ ؟ فاشھد ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم کان یحبہ ‘‘ و سندہ حسن ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি ‘আলী (রাঃ)-কে গালি দিল সে যেন নবী (সা.) -কে গালি দিল। কারণ তিনি তার বংশের লোক। এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে, ‘আলী (রাঃ)-কে গালি দেয়া কুফরী কাজ। আর এ কাজটি যেন ধমক ও সতর্কতাস্বরূপ। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে তবারানী বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি আমার সাহাবীদেরকে গালি দিবে, তার ওপর আল্লাহর লা'নাত, মালায়িকাহ’র (ফেরেশতাদের) লা'নাত ও সকল মানুষের লা'নাত।
‘আলী (রাঃ) থেকে তবারানী-এর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি নবীদের গালি দিবে তাকে হত্যা করা হবে, আর যে সাহাবীদেরকে গালি দিবে তাকে বেত্রাঘাত করা হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০২-[১৬] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমার মাঝে ঈসা আলায়হিস সালাম-এর সাদৃশ্য রয়েছে। ইয়াহূদীরা তাঁর প্রতি এমনভাবে বিদ্বেষ রাখে যে, তাঁর মায়ের উপর অপবাদ রচনা করে ছাড়ে। অপরদিকে খ্রিষ্টানরা তাকে ভালোবাসতে গিয়ে তাকে এমন স্থানে পৌছিয়ে দেয়, যা তার জন্য শোভনীয় নয়। অতঃপর ’আলী (রাঃ) বললেন, আমার ব্যাপারে দুই দল ধ্বংস হবে। (একদল) অতি ভক্তিকারী বন্ধু যারা আমার ক্ষেত্রে এমন উচ্চ প্রশংসা করে যা আমার মধ্যে নেই। হিংসুকের দল, যারা আমার প্রতি হিংসার বশীভূত হয়ে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ রচনা করবে। (আহমাদ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِيكَ مَثَلٌ مِنْ عِيسَى أَبْغَضَتْهُ الْيَهُودُ حَتَّى بَهَتُوا أُمَّهُ وَأَحَبَّتْهُ النَّصَارَى حَتَّى أَنْزَلُوهُ بِالْمَنْزِلَةِ الَّتِي لَيْسَتْ لَهُ» . ثُمَّ قَالَ: يَهْلِكُ فِيَّ رَجُلَانِ: مُحِبٌّ مُفْرِطٌ يُقَرِّظُنِي بِمَا لَيْسَ فِيَّ وَمُبْغِضٌ يَحْمِلُهُ شَنَآنِي عَلَى أَنْ يَبْهَتَنِي. رَوَاهُ أَحْمَدُ
اسنادہ ضعیف ، رواہ [عبداللہ] احمد (1 / 160 ح 1376) * فیہ الحکم بن عبد الملک : ضعیف ۔
(ضَعِيفٌ)
ব্যাখ্যা: ‘আলী (রাঃ)-কে কেন্দ্র করে যে দু’দল লোকে পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা হলেন, রাফেযী ও খারেযী। নুসায়রিয়্যাহ সম্প্রদায় ‘আলী (রাঃ)-কে সকল সাহাবীর ওপর তাকে মর্যাদা দেয়। আলী (রাঃ) বলেন, আমাকে কিছু লোক ভালোবাসে আর এ ভালোবাসা তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে, আর আমাকে কিছু লোক ঘৃণা করে আর এ কারণে তারা জাহান্নামে যাবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৩-[১৭] বারা’ ইবনু ’আযিব ও যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন খুম্ নামক স্থানে ঝিলের কাছে অবতরণ করলেন, তখন তিনি ’আলী (রাঃ)-এর হাত ধরে বললেন, এটা কি তোমরা জান না, আমি মুমিনদের কাছে তাদের আত্মা অপেক্ষা অধিক প্রিয়? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। তিনি (সা.) আবার বললেন, তোমরা কি জান না, আমি প্রত্যেক মুমিনের কাছে তার প্রাণ অপেক্ষা অধিক প্রিয়? তারা বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি (সা.) বললেন, হে আল্লাহ! আমি যার বন্ধু ’আলীও তার বন্ধু। (তারপর তিনি এ দু’আ করলেন,) হে আল্লাহ! যে লোক ’আলীকে ভালোবাসে তুমিও তাকে ভালোবাস। আর যে লোক তাকে শত্রু ভাবে, তুমিও তার সাথে শত্রুতা পোষণ কর। (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর যখন ’আলী (রাঃ)-এর সাথে ’উমার (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি তাকে বললেন, ধন্যবাদ হে আবূ ত্বালিব-এর পুত্র! তুমি সকাল-সন্ধ্যা (অর্থাৎ সবসময়) প্রত্যেক ঈমানদার নারী-পুরুষদের বন্ধু হয়েছ। (আহমাদ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَزَلَ بِغَدِيرِ خُمٍّ أَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ فَقَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟» قَالُوا: بَلَى قَالَ: «أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟» قَالُوا: بَلَى قَالَ: «اللَّهُمَّ مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» . فَلَقِيَهُ عُمَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ: هَنِيئًا يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ أَصْبَحْتَ وَأَمْسَيْتَ مَوْلَى كلَّ مُؤمن ومؤمنة. رَوَاهُ أَحْمد
اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (4 / 281 ح 18671 من حدیث البراء بن عازب رضی اللہ عنہ) * فیہ علی بن زید بن جدعان : ضعیف ، و رواہ احمد (4 / 368 ، 370 ، 372) من طرق عن زید بن ارقم رضی اللہ عنہ بہ دون قول عمر رضی اللہ عنہ و المرفوع صحیح ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: গাদীরে খুম্ হলো মক্কাহ্-মদীনার মধ্যবর্তী একটি জায়গায় নাম। যা জুহফাহ্ থেকে তিন মাইল দূরে অবস্থিত। এখানে একটি প্রসিদ্ধ পুকুর আছে যাকে বনের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়।
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তুমি তাকে ভালোবাসো যে তাকে ভালোবাসে, আর তাকে ঘৃণা কর যে তাকে ঘৃণা করে, আর তাকে সাহায্য করো যে তাকে সাহায্য করে, আর তাকে অপমানিত কর যে তাকে অপমানিত করে, আর সে যেখানেই থাকুক যেন সে হাকের ওপর থাকতে পারে সে তাওফীকৃ তাকে দাও। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৪-[১৮] বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর এবং ’উমার (রাঃ) [একজনের পর আরেকজন রাসূল (সা.) দুহিতা] ফাতিমাহ্ (রাঃ)-কে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে ছোট। (তাঁদের বয়সের তুলনায়) অতঃপর যখন ’আলী (রাঃ) প্রস্তাব পাঠালেন, তখন তিনি ফাতিমাহ-কে তাঁর সাথে বিবাহ দিলেন। (নাসায়ী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَن بُرَيْدَة قَالَ: خطب أبي بَكْرٍ وَعُمَرُ فَاطِمَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا صَغِيرَةٌ» ثُمَّ خَطَبَهَا عليٌّ فزوَّجها مِنْهُ. رَوَاهُ النَّسَائِيّ
اسنادہ صحیح ، رواہ النسائی (6 / 62 ح 3223) و السند صحیح علی شرط مسلم ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ‘আলী (রাঃ) তাদের দু'জনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আসলে বিষয়টি তেমন নয়। বিষয়টি এমন হতে পারে যে, তারা দুজন তথা আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ) যখন তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন তখন সে ছোট ছিল। এরপর যখন তার বয়স পনের বছর হলো আর সে বড় হয়ে গেল তখন ‘আলী (রাঃ) তাকে প্রস্তাব দিলে নবী (সা.) তার সাথে তার মেয়ে ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহ দেন। হতে পারে তাদের দুজনের বয়সের তুলনায় তার বয়স কম ছিল। অথবা ‘আলী (রাঃ)-এর সাথে তার বিবাহ দেয়ার জন্য হয়তো ওয়াহী করা হয়েছিল। আর এ মতটিকে শক্তিশালী করে নবী (সা.) -এর বাণী তা হলো, তিনি আবূ বাকর ও ‘উমার ও অন্যান্য সাহাবী যারা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, এখনও ফায়সালা নাযিল হয়নি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৫-[১৯] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) ’আলী-এর গৃহের দরজা ছাড়া অন্যান্য সকল দরজা বন্ধ করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]।
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِسَدِّ الْأَبْوَابِ إِلَّا بَابَ عَلِيٍّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
حسن ، رواہ الترمذی (3732)
ব্যাখ্যা: সকলের দরজা বন্ধ থাকবে কেবল ‘আলী (রাঃ) এর দরজা খোলা থাকবে। আর এ কারণেই নবী (সা.) বলেছিলেন, আমি আর ‘আলী ছাড়া কেউ এ মসজিদে যুনুবী বা অপবিত্র অবস্থায় অতিক্রম করতে পারবে না। এ রকমভাবে অন্য হাদীসে আছে, আবূ বাকর (রাঃ)-এর ঘরের দরজা ব্যতীত সকলের দরজা বন্ধ রাখতে বললেন। এটা ছিল নবী (সা.) -এর মৃতুর অসুস্থতার সময় যাতে তিনি তার খোঁজ-খবর নিতে পারেন। এটা তার পরে তিনি খলীফাহ্ হবেন সেজন্য ইঙ্গিত করে না। আর এ হাদীসটি অধিক সহীহ যা বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনা দ্বারা স্বীকৃত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৬-[২০] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে আমার এমন একটি বিশেষ সম্মান ছিল, যা সৃষ্টিজীবের মধ্যে আর কারো জন্য ছিল না। আমি সাহরীর প্রথমভাগে তাঁর কাছে আসতাম এবং বাহিরে দাঁড়িয়ে বলতাম, (السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ) “হে আল্লাহর নবী! আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক”। অতঃপর যদি তিনি (সালামের জবাব না দিয়ে) গলা খাকরাতেন, তখন আমি স্বীয় গৃহে ফিরে চলে যেতাম (বুঝতাম, তিনি কোন কাজে ব্যস্ত আছেন, এখন প্রবেশের অনুমতি নেই) অন্যথায় তাঁর কাছে প্রবেশ করতাম। (নাসায়ী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَن عَليّ قَالَ: كَانَتْ لِي مَنْزِلَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ تَكُنْ لِأَحَدٍ مِنَ الْخَلَائِقِ آتِيهِ بِأَعْلَى سَحَرٍ فَأَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَإِنْ تَنَحْنَحَ انْصَرَفْتُ إِلَى أَهْلِي وَإِلَّا دَخَلْتُ عَلَيْهِ. رَوَاهُ النَّسَائِيُّ
اسنادہ حسن ، رواہ النسائی (3 / 12 ح 1214) [و ابن خزیمۃ (902)] ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (بِأَعْلَى سَحَرٍ) অর্থাৎ তার সময়গুলোর প্রথমে। তা হলো, ছয় ভাগের শেষ ভাগে যেমনটা কাশশাফে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর আমি সালাম দিয়ে তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি (সা.) গলা খাকর দিলে আমি ফিরে যেতাম। তিনি (সা.) গলা খাকর দিতেন সালামের উত্তর দেয়ার পরে বা আগে। কারণ অনুমতির সালামের উত্তর দেয়া জরুরী বা জরুরী নয়। অতঃপর আমি শারঈ কোন বাধা আছে মনে করে বাসায় পরিবারের কাছে ফিরে আসতাম। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৭-[২১] উক্ত রাবী [আলী (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ ছিলাম। এ সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার কাছে দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন আমি বলছিলাম, হে আল্লাহ! যদি আমার হায়াত ফুরিয়ে যায়, তবে আমাকে মৃত্যু দিয়ে রোগ-যন্ত্রণা হতে শান্তি দান কর। আর যদি হায়াত থাকে, তাহলে শান্তির জীবন দান কর। আর তা যদি আমার জন্য পরীক্ষা হয়, তবে ধৈর্যধারণের তাওফীক দাও। তখন রাসূল (সা.) তাকে স্বীয় পা দ্বারা টোকা দিয়ে বললেন, নিরাময় দান কর। বর্ণনাকারীর সন্দেহ। আলী (রাঃ) বলেন, এরপর আর আমি কখনো এই রোগে ভুগিনি। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ]
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَنْهُ قَالَ: كُنْتُ شَاكِيًا فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَجَلِي قَدْ حَضَرَ فَأَرِحْنِي وَإِن كَانَ متأخِّراً فارفَعْني وَإِنْ كَانَ بَلَاءً فَصَبِّرْنِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ قُلْتَ؟» فَأَعَادَ عَلَيْهِ مَا قَالَ فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ عَافِهِ - أَوِ اشْفِهِ -» شَكَّ الرَّاوِي قَالَ: فَمَا اشْتَكَيْتُ وَجَعِي بَعْدُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3564) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (كُنْتُ شَاكِيًا فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অর্থাৎ আমি অসুস্থ ছিলাম। আর নবী (সা.) যাচ্ছিলেন বা আসতেছিলেন। আমি বলছিলাম, হে আল্লাহ! আমার যদি বয়স শেষ হয়ে যায়, আর আমার মৃত্যুর সময় এসে যায়, তবে আমাকে মৃত্যু দিয়ে আরাম দাও। আর যদি আমার মৃত্যুর সময় বাকী থাকে তবে আমাকে সুস্থ করে আমাকে মুক্ত কর। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)