পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১০৪-[১৮] বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর এবং ’উমার (রাঃ) [একজনের পর আরেকজন রাসূল (সা.) দুহিতা] ফাতিমাহ্ (রাঃ)-কে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে ছোট। (তাঁদের বয়সের তুলনায়) অতঃপর যখন ’আলী (রাঃ) প্রস্তাব পাঠালেন, তখন তিনি ফাতিমাহ-কে তাঁর সাথে বিবাহ দিলেন। (নাসায়ী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عَليّ بن أبي طَالب)
وَعَن بُرَيْدَة قَالَ: خطب أبي بَكْرٍ وَعُمَرُ فَاطِمَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا صَغِيرَةٌ» ثُمَّ خَطَبَهَا عليٌّ فزوَّجها مِنْهُ. رَوَاهُ النَّسَائِيّ
اسنادہ صحیح ، رواہ النسائی (6 / 62 ح 3223) و السند صحیح علی شرط مسلم ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ‘আলী (রাঃ) তাদের দু'জনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আসলে বিষয়টি তেমন নয়। বিষয়টি এমন হতে পারে যে, তারা দুজন তথা আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ) যখন তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন তখন সে ছোট ছিল। এরপর যখন তার বয়স পনের বছর হলো আর সে বড় হয়ে গেল তখন ‘আলী (রাঃ) তাকে প্রস্তাব দিলে নবী (সা.) তার সাথে তার মেয়ে ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহ দেন। হতে পারে তাদের দুজনের বয়সের তুলনায় তার বয়স কম ছিল। অথবা ‘আলী (রাঃ)-এর সাথে তার বিবাহ দেয়ার জন্য হয়তো ওয়াহী করা হয়েছিল। আর এ মতটিকে শক্তিশালী করে নবী (সা.) -এর বাণী তা হলো, তিনি আবূ বাকর ও ‘উমার ও অন্যান্য সাহাবী যারা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, এখনও ফায়সালা নাযিল হয়নি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)