পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯০-[১৫] ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) লম্বাও ছিলেন না এবং খাটোও ছিলেন না। তার মাথা ছিল বড় এবং দাড়ি ছিল ঘন। দু হাত এবং উভয় পায়ের তালু ছিল পুরু। তাঁর গায়ের রং ছিল লাল মিশ্রিত। হাড়ের জোড়াসমূহ ছিল মোটা মোটা। বক্ষের উপরে নাভি অবধি পশমের চিকন একটি রেখা ছিল। চলার সময় সম্মুখের দিকে ঝুঁকে চলতেন, যেন তিনি কোন উচ্চস্থান হতে নীচের দিকে নামছেন। মোটকথা, নবী (সা.) -এর আগে বা পরে তাঁর মতো কোন মানুষকে আমি দেখতে পাইনি। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ]
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ بالطويل وَلَا بالقصير ضخم الرَّأْس واللحية شئن الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ مُشْرَبًا حُمْرَةً ضَخْمَ الْكَرَادِيسِ طَوِيلَ المَسْرُبَةِ إِذا مَشى تكفَّأ تكفُّأً كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ مِنْ صَبَبٍ لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
حسن ، رواہ الترمذی (3637) ۔
(صَحِيح)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯১-[১৬] উক্ত রাবী [আলী (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি যখনই নবী (সা.) -এর আকৃতির বর্ণনা দিতেন, তখন বলতেন, তিনি (সা.) খুব লম্বাও ছিলেন না এবং একেবারে খাটোও ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন লোকেদের মধ্যে মধ্যম গড়নের। তাঁর মাথার চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না এবং সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না, বরং মধ্যম ধরনের কোঁকড়ানো ছিল। তিনি (সা.) অতি মোটা ছিলেন না এবং তার চেহারা একেবারে গোল ছিল না, বরং লম্বাটে গোল ছিল। দেহের রং ছিল লাল-সাদা সংমিশ্রিত। চোখের রঙ ছিল কালো এবং পলক ছিল লম্বা লম্বা। হাড়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। সমস্ত শরীর ছিল পশমহীন, অবশ্য পশমের চিকন একটি রেখা বক্ষ হতে নাভি পর্যন্ত লম্বা ছিল। হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু ছিল মাংসে পরিপূর্ণ। যখন তিনি (সা.) হাঁটতেন তখন পা পূর্ণভাবে উঠিয়ে জমিনে রাখতেন, যখন তিনি কোন দিকে তাকাতেন তখন ঘাড় পূর্ণ ফিরিয়ে তাকাতেন। তাঁর উভয় কাধের মাঝখানে ছিল মোহরে নুবুওয়্যাত। মূলত তিনি (সা.) ছিলেন, ’খাতিমুন নাবিয়্যিন’ (নবী আগমনের সিলসিলা সমাপ্তকারী)। তিনি (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে আন্তরিকভাবে অধিক দাতা, সর্বাপেক্ষা কোমল স্বভাবের এবং বংশের দিক দিয়ে ছিলেন সম্রান্ত। যে ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ দেখত, সে তাঁকে অতি ভালোবাসতে লাগত। রাসূল (সা.) -এর গুণাবলি বর্ণনাকারী এ কথা বলতে বাধ্য হন যে, আমি তার পূর্বে ও পরে তাঁর মতো কাউকেও কখনো দেখতে পাইনি। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
وَعَنْهُ كَانَ إِذَا وَصَفَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَمْ يَكُنْ بِالطَّوِيلِ الْمُمَّغِطِ وَلَا بِالْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ الْقَوْمِ وَلَمْ يَكُنْ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلَا بِالسَّبْطِ كَانَ جَعْدًا رَجِلًا وَلَمْ يَكُنْ بِالْمُطَهَّمِ وَلَا بِالْمُكَلْثَمِ وَكَانَ فِي الْوَجْهِ تَدْوِيرٌ أَبْيَضُ مُشْرَبٌ أَدْعَجُ الْعَيْنَيْنِ أَهْدَبُ الْأَشْفَارِ جَلِيلُ الْمَشَاشِ وَالْكَتَدِ أَجْرَدُ ذُو مَسْرُبةٍ شئن الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ إِذَا مَشَى يَتَقَلَّعُ كَأَنَّمَا يَمْشِي فِي صَبَبٍ وَإِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ مَعًا بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمُ النُّبُوَّةِ وَهُوَ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ أَجْوَدُ النَّاسِ صَدْرًا وَأَصْدَقُ النَّاسِ لَهْجَةً وَأَلْيَنُهُمْ عَرِيكَةً وَأَكْرَمُهُمْ عَشِيرَةً مَنْ رَآهُ بَدِيهَةً هَابَهُ وَمَنْ خَالَطَهُ مَعْرِفَةً أَحَبَّهُ يَقُولُ نَاعِتُهُ: لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3638 وقال : لیس اسنادہ بمتصل) * عمر بن عبداللہ : ضعیف ، و ابراھیم لم یدرک علیًا ، انظر تحفۃ الاشراف (7 / 347)
ব্যাখ্যা: ( وَالْكَتَدِ أَجْرَدُ ذُو مَسْرُبةٍ) أَجْرَدُ বলা হয় যার শরীরে চুল নেই। আর নবী (সা.) এরূপ ছিলেন না। বরং নবী (সা.) -এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুল ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯২-[১৭] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) যে পথ দিয়ে চলে যেতেন, পরে কেউ সে পথে গেলে সে সহজে বুঝতে পারত যে, নবী (সা.) উক্ত পথে গমন করেছেন। আর তা তাঁর গায়ের সুগন্ধির কারণে অথবা (রাবী বলেছেন) তাঁর ঘামের সুগন্ধির কারণে। (দারিমী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَسْلُكْ طَرِيقًا فَيَتْبَعُهُ أَحَدٌ إِلَّا عرفَ أَنه قد سلكه من طيب عرقه - أَوْ قَالَ: مِنْ رِيحِ عَرَقِهِ - رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 32 ح 67) * فیہ ابو الزبیر مدلس و عنعن و اسحاق بن الفضل بن عبد الرحمن الھاشمی و ثقہ ابن حبان وحدہ و المغیرۃ بن عطیۃ : لم اجد من وثقہ
ব্যাখ্যা: (من طيب عرقه) শব্দের অর্থ গন্ধ, তা সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ উভয়ের যে কোন একটি হতে পারে। কিন্তু এ শব্দটি অধিকাংশ সময় সুগন্ধের অর্থে ব্যবহৃত হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) যে পথ দিয়ে যাতায়াত করতেন সে পথের বাতাস রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর শরীর কিংবা ঘামের সুঘ্রাণে সৌরভময় হয়ে পুরো পথ সুঘ্রাণ হয়ে যেত। অতএব যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর গমনের পরে উক্ত পথ অতিক্রম করত সে বিশেষ সুগন্ধি দ্বারা বুঝতে পারত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) উক্ত পথ অতিক্রম করেছেন। আর এ সুগন্ধি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর শরীর হতে ছড়াত। রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর শরীরে কিংবা কাপড়ে লাগানো কোন অতিরিক্ত সুগন্ধি হতে নয়।
ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এটা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর জন্য সুগন্ধি নির্দিষ্ট ছিল। অন্যান্য নবী রাসূলদের জন্য তা ছিল না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৩-[১৮] আবূ ’উবায়দাহ্ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রুবায়্যি বিনতু মু’আব্বি ইবনু ’আফরা’ (রাঃ)-কে বললাম, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর আকৃতি সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন। উত্তরে তিনি বললেন, হে বৎস! যদি তাঁকে তুমি দেখতে, তাহলে তোমার এমনই ধারণা করতে যে, সূর্য উদিত হয়েছে। (দারিমী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
وَعَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: قُلْتُ لِلرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ: صِفِي لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: يَا بُنَيَّ لَوْ رأيتَه رأيتَ الشَّمسَ طالعة. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 30 ۔ 31 ح 61) [و الطبرانی فی الکبیر (24 / 274 ح 696 ، و الاوسط : 4455)] * فیہ عبداللہ بن موسی الطلحی التیمی : ضعیف ضعفہ الجمھور ۔
(ضَعِيف)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৪-[১৯] জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি চাঁদনি রাতে নবী (সা.) -কে দেখলাম। অতঃপর একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর দিকে তাকাতাম আর একবার চাঁদের দিকে। সে সময় তিনি (সা.) লাল বর্ণের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তখন তাকে আমার কাছে চাঁদের তুলনায় অধিকতর সুন্দর মনে হলো। (তিরমিযী ও দারিমী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى الْقَمَرِ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ فَإِذَا هُوَ أَحْسَنُ عِنْدِي مِنَ الْقَمَرِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2811 وقال : حسن غریب) و الدارمی (1 / 30 ح 58) * فیہ اشعث بن سوار : ضعیف و ابو اسحاق مدلس و عنعن ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: চাঁদনী রাত ছিল। যে রাতে আকাশে মেঘের কোন চিহ্ন ছিল না। সে রাতে আমি তুলনা করতে চাইলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চেহারা অধিক সুন্দর, না আকাশের চাঁদ অধিক সুন্দর। আমি বারবার আকাশে ও রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চেহারার দিকে তাকালাম আমার নিকট এটাই পরিষ্কার হলো যে, চাঁদের চেয়েও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর চেহারা অধিক সুন্দর। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৫-[২০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে সুন্দর কোন কিছু আমি কক্ষনো দেখতে পাইনি, মনে হত জমিন যেন তাঁর জন্য ছোট হয়ে আসত। আমরা তাঁর সাথে সাথে চলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলতাম। অথচ তিনি (সা.) স্বাভাবিক নিয়মে চলতেন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَن الشَّمْس تجْرِي على وَجْهِهِ وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَسْرَعَ فِي مَشْيِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّمَا الْأَرْضُ تُطْوَى لَهُ إِنَّا لَنُجْهِدُ أَنْفُسَنَا وَإنَّهُ لغير مكترث. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
صحیح ، رواہ الترمذی (3648 وقال : غریب) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (الشَّمْس تجْرِي على وَجْهِهِ) ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) উল্লেখ করেছেন আকাশে সূর্যের গতির সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর চেহারার সাদৃশ্য দেয়া হয়েছে। রাসূলের চেহারায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়েছে। এ অর্থে কবি বর্ণনা করেছেন। (زِيدُكَ وَجْهُهُ حُسْنًا... إِذَامَازِدُتَهُ نَظَرً) তাঁর চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় যখন আমি তার দিকে তাকাই।
(وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَسْرَعَ فِي مَشْيِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) এ বাক্যের দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে পথ অতিক্রম করতাম, তখন আমাদের চলার গতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করলেও সর্বদা রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের থেকে হেঁটে এগিয়ে থাকতেন, আমরা কখনই তাঁর আগে হেঁটে যেতে পারতাম না। রাসূলুল্লাহ (সা.) চলার ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতেন।
(الْإِ جْهَادِأَوِالْجَهْدِ) বলা হয় কোন জিনিসের উপর বহন করা যা তার সাধ্যের অতিরিক্ত। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর নামসমূহ ও গুণাবলি
৫৭৯৬-[২১] জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর পায়ের উভয় গোড়ালি হালকা-পাতলা। তিনি (সা.) মৃদু হাসি ছাড়া হাসতেন না। আর আমি যখনই তাঁর দিকে তাকাতাম, তখন আমি মনে মনে বলতাম, তিনি (সা.) চোখে সুরমা লাগিয়েছেন। অথচ তখন তিনি (সা.) সুরমা ব্যবহার করেননি। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابِ أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصِفَاته)
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: كَانَ فِي سَاقَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُمُوشَةٌ وَكَانَ لَا يَضْحَكُ إِلَّا تَبَسُّمًا وَكُنْتُ إِذَا نَظَرْتُ إِلَيْهِ قُلْتُ: أَكْحَلُ الْعَيْنَيْنِ وَلَيْسَ بأكحل. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3645 وقال : حسن صحیح غریب) * حجاج بن ارطاۃ ضعیف مدلس و عنعن و للحدیث شواھد غیر قولہ :’’ حموشۃ ‘‘ ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: হাসি তিন প্রকার। এর ভিতর মৃদু হাসি বা মুচকি হাসি উত্তম। সুনান তিরমিযীতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) মুচকি হাসি ব্যতীত হাসতেন না। এ মর্মে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, (فَتَبَسَّمَ ضَاحِکًا مِّنۡ قَوۡلِهَا) “অতঃপর তার কথা শুনে মুচকি হাসি হাসলেন”- (সূরাহ আন্ নামল ২৭: ১৯)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)