পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ
৫৬৫৭-[৩] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিম্নমানের জান্নাতী তার উদ্যানসমূহ, স্ত্রীগণ, নি’আমাতের সারি, সেবক ও সেবককুল এবং তার আসনসমূহ একহাজার বছরের দূরত্ব পরিমাণ বিস্তীর্ণ দেখতে পাবে। আর আল্লাহ তা’আলার কাছে সেই লোকই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানী হবে, যে সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তা’আলার দর্শন লাভ করবে। অতঃপর রাসূল (সা.) এ আয়াতটি পাঠ করলেন, “সেদিন কিছু সংখ্যক চেহারা স্বীয় প্রভুর দর্শন লাভে তরতাজা ও আলোকিত হয়ে উঠবে এবং তাদের প্রভুর দিকে তাকিয়ে থাকবে”- (সূরাহ আল কিয়ামাহ ৭৫: ২২-২৩)। (আহমাদ ও তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب رؤيةالله تَعَالَى)
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً لَمَنْ يَنْظُرُ إِلَى جِنَانِهِ وَأَزْوَاجِهِ وَنَعِيمِهِ وَخَدَمِهِ وَسُرُرِهِ مَسِيرَةَ أَلْفِ سَنَةٍ وَأَكْرَمَهُمْ عَلَى اللَّهِ مَنْ يَنْظُرُ إِلَى وَجْهِهِ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً» ثُمَّ قَرَأَ (وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى ربّها ناظرة) رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (2 / 64 ح 5317) و الترمذی (2553) * فیہ ثویر : ضعیف ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ) অত্র হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বনিম্ন সুবিধাপ্রাপ্ত জান্নাতীর নি'আমাতরাজির কথা বলেছেন তাকে যে পরিমাণ আসবাবপত্র এবং নাজ-নি'আমাত দেয়া হবে এর দিকে যদি তাকায় এবং তার বাগান, অন্যান্য নি'আমাত খাদিম, খাট-পালংক ইত্যাদির দিকে যদি তাকায় এবং তা হিসাব করে, তাহলে এগুলোর দূরত্ব হবে এক হাজার বছর চলার দূরত্ব। অর্থাৎ তার রাজত্ব হবে এক হাজার বছরের দূরত্ব পরিমাণ। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ২৫৫৩)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার দর্শনলাভ
৫৬৫৮-[8] আবূ রযীন আল ’উকায়লী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামতের দিন আমাদের প্রত্যেক লোকই কি স্বতন্ত্রভাবে তার প্রভুকে দেখতে পাবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা দেখতে পাবে। আবূ রযীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি আবার প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা, তার সৃষ্টিকুলের মাঝে এর কোন উপমা আছে কি? উত্তরে তিনি (সা.) বললেন, হে আবূ রযীন! তোমাদের প্রত্যেক লোক কি মানুষের ভিড় ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পায় না? আবূ রযীন (রহিমাহুল্লাহ) বললেন, হা। তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ (সা.)] বললেন, চাঁদ হলো আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিসমূহের একটি সৃষ্টি। অথচ আল্লাহ তা’আলা হলেন সুমহান ও বিরাট সত্তা। (আবূ দাউদ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب رؤيةالله تَعَالَى)
وَبَعْضهمْ يُحسنهُ) وَعَن أبي رزين الْعقيلِيّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى رَبَّهُ مُخْلِيًا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «بَلَى» . قَالَ: وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ؟ قَالَ: «يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ لَيْلَةَ البدرِ مُخْلِيًا بِهِ؟» قَالَ: بَلَى. قَالَ: «فَإِنَّمَا هُوَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَجَلُّ وَأَعْظَمُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (4731)
ব্যাখ্যা: (كُلُّنَا يَرَى رَبَّهُ) সাহাবী আশ্চর্য হয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে প্রশ্ন করল, আমাদের সবাই কি আল্লাহ তা'আলাকে স্বচক্ষে দেখতে পাবে। সাহাবী পুনরায় প্রশ্ন করল- আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টির মাঝে এর কি নিদর্শন আছে? উত্তরে রাসূল বললেন, তোমাদের সবাই কি চন্দ্রকে দেখতে পাও না? সাহাবী বলল, হ্যা, দেখতে পাই। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, চন্দ্র হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার একটি সৃষ্টিমাত্র। তিনি এর চেয়েও অনেক মহান সুউচ্চ ও মর্যাদাবান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)