পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৩-[১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের আংটি তৈরি করলেন। অপর এক রিওয়ায়াতে আছে, তিনি তা ডান হাতে পরলেন। অতঃপর তা খুলে ফেলে দিলেন এবং পরে রূপার আংটি তৈরি করালেন। তাতে অঙ্কিত ছিল مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ ’’মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’’ এবং বললেনঃ কেউ যেন তার আংটি আমার আংটির নকশার অনুরূপ অঙ্কিত না করে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তা পরতেন, তার নকশা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: اتَّخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ وَفِي رِوَايَةٍ: وَجَعَلَهُ فِي يَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ أَلْقَاهُ ثُمَّ اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ الْوَرق نُقِشَ فِيهِ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ وَقَالَ: «لَا يَنْقُشَنَّ أَحَدٌ عَلَى نَقْشِ خَاتَمِي هَذَا» . وَكَانَ إِذَا لَبِسَهُ جَعَلَ فَصَّهُ مِمَّا يَلِي بَطْنَ كَفه
ব্যাখ্যাঃ হাসান এবং হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত : আংটির উপর আল্লাহ তা‘আলার জিকর খোদাই করাতে কোন দোষ নেই। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এটা জামহূর ‘উলামারও কথা এবং তিনি, ইবনু সীরীনসহ অন্যান্য ‘উলামার সূত্রে তা মাকরূহ হওয়ার বর্ণনা করেছেন। তবে ইবনু সীরীন (রহিমাহুল্লাহ)-এর বিশুদ্ধ বর্ণনায় রয়েছে, আংটিতে حسبى الله হাসবিয়াল্ল-হু (আল্লাহ তা‘আলাই আমার জন্য যথেষ্ট) বা অনুরূপ বাক্য খোদাই করাতে কোন দোষ নেই।
সুতরাং ‘‘আংটিতে আল্লাহর জিকর খোদাই করা মাকরূহ’’, এ দলীল মজবুত নয়। তবে আল্লাহর জিকর খোদাইকৃত আংটি পরিধান করা ঋতুবতী মহিলা, অপবিত্র ব্যক্তি ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দানকারী ব্যক্তির জন্য অবশ্যই তা মাকরূহ। এসব থেকে নিরাপদ হলে উল্লেখিত আংটি হাতে পরা মোটেও মাকরূহ নয়। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৭৭)
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আংটির মতো নকশা অন্য কারো আংটিতে করতে নিষেধ করার কারণ হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আংটিতে ‘‘মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’’ খোদাই করেছেন অনারব বা অন্যান্য বাদশাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মোহর বা সিল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। অতএব এ নকশা অন্য কেউ করলে তা অবশ্যই বিপর্যয়ের কারণ হবে। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৯১)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৪-[২] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশম ও হলুদ রঙের কাপড় পরিধান ও স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে এবং কুরআনের কোন অংশ রুকূ’ অবস্থায় পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمُعَصْفَرِ وَعَنْ تَخْتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الرُّكُوعِ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ হলুদ রংয়ের কাপড় পরিধান করার ব্যাপারে ‘উলামার মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। সাহাবী, তাবি‘ঈ এবং তাঁদের পরবর্তী বিদ্বানগণ এ ধরনের কাপড় পরিধান করা বৈধ বলেছেন। আর ইমাম শাফি‘ঈ, আবূ হানীফাহ্ ও ইমাম মালিক (রহিমাহুমুল্লাহ) এটাই বলেছেন। তবে ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ ধরনের পোশাক ছাড়া অন্যান্য পোশাক পরিধান করা উত্তম। অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি হলুদ রংয়ের পোশাক বাড়িতে কিংবা বাড়ির আঙ্গিনায় পরিধান করা বৈধ বলেছেন এবং বাড়ির বাহিরে বা বাজারে পরিধান করা মাকরূহ বলেছেন। ‘উলামার একটি জামা‘আত বলেছেন, এ মাকরূহ বলতে মাকরূহে তানযীহি উদ্দেশ্য। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করা দ্বারা মাকরূহে তানযীহি অর্থ গ্রহণ করেছেন। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাল পোশাক পরেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়। বুখারী মুসলিমে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হলুদ রংয়ের পোশাক পরিধান করতে দেখেছি। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৭৮)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৫-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির হাতে একটি স্বর্ণের আংটি দেখতে পেলেন। তখনই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার হাত হতে তা খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেনঃ তোমাদের কেউ কি জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে নিজ হাতে রাখতে চায়? (এটা বলে) অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলে লোকেরা তাকে বলল, তুমি তোমার আংটিটি তুলে নাও এবং তা হতে (অন্য কোনভাবে) উপকৃত হও। তখন সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি তা কখনো তুলে নেব না, যা স্বয়ং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেলে দিয়েছেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ فَقَالَ: «يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ؟» فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَمَا ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خُذْ خَاتَمَكَ انْتَفِعْ بِهِ. قَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে আংটিওয়ালা লোকটির কথা; যখন তার সাথীরা তাকে বলেছিল আংটি উঠিয়ে নাও। তখন তিনি বলেছিলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ফেলে দিয়েছেন তা আমি আর নেব না। এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ পালন ও নিষেধাজ্ঞামূলক কথাবলী বর্জনের উপর দৃঢ় প্রত্যয় প্রমাণিত হয়। আর দুর্বল ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিষিদ্ধ কোন কিছুর অনুমোদন অনুসন্ধান না করার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করা বুঝায়। তবে আংটিওয়ালা ব্যক্তি যদি আংটিটি উঠিয়ে নিতেন এবং বিক্রি কিংবা যার এটার প্রয়োজন রয়েছে তাকে সাদাকা করে দিতেন তাতে দোষের কিছু ছিল না। কেননা আংটিটি পরিবর্তন করে অন্যান্য কিছু বানানো যাবে না বা এর দ্বারা অন্য কোন উপকার নেয়া যাবে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কিছুই বলেননি। বরং তিনি তা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। অতএব উক্ত আংটি দ্বারা অন্য কাজ যেমন- আংটি থেকে মহিলাদের অলংকার ও তা বিক্রি করে অন্য যে কোন কাজ করা বৈধ। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৯০)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৬-[৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পারস্যের রাজা কিসরা এবং রোম সম্রাট কায়সার এবং নাজাশীর নিকট পত্র লিখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, তখন তাঁকে বলা হলো, তারা এমন লিপি গ্রহণ করে না যা মোহর বা সীলযুক্ত নয়। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি আংটি তৈরি করালেন, তার গোল চাক্কিটি ছিল রূপার। তাতে খোদাই করা ছিল ’’মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’’। (মুসলিম)[1]
আর বুখারী’র রিওয়ায়াতে আছে, আংটির লেখাটি তিন পংক্তিতে ছিল। মুহাম্মাদ এক পংক্তিতে, রসূল এক পংক্তি এবং আল্লাহ এক পংক্তি।
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى كِسْرَى وَقَيْصَرَ وَالنَّجَاشِيِّ فَقِيلَ: إِنَّهُمْ لَا يَقْبَلُونَ كِتَابًا إِلَّا بِخَاتَمٍ فَصَاغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاتَمًا حَلْقَةَ فِضَّةٍ نُقِشَ فِيهِ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ: كَانَ نَقْشُ الْخَاتَمِ ثَلَاثَةَ أَسْطُرٍ: مُحَمَّدٌ سَطْرٌ ورسولُ الله سطر وَالله سطر
ব্যাখ্যাঃ আহমাদ আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে আবূ রায়হানাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাদশা ছাড়া অন্যকে আংটি পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। একদল ‘উলামা বাদশা ব্যতীত অন্য কারো আংটি পরিধান করা মাকরূহ বলেছেন। তবে অন্যান্য ‘উলামা তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা বাদশা ছাড়া অন্যদের জন্য আংটি পরিধান করা বৈধ বলেছেন। তাদের দলীল : আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস ‘‘নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার আংটি ফেলে দিলেন, তখন সাহাবী তাদের আংটি ফেলে দিলেন।’’ এ হাদীস প্রমাণ করে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে সহাবায়ি কিরামগণ আংটি পরিধান করতেন। অথচ তাঁরা কোন বাদশা ছিলেন না। এরপরও সহাবায়ে কিরামগণ ও তাবি‘ঈনদের একদল বিদ্বান বর্ণনা করেছেন যে, তারা কোন বাদশা না হয়েও আংটি পরিধান করতেন। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৭৫)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৭-[৫] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি রূপার আংটি ছিল এবং তার নগিনা (নাম অঙ্কিত স্থানটি)-ও ছিল রূপার। (বুখারী)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْهُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ خَاتَمُهُ مِنْ فِضَّةٍ وَكَانَ فَصُّهُ مِنْهُ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত বাক্যটি (وَكَانَ فَصُّهٗ مِنْهُ) অর্থাৎ আংটির পাথর আংটির তৈরির উপাদান থেকেই বানানো। এ বাক্যটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসটির সাথে বৈপরীত্য নয়। সহীহ মুসলিমে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আংটি ছিল রৌপ্যের আর তার পাথর ছিল হাবশী। উভয় বর্ণনার মাঝে বৈপরীত্য এজন্য নেই, কারণ হয়তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক আংটি পরিধান করতেন। আর হাবশী অর্থ হাবশার কোন অঞ্চলের পাথর হতে পারে অথবা হাবশী রংয়ের পাথর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আংটিতে ব্যবহার করতেন। অথবা হাবশা হতে নিয়ে আশা পাথর হতে পারে। অথবা আংটির পাথরটির গুণাবলী, রং, কিংবা নকশার জন্য কোনভাবে তা হাবশীর সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৭০)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৮-[৬] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতে রূপার আংটি পরিধান করেছেন। এর মধ্যে হাবশী তথা আকীক পাথরের নগিনা সংযোজিত ছিল। আর তিনি নগিনাটি হাতের তালুর দিকেই রাখতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبِسَ خَاتَمَ فِضَّةٍ فِي يَمِينِهِ فِيهِ فَصٌّ حَبَشِيٌّ كَانَ يَجْعَلُ فَصَّهُ مِمَّا يَلِي كَفه
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৮৯-[৭] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আংটি এ আঙ্গুলে পরিধান করতেন, এ বলে তিনি বাম হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলির দিকে ইঙ্গিত করলেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ خَاتَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ وَأَشَارَ إِلَى الْخِنْصِرِ منْ يَده الْيُسْرَى. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ মুসলিমগণ বিদ্বানগণ এ মর্মে একমত রয়েছেন যে, পুরুষদের আংটি কনিষ্ট অঙ্গুলিতে পরা সুন্নাত, আর নারীরা তা যে কোন অঙ্গুলিতে পারে।
পুরুষদের কনিষ্ঠ অঙ্গুলিতে পড়া সুন্নাত, আর নারীদের যে কোন অঙ্গুলিতে পরিধানে হিকমাত হলো কনিষ্ঠ অঙ্গুলি হাতের এক প্রান্তে থাকায় তাতে আংটি পরিধানে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না, অন্যান্য অঙ্গুলি তার ব্যতিক্রম। আলোচ্য হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, পুরুষের মধ্যমা অঙ্গুলিতে আংটি পরিধান করা মাকরূহ।
তবে এর দ্বারা মাকরূহে তানযীহী উদ্দেশ্য। অর্থাৎ মধ্যমা আঙ্গুলে আংটি পরিধান করা যাবে তবে পরিধান না করাই ভালো। আর ডান কিংবা বাম হাতে আংটি পরিধানের ব্যাপারে উভয়ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণিত রয়েছে। ফকীহবিদগণ এ মর্মে একমত রয়েছেন যে, আংটি ডান কিংবা বাম উভয় হাতেই পরিধান করা বৈধ। কোন হাতেই পরিধান করা মাকরূহ নয়। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৯৫)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আংটির বর্ণনা
৪৩৯০-[৮] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মধ্যমা ও তর্জনী, এ দু’ আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْخَاتَمِ
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم إِن أَتَخَتَّمَ فِي إِصْبَعِي هَذِهِ أَوْ هَذِهِ قَالَ: فَأَوْمَأَ إِلَى الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِيهَا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ