পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুকুর সম্পর্কে বর্ণনা
৪১০২-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কুকুর (আল্লাহর সৃষ্ট) সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে একটি সম্প্রদায় না হত, তবে আমি সমুদয় কুকুর বধ করার নির্দেশ দিতাম। তবে যেগুলো মিশমিশে কালো তোমরা সেগুলো বধ করো। (আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]
আর তিরমিযী ও নাসায়ী এ কথাগুলো বর্ধিত বর্ণনা করেছেন, যে পরিবারের লোকেরা শিকারী কুকুর, ক্ষেত-খামার পাহারাদানকারী কুকুর কিংবা মেষ-দুম্বা রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কুকুর ভিন্ন অন্য কোন প্রকারের কুকুর পুষবে, তাদের ’আমল হতে প্রত্যহ এক ক্বীরাত্ব পরিমাণ হ্রাস পাবে।
عَن عبد الله بنِ مُغفَّلٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنَّ الْكِلَابَ أُمَّةٌ مِنَ الْأُمَمِ لَأَمَرْتُ بِقَتْلِهَا كُلِّهَا فَاقْتُلُوا مِنْهَا كُلَّ أَسْوَدَ بَهِيمٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَزَادَ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ: «وَمَا مِنْ أَهْلِ بَيْتٍ يَرْتَبِطُونَ كَلْبًا إِلَّا نَقَصَ مِنْ عَمَلِهِمْ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطٌ إِلَّا كَلْبَ صَيْدٍ أَوْ كَلْبَ حَرْثٍ أَوْ كَلْبَ غنم»
ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসটি আল্লাহ তা‘আলার কথার দিকে ইঙ্গিত করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘ভূপৃষ্ঠে চলমান প্রতিটি জীব এবং বায়ুমণ্ডলে দু’ ডানার সাহায্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই তোমাদের মতই এক ও একটি জাতি।’’ (সূরাহ্ আল আন্‘আম ৬ : ৩৮)
অর্থাৎ তারা সৃজনশীল ও তাসবীহ তাহলীলে তোমাদের মতই। ‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আলোচ্য বক্তব্য দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাতিকে নিঃশেষ করা পছন্দ করেন না; কেননা পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিকুলের মাঝে আল্লাহ তা‘আলার কোন না কোন হিকমাত রয়েছে এবং রয়েছে আত্মশুদ্ধির উপমা। তিনি বলেন, ব্যাপারটা যদি এমন হয় যে, যদি কুকুর হত্যা ছাড়া কোন পথ খোলা না থাকে তাহলে গাঢ় কালো ক্ষতিকারক কুকুরগুলো হত্যা কর এবং অবশিষ্টগুলো ছেড়ে দাও যাতে তোমরা পাহারার কাজে নিয়োজিত করার মাধ্যমে উপকার গ্রহণ করতে পার। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৪২)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুকুর সম্পর্কে বর্ণনা
৪১০৩-[৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পশুদের পরস্পরের মধ্যে লড়াই করাতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
হাদীসটির সানাদ য‘ঈফ, সনদে আছে ‘‘আবূ ইয়াহ্ইয়া আল ক্যুআত’’ নামক একজন য‘ঈফ রাবী। এছাড়াও হাদীসটির সানাদ মুত্তাসিল না মুরসাল, এ বিষয়েও মতভেদ আছে। য‘ঈফ আবূ দাঊদ ২/৩১৬ পৃঃ, হাঃ ৫৬। সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ৬৮৭৮, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ২৫০৯, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১০৯৬০, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০২৭৭।
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ التَّحْرِيشِ بَيْنَ الْبَهَائِمِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
ব্যাখ্যাঃ চতুষ্পদ প্রাণীর মাঝে লড়াই বাধিয়ে দেয়া, তাদের একে অপরের উপর উত্তেজিত করা। যেমন- উট, ষাড় ও মোরগের মাঝে লড়াই বেধে দেয়া হয়। এটা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হলো, এটা প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর এবং ক্ষতির কারণ। এতে কোন উপকারিতা নেই বরং অনর্থক একটি বিষয় বিধায় এটা নিষিদ্ধ। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৭০৮)