পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৬৯৪-[৩৪] হারিস আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ করছি। যথা- ১. সর্বদা মুসলিম জামা’আতের সাথে থাকো, ২. আমীরের (শাসকদের) আদেশ-নিষেধ মান্য করো, ৩. আমীরের (শাসকদের) আনুগত্য করো, ৪. হিজরত করো, ৫. আল্লাহর পথে জিহাদ করো। আর যে ব্যক্তি মুসলিম জামা’আত থেকে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে যায়, সে যেন তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলল, যতক্ষণ না সে প্রত্যাবর্তন করে। আর যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের রসম-রিওয়াজের দিকে আহবান করে, সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত। যদিও সে সওম পালন করে, সালাত আদায় করে এবং নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করে। (আহমাদ ও তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

عَن الحارِثِ الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: آمُرُكُمْ بِخَمْسٍ: بِالْجَمَاعَةِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالْهِجْرَةِ وَالْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَإِنَّهُ مَنْ خَرَجَ مِنَ الْجَمَاعَةِ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ إِلَّا أَنْ يُرَاجِعَ وَمَنْ دَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ فَهُوَ مِنْ جُثَى جَهَنَّمَ وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ

عن الحارث الاشعري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: امركم بخمس: بالجماعة والسمع والطاعة والهجرة والجهاد في سبيل الله وانه من خرج من الجماعة قيد شبر فقد خلع ربقة الاسلام من عنقه الا ان يراجع ومن دعا بدعوى الجاهلية فهو من جثى جهنم وان صام وصلى وزعم انه مسلم . رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের মাঝে জামা‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সমস্ত মুসলিম জামা‘আতের আনুগত্য করা। ‘আকীদা, কর্ম, ‘আমল দীনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মাঝে।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেছেনঃ জামা‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য সাহাবীগণ। তাদের পরবর্তী তাবি‘ঈগণ এবং তাবি-তাবি‘ঈগণ সালফে সালিহীনদের মাঝে।

‘শ্রবণ ও আনুগত্য’ দ্বারা উদ্দেশ্য- ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেছেনঃ হক কথা শ্রবণ করা এবং কবুল করা শাসকের নিকট থেকে চাই সে ধনী হোক বা দরিদ্র হোক। আনুগত্যের নিদর্শনসমূহ বাস্তবায়ন করা এবং যে সমস্ত কাজের মাঝে ধমকী রয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকা।

‘হিজরত কর’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য : অমুসলিম রাষ্ট্রে যে সকল মুসলিমরা বসবাস করে তারা ঐ রাষ্ট্র পরিত্যাগ করে ইসলামী রাষ্ট্রে চলে যাবে। অথবা যদি কোনো এমন মুসলিম দেশ বা শহরে বসবাস করে যা বিদ‘আত ও পাপাচারে পরিপূর্ণ তাহলে ঐ দেশ বা শহর ছেড়ে মুসলিম রাষ্ট্রে চলে যাবে যেখানে পরিপূর্ণভাবে সুন্নাত বাস্তবায়ন হয়।

‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর’ অর্থাৎ কাফিরদের সাথে লড়াই করা এবং শত্রুদেরকে দমন করা এবং নিজের আত্মাকে কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখা। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৬৯৫-[৩৫] যিয়াদ ইবনু কুসায়ব আল ’আদাবী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আবূ বকরাহ্ (রাঃ)-এর সাথে ইবনু ’আমির-এর মিম্বারের নিচে বসে ছিলাম, তখন তিনি খুৎবা দিচ্ছিলেন এবং তার পরিধানে ছিল একটি পাতলা মিহিন কাপড়। তখন আবূ বিলাল (রহঃ) বলে উঠলেনঃ তোমরা আমাদের ’আমির-এর দিকে তাকিয়ে দেখ, তিনি ফাসিকদের পোশাক পরিধান করেছেন। তখন আবূ বকরাহ্ বললেনঃ নিশ্চুপ থাকো! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ার প্রতিনিধি (শাসক) নিযুক্ত করেছেন, আর ঐ শাসককে যে ব্যক্তি অপমানিত করে, আল্লাহ তা’আলাও তাকে অপমানিত করবেন। (তিরমিযী; আর তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن زِيادِ بنِ كُسَيبٍ العَدَوِيِّ قَالَ: كُنْتُ مَعَ أَبِي بَكْرَةَ تَحْتَ مِنْبَرِ ابْنِ عَامِرٍ وَهُوَ يَخْطُبُ وَعَلَيْهِ ثِيَابٌ رِقَاقٌ فَقَالَ أَبُو بِلَال: انْظُرُوا إِلَى أَمِير نايلبس ثِيَابَ الْفُسَّاقِ. فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: اسْكُتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «مَنْ أَهَانَ سُلْطَانَ اللَّهِ فِي الْأَرْضِ أَهَانَهُ اللَّهُ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

وعن زياد بن كسيب العدوي قال: كنت مع ابي بكرة تحت منبر ابن عامر وهو يخطب وعليه ثياب رقاق فقال ابو بلال: انظروا الى امير نايلبس ثياب الفساق. فقال ابو بكرة: اسكت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من اهان سلطان الله في الارض اهانه الله» رواه الترمذي وقال: هذا حديث حسن غريب

ব্যাখ্যা: হাদীসের বাহ্যিক শব্দগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিলে মনে হয় যে, এ রকম দু’টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে, ইবনু ‘আমির তখন কোনো এমন কাপড় পরিধান করেছিলেন যা পরিধান করা পুরুষের জন্য হারাম। যেমন রেশমি কাপড় ইত্যাদি।

কেউ কেউ বলেছেনঃ যে অধিক পাতলা ও মিহিন কাপড় পরিধান করে সে তার দীনকেও পাতলা ও হালকা করে দেয়।

আবূ বাকরাহ্ আবূ বিলালকে নিষেধ করেছিলেন যাতে তিনি ইবনু ‘আমিরকে তিরস্কার ও অপমান না করেন। এর কারণ হলো এ উক্তিটি যেন মুসলিমদের মাঝে ফিতনা ও ফাসাদ সৃষ্টি হওয়ার কারণ না হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৬৯৬-[৩৬] নাও্ওয়াস ইবনু সিম্’আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিপালকের অবাধ্যতার মাঝে কোনো সৃষ্টির আনুগত্য নেই। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سِمْعَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السّنة

وعن النواس بن سمعان قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق» . رواه في شرح السنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৬৯৭-[৩৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দশজন লোকেরও আমীর (শাসক) নিযুক্ত হবে, কিয়ামতের দিনে তাকে এমন অবস্থায় উপস্থিত করা হবে যে, তার গলায় বেড়ি পড়ানো থাকবে। তার গলার বেড়ি থেকে তার ন্যায়-নীতি ও ইনসাফ তাকে মুক্ত করবে অথবা তার কৃত জুলুম ও নির্যাতন তাকে ধ্বংস করবে। (দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ أَمِيرِ عَشرَةٍ إِلا يُؤتى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَغْلُولًا حَتَّى يُفَكَّ عَنْهُ الْعَدْلُ أَو يوبقه الْجور» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما من امير عشرة الا يوتى به يوم القيامة مغلولا حتى يفك عنه العدل او يوبقه الجور» . رواه الدارمي

ব্যাখ্যা: ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেছেনঃ প্রত্যেক শাসককেই চাই সে ন্যায়পরায়ণ হোক বা অত্যাচারী হোক প্রাথমিক পর্যায়ে আল্লাহ তা‘আলার নিকট তার গলায় রশি লাগিয়ে উপস্থিত করা হবে। যাচাই করার পর সে যদি ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে মুক্তি দেয়া হবে। আর যদি অত্যাচারী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে কঠিন শাস্তির মাঝে নিক্ষেপ করা হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৬৯৮-[৩৮] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুর্দশা শাসকদের জন্য, দুর্দশা সমাজপতিদের জন্য ও দুর্দশা আমানতদারদের জন্য। অনেক লোক কিয়ামতের দিন অবশ্যই কামনা করবে, যদি তাদের কপালের চুল ধ্রুবতারার সাথে বেঁধে দেয়া হত, আর তারা আকাশমন্ডলী ও জমিনের মাঝে ঝুলিয়ে রাখা হতো, তবুও তাদেরকে সে সব নেতৃত্ব না দেয়া হতো। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

ইমাম আহমাদ (রহঃ)-ও হাদীসটি বর্ণনা করেন, যদি তাদের কপালের কেশগুচ্ছ ধ্রম্নবতারার সাথে বেঁধে দেয়া হত আর তারা আকাশমন্ডলী ও জমিনের মাঝে ঝুলিয়ে রাখা হতো, তবুও উত্তম হতো যদি তাদেরকে কোনো কাজের নেতৃত্ব দেয়া না হত।

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَيْلٌ لِلْأُمَرَاءِ وَيْلٌ لِلْعُرَفَاءِ وَيْلٌ لِلْأُمَنَاءِ لَيَتَمَنَّيَنَّ أَقْوَامٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَنَّ نَوَاصِيَهُمْ مُعَلَّقَةٌ بِالثُّرَيَّا يَتَجَلْجَلُونَ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَأَنَّهُمْ لَمْ يَلُوا عَمَلًا» . رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السُّنَّةِ» وَرَوَاهُ أَحْمد وَفِي رِوَايَته: «أنَّ ذوائِبَهُم كَانَتْ مُعَلَّقَةً بِالثُّرَيَّا يَتَذَبْذَبُونَ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ولَمْ يَكُونُوا عُمِّلوا على شَيْء»

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ويل للامراء ويل للعرفاء ويل للامناء ليتمنين اقوام يوم القيامة ان نواصيهم معلقة بالثريا يتجلجلون بين السماء والارض وانهم لم يلوا عملا» . رواه في «شرح السنة» ورواه احمد وفي روايته: «ان ذواىبهم كانت معلقة بالثريا يتذبذبون بين السماء والارض ولم يكونوا عملوا على شيء»

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসের মাঝে وَيْلٌ শব্দের অর্থ বলা হয় দুশ্চিন্তা, দুঃখ, ধ্বংস যা শাস্তির কারণে হয়ে থাকে। বলা হয়: وَيْلٌ জাহান্নামের একটি গভীর খাদ। যে খাদে কাফিরেরা চল্লিশ বছর পর্যন্ত নিক্ষিপ্ত হবে। তারপরও তলদেশে পৌঁছতে পারবে না। (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু হিব্বানে বর্ণিত হয়েছে)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৬৯৯-[৩৯] গালিব আল কত্ত্বান (রহঃ) জনৈক ব্যক্তি হতে, তিনি তার পিতা হতে, আর তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সরদারী একটি সত্যায়িত বিষয়। আর মানুষের জন্য সরদার হওয়াটা অত্যাবশ্যকীয় বটে। কিন্তু (অধিকাংশ) সরদারগণ জাহান্নামী হবে। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ غَالِبٍ الْقَطَّانِ عَنْ رَجُلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن العرافة حق ولابد لِلنَّاسِ مِنْ عُرَفَاءَ وَلَكِنَّ الْعُرْفَاءَ فِي النَّارِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن غالب القطان عن رجل عن ابيه عن جده قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان العرافة حق ولابد للناس من عرفاء ولكن العرفاء في النار» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে عِرَافَةَ অর্থাৎ গ্রামের মাতববরী ও সরদারী করাকে প্রথমে সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু শেষ অংশে তাকে অস্বীকার করা হয়েছে। সুতরাং হাদীসের প্রথম অংশ দ্বারা ঐ সকল মাতববর ও সরদারকে বুঝানো হয়েছে যারা গ্রামের বিচার ফায়সালার করার ক্ষেত্রে ন্যায় ইনসাফ কায়িম করে। আর হাদীসের শেষ অংশ দ্বারা ঐ মাতব্বর ও সরদারদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা গ্রামের বিচার ফায়সালা করার ক্ষেত্রে ন্যায় ইনসাফ কায়িম করে না। সুতরাং হাদীসের গোপন অর্থ হচ্ছে অধিকাংশ মাতব্বর ও সরদারগণই জাহান্নামে যাবে তবে কিছু ব্যতীত। মোট কথা, মাতববরী বা সরদারী তখনই দোষণীয় যখন ন্যায় ইনসাফ কায়িম করার পরিবর্তে জুলুম নির্যাতন করা হয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০০-[৪০] কা’ব ইবনু ’উজরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ নির্বোধ লোকেদের নেতৃত্ব থেকে আমি তোমাকে আল্লাহ তা’আলার হিফাযাতে অর্পিত করলাম। তিনি (কা’ব ) বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! এটা কিরূপে হবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ শীঘ্রই আমার পরে বিভিন্ন যুগে তাদের (নির্বোধ ও যালিমরূপে আমীর ও শাসক) আবির্ভূত হবে আর যে ব্যক্তি তাদের সান্নিধ্যে থাকবে এবং তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে স্বীকৃতি দিবে এবং তাদের অন্যায় ও জুলুমের সহযোগিতা করবে, সে আমার দলভুক্ত নয় এবং তাদের সাথে আমারও কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমার হাওযে কাওসারে* আসতে পারবে না। আর যে তাদের নিকট যাবে না এবং তাদের মিথ্যাকে সত্যায়িত করবে না এবং তাদের অন্যায়ের কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে না। তারাই হবে আমার দলভুক্ত। আর আমিও তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি। আর তারা হাওযে কাওসারে আমার নিকট আগমন করবে। (তিরমিযী ও নাসায়ী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُعِيذُكَ بِاللَّهِ مِنْ إِمَارَةِ السُّفَهَاءِ» . قَالَ: وَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «أُمَرَاءُ سَيَكُونُونَ مِنْ بَعْدِي مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِمْ فَصَدَّقَهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَلَيْسُوا مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُمْ وَلَنْ يَرِدُوا عليَّ الحوضَ وَمَنْ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يُصَدِّقْهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعِنْهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَأُولَئِكَ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ وَأُولَئِكَ يَرِدُونَ عَلَيَّ الْحَوْضَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيّ

وعن كعب بن عجرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اعيذك بالله من امارة السفهاء» . قال: وما ذاك يا رسول الله؟ قال: «امراء سيكونون من بعدي من دخل عليهم فصدقهم بكذبهم واعانهم على ظلمهم فليسوا مني ولست منهم ولن يردوا علي الحوض ومن لم يدخل عليهم ولم يصدقهم بكذبهم ولم يعنهم على ظلمهم فاولىك مني وانا منهم واولىك يردون علي الحوض» . رواه الترمذي والنساىي

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে سُفَهَاءِ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ সকল নির্বোধ লোক যারা ‘ইলম ও ‘আমলের দিক থেকে অজ্ঞ। ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ سُفَهَاءِ বলা হয় ঐ সকল লোকেদেরকে যারা অল্প জ্ঞানের অধিকারী।

‘‘নিহায়াহ্’’ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, السَّفِيهُ মূলতঃ অল্প জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিকে বলা হয়। আর এ কারণে যখন কোনো ব্যক্তি নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা প্রকাশে অপারগ হয়। তখন তার ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে যে, সে নিজের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে নির্বোধতার পরিচয় দিয়েছে। মোট কথা হচ্ছে, السَّفِيهُ অজ্ঞ ব্যক্তিকে বলা হয়। তাই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য এক হাদীসে বলেছেন যে, আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন ‘আলিমদের মৃত্যুর মাধ্যমে ‘ইলম উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর লোকেরা অজ্ঞদেরকে নিজেদের নেতা হিসেবে নির্ধারণ করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০১-[৪১] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে গ্রামে-গঞ্জে বসবাস করে, সে অচেতন (সামাজিক শিক্ষা-শিষ্টাচার বহির্ভূত) হয়। আর যে শিকারের পিছনে দৌড়ায়, সে উদাসীন হয়। আর যে শাসকের সন্নিকটে থাকে, সে ফিতনায় পর্যবসিত হয় (ঝামেলায় পড়ে)। (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী)[1]

আর আবূ দাঊদ-এর বর্ণনাতে আছে, যে শাসকের সান্নিধ্যে থাকে, সে ফিতনায় নিপতিত হয়। আর যখনই যে ব্যক্তি শাসকের যত নিকটবর্তী হয়, সে ততই আল্লাহ থেকে দূরে চলে যায়। (আবূ দাঊদ)

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ سَكَنَ الْبَادِيَةَ جَفَا وَمَنِ اتَّبَعَ الصَّيْدَ غَفَلَ وَمَنْ أَتَى السُّلْطَانَ افْتُتِنَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: «مَنْ لَزِمَ السُّلْطَانَ افْتُتِنَ وَمَا ازْدَادَ عَبْدٌ مِنَ السُّلْطَانِ دُنُوًّا إِلَّا ازْدَادَ من اللَّهِ بُعداً»

وعن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من سكن البادية جفا ومن اتبع الصيد غفل ومن اتى السلطان افتتن» . رواه احمد والترمذي والنساىي وفي رواية ابي داود: «من لزم السلطان افتتن وما ازداد عبد من السلطان دنوا الا ازداد من الله بعدا»

ব্যাখ্যা: ইমাম কাযী (রহঃ) বলেনঃ লোক কঠোর হয় যখন তার অন্তর শক্ত ও কঠোর হয়। ফলে তার অন্তর সৎ আচরণ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নরম হয় না। আর এটা অধিকাংশ সময় গ্রামের অধিবাসীদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। কারণ তারা ‘আলিম-‘উলামাদের সান্নিধ্যে থেকে বঞ্চিত থাকে এবং লোকেদের সাথে তাদের চলাফেরা কম হওয়ার কারণে ফলে তাদের স্বভাব চরিত্র হিংস্র প্রাণীর স্বভাব চরিত্রের মতো হয়ে যায়।

ইমাম মুযহির বলেনঃ যে ব্যক্তি গ্রামে বসবাস নিজের জন্য আবশ্যক করে নেয় বিশেষ করে সে জামা‘আত ও জুমু‘আর সালাতে উপস্থিত হতে পারে না এবং ‘আলিমদের মাজলিসেও উপস্থিত হতে পারে না। আর এভাবে সে নিজের ওপর জুলুম করে। যে ব্যক্তি আনন্দ ফূর্তি ও খেল-তামাশার জন্য শিকারে অভ্যস্ত হয় সে অলস হয়, কেননা আনন্দ ফূর্তি ও খেল-তামাশা মৃত অন্তরের পক্ষ থেকে সৃষ্টি হয়। আর যে ব্যক্তি শক্তি সঞ্চারণের উদ্দেশে শিকার করবে তার জন্য তা বৈধ, কেননা কিছু সাহাবী শিকার করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০২-[৪২] মিকদাম ইবনু মা’দীকারাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাঁধের উপর হাত রেখে অত্যন্ত আক্ষেপে বলেছেনঃ হে কুদায়ম! (মিকদাম-এর সংক্ষেপ) তুমি যদি আমীর, লেখক ও সরদার না হয়ে মৃত্যুবরণ করো; তাহলে তুমি সাফল্য লাভ করবে। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن المقدامِ بن معْدي كِربَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ عَلَى مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «أَفْلَحْتَ يَا قُدَيْمُ إِنْ مُتَّ وَلَمْ تَكُنْ أَمِيرًا وَلَا كَاتبا وَلَا عريفا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن المقدام بن معدي كرب ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ضرب على منكبيه ثم قال: «افلحت يا قديم ان مت ولم تكن اميرا ولا كاتبا ولا عريفا» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে كَاتِبًا অর্থাৎ লেখক দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যারা সরকারী চাকরিতে লেখার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। ফলে তারা কখনো কখনো দুর্নীতি করার জন্য মিথ্যা ও অসত্য কথা লিপিবদ্ধ করে তাই তা নিষেধ করা হয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ عَرِيْفًا তথা গ্রামের মাতববর ও সরদার হওয়া তখনই দোষণীয় যখন কোনো ব্যক্তি মাতববর ও সরদার হওয়ার পর বিচার ফায়সালা করার সময় ইনসাফ না করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মিকদাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৩-[৪৩] ’উকবা ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কর আদায়কারী তথা অনৈতিকভাবে ’উশর ও যাকাত আদায়কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ صَاحِبُ مَكْسٍ» : يَعْنِي الَّذِي يَعْشُرُ النَّاسَ. رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد والدارمي

وعن عقبة بن عامر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يدخل الجنة صاحب مكس» : يعني الذي يعشر الناس. رواه احمد وابو داود والدارمي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে صَاحِبُ مَكْسٍ বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে যে অন্যায়ভাবে লোকেদের থেকে ‘উশর বা যাকাত আদায় করে।

নিহায়াহ্ গ্রন্থে এসেছে যে, ট্যাক্স বলতে ঐ অংশকে বুঝানো হয়েছে যে অংশটা আদায়কারী মানুষের থেকে গ্রহণ করা হয় আর তা ‘উশর নামে পরিচিত মানুষের মাঝে।

শারহেস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে এসেছে যে, এর দ্বারা ঐ ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য নিয়েছেন যে অতিক্রমকারী ব্যবসায়ী কাফেলার নিকট থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করে ‘উশর নামে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৪-[৪৪] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে আল্লাহর নিকট ন্যায়পরায়ণ শাসকই হবেন সর্বাধিক প্রিয় এবং সর্বোত্তম মর্যাদার অধিকারী। আর কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা’আলার নিকট যালিম শাসকই হবেন সর্বনিকৃষ্ট ও কঠোরতম ’আযাবের অধিকারী।

অন্য এক বর্ণনাতে আছে, অত্যাচারী শাসক মর্যাদার আসনে আল্লাহর নিকট হতে অনেক দূরে। (তিরমিযী; আর তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান গরীব)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَحَبَّ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَقْرَبَهُمْ مِنْهُ مَجْلِسًا إِمَامٌ عَادِلٌ وَإِنَّ أَبْغَضَ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَشَدَّهُمْ عَذَابًا» وَفِي رِوَايَةٍ: «وَأَبْعَدَهُمْ مِنْهُ مَجْلِسًا إِمَامٌ جَائِرٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

وعن ابي سعيد قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان احب الناس الى الله يوم القيامة واقربهم منه مجلسا امام عادل وان ابغض الناس الى الله يوم القيامة واشدهم عذابا» وفي رواية: «وابعدهم منه مجلسا امام جاىر» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث حسن غريب

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর প্রশংসা করেছেন এবং সে কিয়ামতের দিন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হবে তাও বলেছেন। আর অত্যাচারী যালিম বাদশাহর ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৫-[৪৫] উক্ত রাবী [আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অত্যাচারী শাসকের সামনে হক কথা বলে, সেটাই সর্বোত্তম জিহাদ। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الْجِهَادِ مَنْ قَالَ كَلِمَةَ حَقٍّ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «افضل الجهاد من قال كلمة حق عند سلطان جاىر» . رواه الترمذي وابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে যালিম বাদশাহর সামনে সত্য কথা বলা উত্তম জিহাদ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি শাসকের সামনে সত্য কথা বলল সে উত্তম জিহাদ করল। কেননা সত্য কথা বলার কারণে কখনো কখনো জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হতে হয় বাদশাহর পক্ষ থেকে।

ইমাম খত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ শাসকের সামনে সত্য বলা উত্তম জিহাদ এটা এভাবে যে, কোনো ব্যক্তি যখন শত্রুর সাথে জিহাদ করে তখন সে ভয় ও আশার মাঝে সন্দিহান থাকে যে, সে বিজয় হবে নাকি পরাজিত হবে। পক্ষান্তরে শাসকের সামনে সত্য কথা প্রকাশকারী শাসকের নিকট পরাস্ত থাকে ফলে যখন সে সত্য কথা বলে বা সৎ কাজের আদেশ দেয় তখন শাসকের পক্ষ থেকে অনেক জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৬-[৪৬] আর আহমাদ ও নাসায়ী হাদীসটি ত্বারিক ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَرَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ

ورواه احمد والنساىي عن طارق بن شهاب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৭-[৪৭] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যখন কোনো শাসকের কল্যাণ কামনা করেন, তখন তার জন্য একজন ন্যায়নিষ্ঠ পরামর্শদাতার (পরিচালনা পরিষদবর্গের) ব্যবস্থা করে দেন। তবে শাসক যদি (আল্লাহর কথা) ভুলে যায় তখন পরামর্শদাতা তা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর শাসক যদি স্মরণ রাখে তাহলে পরামর্শদাতা তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করে। আর যদি আল্লাহ তা’আলা কোনো শাসকের সাথে এর বিপরীত (তথা অকল্যাণ) কিছু করতে ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তার জন্য এমন একজন পরামর্শদাতার ব্যবস্থা করে দেন, যে যদি শাসক (আল্লাহর হুকুম-আহকাম) ভুলে যায় তাহলে পরামর্শতাদা তা স্মরণ করিয়ে দেয়না। আর যদি শাসক স্মরণ করেন, তাহলেও পরামর্শদাতা তাকে সহযোগিতা করে না। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِالْأَمِيرِ خَيْرًا جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ صِدْقٍ إِنْ نَسِيَ ذَكَّرَهُ وَإِنْ ذَكَرَ أَعَانَهُ. وَإِذَا أَرَادَ بِهِ غَيْرَ ذَلِكَ جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ سُوءٍ إِنْ نَسِيَ لَمْ يُذَكِّرْهُ وَإِنْ ذَكَرَ لَمْ يُعِنْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن عاىشة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا اراد الله بالامير خيرا جعل له وزير صدق ان نسي ذكره وان ذكر اعانه. واذا اراد به غير ذلك جعل له وزير سوء ان نسي لم يذكره وان ذكر لم يعنه» . رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৎ উজিরের (পরামর্শদাতার) প্রশংসা করেছেন, কেননা সৎ উজির বিপদের সময় শাসককে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে।

নিহায়াহ্ গ্রন্থে এসেছে, উজির ঐ ব্যক্তিকে বলে যে আমীরের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আমীরের পক্ষ থেকে সকল ভারী কাজগুলো সম্পাদন করে।

আবার কেউ কেউ বলেছেন, উজিরকে উজির বলে নামকরণ করা হয়েছে, কারণ সে অনেক কাজে আমীরের দায়িত্ব পালন করে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৮-[৪৮] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শাসক যখন জনগণের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধানে লিপ্ত থাকে, তখন তাদেরকে (জনগণের মন-মানসিকতাকে) নিকৃষ্টরূপে অধিষ্ঠিত করে। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْأَمِيرَ إِذَا ابْتَغَى الرِّيبَةَ فِي النَّاسِ أَفْسَدَهُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

وعن ابي امامة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «ان الامير اذا ابتغى الريبة في الناس افسدهم» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে শাসকদের জন্য উপদেশ রয়েছে। তারা যেন জনগণের ছোট খাট দোষ-ত্রুটি ও অপরাধ এবং তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় যেন খুঁজে না বেড়ায় আর যদি এরূপ করা হয় তাহলে তাদের সাধারণ জীবন ও তাদের দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যাবে। আর ধীরে ধীরে জনগণের ক্রোধ শাসকের ওপর বাড়তে থাকবে। কেননা খুব কম লোকই পাপ থেকে বেঁচে থাকে। যদি প্রত্যেক কথায় কথায় তাদেরকে আদব শিক্ষা দেয়া হয় তাহলে এটা তাদের ওপর অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। ফলে দেশে ফিতনা ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা শুরু হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৮১)

এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللّٰهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

অর্থাৎ ‘‘যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি গোপন করল আল্লাহ রববুল ‘আলামীন কিয়ামতের মাঠে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।’’ (সহীহুল বুখারী হাঃ ২৪৪২, সহীহ মুসলিম হাঃ ৫৮/২৫৮০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭০৯-[৪৯] মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি যদি মানুষের লুক্কায়িত দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধানে থাকো, তাহলে তুমি তাদেরকে বিপর্যস্ত বিপদগ্রস্ত করে ফেলবে। (বায়হাক্বী-শু’আবুল ঈমান)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّكَ إِذَا اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدْتَهُمْ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَان»

وعن معاوية قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «انك اذا اتبعت عورات الناس افسدتهم» . رواه البيهقي في «شعب الايمان»

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে মানুষের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ না করতে বলা হয়েছে। আর কেউ অন্বেষণ করে তাহলে সে যেন তাদেরকে খারাপ করে ফেলে।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ উক্ত হাদীসে সম্বোধনটা ‘আম্ আর বিষয়টা পূর্বের হাদীসে শাসকের সাথে খাস ছিল। সুতরাং বিষয়টা শুধু আমীরের সাথে সম্পৃক্ত, এরূপ সন্দেহে যেন আমীর না পড়ে বরং বিষয়টা প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত যারা মানুষের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করে বেড়ায়, চাই সে আমীর হোক বা প্রজা হোক। আর যদি আমরা বলি এখানে সম্বোধন দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মু‘আবিয়াহ্ , তাহলে এ হাদীসই দলীল তিনি আমীর হওয়ার। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭১০-[৫০] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার পরে তোমাদের ইমাম বা শাসকের সাথে কিরূপ আচার-ব্যবহার করবে, যখন তারা অমুসলিমদের থেকে ট্যাক্স বা কর ইত্যাদি আদায় করে তারাই ভোগ করবে? তিনি (আবূ যার) বলেন, আমি বললামঃ সে মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য নবী করে পাঠিয়েছেন। অবশ্যই আমি নিজ তরবারি কাঁধের উপর রেখে তাকে আঘাত করতে থাকবো যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার সাথে সাক্ষাৎ হয়। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম কোনো কাজের কথা বলব না? আর তা হচ্ছে আমার সাথে সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত (মৃত্যু অবধি) তুমি ধৈর্যধারণ করো। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ أَنْتُمْ وَأَئِمَّةً مِنْ بَعْدِي يَسْتَأْثِرُونَ بِهَذَا الْفَيْءِ؟» . قُلْتُ: أَمَا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ أَضَعُ سَيْفِي عَلَى عَاتِقِي ثُمَّ أَضْرِبُ بِهِ حَتَّى أَلْقَاكَ قَالَ: «أَوَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ؟ تَصْبِرُ حَتَّى تَلقانِي» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابي ذر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «كيف انتم واىمة من بعدي يستاثرون بهذا الفيء؟» . قلت: اما والذي بعثك بالحق اضع سيفي على عاتقي ثم اضرب به حتى القاك قال: «اولا ادلك على خير من ذلك؟ تصبر حتى تلقاني» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ উল্লেখিত হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণকে বললেন, প্রশ্ন হলো আমার পরে এমন কতিপয় আমীর আসবে যারা নিজেদের ট্যাক্স বা জিয্ইয়ার মাল ভোগ করবে তখন তোমাদের আচরণ তাদের সাথে কিরূপ হবে। এর মাধ্যমে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জানতে চাইলেন যে, তোমরা কি ঐ সময় ধৈর্য ধারণ করবে নাকি লড়াই করবে? কিন্তু আবূ যার বলেছেন যে, আমি শহীদ না হওয়া পর্যন্ত তার সাথে যুদ্ধ করব তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উত্তম পন্থা শিক্ষা দিয়েছেন। আর তা হলো, তুমি যুদ্ধ না করে ধৈর্য ধারণ করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء) 18. The Offices of Commander and Qadi
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে