পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৩-[৬] হাসান বসরী (রহঃ) সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার কোনো নিকটাত্মীয়ের (ক্রয়, দান, ওয়াসিয়্যাত বা ওয়ারিস সূত্রে) মালিক হয়, তখন সাথে সাথেই সে মুক্ত হয়ে যাবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

عَن الْحسن عَن سَمُرَة عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «من ملك ذَا رحم محرم فَهُوَ حُرٌّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَه

عن الحسن عن سمرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من ملك ذا رحم محرم فهو حر» . رواه الترمذي وابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (رِحْمٍ) মূলত সন্তান হওয়ার স্থান, এরপরে শব্দটি ব্যবহার হয়েছে নিকটস্থের জন্য। অতঃপর প্রয়োগ হয় তোমার এবং তার মাঝে এমন সম্পর্ক স্থাপন হয় যাতে বিবাহ হারাম হওয়া অপরিহার্য হয়। (مَحْرَمٍ) নিকটস্থের মধ্যে যার সাথে বিবাহ হারাম হয়, যেমন- পিতা, মাতা, ভাই, চাচা। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৬৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৪-[৭] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির ঔরসে তার দাসী সন্তান প্রসব করে, সে ব্যক্তির মৃত্যুর পর অথবা পরে উক্ত দাসী মুক্ত হয়ে যাবে। (দারিমী)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا وَلَدَتْ أَمَةُ الرَّجُلِ مِنْهُ فَهِيَ مُعْتَقَةٌ عَنْ دُبُرٍ مِنْهُ أَوْ بَعْدَهُ» . رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ

وعن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «اذا ولدت امة الرجل منه فهي معتقة عن دبر منه او بعده» . رواه الدارمي

ব্যাখ্যা: মালিকের ঔরসে যে দাসীর গর্ভ হতে সন্তান জন্মলাভ করে ইসলামী পরিভাষায় তাকে উম্মুল ওয়ালাদ বলে। (عَنْ دُبُرٍ مِنْهُ) মৃত্যুর পরে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৫-[৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ)-এর সময়ে উম্মুল আওলাদ (তথা মুনীবের সন্তানের মাকে) ক্রয়-বিক্রয় করেছি। কিন্তু ’উমার (রাঃ)-এর খিলাফাত সময়ে তিনি আমাদেরকে তা করা হতে নিষেধ করেন। অতঃপর আমরা তা থেকে বিরত রয়েছি। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: بِعْنَا أُمَّهَاتِ الْأَوْلَادِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ نَهَانَا عَنْهُ فَانْتَهَيْنَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن جابر قال: بعنا امهات الاولاد على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وابي بكر فلما كان عمر نهانا عنه فانتهينا. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: মুনযিরী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু মাজাহ্ ও নাসায়ীতে বর্ণিত, আবুয্ যুবায়র হতে, তিনি বলেন, আমরা উম্মুল ওয়ালাদ ক্রয় বিক্রয় করতাম তখন নাবী জীবিত ছিলেন, অথচ তিনি কোনো কিছু মনে করতেন না।

পূর্বের হাদীসে বলা হয়েছে, উম্মুল ওয়ালাদ ক্রয় বিক্রয় জায়িয নেই আর এ হাদীসগুলো তার বিপরীত। নিরসনে সম্ভবতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় তাদের পক্ষ হতে হয়েছে, কিন্তু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গোচরে আসেনি। কেননা বিষয়টি খুবই স্বল্প সংখ্যক ছিল। অথবা উম্মুল আওলাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি অন্যান্য গোলামের মতো যে যাদের ওপর মালিকানার আদান প্রদান হত এবং ব্যাপকহারে বেচাকেনা হত। সুতরাং বিষয়টি সুস্পষ্ট ছিল না, কোনটি খাস এবং ‘আম্।

অথবা এও সম্ভাবনা রয়েছে, প্রথম যুগে তা বৈধ ছিল, পরে তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেন আর বিষয়টি আবূ বাকর জানতে পারেননি, হতে পারে এর তাঁর স্বল্প সময়ের শাসনামলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি অথবা দীনের কাছে ও ধর্মচ্যুতদের যুদ্ধের কারণে। অতঃপর এটা হতে ‘উমার নিষেধ করলেন যখন এ ধরনের সংবাদ পৌঁছল আর তিনি নিষেধাজ্ঞার সংবাদ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে পেয়েছেন, ফলে জনগণ এ থেকে বিরত হলো। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯৪৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৬-[৯] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার গোলামকে মুক্ত করে এবং সেই গোলামের যদি অর্থ-সম্পদ থাকে তাহলে মালিক তার ঐ সম্পদের অধিকারী হবে। তবে মালিক যদি ভিন্ন কোনো শর্ত করে। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُ الْعَبْدِ لَهُ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ السَّيِّدُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من اعتق عبدا وله مال فمال العبد له الا ان يشترط السيد» . رواه ابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (فَمَالُ الْعَبْدِ) কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ সম্পদকে দাসের দিকে সম্বন্ধযুক্ত ইখতেসাস তথা নির্দিষ্টের সম্বোধনযুক্ত মালিকানা সম্বোধনের ভিত্তিতে না। আর লাম্‘আতে রয়েছে, মালের সম্বন্ধ দাসের দিকে মালিকানার ভিত্তিতে নয়, বরং আয়ত্ত্বের দৃষ্টিতে। (لَه) তার জন্য সর্বনাম কোনদিকে গেছে, এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কারও মতে দাসের দিকে, তবে অধিকাংশের মত হলো দাসকে মুক্তকারী।

(إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ) তথা দাসের জন্য। আর ইবনু মাজার শব্দ (إِلَّا أَنْ يَشْتَرِط السَّيِّد مَاله فَيَكُون لَه) তবে যদি মুক্তি দানকারী প্রভু সে মাল গোলাম পাবে বলে শর্ত জুড়ে দেয় তাহলে তা তার জন্য। সিনদী (রহঃ) বলেনঃ (إِلَّا أَنْ يَشْتَرِط السَّيِّد) তথা গোলামের জন্য তা হবে মুক্তিদানকারী প্রভুর পক্ষ হতে অনুদান।

ইমাম মালিক ও দাঊদ এ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ দাসের মালিকানা অর্জিত হয় মুনীবের মালিকানা অর্পণের মাধ্যমে- এ মতে শাফি‘ঈ-এর পুরাতন মত।

অধিকাংশের মতে মুনীবের মালিকানা অর্পণের মাধ্যমে দাসের মালিকানা অর্জিত হয় না- শাফি‘ঈ-এর নতুন মত। এটাই সহীহ, যেমন হাদীসে এসেছে, (مَنْ اِبْتَاعَ عَبْدًا وَلَه مَال فَمَاله لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِط الْمُبْتَاع) যে দাস ক্রয় করে আর যদি তার মাল থাকে সে মাল বিক্রেতার তথা মুনীবের তবে যদি ক্রেতা শর্ত করে।

খত্ত্বাবী বলেনঃ হামদান বিন সাহল ইবরাহীম নাখ‘ঈ হতে বর্ণনা করেন, যে মুনীব দাসমুক্ত করবে সম্পদ দাসেরই- এ হাদীস প্রমাণিত, তবে এর জওয়াব দেয়া হয়েছে দু’ ভাবে। প্রথমতঃ (فَمَال الْعَبْد لَه) সর্বনামটি কোনদিকে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে মুক্তিদানকারীর দিকে আর তার শর্তটি দাসের জন্য অনুদান স্বরূপ।

দ্বিতীয়তঃ ‘উলামাদের ঐকমত্য হলো (لَا يَرِثهُ وَلَا يَمْلِكه) দাসকে উত্তরাধিকারী বানানো যাবে না এবং মালিকানাও করা যাবে না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯৫৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৭-[১০] আবুল মালীহ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। একদিন জনৈক ব্যক্তি তার এক গোলামের কিয়দংশ মুক্ত করে দেয়। অতঃপর এতদসম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানানো হলে তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলার কোনো শরীক নেই। এরপর গোলামটি পরিপূর্ণরূপে মুক্ত করার নির্দেশ করলেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن الْمَلِيحِ عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ شِقْصًا مِنْ غُلَامٍ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَيْسَ لِلَّهِ شَرِيكٌ» فَأَجَازَ عتقه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن المليح عن ابيه: ان رجلا اعتق شقصا من غلام فذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقال: «ليس لله شريك» فاجاز عتقه. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (لَيْسَ لِلّٰهِ شَرِيكٌ) ‘‘আল্লাহর কোনো অংশীদার নেই’’ তাৎপর্য হলো দাস মুক্ত করা কেবলমাত্র আল্লাহরই জন্য। সুতরাং উচিত হবে সম্পূর্ণ গোলামটাকেই আযাদ করা এবং তাকে নিজের জন্য শরীক করবে না তথা কিছু অংশ মুক্ত করার পর অবশিষ্ট অংশটি গোলাম হিসেবে নিজের জন্য রেখে দিবে এমনটি করবে না। ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ মুনীব এবং দাস সৃষ্টিগতভাবে সবাই সমান, তবে আল্লাহ একে অপরের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৮-[১১] সাফীনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর গোলাম ছিলাম। (একদিন) তিনি আমাকে বললেন, আমি তোমাকে এ শর্তে মুক্তি দিতে চাই যে, তুমি যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাত করবে। তখন আমি বললাম, আপনি এ শর্তারোপ না করলেও আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাত হতে দূরে থাকব না। অতঃপর তিনি আমাকে মুক্ত করে দিলেন এবং আমার ওপর উক্ত শর্তারোপ করলেন। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن سفينة قَالَ: كُنْتُ مَمْلُوكًا لِأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ: أُعْتِقُكَ وَأَشْتَرِطُ عَلَيْكَ أَنْ تَخْدُمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عِشْتَ فَقُلْتُ: إِنْ لَمْ تَشْتَرِطِي عَلَيَّ مَا فَارَقْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عِشْتُ فَأَعْتَقَتْنِي وَاشْتَرَطَتْ عَلَيَّ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن سفينة قال: كنت مملوكا لام سلمة فقالت: اعتقك واشترط عليك ان تخدم رسول الله صلى الله عليه وسلم ما عشت فقلت: ان لم تشترطي علي ما فارقت رسول الله صلى الله عليه وسلم ما عشت فاعتقتني واشترطت علي. رواه ابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: নায়লুল আওত্বারে এসেছে, ‘আল্লামা শাওকানী এ হাদীস দ্বারা দালীল গ্রহণ করেছেন যে, শর্ত জুড়ে দিয়ে গোলাম আযাদ করা বৈধ। ইবনু রুশ্দ বলেনঃ মতানৈক্য হয়নি যখন মুনীব তার দাসকে আযাদ করে এ শর্তের ভিত্তিতে সে যেন কয়েক বছর তার খিদমাত করে আযাদ করা পরিপূর্ণ হবে না তার খিদমাত ব্যতিরেকে। শারহুস্ সুন্নাতে ইবনু রাসলান বলেনঃ এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে ইবনু সিরীন অনুরূপ শর্তকে সাব্যস্ত করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯২৭)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফীনাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৯৯-[১২] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুকাতাব (বিনিময়কৃত চুক্তিবদ্ধ গোলাম) সেই পর্যন্ত গোলাম থাকবে, যে পর্যন্ত তার ওপর শর্তকৃত একটি দিরহামও অবশিষ্ট থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ مُكَاتبَته دِرْهَم» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «المكاتب عبد ما بقي عليه من مكاتبته درهم» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ইবনুত্ তীন বলেনঃ মুকাতাবাহ্ ইসলামের পূর্বকাল হতে পরিচিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টিকে অটুট রেখেছেন (আর মুকাতাবাহ্ হলো যেই ক্রীতদাস একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিজের মুক্তির জন্য তার প্রভুর সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এমন ক্রীতদাসকে ইসলামী পরিভাষায় বলা হয় মুকাতাব)। ইবনু ‘উমার বলেন, মুকাতাবাহ্ হলো এমন দাস যার ওপর লিখিত চুক্তির অংশ এখনও অবশিষ্ট হয়। অনুরূপ সংজ্ঞা ইবনুয্ যুবায়র ও সুলায়মান ইবনু ইয়াসার দিয়েছেন।

عَنْ سُلَيْمَان بْن يَسَار قَالَ اِسْتَأْذَنَتْ عَلٰى عَائِشَة فَعَرَفَتْ صَوْتِي فَقَالَتْ سُلَيْمَان فَقُلْت سُلَيْمَان فَقَالَتْ أَدَّيْت مَا بَقِيَ عَلَيْك مِنْ كِتَابَتك قُلْت نَعَمْ إِلَّا شَيْئًا يَسِيرًا

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার বলেনঃ আমি অনুমতি চাইলাম ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট তিনি আমার আওয়াজ চিনতে পেরে বললেন, সুলায়মান? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি সুলায়মান। অতঃপর তিনি বললেন, তোমার চুক্তির কোনো অবশিষ্ট আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, সামান্য কিছু। তিনি বললেন, তুমি প্রবেশ কর কেননা তুমি এখনও দাস চুক্তিতে আবদ্ধ অংশ অবশিষ্ট রয়েছে। শাফি‘ঈ এবং সা‘ঈদ ইবনু মানসূর যায়দ বিন সাবিত হতে বর্ণিত, মুকাতাব হলো এমন দাস যার ওপর দিরহাম অবশিষ্ট রয়েছে।

খত্ত্বাবী বলেনঃ এ হাদীসটি জোরালো দলীল যারা মনে করেন মুকাতাব বিক্রি করা বৈধ।

কেননা যখন কেউ দাস হিসেবে থাকে সে মূলত দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ আর যখন প্রভুর মালিকানায় অবশিষ্ট রয়েছে তখন অন্যের জন্য মালিকানা হতে পারে না। হাদীসে দলীল হিসেবে সাব্যস্ত হয় মুকাতাব যদি মারা যায় তার পূর্ণ অংশ আদায়ের পূর্বে তাহলে সে মুক্তির আওতায় আসবে না তথা ক্রীতদাসের হুকুমেই থাকবে। কেননা সে মৃত্যুবরণ করেছে দাস অবস্থায় মৃতের পরে সে স্বাধীন হবে না এবং তার সম্পদ তার মুনীব গ্রহণ করবে। আর তার সন্তানেরা তার মুনীবেরই দাস হিসেবে থাকবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯২১)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৪০০-[১৩] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যদি কারো মুকাতাব গোলামের নিকট চুক্তিবদ্ধ আদায়যোগ্য অর্থ-সম্পদ থাকে, তখন অবশ্যই তার থেকে পর্দা করবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ عِنْدَ مكَاتب إحداكن وَفَاء فلنحتجب مِنْهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن ام سلمة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا كان عند مكاتب احداكن وفاء فلنحتجب منه» . رواه الترمذي وابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা : হাদীস প্রমাণ করে দু’টি মাসআলার উপর, প্রথম মুকাতাবের নিকট যদি পরিশোধ পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে সে স্বাধীন হওয়ার হুকুমে চলে আসবে, ফলে তার সাথে তা মুনীব মহিলা পর্দা করবে যদিও মূল্য পরিশোধ করে না থাকে তবে এটা ‘আমর ইবনু শু‘আয়ব-এর হাদীসের বিরোধী। সমাধান নিরসনে ঈমাম শাফি‘ঈ বলেনঃ এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাস।

দ্বিতীয় ভাষ্যমতে দাসের জন্য তার মহিলা মুনীবের দিকে তাকানো বৈধ যতক্ষণ না মুকাতাব হবে আর যেটি কুরআনের বক্তব্য  أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ ‘‘স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদী’’।

আরও দলীল প্রমাণ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী :

لِفَاطِمَة رَضِيَ اللّٰه عَنْهَا لَمَّا تَقَنَّعَتْ بِثَوْبٍ وَكَانَتْ إِذَا قَنَّعَتْ رَأْسهَا لَمْ يَبْلُغ رِجْلَيْهَا وَإِذَا غَطَّتْ رِجْلَيْهَا لَمْ يَبْلُغ رَأْسهَا فَقَالَ النَّبِيّ ﷺ «لَيْسَ عَلَيْك بَأْس إِنَّمَا هُوَ أَبُوك وَغُلَامك

যখন ফাতিমা (রাঃ) এক কাপড় দিয়ে ঢাকছিলেন যখন মাথা ঢাকছিলেন কাপড় তার পা পর্যন্ত পৌঁছে না, আবার পা ঢাকছিলেন মাথা পর্যন্ত পৌঁছে না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সমস্যা নেই তোমার সামনে তোমার পিতা এবং তোমার গোলাম।

এ মতের দিকে অধিকাংশ সালাফী ‘উলামারা গেছেন এবং ইমাম শাফি‘ঈ। তবে আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে দাস বেগানা বা অপরিচিতের মতো। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৪২৩)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৪০১-[১৪] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা থেকে হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার গোলামের সাথে একশত উকিয়্যাহ্’র (চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়্যাহ্) বিনিময়ে মুক্তিপণ করেছে। কিন্তু দশ উকিয়্যাহ্ অথবা দশ দীনার বাকি রেখে পরিশোধে অক্ষম হয়ে গেল, তাহলে সে গোলামই থেকে গেল। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ كَاتَبَ عَبْدَهُ عَلَى مِائَةِ أُوقِيَّةٍ فَأَدَّاهَا إِلَّا عَشْرَ أَوَاقٍ أَوْ قَالَ: عَشْرَةَ دَنَانِيرَ ثُمَّ عَجَزَ فَهُوَ رَقِيقٌ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: من كاتب عبده على ماىة اوقية فاداها الا عشر اواق او قال: عشرة دنانير ثم عجز فهو رقيق . رواه الترمذي وابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: أوقية শব্দটি একবচন, বহুবচন أواقى। এক পূর্ব যুগ হতে পরিচিত এক উক্বিয়্যাহ্ সমান চল্লিশ দিরহাম। হাদীস দলীল হিসেবে প্রমাণ করে মুকাতাব বেচাকেনা বৈধ, কেননা সে দাস হিসেবেই সাব্যস্ত আর প্রত্যেক দাসই ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। অধিকাংশেরই এটাই অভিমত। তবে ‘আলী, ইবনু ‘আব্বাস এবং ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) এর বিরোধিতা করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯২২)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৪০২-[১৫] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো মুকাতাব (চুক্তিবদ্ধ গোলাম) রক্তপণ বা উত্তরাধিকারের অংশীদার হয়, তাহলে সে যে পরিমাণ মুক্ত হয়েছে সে পরিমাণ উত্তরাধিকার পাবে। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]

তিরমিযীর অন্য বর্ণনাতে আছে, তিনি বলেছেনঃ মুকাতাবের রক্তপণ তার পরিশোধকৃত অংশ পরিমাণ স্বাধীন লোকের রক্তপণ হিসেবে আর বাকি অংশের রক্তপণ গোলাম হিসেবে আদায় করতে হবে। তিনি হাদীসটিকে য’ঈফ বলেছেন।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أَصَابَ الْمُكَاتَبُ حَدًّا أَوْ مِيرَاثًا وَرِثَ بِحِسَابِ مَا عَتَقَ مِنْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ قَالَ: «يُودَى الْمُكَاتَبُ بِحِصَّةِ مَا أَدَّى دِيَةَ حر وَمَا بَقِي دِيَة عبد» . وَضَعفه
الفص الثَّالِث

وعن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «اذا اصاب المكاتب حدا او ميراثا ورث بحساب ما عتق منه» . رواه ابو داود والترمذي وفي رواية له قال: «يودى المكاتب بحصة ما ادى دية حر وما بقي دية عبد» . وضعفه الفص الثالث

ব্যাখ্যা: হাদীসের ভাবার্থ হলো, যখন সাব্যস্ত হলো মুকাতাবের জন্য দিয়াত অথবা মীরাস তার জন্য ঐ পরিমাণে দিয়াত এবং মীরাস বাস্তবায়ন হবে যে পরিমাণ মুক্ত হয় সে অনুপাতে, যেমন কোনো মুকাতাব অর্ধেক পরিমাণ মূল্য আদায় করে, অতঃপর তার বাবা মারা গেল আর সে স্বাধীন, তাহলে সে উত্তরাধিকার হবে তা হতে তার অর্ধেক সম্পদ হতে- এ ব্যাপারে কেউ মতানৈক্য করেনি।

অথবা যেমন কোনো মুকাতাবের ওপর কেউ ক্রাইম করে বা তাকে হত্যা করে আর এমতাবস্থায় মুকাতাব কিছু অংশ পরিশোধ করে তাহলে অপরাধীর ওপর বর্তাবে যে পরিমাণ মুক্ত হয়েছে। সে অনুপাতে তার ওয়ারিসকে দিয়াত দিবে আর যে পরিমাণ অবশিষ্ট আছে সে অনুপাতে দিয়াত তার মুনীবকে দিবে। যেমন তার মুক্তিপণ ছিল একহাজার দিরহাম। কিন্তু তার নিজের মূল্য একশত দিরহাম, পরে তার মুক্তিপণের পাঁচশত দিরহাম আদায় করবার নিয়্যাতে হয়েছে। এমতাবস্থায় তার ওয়ারিসরা পাবে পাঁচশত দিরহাম এবং তার মালিক পাবে পঞ্চাশ দিরহাম। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১২৫৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৪: গোলাম মুক্তিকরণ (كتاب العتق) 14. Emancipation
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে