পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৮৮-[১] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো অংশীদারী মালিকানাধীন গোলামের মধ্যে স্বীয় অংশ মুক্ত করল, (তার পক্ষে এটাই সর্বোত্তম) যদি তার নিকট কোনো ন্যায়পরায়ণ লোকের নিরূপিত মূল্য অনুযায়ী গোলামটির সমপরিমাণ মূল্য থাকে, তখন সে অপর অংশীদারদেরকে তাদের অংশের মূল্য পরিশোধ করে গোলামটি (তার পক্ষ থেকে) মুক্ত করে দিবে। অন্যথায় সে যতটুকু অংশ মুক্ত করেছে ততটুকু অংশই মুক্ত বলে পরিগণিত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ وَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ الْعَبْدُ قِيمَةَ عَدْلٍ فَأُعْطِيَ شُرَكَاؤُهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ»
ব্যাখ্যা: (فَأُعْطِىَ شُرَكَاؤُه) যদি অংশীদার থাকে তাহলে সকল অংশীদারকে তাদের স্ব স্ব অংশ মূল্য পরিশোধ করবে। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫২২)
ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ যৌথ মালিকানাধীন ক্রীতদাসের কোনো একজন অংশীদার তার নিজের অংশ আযাদ করে দিলে ক্রীতদাসকে পুরোপুরি মুক্তি দানকারীও ঐ ব্যক্তির ওপর দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় যদি তার জন্য সহজ হয়, চাই ক্রীতদাসটি মুসলিম হোক বা কাফির হোক আর অংশীদাররাও মুসলিম হোক বা কাফির হোক। কারও কোনো স্বাধীনতা থাকবে না, চাই অংশীদার হোক বা দাস হোক বা আযাদকারী হোক, এক্ষেত্রে বরং আযাদ করাটাই সাব্যস্ত হবে যদিও সবাই তা অপছন্দ করে স্বাধীনতা হওয়ার সৃষ্টিতে আল্লাহর অধিকারের প্রতি দৃষ্টি রাখে।
ইবনু হুমাম বলেনঃ যখন কোনো ক্রীতদাস দু’জন যৌথ মালিকানাধীনের অধীনে থাকবে তাদের দু’জনের একজন যদি তার অংশকে আযাদ করে দেয় তাহলে ক্রীতদাসের দাসত্বের শৃঙ্খলা মুছে যাবে। আর যদি আযাদকারীর শরীক কোনো এক শারীকানা মালিক সামর্থ্যবান হন তাহলে অপর অংশীদারের স্বাধীনতা রয়েছে সেও তার অংশ আযাদ করে দিবে অথবা ক্রীতদাসকে শ্রমে খাটিয়ে তার অংশের মূল্য পরিমাণ উসূল করে নিবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৮৯-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অংশীদারী মালিকানাধীন গোলামের মধ্যে স্বীয় অংশ মুক্ত করে দেয়। আর তার নিকট যদি (অপর অংশীদারদের অংশের মূল্য পরিশোধের) সম্পদ থাকে, তাহলে তার পক্ষ থেকে গোলামটি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে যাবে। আর যদি তার নিকট ধন-সম্পদ না থাকে, সেক্ষেত্রে গোলামটিকে তার সামর্থ্যানুযায়ী শ্রমে খাটানো (কাজে) লাগানো হবে, বিনিময়ে পরিশোধসাপেক্ষে মুক্ত হয়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا فِي عَبْدٍ أُعْتِقَ كُلُّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ اسْتَسْعَى الْبعد غير مشقوق عَلَيْهِ»
ব্যাখ্যা: ‘উলামারা হাদীসে (اسْتَسْعٰى) এর অর্থ বলেছেন যে, দাসকে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেয়া হবে যে দৈহিক পরিশ্রম করে অপর অংশীদারের অংশের মূল্য পরিমাণে উসূল করে নিজকে আযাদ করে নিবে। আবার কেউ বলেছেন, খিদমাত নেয়া তথা অংশের মূল্য পরিমাণ মালিকের খিদমাত বা পরিচর্যা করলে দেনা পরিশোধ হবে।
যৌথ মালিকাধীন ক্রীতদাসের কোনো একজন হয় অংশীদার নিজের অংশ আযাদ করে দেয় আর সে যদি সামর্থ্যবান হয় তাহলে ‘উলামারা এর হুকুমের ব্যাপারে মতানৈক্য করেছেন।
প্রথমতঃ এটা সহীহ শাফি‘ঈর মাযহাব। এ মতে ইবনু শুব্রম্নমাহ্, আওযা‘ঈ, ইবনু আবূ লায়লা, আবূ ইউসুফ, মুহাম্মাদ বিন হাসান এবং আহমাদ বিন হাম্বল ও কিছু মালিকীরা গেছেন যে, আযাদকারী অংশীদার অন্যান্য অংশীদারকে তাদের স্ব স্ব অংশ পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করে গোলামটিকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে দিবে।
দ্বিতীয়তঃ মূল্য পরিশোধ না করে আযাদ করা যাবে না, এটা প্রসিদ্ধ মালিকী মাযহাব
তৃতীয়তঃ অংশীদারের ইচ্ছাধীন রয়েছে যে, ক্রীতদাসটিকে শ্রমে খাটিয়ে অংশের মূল্য পরিমাণে উসুল করে নিবে অথবা আর তার অংশটাও আযাদ করে দিবে। এটা আবূ হানীফাহ্-এর আভিমত।
চতুর্থতঃ সরকারী কোষাগার বাকী মূল্য পরিশোধ করবে- ইবনু সীরীন-এর মত। (শারহে মুসলিম ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫০২)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯০-[৩] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি প্রাণ-ওষ্ঠাগত অবস্থায় তার ছয়টি গোলামকে মুক্ত করে দেয়। অথচ এ ছাড়া তার অন্য কোনো সহায়-সম্পদ ছিল না। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে গোলামদেরকে ডেকে পাঠালেন এবং তিন ভাগে বিভক্ত করলেন। অতঃপর লটারীর মাধ্যমে তাদের দু’জনকে মুক্ত করে দিলেন এবং চারজনকে গোলামরূপেই রেখে দিলেন। পরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুক্তিদানকারী ব্যক্তিকে কঠোর বাক্য বললেন। (মুসলিম)[1]
আর ইমাম নাসায়ী (রহঃ) উক্ত বর্ণনাকারী হতে বর্ণনা করেন যে, ’’কঠোর বাক্য’’ বলার স্থানে ’’আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, আমি তার জানাযার সালাত আদায় করব না’’ উল্লেখ করেছেন। আর আবূ দাঊদ-এর রিওয়ায়াতে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আমি যদি তার দাফন করার পূর্বে সেখানে থাকতাম, তাহলে তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফনকার্য করা হতো না।’’
بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ
وَعَن عمرَان بن حُصَيْن: أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ سِتَّةَ مَمْلُوكِينَ لَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَدَعَا بهم رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَزَّأَهُمْ أَثْلَاثًا ثُمَّ أَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ اثْنَيْنِ وَأَرَقَّ أَرْبَعَةً وَقَالَ لَهُ قَوْلًا شَدِيدًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْهُ وَذَكَرَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لَا أُصَلِّيَ عَلَيْهِ» بَدَلَ: وَقَالَ لَهُ قَوْلًا شَدِيدًا وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: قَالَ: «لَوْ شَهِدْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُدْفَنَ لَمْ يُدْفَنْ فِي مَقَابِر الْمُسلمين»
ব্যাখ্যা: (قَوْلًا شَدِيدًا) কঠোর বাক্য ভৎর্সনা করলেন তার কাজটিকে অপছন্দ মনে করে এবং তার ওপর কঠোর হওয়ার জন্য। এ হাদীসের ব্যাখ্যা বর্ণনায় এভাবে এসেছে, (لَوْ عَلِمْنَا مَا صَلَّيْنَا عَلَيْهِ) আমরা যদি জানতাম তাহলে জানাযা আদায় করতাম না।
(لَا أُصَلِّىَ عَلَيْهِ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উদ্দেশ্য হলো, তিনি একাই তার ওপর জানাযার সালাত আদায় করবেন না ধার্মিক স্বরূপ অন্যদের ওপর যে এরূপ করবে। (শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৬৬৮)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯১-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো সন্তানই তার পিতার প্রতিদান (ঋণ পরিশোধ করতে) দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, তার পিতা যদি কারো গোলামরূপে থাকে এবং সে ক্রয় করে মুক্ত করে দেয়। (মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَجْزِي وَلَدٌ وَالِده إِلَّا أَن يجده مَمْلُوكا فيشتر بِهِ فيعتقه» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: সন্তানের ওপর পিতা-মাতার অধিকার বা ইহসান অপরিসীম আর তা কেবলমাত্র তাদেরকে আযাদ বা মুক্ত করার মাধ্যমে আদায় হয়। আর মতানৈক্য রয়েছে নিকটাত্মীয় মুক্তির ব্যাপারে যখন মালিকানা হলেই মুক্ত হবে না, চাই পিতা হোক বা সন্তান হোক বা অন্য কোনো নিকটত্মীয় হোক, বরং অবশ্যই মুক্ত করার সূচনা বা পরিবেশ করতে হবে। তারা উপরোক্ত হাদীসের ভাষ্যকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
আর জুমহূর ‘উলামাদের মতে, মালিকানা হলেই মুক্ত বলে বিবোচিত হবে। বাবা, মা, দাদা, দাদী যতই উপরে হোক এবং ছেলে, মেয়ে ও তাদের সন্তান ছেলে হোক মেয়ে হোক যতই নীচের স্তরে থাক না কেন চাই তারা মুসলিম হোক কাফির হোক নিকটস্থ হোক আর দুরস্থ হোক। (শারহে মুসলিম ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫১০)
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা
৩৩৯২-[৫] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক আনসারী সাহাবী তার একটি গোলামকে ’মুদাববার’ (মৃত্যুর পরে মুক্ত) করলেন। অথচ তার (একটি গোলাম ছাড়া) আর কোনো অর্থ-সম্পদ ছিল না। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সংবাদ পৌঁছলে তিনি বললেন, কে আমার নিকট হতে এ গোলামটি ক্রয় করবে? তখন নু’আয়ম ইবনুন্ নাহহাম আটশত দিরহামের বিনিময়ে তাকে ক্রয় করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ
وَعَنْ جَابِرٍ: أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ دَبَّرَ مَمْلُوكًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَبَلَغَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَنْ يَشْتَرِيهِ مني؟» فَاشْتَرَاهُ نعيم بن النَّحَّامِ بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَدَوِيُّ بثمانمائة دِرْهَم فجَاء بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «ابْدَأْ بِنَفْسِكَ فَتَصَدَّقْ عَلَيْهَا فَإِنْ فَضَلَ شَيْءٌ فَلِأَهْلِكَ فَإِنْ فَضَلَ عَنْ أَهْلِكَ شَيْءٌ فَلِذِي قَرَابَتِكَ فَإِنْ فَضَلَ عَنْ ذِي قَرَابَتِكَ شَيْءٌ فَهَكَذَا وَهَكَذَا» يَقُولُ: فَبين يَديك وَعَن يَمِينك وَعَن شمالك
ব্যাখ্যা: تَدْبِيْرُ (তাদবীর) সংজ্ঞায় ইবনু হুমাম বলেনঃ কার্যাবলীর শেষ সময় পর্যন্ত ঢিল দেয়া। পারিভাষিক অর্থে মৃত্যুর পরে দাস মুক্ত হওয়া শর্ত জুড়ে দেয়া ‘আম্ভাবে মৃত্যুর পরেই মুক্ত।
হিদায়াহ্ প্রণেতা বলেন, যেমন মুনীর বলেনঃ (إِذَا مُتُّ فَأَنْتَ حُرٌّ) আমি মারা গেলে তুমি স্বাধীন, (أَوْ أَنْتَ حُرٌّ عَنْ دُبُرٍ) তুমি স্বাধীন আমার মৃত্যুর পরে। (أَوْ أَنْتَ مُدَبَّرٌ) তুমি মুদবির।
এ হাদীসের আলোকে শাফি‘ঈ মাযহাবের মতে মুনীবের মৃত্যুর পূর্বে মুদাববার গোলাম বিক্রয় বৈধ।
ইমাম আবূ হানীফাহ্, মালিক, জুমহূর ‘উলামায়ে এবং হিজাযী সালাফিয়া বলেন, মুদাববার গোলামকে বিক্রি করা বৈধ নয়। আর অত্র হাদীসে বিক্রি বিষয়টি মূলত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিক্রি করেছিল মুদাববারকে তার মালিক ঋণগ্রস্ত ছিল। নাসায়ী ও দারাকুত্বনীতে এসেছে, أَنَّ النَّبِيَّ - عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - قَالَ : (اقْضِ دَيْنَكَ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি তোমার ঋণ পরিশোধ কর। (মিরকাতুল মাফাতীহ)