পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪০-[১] রুবায়ই’ বিনতু মু’আবিবয ইবনু ’আফরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেদিন আমাকে প্রথম স্বামীর ঘরে দেয়া হলো সেদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে এসে বিছানায় বসলেন, যেমনভাবে তুমি (বর্ণনাকারী রাবী খালিদ ইবনু যাক্ওয়ান) আমার নিকটে বসে আছ। এ সময় বালিকাগণ দফ (একমুখো ঢোল) বাজিয়ে বদর যুদ্ধে শহীদ আমার পিতৃ-পুরুষের শোকগাঁথা গাইতে লাগল। তন্মধ্যে (বালিকাগণের) একজন গেয়ে উঠল, ’’আমাদের মাঝে এমন একজন নবী আছেন, যিনি আগামীদিনের (ভবিষ্যতের) খবর রাখেন’’। এটা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এগুলো বলো না, বরং যা পূর্ব থেকে বলে আসছিলে তাই বল। (বুখারী)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
عَن الرّبيع بنت معوذ بن عَفْرَاءَ قَالَتْ: جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ حِينَ بُنِيَ عَلَيَّ فَجَلَسَ عَلَى فِرَاشِي كمجلسك مني فَجعلت جويرات لَنَا يَضْرِبْنَ بِالدُّفِّ وَيَنْدُبْنَ مَنْ قُتِلَ مِنْ آبَائِي يَوْمَ بَدْرٍ إِذْ قَالَتْ إِحْدَاهُنَّ: وَفِينَا نَبِيٌّ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَالَ: «دَعِي هَذِهِ وَقُولِي بِالَّذِي كُنْتِ تَقُولِينَ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যা: তোমরা আমার প্রশংসার সাথে সংশ্লিষ্ট এমন কথা, যা বাড়াবাড়িমূলক তা বর্জন কর। হাম্মাদ বিন সালামাহ্ -এর বর্ণনায় বর্ধিত রয়েছে যে, আগামীকাল কি ঘটবে তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা জানেন। আলোচ্য হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দফ ও গান গাওয়ার মাধ্যমে বিবাহের ঘোষণা করা বৈধ। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিরঞ্জিত করা ঘৃণা করতেন। অদৃশ্যের সংবাদ জানা এটা আল্লাহ তা‘আলার সিফাত যা আল্লাহ তা‘আলার জন্য খাস। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ হে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি বলুন, আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী এবং জমিনের কেউ অদৃশ্যের ব্যাপারে অবগত নয়। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বলুন! আমি আমার নিজের লাভ-ক্ষতির ব্যাপারে অবগত নই, তবে আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। যদি আমি অদৃশ্যের ব্যাপারে জানতাম তাহলে আমার জন্য কল্যাণই বৃদ্ধি করে নিতাম। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫১৪৭)
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪১-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসার গোত্রের জনৈক পুরুষের সাথে জনৈকা নারীর বিয়ের পরে যখন তাকে স্বামীর নিকট ঘরে পাঠানো হলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের নিকট কি কোনো (আনন্দোল্লাস উপকরণ স্বরূপ) ক্রীড়াকৌতুক ছিল না? আনসারগণ তো আমোদ-প্রমোদপ্রিয়। (বুখারী)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنهُ قَالَتْ: زُفَّتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا كَانَ مَعَكُمْ لَهْوٌ؟ فَإِنَّ الْأَنْصَارَ يُعْجِبُهُمُ اللَّهْو» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: ইবনু ‘আব্বাস ও জাবির (রাঃ)-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, আনসারীরা এমন সম্প্রদায় যারা গজল খুব ভালোবাসে। এছাড়াও একাধিক বিশুদ্ধ হাদীসে মহিলাদের জন্য গান বা গজল গাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়। তবে গান গাওয়া মহিলাদের সঙ্গে যেন পুরুষের সংশ্লিষ্টতা না থাকে। কারণ পুরুষের মহিলার সাদৃশ্য ও মহিলার পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫১৬২)
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪২-[৩] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাও্ওয়াল মাসে বিবাহ করেছেন এবং ঐ মাসেই আমার বাসর রজনী হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে আমার চেয়ে কে অধিক (তার ভালোবাসা প্রাপ্তিতে) সৌভাগ্যবতী ছিলেন? (মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْهَا قَالَتْ: تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ وَبَنَى بِي فِي شَوَّالٍ فَأَيُّ نِسَاءِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي؟ . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) শাও্ওয়াল মাসে বাসর হওয়া ভালোবাসতেন, আর তাতে বিবাহ হওয়া ও বাসর হওয়া মুস্তাহাব। আমাদের সাথীগণ মুস্তাহাব হওয়ার উপরের দলীল গ্রহণ করেছেন। আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এ কথা দ্বারা জাহিলিয়্যাতের সে ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। জাহিলী জামানায় ধারণা ছিল শাও্ওয়াল মাসে বিবাহ বা বাসর হওয়া শুভ নয়। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪২৩)
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৩-[৪] ’উকবা ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সকল শর্ত তোমাদের পূর্ণ করা কর্তব্য, তন্মধ্যে অগ্রাধিকার শর্ত হলো, যার মাধ্যমে তোমরা লজ্জাস্থান হালাল করে থাকো। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحَقُّ الشُّرُوطِ أَنْ تُوفُوا بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفروج»
ব্যাখ্যা : ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-সহ অধিকাংশ ‘উলামাগণ বলেছেন যে, এ শর্ত দ্বারা উদ্দেশ্য বিবাহের চাহিদায় বাধা সৃষ্টি করা নয়, বরং বিবাহের চাহিদা পূরণ করা। যেমন স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করার শর্ত করা, তার খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করার শর্তারোপ করা, স্ত্রীর হক অপূর্ণ না রাখার শর্তারোপ করা ও একাধিক স্ত্রী থাকলে তার পানি বণ্টন করার শর্তারোপ করা। অন্যদিকে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাহিরে যাবে না। তার অনুমতি ছাড়া নফল সিয়াম পালন করবে না, তার বাড়ীতে স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিবে না এবং স্বামীর সংসারের আসবাব সামগ্রী তার অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও স্থানান্তর করবে না।
এছাড়া আরো অনুরূপ যে শর্তগুলো আছে সবগুলো পূরণ করা আবশ্যক, তবে এমন কতগুলো শর্ত রয়েছে যা বিবাহের চাহিদা পূরণে বাধা সৃষ্টি করে, যেমন স্বামী তার একাধিক স্ত্রী থাকলে ঘর বণ্টন করবে না, তার স্ত্রীর ওপর খরচও করবে না, তাকে সাথে নিয়ে কোনো ভ্রমণও করবে না। এমন শর্ত পূরণ করা তো আবশ্যক নয়ই, বরং এগুলো বাতিল বলে গণ্য হবে। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪২৮)
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৪-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের (বিয়ের) প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না পাঠায় যতক্ষণ না সে বিয়ে করে অথবা নাকচ করে দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَخْطُبُ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ حَتَّى يَنْكِحَ أَو يتْرك»
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহঃ) সহ অন্যান্য ‘উলামাগণ বলেছেন, একজন অপরজনের কেনা-বেচা কিংবা বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব করা হরাম, এ বিষয়টা কোনো মুসলিমের প্রস্তাবের উপর অন্য কারো প্রস্তাব করা উদ্দেশ্য। কোনো কাফির ব্যক্তির প্রস্তাবের উপর কোনো মুসলিম প্রস্তাব করলে তা হারাম হবে না। আওযা‘ঈ (রহঃ) অনুরূপ কথা বলেছেন।
জুমহূর ‘উলামাগণ বলেছেন, কাফির ব্যক্তির প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব করাও হারাম। উল্লেখিত মতের জবাবে তিনি বলেন, আলোচ্য হাদীসে أَخِيهِ বা তার ভাই দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নয় যেমন, আল্লাহ তা‘আলার কথা, অর্থাৎ- ‘‘তোমাদের সন্তানদের খাদ্য খাওয়ার ভয়ে হত্যা করো না’’- (সূরা আল আন্‘আম ৬ : ১৫১)। এ আয়াতে হত্যার নিষেধাজ্ঞা শুধু মুসলিমদের ওপর প্রযোজ্য নয়, বরং সকলের ওপর প্রযোজ্য। সুতরাং বিশুদ্ধ কথা এটাই যে, ফাসিক কাফির কিংবা মুসলিম প্রস্তাবকারীর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪১৩)
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৫-[৬] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো নারী যেন (স্বয়ং নিজের জন্য) তার বোনের তালাক না চায়; যাতে সে বোনের পাত্র খালি রেখে নিজের পাত্র পূর্ণ করে। কারণ, তার জন্য ভাগ্য নির্ধারিত। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسْأَلِ الْمَرْأَةُ طَلَاقَ أُخْتِهَا لِتَسْتَفْرِغَ صَحْفَتَهَا وَلِتَنْكِحَ فَإِنَّ لَهَا مَا قُدِّرَ لَهَا»
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৬-[৭] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিগার হতে নিষেধ করেছেন। (রাবী নাফি’ বলেন) আর শিগার হলো এক ব্যক্তি তার কন্যাকে অন্যের নিকট এ শর্তে বিয়ে দেয় যে, অপর ব্যক্তি তার কন্যাকে এর নিকট বিয়ে দেবে, অথচ উভয় বিয়েতে তাদের মধ্যে কোনো মোহর ধার্য হবে না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
মুসলিম-এর অপর বর্ণনায় আছে- ইসলামে শিগারের কোনো স্থান নেই।
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الشِّغَارِ وَالشِّغَارُ: أَنْ يُزَوِّجَ الرَّجُلُ ابْنَتَهُ عَلَى أَنْ يُزَوِّجَهُ الْآخَرُ ابْنَتَهُ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا صَدَاقٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৭-[৮] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধের দিন মুত্’আহ্ বিবাহ করতে এবং গৃহপালিত গাধার গোশ্ত/মাংস খাওয়া হতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ أكل لُحُوم الْحمر الإنسية
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসের ভিত্তিতে গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম মনে করি আমরা এবং সকল ‘উলামাগণ। তবে সালাফদের মধ্য সহজ পন্থা অবলম্বনকারী একদল ‘উলামাহ্ এটা খাওয়া বৈধ মনে করেন।
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) ও ইবনু ‘আব্বাস -সহ কতিপয় সালাফদের থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া বৈধ। তাদের থেকে আবার হারামের বর্ণনাও রয়েছে। ইমাম মালিক (রহঃ)-এর বর্ণনায় হারাম মাকরূহ উভয় বর্ণনা রয়েছে। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪০৭)
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৮-[৯] সালামাহ্ ইবনুল আক্ওয়া’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আওত্বাস যুদ্ধে তিনদিনের জন্য মুত্’আহ্ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলেন, অতঃপর পরবর্তীতে তা (স্থায়ীভাবে) নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: رَخَّصَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ أَوْطَاسٍ فِي الْمُتْعَةِ ثَلَاثًا ثُمَّ نَهَى عَنْهَا. رَوَاهُ مُسلم