লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিয়ের প্রচার, প্রস্তাব ও শর্তাবলী প্রসঙ্গে
৩১৪৩-[৪] ’উকবা ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সকল শর্ত তোমাদের পূর্ণ করা কর্তব্য, তন্মধ্যে অগ্রাধিকার শর্ত হলো, যার মাধ্যমে তোমরা লজ্জাস্থান হালাল করে থাকো। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ إِعْلَانِ النِّكَاحِ وَالْخِطْبَةِ وَالشَّرْطِ
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحَقُّ الشُّرُوطِ أَنْ تُوفُوا بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفروج»
ব্যাখ্যা : ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-সহ অধিকাংশ ‘উলামাগণ বলেছেন যে, এ শর্ত দ্বারা উদ্দেশ্য বিবাহের চাহিদায় বাধা সৃষ্টি করা নয়, বরং বিবাহের চাহিদা পূরণ করা। যেমন স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করার শর্ত করা, তার খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করার শর্তারোপ করা, স্ত্রীর হক অপূর্ণ না রাখার শর্তারোপ করা ও একাধিক স্ত্রী থাকলে তার পানি বণ্টন করার শর্তারোপ করা। অন্যদিকে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাহিরে যাবে না। তার অনুমতি ছাড়া নফল সিয়াম পালন করবে না, তার বাড়ীতে স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিবে না এবং স্বামীর সংসারের আসবাব সামগ্রী তার অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও স্থানান্তর করবে না।
এছাড়া আরো অনুরূপ যে শর্তগুলো আছে সবগুলো পূরণ করা আবশ্যক, তবে এমন কতগুলো শর্ত রয়েছে যা বিবাহের চাহিদা পূরণে বাধা সৃষ্টি করে, যেমন স্বামী তার একাধিক স্ত্রী থাকলে ঘর বণ্টন করবে না, তার স্ত্রীর ওপর খরচও করবে না, তাকে সাথে নিয়ে কোনো ভ্রমণও করবে না। এমন শর্ত পূরণ করা তো আবশ্যক নয়ই, বরং এগুলো বাতিল বলে গণ্য হবে। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪২৮)