পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা
২৭৯০-[১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ ওই লোকের ওপর রহম করুন; যে লোক বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে এবং নিজের প্রাপ্য আদায়ের জন্য চাওয়ার ক্ষেত্রে সহনশীল হয়। (বুখারী)[1]
بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا سَمْحًا إِذَا بَاعَ وَإِذَا اشْتَرَى وَإِذَا اقْتَضَى
رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (رَجُلًا سَمْحًا) ‘‘এমন দানবীর ব্যক্তিকে বলা হয়, যে ব্যক্তি প্রাপ্য ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা এ ধরনের দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি দয়া করেন।
(وَإِذَا اقْتَضٰى) ‘‘এবং ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে পাওনা চাওয়ার সময় নম্রতা অবলম্বন করে ও কঠোরতা পরিহার করে। অর্থাৎ বারবার তাগাদা করে ঋণ গ্রহীতাকে অতিষ্ঠ করে তোলে না। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২০৭৮)
হাদীসের শিক্ষাঃ সকল ক্ষেত্রে নম্রতা অবলম্বনকারীর প্রতি আল্লাহ তা‘আলা দয়াশীল।
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা
২৭৯১-[২] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের এক লোকের কাছে মৃত্যুর মালাক (ফেরেশতা) তার রূহ কবজ করার জন্য উপস্থিত হলেন। ওই লোকটিকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কি কোনো বিশেষ নেক ’আমল করেছো? লোকটি বললো, আমার স্মরণ নেই। লোকটিকে বলা হলো, তুমি চিন্তা করো। অতঃপর লোকটি বললো, একটি কাজ ছাড়া এমন কোনো ভালো কাজের কথা আমার স্মরণে আসে না। আর তা হলো দুনিয়ার জীবনে আমি লোকেদের সাথে ব্যবসা করতাম, ব্যবসায়ী আদান প্রদানের ক্ষেত্রে আমি লোকেদের সাথে সহানুভূতিশীল থাকতাম। আমার দেনাদার ধনী লোক হলেও আমি তাকে সময় দান করতাম, আর দেনাদার গরীব-লোক হলে আমি তাকে আমার পাওনা মাফ করে দিতাম। এ (নেক) ’আমলের কারণে আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ
وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ رَجُلًا كَانَ فِيمَنْ قَبْلَكُمْ أَتَاهُ الْمَلَكُ لِيَقْبِضَ رُوحَهُ فَقيل لَهُ: هَل علمت مَنْ خَيْرٍ؟ قَالَ: مَا أَعْلَمُ. قِيلَ لَهُ انْظُرْ قَالَ: مَا أَعْلَمُ شَيْئًا غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ أُبَايِعُ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا وَأُجَازِيهِمْ فَأُنْظِرُ الْمُوسِرَ وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمُعْسِرِ فَأَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ
ব্যাখ্যা: (فَقِيْلَ لَه : هَلْ عَمِلْتَ مِنْ خَيْرٍ؟) ‘‘তাকে প্রশ্ন করা হলো, তুমি কি কোনো ভালো কাজ করেছ?’’ তাকে কখন এ প্রশ্ন করা হয়েছিল- এ প্রসঙ্গে ‘উলামাগণের মতানৈক্য রয়েছে। হাদীসের প্রকাশমান অর্থ দ্বারা বুঝা যায় মৃত্যুর সময় তাকে এ প্রশ্ন করা হয়েছিল। ‘আল্লামা মুযহির বলেনঃ এ প্রশ্ন ছিল কবরে। ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ কিয়ামত দিবসে তাকে এ প্রশ্ন করা হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
(قِيلَ لَهُ انْظُرْ) ‘‘তাকে বলা হবে তুমি দেখ’’ অর্থাৎ তুমি চিন্তা করে দেখ কখনো ভালো কাজ করেছ কিনা?
(أُجَازِيهِمْ فَأُنْظِرُ الْمُوسِرَ وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمُعْسِرِ) ‘‘তাদের সাথে ভালো আচরণ করতাম।’’ ঋণী ব্যক্তির নিকট হতে পাওনা পরিশোধের সময় ভালো আচরণ করতাম। পাওনা পরিশোধ করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিকেও আমি তার ঋণ পরিশোধের জন্য সময় দিতাম। পক্ষান্তরে দরিদ্র ব্যক্তি ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হলে তাকে আমি পাওনার অংশবিশেষ অথবা পূর্ণ পাওনাটাই ছেড়ে দিতাম। ‘আল্লামা নববী বলেনঃ অত্র হাদীসে ঋণ পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তিকে সময় দেয়া আর অক্ষম ব্যক্তিকে ঋণ মাফ করে দেয়ার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। (শারহ্ মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৫৬০)
হাদীসের শিক্ষাঃ কোনো প্রকার ভালো কাজকেই অবজ্ঞা করতে নেই, যদিও তা সামান্য হয়। কেননা অল্প ভালো কাজই তার জন্য সৌভাগ্য অথবা দয়া অর্জনের কারণ হতে পারে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা
২৭৯২-[৩] আর মুসলিম-এর এক বর্ণনায় ’উকবা ইবনু ’আমির ও আবূ মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে এ ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে। এতে উল্লেখ হয়েছে, ওই লোকটির কথার পর আল্লাহ তা’আলা বললেন, নিশ্চয় সহানুভূতি প্রদর্শনে আমি তোমার অপেক্ষা অধিক অগ্রসর। [এ কথা বলে আল্লাহ মালায়িকাহ্-কে (ফেরেশতাগণকে) আদেশ করলেন] আমার এ বান্দার প্রতি তোমরা ক্ষমা ও সহানুভূতি প্রকাশ করো।[1]
بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ نَحْوَهُ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ «فَقَالَ اللَّهُ أَنَا أَحَق بذا مِنْك تجاوزوا عَن عَبدِي»
ব্যাখ্যা: (أَنَا أَحَقُّ بِذَا مِنْكَ) ‘‘এ ব্যাপারে আমি তোমার চাইতে অধিক হকদার’’ অর্থাৎ ক্ষমা করতে আমি তোমার চাইতে অধিক সক্ষম, কেননা আমি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
(تَجَاوَزُوْا عَنْ عَبْدِىْ) ‘‘তোমরা আমার বান্দাকে ছাড় দাও’’ অর্থাৎ দুনিয়াতে যেহেতু আমার এ বান্দা দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সে তাদের প্রতি দয়া করেছে, তাদের ছাড় দিয়েছে, তাই তোমরাও আমার এ বান্দাকে ছাড় দাও, কেননা ছাড় দেয়ার ক্ষেত্রে আমি তার চাইতে অধিক সক্ষম। আর ছাড় দেয়াটা আমার গুণ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা
২৭৯৩-[৪] আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যবসা-বাণিজ্যে অধিক কসম খাওয়া হতে বেঁচে থাকবে। এর কারণে (সাময়িক) পণ্য বেশি বিক্রি হলেও (পরিশেষে) বরকত কমে যায়। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَلِفِ فِي الْبَيْعِ فَإِنَّهُ يُنَفِّقُ ثُمَّ يَمْحَقُ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَلِفِ فِى الْبَيْعِ) ‘‘বেচা-কেনাতে তোমরা অধিক পরিমাণে শপথ করা থেকে বিরত থাক’’। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ তোমরা নিজেদেরকে বেশী বেশী শপথ করা থেকে বাঁচিয়ে রাখ। অত্র হাদীসে অধিক পরিমাণে শপথ করা নিষেধ করা হয়েছে। এ থেকে জানা যায়, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে শপথ করা বৈধ যদি তা সত্য শপথ হয়। এ ব্যাপারে ইজমা, অর্থাৎ সকলের ঐকমত্য রয়েছে।
(فَإِنَّه يُنَفِّقُ ثُمَّ يَمْحَقُ) ‘‘কেননা তা পণ্যের প্রচলন দ্রুত করে কিন্তু এতে বরকত চলে যায়’’। অর্থাৎ পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কথায় কথায় শপথ করার ফলে যদিও পণ্যের প্রসারে প্রভাব ফেলে, কিন্তু এ রকম শপথ যেহেতু মিথ্যা মিশ্রণের সম্ভাবনা থাকে বা অজান্তেই মিথ্যা বলে ফেলে, তাই এ শপথ দ্বারা বরকত অর্জিত না হয়ে বরং বরকত কমিয়ে দেয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা
২৭৯৪-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ বেশি বেশি কসম খাওয়ায় মালের কাটতি হয়, কিন্তু বরকত দূর করে দেয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْحلف منفقعة للسلعة ممحقة للبركة»
ব্যাখ্যা: (الْحَلْفُ مَنْفَقَةٌ لِلسِّلْعَةِ) ‘‘শপথ পণ্যের প্রচার দ্রুত করে’’ অর্থাৎ অধিক পরিমাণে শপথ পণ্যের প্রচার দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ার কারণ হয়। অথবা শপথকারী মনে করে যে, এতে পণ্য দ্রুত প্রচলিত হবে।
(مَمْحَقَةٌ لِلْبَرَكَةِ) ‘‘বরকত দূরীভূত করার কারণ’’ অধিক পরিমাণে শপথ করার কারণে বরকত চলে যায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
হাদীসের শিক্ষাঃ ক্রয়-বিক্রয়ে বেশী বেশী শপথ করা নিষেধ। প্রয়োজন ব্যতীত শপথ করা মাকরূহ। (শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ ১৬০৬)
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা
২৭৯৫-[৬] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, তাদেরকে (গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে) পাক-পবিত্র করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে (নির্ধারিত) কঠিন ’আযাব। আবূ যার(রাঃ) এ কথা শুনার পর সাথে সাথে বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রসূল! যাদের জন্য অধঃপতন ও ধ্বংস, তারা কারা? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (১) যে লোক পরনের কাপড় পায়ের গিরার নীচে পরে, (২) যে দান করে খোটা দেয়, (৩) যে লোক নিজের মাল বেশি চালু করার চেষ্টায় মিথ্যা কসম করে। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ» . قَالَ أَبُو ذَرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانٌ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحلف الْكَاذِب» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (لَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ) ‘‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের দিকে তাকাবেন না’’। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টি দিবেন না।
(وَلَا يُزَكِّيهِمْ) ‘‘তাদেরকে পবিত্র করবেন না’’ অর্থাৎ তাদের ‘আমলকে বৃদ্ধি করবেন না এবং গুনাহের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করবেন না।
(وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ) ‘‘তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি’’। এমন শাস্তি যার বেদনা অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে।
(الْمُسْبِلُ) ‘‘পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে দেয়া’’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ তার পরিধানের কাপড় টাকনুর নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে দেয়। (শারহে মুসলিম ১/২ খন্ড, হাঃ১০৬)
(الْمَنَّانٌ) ‘‘খোঁটাদানকারী’’ অর্থাৎ দান করার পরে আবার খোঁটা দেয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
হাদীসের শিক্ষাঃ
(১) অহংকারবশতঃ পরিধেয় বস্ত্র টাকনুর নীচে ঝুলিয়ে দেয়া হারাম। তবে অসাবধানতার কারণে যদি কাপড় টাকনুর নীচে পরে যায় তবে তা হারাম নয়।
(২) দান করে খোঁটা দেয়া হারাম। এতে দানের সাওয়াব বিনষ্ট হয়।