পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পাথর মারা
২৬২৬-[৯] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) প্রথম দুই জামারায় দীর্ঘ সময় অবস্থান করতেন এবং আল্লা-হু আকবার, সুবহা-নাল্ল-হ ও আল হাম্দুলিল্লা-হ (অর্থাৎ- আল্লাহর মহিমা, পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করতেন) বলতেন এবং দু’আ করতেন। কিন্তু জামারাতুল ’আক্বাবার নিকট অবস্থান করতেন না। (মালিক)[1]
عَنْ نَافِعٍ قَالَ: إِنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَقِفُ عِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ وُقُوفًا طَوِيلًا يُكَبِّرُ اللَّهَ وَيُسَبِّحُهُ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُو اللَّهَ وَلَا يَقِفُ عنْدَ جمرَةِ العقبةِ. رَوَاهُ مَالك
ব্যাখ্যা: ইবনু ‘উমার কংকর নিক্ষেপ করে প্রথমে দু’টি খাম্বার নিকটে সূরা আল বাক্বারাহ্ পড়ার সমান লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন। আল্লা-হু আকবার বলতেন, সুবহা-নাল্লা-হ বলতেন, আলহাম্দুলিল্লা-হ বলতেন ও দু‘আ করতেন।
আর কংকর নিক্ষেপ করে বড় খাম্বার কাছে দাঁড়াতেন না।
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনার শেষ দিনে তাওয়াফে ইফাযাহ্ করেন, সেই সময় যখন যুহর সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করেন। অতঃপর আবার মিনায় ফিরে যান। ইবনু ‘উমার ও ইবনু মাস্‘ঊদ হতে জানা যায় যে, তারা কংকর নিক্ষেপ করার সময় এ দু‘আ পড়তেন, হে আল্লাহ! তুমি এটা হজে মাবরূর বানাও এবং গোনাহ ক্ষমা করে দাও।