পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পাথর মারা
২৬২৩-[৬] কুদামাহ্ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আম্মার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কুরবানীর দিন একটি লাল-সাদা মিশ্রিত রংয়ের উষ্ট্রীর উপর চড়ে জামারায় পাথর মারতে দেখেছি। সেখানে কাউকে আঘাত করা ব্যতীত, হাঁকানো ব্যতীত এবং ’সরে যাও সরে যাও’ শব্দ ব্যতীত (পাথর মেরেছেন)। (শাফি’ঈ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]
عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمِي الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ عَلَى نَاقَةٍ صَهْبَاءَ لَيْسَ ضَرْبٌ وَلَا طَرْدٌ وَلَيْسَ قِيلُ: إِلَيْكَ إِليك. رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস প্রমাণ করে যে, সওয়ারীতে আরোহণ করে কংকর নিক্ষেপ করা জায়িয এবং কংকর নিক্ষেপের সময় কাউকে দূরে সরানো বা কষ্ট দেয়া জায়িয নয়। আর হাদীসটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রত্যেক কাজে বিনয়ী হওয়া প্রমাণ করে। আরো প্রমাণ করে, কুরবানীর দিন সওয়ারীতে আরোহণ করে কংকর নিক্ষেপ করা জায়িয।
পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পাথর মারা
২৬২৪-[৭] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ (জামারায়) পাথর মারা ও সাফা মারওয়ার মধ্যে সা’ঈ করা আল্লাহ যিকির কায়িম করার জন্যই প্রবর্তিত হয়েছে। (তিরমিযী ও দারিমী; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ رَمْيُ الْجِمَارِ وَالسَّعْيُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِإِقَامَةِ ذِكْرِ اللَّهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
ব্যাখ্যা: কংকর নিক্ষেপ করা এবং সাফা ও মারওয়া সা‘ঈ করা নির্ধারণ করা হয়েছে আল্লাহর যিকির কায়িম করার জন্য। মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহঃ) বলেনঃ এ সকল বারাকাতময় স্থানে আল্লাহর স্মরণ করা আর গাফেল হওয়ার থেকে বেঁচে থাকার জন্য যিকিরকে খাস করা হয়েছে। কারণ সকল ‘ইবাদাতের লক্ষ্য হলো, আল্লাহকে স্মরণ করা। খাম্বায় কংকর নিক্ষেপ করা আর সাফা মারওয়ার মধ্যে সা‘ঈ করা সুন্নাত হয়েছে আল্লাহর স্মরণের জন্য, অর্থাৎ- ‘আল্লা-হু আকবার’ বলা প্রত্যেক উচ্চস্থানে আরোহণের জন্য। উল্লেখিত দু‘আ সা‘ঈর মধ্যে সুন্নাত। উক্ত হাদীস উৎসাহিত করছে হজ্জের সুন্নাতসমূহ হিফাযাত করতে। যেমনঃ তাওয়াফে আল্লাহকে স্মরণ করা। আল্লাহ তা‘আলা সূরা বাক্বারায় ২০৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘‘তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করো নির্ধারিত দিনগুলোতে’’।
পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পাথর মারা
২৬২৫-[৮] উক্ত রাবী [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (সাহাবীগণ) অনুনয় করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি আপনার জন্য মিনায় একটি বাড়ী তৈরি করে দেবো, যা সবসময় আপনাকে ছায়াদান করবে? জবাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না। মিনায় সে ব্যক্তিই তাঁবু খাটাবে যে প্রথমে সেখানে আসবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]
وَعَنْهَا قَالَتْ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ ألَا نَبْنِي لَكَ بِنَاءً يُظِلُّكَ بِمِنًى؟ قَالَ: «لَا مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস থেকে প্রমাণ হয় যে, মিনায় কোন খাস ঘর বানানো ঠিক নয়। সেটি একটা ‘ইবাদাতের স্থান। কংকর নিক্ষেপ করার কুরবানী ও মাথা কামানোর স্থান। যদি সেখানে ঘর বানাতে অনুমতি দেয়া হত, তবে সেখানে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে যেত।