পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮২-[১] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ’সাহরী’ খাও। সাহরীতে অবশ্যই বারাকাত আছে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ فِىْ مسَائِلٍ مُّتَفَرِّقَةٍ مِّنْ كِتَابِ الصَّوْمِ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بركَة»
ব্যাখ্যা: (تَسَحَّرُوْا) ‘‘তোমরা সাহরী খাও’’ তোমরা সাহরীর সময় (ভোররাতে) কিছু খাও। হাফেয ইবনু হাজার বলেনঃ ভোর রাতে কিছু খাওয়া বা পান করার মাধ্যমে তা অর্জিত হয়। মুসনাদে আহমাদ ৩য় খণ্ড-র ১২৩৪৪ পৃষ্ঠায় আবূ সা‘ঈদ থেকে বর্ণিত আছে, সাহরীর মধ্যে বারাকাত রয়েছে। অতএব তোমরা তা পরিত্যাগ করো না, যদিও একটুকু পানি হয় তা তোমরা পান কর। কেননা সাহরী গ্রহণকারীদের প্রতি আল্লাহ রহমাত বর্ষণ করেন এবং তার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তাদের জন্য দু‘আ করে।
এ হাদীসের প্রকাশমান অর্থ এই যে, সাহরী খাওয়া ওয়াজিব। কিন্তু কোন কোন সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবীদের সাহরী পরিত্যাগ করা প্রমাণ করে যে, তা মানদূব তথা পছন্দনীয়, ওয়াজিব নয়। সিন্দী বলেনঃ সাহরী খাওয়ার মধ্যে বারাকাত আছে, অর্থাৎ- এতে সাওয়াব আছে এজন্য যে, এ সময় দু‘আ ও জিকির করা হয়। আর সাহরী খাওয়ার মধ্যে সিয়াম পালনের শক্তি অর্জিত হয়।
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮৩-[২] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের ও আহলে কিতাবদের (ইয়াহূদী ও খৃষ্টান) সওমের মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরীর। (মুসলিম)[1]
بَابُ فِىْ مسَائِلٍ مُّتَفَرِّقَةٍ مِّنْ كِتَابِ الصَّوْمِ
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: সাহরী খাওয়াটাই আমাদের সিয়াম পালন আর আহলে কিতাবদের সিয়াম পালনের মধ্যে পার্থক্য। কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য ফজরের আগ পর্যন্ত পানাহার বৈধ করেছেন যদিও ইসলামের সূচনাতে আমাদের জন্যও তা হারাম ছিল। পক্ষান্তরে আহলে কিতাবদের জন্য ইফতারের পর ঘুমিয়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত খাওয়া পান করা বৈধ থাকলেও ঘুমানোর পর থেকে তাদের জন্য তা হারাম ছিল। তাদের সাথে আমাদের ভিন্নতা এই যে, এ বিশেষ নিয়ামতের কারণে আমরা তার শুকরিয়া আদায় করব যা থেকে তারা বঞ্চিত।
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮৪-[৩] সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ فِىْ مسَائِلٍ مُّتَفَرِّقَةٍ مِّنْ كِتَابِ الصَّوْمِ
وَعَنْ سَهْلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ»
ব্যাখ্যা: (مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ) ‘‘যতক্ষণ তারা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে’’ অর্থাৎ যতক্ষণ তারা এ সুন্নাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কল্যাণের মধ্যেই থাকবে। এ থেকে উদ্দেশ্য ইফতার করার সময় হওয়ার পর বিলম্ব না করে প্রথম ওয়াক্তেই ইফতার করবে। ইমাম নাবাবী বলেনঃ উম্মাত ততক্ষণ কল্যাণের মধ্যেই থাকবে যতক্ষণ তারা এ সুন্নাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যখন তারা ইফতারের সময় হওয়ার পরও বিলম্বে ইফতার করবে তখন এটি তাদের ফ্যাসাদে নিপতিত হওয়ার আলামত বলে গণ্য হবে।
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮৫-[৪] ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন ওদিক থেকে রাত (পূর্বদিক হতে রাতের কালো রেখা) নেমে আসে, আর এদিক থেকে (পশ্চিম দিকে) দিন চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখনই সায়িম (রোযাদার) ইফতার করে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ فِىْ مسَائِلٍ مُّتَفَرِّقَةٍ مِّنْ كِتَابِ الصَّوْمِ
وَعَنْ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْل من هَهُنَا وَأدبر النَّهَار من هَهُنَا وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ»
ব্যাখ্যা: (وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ) ‘‘এবং সূর্য অস্ত যায়’’। ত্বীবী বলেনঃ অত্র হাদীসে وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বুঝতে পারা যায় যে, ইফতারের জন্য সূর্য পূর্ণভাবে অস্ত যাওয়া জরুরী। আর এটা ধারণা করা না হয় যে, সূর্য আংশিক অস্ত গেলে ইফতার করা বৈধ।
(فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ) ‘‘তখন সিয়াম পালনকারী ইফতার করেছে।’’ অর্থাৎ- সিয়াম পালনকারীর সিয়াম পূর্ণ হয়েছে। এখন আর তাকে সায়িম বলা যাবে না। কেননা সূর্যাস্তের মাধ্যমে দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং রাত প্রবেশ করেছে আর রাত সিয়াম পালনের সময় নয়। হাফেয ইবনু হাজার বলেনঃ সিয়াম পালনকারী ইফতার করার সময়ে উপনীত হয়েছে এবং তার জন্য ইফতার করা বৈধ। তবে এ অর্থও গ্রহণ করার অবকাশ রয়েছে যে, সায়িম এখন আর সায়িম নেই, সে হয়ে গেছে যদিও বাস্তবে সে ইফতার না করে থাকে। কেননা রাত সিয়াম পালনের সময় নয়।
ইবনু খুযায়মাহ্ বলেনঃ প্রথম অর্থ গ্রহণ করাই সঠিক। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ যদিও বাক্যটি খবর প্রদানকারী বাক্য কিন্তু তার অর্থ নির্দেশ উদ্দেশ্য। অতএব বাক্যের অর্থ হবে সিয়াম পালনকারী যেন ইফতার করে। কেননা সূর্যাস্তের মাধ্যমে যদি সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যেত তাহলে সকল সিয়াম পালনকারীর সিয়ামই ভঙ্গ হয়ে যেত এবং এতে সকলেই সমান হয়ে যেত তাহলে দ্রুত ইফতার করার উৎসাহ প্রদানের কোন অর্থ থাকতো না বরং তা অনর্থক কথা হত। আর হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) প্রথম অর্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এজন্য যে, মুসনাদে আহমাদে (৪/৩৮২) ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা হতে বর্ণিত আছে, যখন এদিক থেকে রাত আগমন করে তখন ইফতার করা বৈধ হয়ে যায়।
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮৬-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমে বিসাল (অর্থাৎ- একাধারে সওম রাখতে) নিষেধ করেছেন। তখন তাঁকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো একাধারে সওম রাখেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কে আমার মতো? আমি তো এভাবে রাত কাটাই যে, আমার রব আমাকে খাওয়ান ও পরিতৃপ্ত করেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ فِىْ مسَائِلٍ مُّتَفَرِّقَةٍ مِّنْ كِتَابِ الصَّوْمِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْوِصَالِ فِي الصَّوْمِ. فَقَالَ لَهُ رجل: إِنَّك تواصل يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَأَيُّكُمْ مِثْلِي إِنِّي أَبَيْتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي ويسقيني
ব্যাখ্যা: (نَهٰى رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ عَنِ الْوِصَالِ فِى الصَّوْمِ) ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমে বিসাল করতে নিষেধ করেছেন।’’ ইমাম ত্বহাবী বলেনঃ সওমে বিসাল ঐ সওমকে বলা হয়, কোন ব্যক্তি দিনের বেলায় সিয়াম পালন করার পর সূর্যাস্তের পরে ইফতার না করে পরবর্তী দিনের সিয়ামকে পূর্ববর্তী দিনের সিয়ামের সাথে মিলিয়ে দেয়া। সওমে বিসাল ও সওমে দাহর এর মাঝে পার্থক্য এই যে, যে ব্যক্তি রাত্রে ইফতার না করেই ধারাবাহিক একাধিক দিনে সিয়াম পালন করে তা হলো সওমে বিসাল। আর যে ব্যক্তি প্রতিদিনই সিয়াম পালন করে কিন্তু রাতে ইফতার করে তাহলো সওমে দাহর। হাদীস প্রমাণ করে যে, সওমে বিসাল হারাম। তবে সন্ধ্যার সময় ইফতার না করে সাহরীর সময় পর্যন্ত বিসাল করা বৈধ। কেননা বুখারী ও মুসলিমে আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সওমে বিসাল পালন করো না, তবে কেউ যদি বিসাল করতেই চায় সে যেন সাহরী পর্যন্ত বিসাল করে।
সওমে বিসালের হুকুম সম্পর্কে ‘উলামাগণ মতভেদ করেছেন।
১. সওমে বিসাল হারাম। এ অভিমত ইবনু হাযম এবং ইবনুল ‘আরাবী মালিকী (রহঃ)-এর। শাফি‘ঈদের বিশুদ্ধ মতানুসারেও তা হারাম।
২. তা মাকরূহ। এ অভিমত ইমাম মালিক, আহমাদ, আবূ হানীফাহ্ এবং তাদের অনুসারীদের।
৩. তা বৈধ। এ অভিমত কিছু সালাফ তথা পূর্ববর্তী ‘আলিমদের।
৪. যার পক্ষে তা কষ্টকর তার জন্য তা হারাম। আর যে ব্যক্তির জন্য তা কষ্টকর নয় তার জন্য বৈধ।
যারা তা বৈধ বলেন তাদের দলীলঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমে বিসাল পালন করতে নিষেধ করার পর যখন সাহাবীগণ তা থেকে বিরত হল না তখন তিনি তাদের নিয়ে সওমে বিসাল করতে থাকেন। দু’দিন বিসাল করার পর শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে তিনি বললেন চাঁদ উদয় হতে বিলম্ব হলে আমি তোমাদেরকে আরো বিসাল করতাম। সওমে বিসাল যদি হারামই হতো তাহলে তিনি তাদের এ কাজে সম্মতি প্রকাশ করতেন না। অতএব বুঝা গেল যে, এ নিষেধ দ্বারা হারাম বুঝাননি, বরং এ নিষেধ ছিল উম্মাতের প্রতি দয়া স্বরূপ। অতএব যার জন্য তা কষ্টকর নয় এবং এর দ্বারা আহলে কিতাবদের সাথে একাত্বতা ঘোষণার উদ্দেশ্য না থাকে তার জন্য বিসাল করা হারাম নয়।
যারা তা হারাম বলেন তাদের দলীলঃ আবূ হুরায়রাহ্, আনাস, ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে নিষেধ সম্বলিত বর্ণিত হাদীসসমূহ যা ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। কেননা নিষেধ দ্বারা প্রকৃতপক্ষে হারামকেই বুঝায় তা নিষেধ করার পর সাহাবীদের নিয়ে বিসাল করা মূলত তাঁর পক্ষ থেকে এ কাজের স্বীকৃতি নয় বরং তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য এমনটি করেছিলেন এবং বলেছিলেন لست في ذلك مثلكم। এক্ষেত্রে আমি তোমাদের মতো নই। অতএব বিসাল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাস। এক্ষেত্রে চতুর্থ অভিমতটিই সঠিক বলে মনে হয়। আল্লাহই ভাল জানেন।
(يُطْعِمُنِىْ رَبِّىْ وَيَسْقِيْنِىْ) ‘‘আমার রব আমাকে খাওয়ায় ও পান করায়’’ এর ব্যাখাতে ‘উলামাগণ মতভেদ করেছেন।
১. প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহ তা‘আলার নিকট হতে তার জন্য রমাযানের রাতে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে আসা হত তার সম্মানার্থে। আর তিনি তা গ্রহণ করতেন অর্থাৎ- তিনি তা খাইতেন ও পান করতেন।
২. এটি রূপক অর্থে বলা হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য যে, আল্লাহ তা‘আলা পানাহারকারীর মতো শক্তি দান করেন যার ফলে সকল প্রকার কাজ করতে আমার মধ্যে কোন দুর্বলতা আসে না, আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ ক্লান্ত হয় না। অথবা এর দ্বারা উদ্দেশ্য যে, আল্লাহ তা‘আলা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেহে পরিতৃপ্তি সৃষ্টি করেছেন যার ফলে পানা হারের প্রয়োজন হয় না এবং তিনি ক্ষুধা তৃষ্ণা অনুভব করেন না।
অথবা এর দ্বারা উদ্দেশ্য মহান আল্লাহ আমাকে তাঁর মহত্ব তাঁর সান্নিধ্য তার প্রতি ভালবাসা তাঁর সাথে সর্বদা মুনাজাতে ব্যস্ত রাখেন যার ফলে পানাহারের প্রতি চিন্তা জাগে না।