লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৮৫-[৪] ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন ওদিক থেকে রাত (পূর্বদিক হতে রাতের কালো রেখা) নেমে আসে, আর এদিক থেকে (পশ্চিম দিকে) দিন চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখনই সায়িম (রোযাদার) ইফতার করে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ فِىْ مسَائِلٍ مُّتَفَرِّقَةٍ مِّنْ كِتَابِ الصَّوْمِ
وَعَنْ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْل من هَهُنَا وَأدبر النَّهَار من هَهُنَا وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ»
ব্যাখ্যা: (وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ) ‘‘এবং সূর্য অস্ত যায়’’। ত্বীবী বলেনঃ অত্র হাদীসে وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বুঝতে পারা যায় যে, ইফতারের জন্য সূর্য পূর্ণভাবে অস্ত যাওয়া জরুরী। আর এটা ধারণা করা না হয় যে, সূর্য আংশিক অস্ত গেলে ইফতার করা বৈধ।
(فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ) ‘‘তখন সিয়াম পালনকারী ইফতার করেছে।’’ অর্থাৎ- সিয়াম পালনকারীর সিয়াম পূর্ণ হয়েছে। এখন আর তাকে সায়িম বলা যাবে না। কেননা সূর্যাস্তের মাধ্যমে দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং রাত প্রবেশ করেছে আর রাত সিয়াম পালনের সময় নয়। হাফেয ইবনু হাজার বলেনঃ সিয়াম পালনকারী ইফতার করার সময়ে উপনীত হয়েছে এবং তার জন্য ইফতার করা বৈধ। তবে এ অর্থও গ্রহণ করার অবকাশ রয়েছে যে, সায়িম এখন আর সায়িম নেই, সে হয়ে গেছে যদিও বাস্তবে সে ইফতার না করে থাকে। কেননা রাত সিয়াম পালনের সময় নয়।
ইবনু খুযায়মাহ্ বলেনঃ প্রথম অর্থ গ্রহণ করাই সঠিক। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ যদিও বাক্যটি খবর প্রদানকারী বাক্য কিন্তু তার অর্থ নির্দেশ উদ্দেশ্য। অতএব বাক্যের অর্থ হবে সিয়াম পালনকারী যেন ইফতার করে। কেননা সূর্যাস্তের মাধ্যমে যদি সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যেত তাহলে সকল সিয়াম পালনকারীর সিয়ামই ভঙ্গ হয়ে যেত এবং এতে সকলেই সমান হয়ে যেত তাহলে দ্রুত ইফতার করার উৎসাহ প্রদানের কোন অর্থ থাকতো না বরং তা অনর্থক কথা হত। আর হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) প্রথম অর্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এজন্য যে, মুসনাদে আহমাদে (৪/৩৮২) ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা হতে বর্ণিত আছে, যখন এদিক থেকে রাত আগমন করে তখন ইফতার করা বৈধ হয়ে যায়।