পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৪-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শা’বান মাসের অর্ধেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে তোমরা সওম পালন করবে না। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا انْتَصَفَ شَعْبَانُ فَلَا تَصُومُوا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
ব্যাখ্যা: (إِذَا انْتَصَفَ شَعْبَانُ فَلَا تَصُوْمُوْا) ‘‘শা‘বান মাসের অধিক পূর্ণ হলে আর সিয়াম পালন করবে না।’’ আল কারী বলেনঃ এ নিষেধাজ্ঞা দ্বারা এ সময়ে সিয়াম পালন করা মাকরূহ উদ্দেশ্য, হারাম উদ্দেশ্য নয় যাতে লোকজন এ সিয়াম পালনের মাধ্যমে দুর্বল হয়ে ফরয সিয়াম পালনে ব্যাঘাত না ঘটে তাই শারী‘আত প্রণেতা উম্মাতের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি শা‘বান মাসে সিয়াম পালন করার পরও স্বাচ্ছন্দ্যে রমাযানের সিয়াম পালন করতে পারে তার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়। তাইতো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা‘বান ও রমাযান (রমজান) এ দুই মাসে একত্রে সিয়াম পালন করেছেন। তবে যারা এ হাদীসটি দুর্বল বলেছেন, অতএব এ মাসে সিয়াম পালন মাকরূহ নয়- তাদের বক্তব্য সঠিক নয় এজন্য যে, এ হাদীসটি সহীহ। কেননা এ হাদীসের এক রাবী ‘আলা ইবনু ‘আবদুর রহমান যদিও তার সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে তা সত্ত্বেও ইমাম মালিক, ইমাম মুসলিম তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করেছেন। ইমাম বুখারীও তার একক বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করেছেন। অতএব হাদীসটি সহীহ। আল্লাহ অধিক অবগত আছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৫-[৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান (রমজান) মাসের জন্য শা’বান মাসের (নতুন চাঁদের) হিসাব রেখ। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أحصوا هِلَال شعْبَان لرمضان» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: (أَحْصُوْا هِلَالَ شَعْبَانَ لِرَمَضَانَ) রমাযানের উদ্দেশে শা‘বানের চাঁদ গণনা কর। অর্থাৎ রমাযান (রমজান) কখন শুরু হবে তা জানার উদ্দেশে শা‘বান মাসের শুরুকাল এবং তার তারিখসমূহ ভালভাবে গণনা কর। যাতে সহজেই রমাযানের শুরু অবহিত হতে পার।
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৬-[৮] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কক্ষনো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে শা’বান ও রমাযান (রমজান) ছাড়া একাধারে দু’ মাস সিয়াম পালন করতে দেখিনি। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن أم سَلمَة قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ إِلَّا شَعْبَانَ وَرَمَضَانَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ণ শা‘বান মাস অথবা শা‘বান মাসের অধিকাংশ সময় সিয়াম পালন করতেন। এ হাদীস এবং পূর্বে বর্ণিত হাদীস। ‘‘অর্ধ শা‘বানের পর সিয়াম পালন করবে না।’’ হাদীসদ্বয়ের সাথে বাহ্যিকভাবে সাংঘর্ষিক মনে হয়। ইমাম শাওকানী বলেনঃ এ হাদীসদ্বয়ের মধ্যে কোন বৈপরীত্য বা সংঘর্ষ নেই। বরং এ দুই হাদীসের মধ্যে সমন্বয় এই যে, যিনি এ সময়ে সিয়াম পালনে অভ্যস্ত তার জন্য নিষেধাজ্ঞা নেই। আর যিনি অভ্যস্ত নন তার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য।
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৭-[৯] ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ’ইয়াওমুশ্ শাক-এ’ (অর্থাৎ- সন্দেহের দিন) সিয়াম রাখে সে আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নাফরমানী করল। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]
وَعَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: «مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدَ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي
ব্যাখ্যা: সামান্যতম সন্দেহ দেখা দিলে সে সময়ে সিয়াম পালন শারী‘আত প্রণেতার অবাধ্য হওয়ার কারণ ঘটবে, আর যেখানে স্পষ্ট সন্দেহ বিদ্যমান সে সময়ে সিয়াম পালনকারী নিশ্চিতভাবেই শারী‘আত প্রণেতার অবাধ্য। আর সন্দেহের দিন থেকে উদ্দেশ্য শা‘বান মাসের ত্রিশ তারিখ যদি ঐ রাতে আকাশে মেঘ থাকার কারণে চাঁদ না দেখা যায়। ফলে এ দিনটি শা‘বান মাসেরও হতে পারে আবার রমাযান (রমজান) মাসেরও হতে পারে। যেহেতু চন্দ্রমাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়, তাই এ ত্রিশতম দিন সন্দেহের দিন। এ রাতে চাঁদ দেখা গেলে সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আর আকাশ পরিষ্কার থাকার পর চাঁদ না দেখা গেলেও সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আর আকাশ মেঘলা থাকলে সন্দেহ সৃষ্টি হল। অতএব এ সন্দেহের সময়ে যে ব্যক্তি ঐ দিনে রমাযানের সিয়াম মনে করে সিয়াম পালন করল, সে নিঃসন্দেহে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবাধ্য হল। কেননা তিনি এ ক্ষেত্রে শা‘বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করার আদেশ দিয়েছেন আর সিয়াম পালনকারী এ নির্দেশ লঙ্ঘন করল না।
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৮-[২০] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন গ্রাম্য ’আরব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো এবং বলল, আমি চাঁদ দেখেছি অর্থাৎ- রমাযানের চাঁদ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছো আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন ইলাহ নেই। সে বলল, হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছো যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল? সে বলল, জ্বি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে বিলাল! লোকদের মধ্যে ঘোষণা করে দাও, আগামীকাল যেন সওম রাখে। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلَالَ يَعْنِي هِلَالَ رَمَضَانَ فَقَالَ: «أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟» قَالَ: نَعَمْ قَالَ: «أَتَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ؟» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «يَا بِلَالُ أَذِّنْ فِي النَّاسِ أَن يَصُومُوا غَدا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي
ব্যাখ্যা: (أَتَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ؟) ‘‘তুমি কি এ সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন ইলাহ নেই’’ হাদীসের এ অংশ প্রমাণ করে যে, সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ইসলাম শর্ত।
(أَذِّنْ فِى النَّاسِ أَنْ يَصُوْمُوْا غَدًا) ‘‘লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও তারা যেন আগামীকাল সিয়াম পালন শুরু করে।’’
হাদীসের এ অংশ থেকে জানা গেল যে, শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির খবর তথা সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে রমাযান (রমজান) মাস প্রবেশের ক্ষেত্রে একজনের সংবাদ যথেষ্ট। সিন্দী বলেন, একজন ব্যক্তির সংবাদ তখনই গ্রহণযোগ্য, যখন আকাশে এমন কিছু ঘটে যা চাঁদ দেখায় বাধা সৃষ্টি করে।
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নতুন চাঁদ দেখার বর্ণনা
১৯৭৯-[১১] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) চাঁদ দেখার জন্য লোকেরা একত্রিত হলো। (এ সময়) আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালাম যে, আমি চাঁদ দেখেছি। এতে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে সওম পালন শুরু করলেন এবং লোকদেরকেও সওমের পালনের নির্দেশ দিলেন। (আবূ দাঊদ, দারিমী)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: تَرَاءَى النَّاسُ الْهِلَالَ فَأَخْبَرْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي رَأَيْتُهُ فَصَامَ وَأَمَرَ النَّاسَ بِصِيَامِهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد والدارمي
ব্যাখ্যা: (تَرَاءَى النَّاسُ الْهِلَالَ) ‘‘লোকেরা একে অপরকে চাঁদ দেখাল’’ অর্থাৎ- লোকজন চাঁদ দেখার জন্য সমবেত হল এবং চাঁদ খুঁজতে থাকল।
(فَأَخْبَرْتُ أَنِّىْ رَأَيْتُه) ‘‘আমি অবহিত করলাম যে, আমি চাঁদ দেখেছি।’’
(أَمَرَ النَّاسَ بِصِيَامِه) ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজনকে সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন।’’
এতে জানা গেল যে, একজনের সংবাদ গ্রহণযোগ্য এবং রমাযানের চাঁদ সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ইমাম শাফি‘ঈর প্রথম অভিমত এটাই। তবে তার সর্বশেষ অভিমত হল চাঁদ সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল-এর অভিমতও তাই। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ হানীফাহ্ ও আবূ ইউসুফ (রহঃ)-দ্বয়ের অভিমত এই যে, রমাযানের চাঁদ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষ্যই যথেষ্ট। যদিও তিনি দাস হন। অনুরূপভাবে এ ক্ষেত্রে একজন মহিলার সাক্ষ্য যথেষ্ট যদিও তিনি দাসী হন। তবে শাওয়ালের চাঁদ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দু’জন ন্যায়পরায়ণ পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন অথবা একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলার সাক্ষী প্রয়োজন। তবে ইমাম শাফি‘ঈর নিকট এক্ষেত্রে মহিলার সাক্ষী গ্রহণযোগ্য নয়।
ইমাম মালিক, আওযা‘ঈ ও ইসহাক ইবনু রাহওয়াইহি-এর মতে রমাযানের চাঁদ হোক আর শাওয়ালের চাঁদ হোক উভয় ক্ষেত্রেই কমপক্ষে তারা ‘আবদুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনুল খাত্ত্বাব বর্ণিত হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। তিনি (‘আবদুর রহমান) বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের সাথে বসেছি এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি। তারা আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন (শুরু) কর এবং চাঁদ দেখে সিয়াম ভঙ্গ (শেষ) কর এবং কুরবানী কর। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে মাস ত্রিশদিন পূর্ণ কর। তবে যদি দু’জন মুসলিম সাক্ষ্য প্রদান করে তাহলে সিয়াম পালন (শুরু) কর এবং সিয়াম ভঙ্গ কর। হাদীসটি ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন। ইমাম শাওকানী বলেনঃ এ হাদীসের সানাদে কোন ত্রুটি নেই।
জমহূরগণ এ হাদীসের জবাবে বলেনঃ এ হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্য হল দু’জনের সাক্ষী গ্রহণ কর আর এর বিপরীত তথা অস্পষ্ট বক্তব্য হলে একজনের সাক্ষী গ্রহণযোগ্য নয়। পক্ষান্তরে ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনু ‘উমার (রাঃ)-দ্বয় হতে বর্ণিত হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্য হল, একজনের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। আর হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণের নীতিমালা হল, স্পষ্ট বক্তব্য অস্পষ্ট বক্তব্যের উপর প্রাধান্য পাবে। তাই তাকে প্রাধান্য দেয়া ওয়াজিব। অতএব রমাযানের চাঁদ সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একজনের সাক্ষী যথেষ্ট।