পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্বামীর সম্পদ থেকে স্ত্রীর সদাক্বাহ্ করা
১৯৫১-[৫] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিদায় হাজ্জের (হজ্জের/হজের) ভাষণে বলতে শুনেছি, কোন রমণী যেন তার স্বামীর ঘরের কোন কিছু স্বামীর হুকুম ব্যতীত খরচ না করে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! খাদ্য সামগ্রী খরচ করতে পারবে না? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খাদ্যদ্রব্য আমাদের উত্তম ধন-সম্পদ। (তিরমিযী)[1]
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حُجَّةِ الْوَدَاعِ: «لَا تُنْفِقُ امْرَأَةٌ شَيْئًا مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا الطَّعَامَ؟ قَالَ: «ذَلِكَ أفضل أَمْوَالنَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, স্বামীর স্পষ্ট অনুমতি, আদেশ বা ইঙ্গিত বা প্রথা ছাড়া কোন স্ত্রীর স্বামীর সম্পদ থেকে কোন কিছু দান করা বৈধ নয়। এ সম্পর্কিত কথা পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে। একই অর্থের হাদীস সুনানে বায়হাক্বীতেও রয়েছে। অত্র হাদীসে খাদ্যকে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ বলা হয়েছে। যেখানে স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কোন সামান্য খাদ্যও দান করা বৈধ নয়- সেখানে সর্বোত্তম খাদ্য দান করা বৈধ হয় কিভাবে?
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্বামীর সম্পদ থেকে স্ত্রীর সদাক্বাহ্ করা
১৯৫২-[৬] সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের কাছ থেকে বায়’আত গ্রহণ করার সময় একজন মর্যাদাবতী মহিলা উঠে দাঁড়াল। তাকে ’মুযার গোত্রের’ মহিলা মনে হচ্ছিল। সে বলল, হে আল্লাহর নবী! আমাদের সকলে পিতা, সন্তান ও স্বামীর ওপর নির্ভরশীল। তাদের ধন-সম্পদ হতে খরচ করা কী আমাদের জন্য হালাল? তিনি বললেন, পচনশীল মাল খাও এবং তুহফা দাও। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ سَعْدٍ قَالَ: لَمَّا بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النِّسَاءُ قَامَتِ امْرَأَةٌ جَلِيلَةٌ كَأَنَّهَا مِنْ نِسَاءِ مُضَرَ فَقَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّا كَلٌّ عَلَى آبَائِنَا وَأَبْنَائِنَا وَأَزْوَاجِنَا فَمَا يَحِلُّ لَنَا مِنْ أَمْوَالِهِمْ؟ قَالَ: «الرطب تأكلنه وتهدينه» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (جَلِيْلَةٌ) আল্লামা খিত্বাবী (রহঃ) বলেন, এর দু’টি অর্থ হতে পারে শারীরিকভাবে মোটাসোটা অথবা মেধার দিক দিয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।