পরিচ্ছেদঃ ৪৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪১৩-[১৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি খুতবাহ্ (ভাষণ) দিতেন। তিনি মিম্বারে উঠে বসতেন। যে পর্যন্ত মুয়াযযিন আযান শেষ না করতেন। এরপর তিনি দাঁড়াতেন ও খুতবাহ্ শুরু করে দিতেন। তারপর আবার বসতেন। এ সময় তিনি কোন কথা বলতেন না। অতঃপর তিনি আবার দাঁড়াতেন ও (দ্বিতীয়) খুতবাহ্ দিতেন। (আবূ দাঊদ)[1]
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ خُطْبَتَيْنِ كَانَ يَجْلِسُ إِذَا صَعِدَ الْمِنْبَرَ حَتَّى يَفْرُغَ أُرَاهُ الْمُؤَذِّنَ ثُمَّ يَقُومُ فَيَخْطُبُ ثُمَّ يَجْلِسُ وَلَا يَتَكَلَّمُ ثمَّ يقوم فيخطب. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (يَخْطُبُ خُطْبَتَيْنِ) অর্থাৎ জুমু‘আর দিনে, যেমন- সহীহ মুসলিমে অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। (كَانَ يَجْلِسُ) অর্থাৎ মিম্বারের উপর বসতেন, (إِذَا صَعِدَ الْمِنْبَرَ) ‘উলামাগণ বলেনঃ মিম্বারে খুতবাহ্ দেয়া মুস্তাহাব।
(وَلَا يَتَكَلَّمُ) সুনানে আবী দাঊদে রয়েছে, (فَلَا يَتَكَلَّمُ) তিনি কোন কথা বলতেন না। আল্লামা জাযূরী (রহঃ) অনুরূপ বর্ণনা করেছেনঃ অর্থাৎ উক্ত বৈঠকে (দু’ খুতবার মাঝে) তিনি মনে মনে যিকর, দু‘আ ও তিলাওয়াত ছাড়া কোন কথা বলতে না। ইবনু হিব্বানে রয়েছে যে, এ বৈঠকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিতাবুল্লাহ তিলাওয়াত করতেন। আর প্রথম ক্বিরাআত (কিরআত) হলো সূরাহ্ আল ইখলাস।
হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেনঃ (فَلَا يَتَكَلَّمُ) দ্বারা বুঝা যায় যে, দু’ খুতবার মাঝের বৈঠক অবস্থায় কোন কথা বলা যাবে না। তবে মনে মনে আল্লাহর যিকর ও দু‘আ পড়তে কোন বাধা নেই। (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন)
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪১৪-[১৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিম্বারে দাঁড়াতেন, আমরা তাঁর মুখোমুখী হয়ে বসতাম। (তিরমিযী; তিনি বলেন, এ হাদীসটি শুধু মুহাম্মাদ ইবনু ফাযল-এর মাধ্যমে পাওয়া গেছে। তিনি ছিলেন য’ঈফ [দুর্বল]। তার স্মরণশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى الْمِنْبَرِ اسْتَقْبَلْنَاهُ بِوُجُوهِنَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ وَهُوَ ضَعِيفٌ ذَاهِبُ الْحَدِيثِ
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (اسْتَقْبَلْنَاهُ بِوُجُوهِنَا) সম্পর্কে ইবনুল মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমরা তার মুখোমুখী হতাম, সুতরাং সুন্নাত হলোঃ ক্বওমের লোকেরা খতীবের মুখোমুখী হবে এবং খতীব ক্বওমের মুখোমুখী হবে। আবূ আইয়ূব আল মাদানী (রহঃ) আত্ তিরমিযী’র ব্যাখ্যায় বলেনঃ অর্থাৎ আমরা (সাহাবীগণ) মিম্বারের চতুষ্পার্শ্বে গোল হয়ে বসতাম না, কেননা জুমু‘আর দিনে এটা নিষিদ্ধ ছিল বরং আমরা কাতারবন্দী হয়ে তার মুখামুখী হয়ে বসতাম। এ হাদীস প্রমাণ করে যে, মানুষের জুমু‘আর দিন খতীবের সামনা-সামনি হয়ে বসা সুন্নাত এবং ইবনু মাজার বর্ণনাও সেটার উপর প্রমাণ করে। ‘আদী ইবনুস্ সাবিত (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিম্বারে দাঁড়াতেন তখন সাহাবায়ে কিরামগণ তার দিকে মুখ করে তার সামনে বসতেন।