পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৫-[১৫] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সালাতের সময়) কাউকে অপরজনকে তার স্থান হতে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সেখানে বসতে নিষেধ করেছেন। নাফি’কে জিজ্ঞেস করা হলো, এটা কি শুধু জুমু’আর সালাতের জন্য। উত্তরে তিনি বললেন, জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ও অন্যান্য সালাতেও। (বুখারী, মুসলিম)[1]
عَنْ نَافِعٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقِيمَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ مِنْ مَقْعَدِهِ وَيَجْلِسَ فِيهِ. قِيلَ لِنَافِعٍ: فِي الْجُمُعَةِ قَالَ: فِي الْجُمُعَة وَغَيرهَا
ব্যাখ্যা: নাফি' (রহঃ) ছিলেন ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর দাস, তিনি ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনু জুরায়জ নাফি (রহঃ)-কে জুমু‘আর একজনের স্থানে অন্যজনের বসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস সরে বললেন যে, এ নিষেধাজ্ঞাটা কি শুধু জুম‘আর জন্যই প্রযোজ্য নাকি তা অন্যান্য দিনের সালাতের স্থানগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? জবাবে তিনি বললেন তা অন্যান্য দিনের সালাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে জুমু‘আর দিনের সাথে নির্দিষ্ট করণের বর্ণনাও রয়েছে জাবির (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে।
আর এ ব্যাপারে আলোচনা অতিবাহিত হয়েছে এবং ইমাম বুখারী (রহঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ) মুত্বলাক্ব হাদীসের উপর অধ্যায় বেঁধেছেন,
بَابُ لَا يُقِيْمُ الرَّجُلُ أَخَاهُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَيَقْعُدُ فِىْ مَكَانِه
অর্থাৎ এটি অধ্যায় হলো কোন লোক তার ভাইকে উঠিয়ে দিয়ে উক্ত স্থানে বসবে না এবং উল্লেখিত ‘আম হাদীসের উপর ভিত্তি করে ইবনু জুরায়জ-এর জবাবে নাফি' জুমু‘আহ্ সম্পর্কে দলীল পেশ করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৬-[১৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন প্রকারের লোক জুমু’আর সালাতে উপস্থিত হয়। এক প্রকার হলো, যারা বেহুদা কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ে হাজির হয়। জুমু’আর দ্বারা তাদের এটাই হয় লাভ। দ্বিতীয় প্রকারের লোক হলো, আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে চাইতে হাজির হয়। এরা এমন লোক, যারা আল্লাহর কাছে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করতে চায়। আল্লাহ চাইলে তাদের তা দান করতে পারেন। আর ইচ্ছা না করলে নাও দিতে পারেন। তৃতীয় প্রকারের লোক হলো, শুধু জুমু’আর সালাতের উদ্দেশে নিরবতার সাথে মসজিদে উপস্থিত হয়। সামনে যাবার জন্য কারো ঘাড় টপকায় না। কাউকে কোন কষ্ট দেয় না। এ ধরনের লোকদের এ জুমু’আহ্ থেকে পরবর্তী জুমু’আহ্ পর্যন্ত সময়ে (সগীরাহ্) গুনাহের কাফফারাহ্ হয়ে যায়। তাছাড়া আরো অতিরিক্ত তিন দিনের কাফফারাহ্ হবে এজন্য যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’যে ব্যক্তি কোন উত্তম কাজ করবে তার জন্য এর দশ গুণ প্রতিদান রয়েছে’’- (সূরাহ্ আল আন্’আম ৬: ১৬০)। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَحْضُرُ الْجُمُعَةَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ: فَرَجُلٌ حَضَرَهَا بِلَغْوٍ فَذَلِكَ حَظُّهُ مِنْهَا. وَرَجُلٌ حَضَرَهَا بِدُعَاءٍ فَهُوَ رَجُلٌ دَعَا اللَّهَ إِنْ شَاءَ أَعْطَاهُ وَإِنْ شَاءَ مَنعه. وَرجل حَضَره بِإِنْصَاتٍ وَسُكُوتٍ وَلَمْ يَتَخَطَّ رَقَبَةَ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُؤْذِ أَحَدًا فَهِيَ كَفَّارَةٌ إِلَى الْجُمُعَةِ الَّتِي تَلِيهَا وَزِيَادَةِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ وَذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يَقُولُ: (مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا. .)
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: জুমু‘আর দিনের উপস্থিতি তিন শ্রেণীরঃ
(১) যে অনর্থক কথা বলবে এবং মানুষের গর্দান ফেঁড়ে সামনে অতিক্রম করার মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দিবে সে তথায় উপস্থিতির মধ্য হতে অনর্থক কথা বলা ও মানুষকে কষ্ট দেয়ারই অংশ পাবে।
(২) মানুষকে কষ্ট না দিয়ে নিজ অংশ অনুসন্ধানকারী, তার ওপর বা তার জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া কিছুই নেই। সুতরাং সে তার উদ্দেশ্য বা অংশ পেতে পারে।
(৩) আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারী আর তার জুমু‘আই হবে দু’ জুমু‘আর মাঝের সাত দিনের গুনাহ মাফের কারণ এবং সাতের সাথে তিন দিন বৃদ্ধি করে ক্ষমা করা হবে।
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৭-[১৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন ইমামের খুতবার সময় কথা বলে, সে ভারবাহী গাধার মতো (বোঝা বহন করে, ফল ভোগ করতে পারে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যকে চুপ করতে বলে তারও জুমু’আহ্ নেই। (আহমাদ)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَكَلَّمَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَهُوَ كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا وَالَّذِي يَقُولُ لَهُ أَنْصِتْ لَيْسَ لَهُ جُمُعَة» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে যা জানা যায় তা হলোঃ প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় কথার মাঝে কোন পার্থক্য করা ব্যতীতই সকল প্রকার কথা বলা নিষিদ্ধ এবং সকল কথা বলা হারাম মর্মে মত দিয়েছেন জমহূর ‘উলামাগণ।
কিন্তু কেউ কেউ সেটা খুতবাহ্ শ্রবণকারীর সাথে নির্দিষ্ট করেছেন। তবে অধিকাংশ ‘উলামাগণ নির্দিষ্ট করেননি, তারা বলেন যদি কেউ জুমু‘আয় ভাল কাজের নির্দেশ দিতে ইচ্ছা করে, সে যেন ইশারার মাধ্যমে তা করে।
কেননা (لَيْسَ لَه جُمُعَة) অর্থাৎ তার কোন জুমু‘আহ্ নেই। এখানে দলীল হলো যে, তার কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)ই হবে না (কথা বললে)। এখানে জুমু‘আহ্ দ্বারা সালাত উদ্দেশ্য, কিন্তু ইজমার ভিত্তিতে তা যথেষ্ট হবে (অর্থাৎ সালাত আদায় হবে)। কেননা এখানে (نفى) নাফী-টা ফাযীলাতের জন্য, যা সে চুপ থাকার জন্য পাবে। যেমন- ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, ‘যে অনর্থক কথা বলবে মানুষের গর্দান চিড়ে সামনে যাবে তার যুহর আদায় হবে।’
ইবনু ওয়াহ্ব তার এক বর্ণনায় বলেনঃ তার অর্থ হলো তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হবে তবে সে জুমু‘আর ফাযীলাত থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ কথা বলার কারণে জুমু‘আহ্ বাতিল হবে না এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। যদিও আমরা তা হারাম বলে থাকি তবে অগ্রগণ্য মত হলোঃ (فلا جمعة له) এখানে ‘নাফী’ বা নিষেধাজ্ঞা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জুমু‘আর পূর্ণ সাওয়াব না পাওয়া তার মৌলিকত্বকে (জুমু‘আর মৌলিকত্ব) নিষেধ করছে না।
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৮-[১৮] ’উবায়দ ইবনু সাব্বাক্ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক জুমু’আর দিন বলেছেনঃ হে মুসলিমগণ! এ দিন, যে দিনকে আল্লাহ তা’আলা ঈদ হিসেবে গণ্য করেছেন। অতএব তোমরা এ দিন গোসল করবে। যার কাছে সুগন্ধি আছে সে তা ব্যবহার করলেও কোন ক্ষতি নেই। তোমরা অবশ্য অবশ্যই মিসওয়াক করবে। (মালিক, ইবনু মাজাহ তাঁর [’উবায়দাহ্ হতে])[1]
وَعَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فِي جُمُعَةٍ مِنَ الْجُمَعِ: «يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ جَعَلَهُ اللَّهُ عِيدًا فَاغْتَسِلُوا وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طِيبٌ فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ يَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَه عَنهُ
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত জুমু‘আর দিনটা মুসলিমদের জন্য খাস, ইবনু মাজাহর বর্ণনায় রয়েছেঃ নিশ্চয় এটা ঈদের দিন আল্লাহ তা‘আলা সেটা মুসলিমদের জন্য নির্ধারণ করেছেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ঈদের দিনের জন্য মুস্তাহাব। আর মুয়াত্ত্বার শব্দে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয় গোসল করাটা যে জুমু‘আয় উপস্থিত হবে তার জন্য খাস নয়। ইবনু মাজায় রয়েছে, (فمن جاء إلى الجمعة فليغتسل) অর্থাৎ যে জুমু‘আয় আসবে সে যেন গোসল করে। এই বর্ণনাটা ইঙ্গিত করছে, যে ব্যক্তি জুমু‘আয় উপস্থিত হবে, তার জন্য গোসলটা খাস। ‘উলামাগণের মাঝে এ মর্মে মতপার্থক্য রয়েছে যে, গোসল শুধু জুমু‘আর সালাতের জন্য, নাকি জুমু‘আর দিনের জন্য। ইমাম মুহাম্মাদ ও দাঊদ (রহঃ) যে মত ব্যক্ত করেছেন তা আবূ ইউসুফ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, নিশ্চয় তা (গোসল) জুমু‘আর দিনের জন্য। সুতরাং তা শিশু, নারী, পুরুষ ও দাস সবাইকে সম্পৃক্ত করে এবং যে সালাতে উপস্থিত হবে এটা তার জন্য খাস নয়।
জমহূর ‘উলামাগণ মতামত দিয়েছেন যে, নিশ্চয় তা সালাতের জন্য, দিনের জন্য নয়। সুতরাং গোসলটি তার জন্য খাস যে সালাতুল জুমু‘আয় উপস্থিত হবে।
সারকথা হলোঃ এখানে গোসল দু’টি, (১) দিনের জন্য (২) সালাতের জন্য এবং উভয় বিষয়ে হাদীস বর্ণিত রয়েছে, প্রথমটি মুস্তাহাব এবং দ্বিতীয়টি ওয়াজিব।
সুতরা যে ব্যক্তি জুমু‘আর পূর্বে গোসল করবে তার জন্য দু’টি গোসলের ফাযীলাত অর্জন হবে। আর যে ব্যক্তি জুমু‘আর পর করবে তার জন্য শুধু দিনের গোসলের ফাযীলাত অর্জন হবে, সালাতের গোসলের ফাযীলাত অর্জন হবে না।
(وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ) অর্থাৎ (الزموه) তোমরা তা আবশ্যক করো। এখানে أمر-টি খাস করে জুমু‘আর দিনে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) এবং গোসলের সময় পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার পূর্ণতার জন্য মিসওয়াক করা যে মুস্তাহাব এর গুরুত্ব বা দৃঢ়তা বুঝানোর জন্য।
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৯৯-[১৯] এবং হাদীসটি ’আব্বাস (রাঃ)হতে মুত্তাসিলরূপে বর্ণিত হয়েছে।
وَهُوَ عَن ابْن عَبَّاس مُتَّصِلا
ব্যাখ্যা: এখানে ইবনু মাজার বর্ণনাটি ইমাম বুখারী (রহঃ) তার সহীহ গ্রন্থে শু‘আয়ব (রহঃ)-এর সূত্রে যুহরী থেকে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তার পরিপন্থী। তাউস (রহঃ) বলেনঃ আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললাম যে, তারা উল্লেখ করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
اِغْتَسِلُوْا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْسِلُوْا رُؤُسَكُمْ وَإِنْ لَمْ تَكُوْنُوْا جُنُبًا، وَأَصِيْبُوْا مِنَ الطِّيْبِ.
অর্থাৎ তোমরা জুমু‘আর দিনে গোসল করো এবং তোমাদের মাথা ধৌত করো যদিও তোমরা নাপাক না হও এবং সুগন্ধি ব্যবহার করো। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ গোসলের ব্যাপারে বলব, হ্যাঁ, আর সুগন্ধির লাগানো ব্যাপারে বলব আমি জানি না।
এর জবাবে বলা যায যে, ইবনু মাজার বর্ণনার সানাদে সালিহ ইবনু আবিল আখযার, যিনি যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আর যুহরী আবিদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, এখানে সালিহ য‘ঈফ রাবী।
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৪০০-[২০] বারা (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু’আর দিন মুসলিমরা যেন অবশ্যই গোসল করে। তার পরিবারে সুগন্ধি থাকলে যেন তা ব্যবহার করে। যদি সুগন্ধি না থাকে, তাহলে গোসলের পানিই তার জন্য সুগন্ধি। (আহমাদ, তিরমিযী; তিনি [তিরমিযী (রহঃ)] বলেন, হাদীসটি হাসান।)[1]
وَعَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَقًّا عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَغْتَسِلُوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلْيَمَسَّ أَحَدُهُمْ مِنْ طِيبِ أَهْلِهِ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَالْمَاءُ لَهُ طِيبٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
ব্যাখ্যা: আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ তার উচিত হবে পানি এবং সুগন্ধির মাঝে একত্র করা। আর সুগন্ধি না পাওয়া গেলে পানি যথেষ্ট হবে। কেননা মূল উদ্দেশ্য হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং দুর্গন্ধ দূর করা।