পরিচ্ছেদঃ ৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমু‘আর সালাত ফরয
১৩৭৮-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন লোক সম্পর্কে বলেছেন, যারা জুমু’আর সালাতে উপস্থিত হয় না, তাদের সম্পর্কে আমি চিন্তা করে দেখেছি যে, আমি কাউকে আদেশ করব, সে আমার স্থানে লোকদের ইমামাত করবে। আর আমি গিয়ে তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেবো। (মুসলিম)[1]
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِقَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُحْرِقَ عَلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ بُيُوتهم» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (بُيُوتهم) এটি أُحْرِقَ -এর মাফ্‘ঊল। এর অর্থ হলো আমার ইচ্ছা জাগে যে, কাউকে ইমামতি দিয়ে, যারা বিনা কারণে জুমু‘আয় উপস্থিত হয়নি, আমি তাদের বাড়ী যেন পুড়িয়ে দেই। অর্থাৎ তাদের ঘরে নিজেদের যে আসবাবপত্র রয়েছে তা সবই। আলোচ্য হাদীস জুমু‘আর ফারযিয়্যাতের উপর দলীল।
পরিচ্ছেদঃ ৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমু‘আর সালাত ফরয
১৩৭৯-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কারণ ব্যতীত জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছেড়ে দেয়, তার নাম এমন কিতাবে মুনাফিক্ব হিসেবে লিখা হয় যা কখনো মুছে ফেলা যায় না, না পরিবর্তন করা যায়। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, তিন জুমু’আহ্ পরিত্যাগ করার কথা আছে (তার জন্য এ শাস্তি)। (ইমাম শাফি’ঈ)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةُ مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ كُتِبَ مُنَافِقًا فِي كِتَابٍ لَا يُمْحَى وَلَا يُبَدَّلُ» . وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ ثَلَاثًا. رَوَاهُ الشَّافِعِي
পরিচ্ছেদঃ ৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমু‘আর সালাত ফরয
১৩৮০-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার ওপর ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, তার জন্য জুমু’আর দিনে জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, নাবালেগ ও গোলামের ওপর ফরয নয়। সুতরাং যারা খেল-তামাসা বা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হতে উদাসীন থাকবে, আল্লাহ তা’আলাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকবেন। আর আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি সুউচ্চ, প্রশংসিত। (দারাকুত্বনী)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا مَرِيض أَو مُسَافر أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَمْلُوكٌ فَمَنِ اسْتَغْنَى بِلَهْوٍ أَوْ تِجَارَةٍ اسْتَغْنَى اللَّهُ عَنْهُ وَاللَّهُ غَنِيٌّ حميد» . رَوَاهُ الدراقطني
ব্যাখ্যা: মুসাফিরের ওপর জুমু‘আয় উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব নয়, সেটার দ্বারা সরাসরি সফর অর্থাৎ সওয়ারী অবস্থা উদ্দেশ্য হতে পারে, আর সওয়ারী থেকে নামলে তার জন্য জুমু‘আহ্ ওয়াজিব। যদিও শুধু সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের সময় নিয়ে নেমে থাকে।
একদল ‘উলামাগণ এ মত ব্যক্ত করেছেন, তাদের মধ্য যুহরী ও নাখ্‘ঈ রয়েছেন। কেউ বলেছেন, তার ওপর জুমু‘আহ্ ওয়াজিব নয়, কেননা সে مُسَافر (মুসাফির) শব্দের মধ্যই রয়েছে এবং এটাই জমহূর ‘উলামাগণের মত। এমনকি এটাই অধিক নিকটবর্তী ও কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, কেননা সফরের হুকুমে তার জন্য ক্বসর বলবৎ রয়েছে।