পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১৬-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে আমাদেরকে কুরআনের কোন সূরাহ্ শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে তিনি আমাদেরকে তাশাহুদও শিখাতেন। তিনি বলতেন, ’’বিসমিল্লা-হি ওয়া বিল্লা-হি, আততাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াসসলাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বইয়্যিবা-তু আসসালা-মু ’আলায়কা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু, ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওবার-কা-তুহু, আসসালা-মু ’আলায়না- ওয়া’আলা- ’ইবা-দিল্লা-হিস্ স-লিহীন। আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ’আবদুহূ ওয়া রসূলুহু। আস্আলুল্ল-হাল জান্নাতা ওয়া আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনান্না-র।’’ (নাসায়ী)[1]
عَن جَابِرٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ من الْقُرْآن: «بِسم الله وَبِاللَّهِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَسْأَلُ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: بِسْمِ اللهِ (বিসমিল্লা-হি ওয়া বিল্লা-হ) এ অতিরিক্তি শুধুমাত্র রাবী আয়মান ইবনু নাবিল তিনি আবূ যুবায়র হতে জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আর লায়স ও ‘আমর ইবনু হারিস আরো অন্যরা বিসমিল্লা-হ ছাড়াই বর্ণনা করেছেন।
আর হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে বলেছেনঃ এ অতিরিক্ত বিসমিল্লা-হ সহীহ না।
পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১৭-[১২] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’উমার (রাঃ) যখন সালাতে বসতেন, নিজের দু’ হাত নিজের দু’ রানের উপর রাখতেন। আর শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন এবং তার চোখের দৃষ্টি থাকতো আঙ্গুলের প্রতি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ শাহাদাত আঙ্গুল শায়ত্বনের (শয়তানের) কাছে লোহার চেয়ে বেশি শক্ত। অর্থাৎ- শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে তাওহীদের ইশারা করা শায়ত্বনের (শয়তানের) ওপর নেয়া নিক্ষেপ করার চেয়েও কঠিন। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلَاةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ وَأَتْبَعَهَا بَصَرَهُ ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَهِيَ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنَ الْحَدِيدِ» . يَعْنِي السبابَة. رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: আঙ্গুলের ইশারাটা শায়ত্বনের (শয়তানের) নিকট তরবারি ও তীরের আঘাতের চেয়েও কঠিন, কেননা এখানে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী ব্যক্তিকে শায়ত্বন (শয়তান) শির্ক ও কুফরে লিপ্ত করবে, সে আকাঙ্ক্ষাক্ষে ধূলিসাৎ করে।
يَعْنِي السَّبَّابَةَ অর্থাৎ- তর্জনী দ্বারা এ কথাটি রাবীর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নয়।
سَبَّابَةُ (সাববা-বাহ্) শব্দটি গালমন্দের অর্থে ব্যবহৃত হয় আর এ অর্থটি বেশী উপযোগী। এদিকে ইশারা করা হয়েছে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীকে পথভ্রষ্ট করার শায়ত্বনের (শয়তানের) ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় (এ গালমন্দের দ্বারা)।
পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১৮-[১৩] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, সালাতে তাশাহুদ চুপে চুপে পড়াই সুন্নাত। আবূ দাঊদ ও তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান গরীব বলেছেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ كَانَ يَقُولُ: مِنَ السُّنَّةِ إِخْفَاءُ التَّشَهُّدِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এরূপ সমতুল্য। এটা জমহূর (সকল) মুহাদ্দিস ও ফুকাহার মতে, অবশ্য কেউ কেউ মাওকূফ মনে করে তথা সাহাবী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। হাদীসটি প্রমাণ করে, তাশাহুদ গোপনে পড়া সুন্নাত। ইমাম তিরমিযী বলেন, ‘উলামাগণ এর উপর ‘আমল করেছেন।