হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৯১৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ

৯১৭-[১২] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’উমার (রাঃ) যখন সালাতে বসতেন, নিজের দু’ হাত নিজের দু’ রানের উপর রাখতেন। আর শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন এবং তার চোখের দৃষ্টি থাকতো আঙ্গুলের প্রতি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ শাহাদাত আঙ্গুল শায়ত্বনের (শয়তানের) কাছে লোহার চেয়ে বেশি শক্ত। অর্থাৎ- শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে তাওহীদের ইশারা করা শায়ত্বনের (শয়তানের) ওপর নেয়া নিক্ষেপ করার চেয়েও কঠিন। (আহমাদ)[1]

وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلَاةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَأَشَارَ بِأُصْبُعِهِ وَأَتْبَعَهَا بَصَرَهُ ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَهِيَ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنَ الْحَدِيدِ» . يَعْنِي السبابَة. رَوَاهُ أَحْمد

ব্যাখ্যা: আঙ্গুলের ইশারাটা শায়ত্বনের (শয়তানের) নিকট তরবারি ও তীরের আঘাতের চেয়েও কঠিন, কেননা এখানে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী ব্যক্তিকে শায়ত্বন (শয়তান) শির্ক ও কুফরে লিপ্ত করবে, সে আকাঙ্ক্ষাক্ষে ধূলিসাৎ করে।

يَعْنِي السَّبَّابَةَ অর্থাৎ- তর্জনী দ্বারা এ কথাটি রাবীর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নয়।

سَبَّابَةُ (সাববা-বাহ্) শব্দটি গালমন্দের অর্থে ব্যবহৃত হয় আর এ অর্থটি বেশী উপযোগী। এদিকে ইশারা করা হয়েছে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীকে পথভ্রষ্ট করার শায়ত্বনের (শয়তানের) ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হয়ে যায় (এ গালমন্দের দ্বারা)।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ