পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৫-[১২] ’আবদুল্লাহ (রাঃ) বিন মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমি মদীনার উপকণ্ঠে এক মহিলার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া ছাড়া আর সব রসাস্বাদন করেছি। আমি আপনার দরবারে উপস্থিত, তাই আমার প্রতি এ অপরাধের কারণে যা শাস্তি বিধান করার তা আপনি করুন। ’উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তোমার অপরাধ ঢেকে রেখেছিলেন। তুমি নিজেও তা ঢেকে রাখতে (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে, তবে তা উত্তম হতো)। বর্ণনাকারী [’আবদুল্লাহ (রাঃ)] বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথার কোন উত্তর দিলেন না। তাই লোকটি উঠে চলে যেতে লাগলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পিছনে লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন এবং তার সামনে এ আয়াত পাঠ করলেন- (অর্থ) ’’সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কায়িম কর দিনের দু’ অংশে, রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক কাজ বদ কাজকে দূর করে দেয়, উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটা একটা উপদেশ’’- (সূরাহ্ হূদ ১১: ১১৪)। এ সময় উপস্থিত এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর নবী! এ হুকুম কি বিশেষভাবে তার জন্য। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, না, বরং সকল মানুষের জন্যই। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي عَالَجْتُ امْرَأَةً فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَإِنِّي أَصَبْتُ مِنْهَا مَا دُونَ أَنْ أَمَسَّهَا فَأَنَا هَذَا فَاقْضِ فِيَّ مَا شِئْتَ. فَقَالَ عُمَرَ لَقَدْ سَتَرَكَ اللَّهُ لَو سترت نَفْسِكَ. قَالَ وَلَمْ يَرُدَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ شَيْئًا فَقَامَ الرَّجُلُ فَانْطَلَقَ فَأَتْبَعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا فَدَعَاهُ وتلا عَلَيْهِ هَذِه الْآيَة (أقِم الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَات يذْهبن السَّيِّئَات ذَلِك ذكرى لِلذَّاكِرِينَ)
فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ هَذَا لَهُ خَاصَّة قَالَ: «بل للنَّاس كَافَّة» . رَوَاهُ مُسلم

عن عبد الله بن مسعود قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله اني عالجت امراة في اقصى المدينة واني اصبت منها ما دون ان امسها فانا هذا فاقض في ما شىت. فقال عمر لقد سترك الله لو سترت نفسك. قال ولم يرد النبي صلى الله عليه وسلم عليه شيىا فقام الرجل فانطلق فاتبعه النبي صلى الله عليه وسلم رجلا فدعاه وتلا عليه هذه الاية (اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات ذلك ذكرى للذاكرين) فقال رجل من القوم يا نبي الله هذا له خاصة قال: «بل للناس كافة» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম যে, একজন সাহাবীর অন্তরে আল্লাহর ভয় ও পরকালীন শাস্তির ভয়ের পরিমাণ কত বেশী ছিল যে, সামান্য একটু পাপের কারণে অস্থির হয়ে যাচ্ছেন এবং তৎক্ষণাৎ পবিত্র হওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সুতরাং প্রতিটি মু’মিনের অন্তরে আল্লাহর ‘আযাবের ভয় এ রকমই থাকতে হবে। সামান্যতম পাপ হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ তাওবাহ্ করে নিতে হবে। হাদীসের মধ্যে উল্লিখিত আয়াত হতে এ কথা বুঝে আসে যে, আল্লাহ তা‘আলার দয়ার সাগর শুধুমাত্র ঐ সমস্ত বান্দাগণের জন্য যারা ঈমান আনার পর নেক কাজসমূহ সম্পাদন করেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৬-[১৩] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক শীতের সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন, আর তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি গাছের দু’টি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে গাছের পাতা ঝরতে লাগলো। আবূ যার (রাঃ) বলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে ডাকলেন, হে আবূ যার! উত্তরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি উপস্থিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির বিধানের জন্য খালিস মনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে, তার জীবন থেকে তার গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে পড়তে থাকে যেভাবে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। (আহমাদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَرَجَ زَمَنَ الشِّتَاءِ وَالْوَرَقُ يَتَهَافَتُ فَأَخَذَ بِغُصْنَيْنِ مِنْ شَجَرَةٍ قَالَ فَجَعَلَ ذَلِكَ الْوَرَقُ يَتَهَافَتُ قَالَ فَقَالَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ» قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «إِنَّ العَبْد الْمُسلم ليصل الصَّلَاة يُرِيد بهَا وَجه الله فتهافت عَنهُ ذنُوبه كَمَا يتهافت هَذَا الْوَرَقُ عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ

وعن ابي ذر ان النبي صلى الله عليه وسلم: خرج زمن الشتاء والورق يتهافت فاخذ بغصنين من شجرة قال فجعل ذلك الورق يتهافت قال فقال: «يا ابا ذر» قلت لبيك يا رسول الله قال: «ان العبد المسلم ليصل الصلاة يريد بها وجه الله فتهافت عنه ذنوبه كما يتهافت هذا الورق عن هذه الشجرة» . رواه احمد

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের মধ্যে শুধুমাত্র ঐ সালাতের ফাযীলাত বর্ণনা করা হয়েছে যা কোন ইহকালীন স্বার্থের জন্য নয়, বরং এক আল্লাহকে ভয় করে শুধু তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য আদায় করা হয়েছে। তা না হলে ফাযীলাত তো নেই, বরং কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৭-[১৪] যায়দ বিন খালিদ আল জুহানী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছে, আর এতে ভুল করেনি, আল্লাহ তার অতীত জীবনের সব গুনাহ (সগীরাহ্) ক্ষমা করে দিবেন। (আহমাদ ও বায়হাক্বী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن زيد بن خَالِد الْجُهَنِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ لَا يَسْهُو فِيهِمَا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ

وعن زيد بن خالد الجهني قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من صلى سجدتين لا يسهو فيهما غفر الله له ما تقدم من ذنبه» . رواه احمد

ব্যাখ্যা: হাদীসের মধ্যে ঐ সালাতের ফাযীলাত বর্ণনা করা হয়েছে, যে সালাতের মধ্যে মুসল্লী স্বীয় মন ও মস্তিষ্ককে ইহকালীন যাবতীয় খেয়াল ও চিন্তা হতে মুক্ত করে আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্ব ও মহত্বকে ধারণ করে আখিরাতের কথা স্মরণপূর্বক পরিপূর্ণ একাগ্রতার সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। এরূপ সালাতের প্রতিদান হবে বান্দার ধারণাতীত।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৮-[১৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বললেনঃ যে ব্যক্তি সালাতের হিফাযাত করবে, তা কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তার জন্য জ্যোতি, দলীল ও মুক্তির উপায় হবে। আর যে ব্যক্তি সালাতের হিফাযাত করবে না, তার জন্য এটা জ্যোতি, দলীল ও মুক্তির কারণ হবে না। কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন সে ক্বারূন, ফির্’আওন, হামান ও উবাই বিন খালাফ-এর সাথে থাকবে। (আহমাদ, দারিমী ও বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ: «مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمن لم يحافظ عَلَيْهَا لم يكن لَهُ نور وَلَا برهَان وَلَا نجاة وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص عن النبي صلى الله عليه وسلم: انه ذكر الصلاة يوما فقال: «من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة يوم القيامة ومن لم يحافظ عليها لم يكن له نور ولا برهان ولا نجاة وكان يوم القيامة مع قارون وفرعون وهامان وابي بن خلف» . رواه احمد والدارمي والبيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: হাদীসের মধ্যে এ কথা বুঝানো হয়েছে যে, ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন জাহান্নাম হতে মুক্তি ও জান্নাত লাভ পরিপূর্ণরূপে নির্ভর করছে সালাতের উপর। শুধু তাই নয় বরং সালাতের ব্যাপারে উদাসীন ব্যক্তি হাদীসের মধ্যে উল্লিখিত চারজন গুরুতর অপরাধীর সাথে অবস্থান করবে।

এখানে কিছু মনীষী একটি সূক্ষ্ম বিষয় বুঝিয়েছেন যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগকারী ব্যক্তি কাফিরে পরিণত হয়ে যায় এবং হাদীসের মধ্যে বর্ণিত চারজন মহা অপরাধীর সাথে চির জাহান্নামী হবে। কারণ মুসলিম হয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগ করা আল্লাহর দৃষ্টিতে একটি বড় মাপের প্রতারণা।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৯-[১৬] ’আবদুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছাড়া অন্য কোন ’আমল পরিত্যাগ করাকে কুফরী বলে মনে করতেন না। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن عبد الله بن شَقِيق قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْأَعْمَالِ تَركه كفر غير الصَّلَاة. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن عبد الله بن شقيق قال: كان اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يرون شيىا من الاعمال تركه كفر غير الصلاة. رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের মধ্যে প্রকাশ্য দলীল রয়েছে যে, সাহাবায়ি কিরাম সকলেই এক বাক্যে ফাতাওয়া দিচ্ছেন যে, অলসতাবশত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগ করাও কুফরী। তাছাড়া ইমাম ইবনু হাযম বলছেন যে, অসংখ্য সাহাবায়ি কিরামের পক্ষ হতে ফাতাওয়া পাওয়া গেছে যে, অলসতাবশত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগকারী ব্যক্তি কাফির মুরতাদ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৮০-[১৭] আবুদ্ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উপদেশ দিয়েছেনঃ (১) তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদিও তোমাকে খণ্ডবিখন্ড করা হয় বা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়; (২) ইচ্ছা করে কোন ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগ করবে না, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগ করবে তার ওপর থেকে ইসলাম প্রদত্ত নিরাপত্তা উঠে যাবে; (৩) মদ পান করবে না, কারণ মদ হচ্ছে সকল মন্দের চাবিকাঠি। (ইবনু মাজাহ্)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن أبي الدَّرْدَاء قَالَ: أَوْصَانِي خَلِيلِي أَنْ لَا تُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَإِنْ قُطِّعْتَ وَحُرِّقْتَ وَلَا تَتْرُكْ صَلَاةً مَكْتُوبَة مُتَعَمدا فَمن تَركهَا مُتَعَمدا فقد بَرِئت مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلَا تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كل شَرّ. رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن ابي الدرداء قال: اوصاني خليلي ان لا تشرك بالله شيىا وان قطعت وحرقت ولا تترك صلاة مكتوبة متعمدا فمن تركها متعمدا فقد برىت منه الذمة ولا تشرب الخمر فانها مفتاح كل شر. رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: এ হাদীস মানবজাতিকে এ শিক্ষা প্রদান করে যে, শির্ক যেহেতু মানব বিবেকের বিপরীত কাজ এবং সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ত্যাগ করা যাবতীয় নেক কাজ ত্যাগ করার শামিল এবং মদ পান যাবতীয় অন্যায়ের মূল। সেজন্য এ তিনটি কাজকে একত্রে বর্ণনা করে জানানো হলো যে, শির্ক, সালাত ত্যাগ ও মদ পান করলে মানুষ ইহ-পরকালের যাবতীয় কল্যাণ হতে বঞ্চিত থাকবে।

প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশে সাময়িকের জন্য শির্কী বাক্য উচ্চারণ করা যেতে পারে কিন্তু তা না করে শহীদ হতে পারলে আল্লাহর নিকট একটি বিশেষ মর্যাদা পাওয়া যাবে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে