পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১২-[২৩] ’আবদুল আশহাল বংশের জনৈকা রমণী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! মসজিদের দিকে আমাদের (চলাচলের পথে) একটি অতি গন্ধময় রাস্তা আছে। সেখানে বৃষ্টি হবার পর আমরা কীভাবে সতর্কতা অবলম্বন করবো? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মসজিদের দিকে যাওয়ার জন্য পূর্বের চেয়ে আর কোন ভালো পবিত্র পথ পড়বে না? আমি বললাম, হ্যাঁ আছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটাই হলো ওটার বদলা (অর্থাৎ- পরবর্তী রাস্তার পবিত্র মাটি দিয়ে লেগে থাকা নাপাকী পবিত্র হয়ে যাবে)। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَنَا طَرِيقًا إِلَى الْمَسْجِد مُنْتِنَة فَكيف نَفْعل إِذا مُطِرْنَا قَالَ: «أَلَيْسَ بعْدهَا طَرِيق هِيَ أطيب مِنْهَا قَالَت قلت بلَى قَالَ فَهَذِهِ بِهَذِهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১৩-[২৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতাম। অথচ (পবিত্র মাটির) রাস্তায় চলার কারণে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতাম না। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَتَوَضَّأ من الموطئ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীস হতে বুঝা যায় যে, উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করার পর অপবিত্র স্থানে হাঁটলে উযূনষ্ট হয় না। তবে কেউ এখানে উযূকে আভিধানিক অর্থে নিয়েছেন। সুতরাং তারা হাদীসের অর্থ দ্বারা এখানে বুঝাতে চান যে, শুষ্ক নাপাক স্থানে হেঁটে গেলে তার পা ধৌত করা লাগবে না। আবূ দাঊদ-এর একটি বর্ণনায় আছে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমরা উযূ করতাম না।
পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১৪-[২৫] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে মসজিদে (নাবাবীতে) কুকুর চলাচল করতো। অথচ সাহাবীগণ (কুকুর হাঁটার জায়গায়) কোন পানি ছিটাতেন না (ধুইতেন না)। (বুখারী)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَتِ الْكِلَابُ تُقْبِلُ وَتُدْبِرُ فِي الْمَسْجِدِ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَكُونُوا يَرُشُّونَ شَيْئا من ذَلِك. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে মসজিদে কুকুর যাতায়াত করতো। কুকুরের শরীর শুষ্ক থাকার কারণে মসজিদে পানি ছিটিয়ে দেয়া হতো না। আর ঐ সময়ে মসজিদে দরজা ছিল না। তবে ধৌত করলে দোষের কিছু হবে না।
পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১৫-[২৬] বারা (ইবনু ’আযিব) (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার মাংস (মাংস/মাংস/গোসত) খাওয়া হয় তার প্রস্রাব গায়ে লাগলে ক্ষতি নেই।[1]
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:: «لَا بَأْسَ بِبَوْلِ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ»
ব্যাখ্যা: যে পশুর গোশ্ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) ভক্ষণ করা হালাল তার প্রস্রাব পবিত্র। তবে এ হাদীসটি খুবই দুর্বল। সেটা দ্বারা দলীল গ্রহণ করা ঠিক নয়। অবাকের কথা যে, লেখক এ দুর্বল হাদীসটি উল্লেখ করলেন অথচ উরানিয়িন এর হাদীস এবং ছাগলের থাকার জায়গায় সালাতের অনুমতির কথা উল্লেখ করলেন। অথচ সেটা সহীহ হাদীস। সুতরাং এ সহীহ হাদীস অনুসারে যে পশুর গোশ্ত (গোশত/গোস্ত/গোসত) খাওয়া হালাল তার প্রস্রাব পবিত্র- এ কথা যারা বলে তাদের কথা সঠিক।
পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১৬-[২৭] জাবির (ইবনু ’আবদুল্লাহ) (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছেঃ তিনি বলেন, যে জীব-জন্তুর মাংস (মাংস/মাংস/গোসত) খাওয়া হয় তার প্রস্রাবে দোষ নেই। (আহমাদ ও দারাকুত্বনী)[1]
وَفِي رِوَايَةِ جَابِرٍ قَالَ: «مَا أُكِلَ لَحْمُهُ فَلَا بَأْس ببوله» . رَوَاهُ أَحْمد وَالدَّارَقُطْنِيّ