পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০১-[১২] লুবাবাহ্ বিনতু হারিস (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুসায়ন ইবনু ’আলী (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোলে তাঁর কাপড়ে প্রস্রাব করে দিলেন। তখন আমি বললাম, আপনি অন্য কাপড় পরে নিন এবং আমাকে আপনার কাপড়টি দিন, আমি তা ধুয়ে দেই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার উত্তরে বললেন, মেয়েদের প্রস্রাব ধুতে হয়। ছেলেদের প্রস্রাবের উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই হয়। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]
عَن لبَابَة بنت الْحَارِث قَالَتْ: كَانَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا فِي حِجْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فَبَال عَلَيْهِ فَقُلْتُ الْبَسْ ثَوْبًا وَأَعْطِنِي إِزَارَكَ حَتَّى أَغْسِلَهُ قَالَ: «إِنَّمَا يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْأُنْثَى وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الذَّكَرِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: (اِنَّمَا يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْاُنْثى وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الذَّكَرِ) ‘‘শুধুমাত্র মেয়েদের প্রস্রাব ধুতে হয়। আর ছেলেদের প্রস্রাবের উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই হয়।’’ অর্থাৎ- ছেলেদের প্রস্রাবযুক্ত কাপড়ের উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যায় ধোয়ার প্রয়োজন নেই যেমনটি মেয়েদের প্রস্রাবযুক্ত কাপড় ধুতে হয়। অত্র হাদীস সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, ছেলে শিশু আর মেয়ে শিশুদের প্রস্রাবের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ছেলে শিশুদের প্রস্রাবের উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়। অবশ্যই তা ধুতে হবে। আর এ পার্থক্য ততদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে যতদিন ঐ শিশু দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার না খায়। যখনই দুধ ছাড়া অন্যকোন খাবার খাওয়া শুরু করবে তখন আর এ পার্থক্য থাকবে না। অর্থাৎ- তখন ছেলের প্রস্রাবযুক্ত কাপড়ও ধুতে হবে। তখন আর শুধুমাত্র পানি ছিটিয়ে দিলে যথেষ্ট হবে না।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০২-[১৩] আবূ দাঊদ ও নাসায়ীর এক বর্ণনায় আবুস্ সাম্হ হতে এ শব্দগুলো অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ মেয়ে শিশুদের প্রস্রাব ধুতে হয়। আর ছেলে শিশুদের প্রস্রাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হয়।[1]
وَفِي رِوَايَةٍ لِأَبِي دَاوُدَ وَالنَّسَائِيِّ عَنْ أَبِي السَّمْحِ قَالَ: يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْجَارِيَةِ وَيُرَشُّ من بَوْل الْغُلَام
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৩-[১৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন নিজের জুতা দিয়ে অপবিত্র জিনিস মাড়ায়, তখন মাটিই এর জন্য পবিত্রকারী। (আবূ দাঊদ)[1] ইবনু মাজাহ্ও অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَطِئَ أَحَدُكُمْ بِنَعْلِهِ الْأَذَى فَإِنَّ التُّرَابَ لَهُ طَهُورٌ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَلِابْنِ مَاجَه مَعْنَاهُ
ব্যাখ্যা: রাস্তায় চলতে চলতে জুতায় নাপাকী লাগলে, অতঃপর পবিত্র মাটিতে হাঁটলে বা মাটিতে ঘষা দিলে সেটা পবিত্র হয়ে যায়। হাদীসটি সুনানে আবূ দাঊদে ও ইবনু মাজায় বর্ণিত হয়েছে। উক্ত হাদীস হতে আরো বুঝা যায় যে, জুতায় নাপাক কিছু লাগলে সেটা কিছু দ্বারা দূর করে দিলে জুতা পবিত্র হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) এ হাদীসকে অমান্য করেছেন, কারণ তিনি ক্বিয়াসকে হাদীসের উপর অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাঁর মাযহাব বলে জুতা ধৌত করা ছাড়া পবিত্র হয় না।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৪-[১৫] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁকে এক মহিলা এসে বললো, আমি আমার কাপড়ের আঁচল নিচে লম্বা করে দেই, আর অপবিত্র জায়গায় চলি (এখন আমি কী করব?) তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পরের পবিত্র জায়গার মাটি এটাকে পবিত্র করে দেয়। (মালিক, আহা্মাদ ও তিরমিযী)[1]
আবূ দাঊদ ও দারিমী বলেন, প্রশ্নকারী মহিলা ছিলেন ইব্রাহীম ইবনু ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ-এর উম্মু ওয়ালাদ বা সন্তানের মা।
وَعَن أم سَلمَة قَالَتْ لَهَا امْرَأَةٌ: إِنِّي امْرَأَةٌ أُطِيلُ ذَيْلِي وَأَمْشِي فِي الْمَكَانِ الْقَذِرِ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالا: الْمَرْأَة أم ولد لإِبْرَاهِيم ابْن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف
ব্যাখ্যা: অপবিত্র রাস্তায় মহিলাদের কাপড়ের আঁচল ঘষা লেগে অপবিত্র হলে পরবর্তী রাস্তা যদি পবিত্র হয় তবে তার উপর হাঁটতে হাঁটতে পবিত্র হয়ে যায়। সে স্থান শুকনা হোক বা কাদা যুক্ত হোক কাপড় ধৌত করার প্রয়োজন নেই।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৫-[১৬] মিক্বদাম ইবনু মা’দীকারীব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিংস্র জন্তুর চামড়া পরতে ও এর উপর আরোহণ করতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
وَعَن الْمِقْدَام بن معدي كرب قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ لُبْسِ جُلُودِ السِّبَاعِ وَالرُّكُوبِ عَلَيْهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (نَهى عَنْ لُّبْسِ جُلُوْدِ السِّبَاعِ) ‘‘হিংস্র প্রাণীর চামড়া পরতে ও এর উপর আরোহণ করতে নিষেধ করেছেন।’’ অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, হিংস্র প্রাণীর চামড়া ব্যবহার করা অবৈধ। কেননা তা অহংকারী লোকেদের কাজ। অনুরূপ এতে রয়েছে অপব্যয়। অত্র হাদীস এও প্রমাণ করে যে, পাকা করার ফলে হিংস্র প্রাণীর চামড়া পবিত্র হয় না।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৬-[১৭] আবুল মালীহ ইবনু উসামাহ্ (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিংস্র পশুর চামড়া ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। (আহমাদ, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী;[1]
কিন্তু তিরমিযী ও দারিমীর বর্ণনায় আরো আছে এবং তা বিছাতে [বিছানা বা গদী হিসেবে ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন]।)[2]
[2] সহীহ : তিরমিযী ১৭৭১, (সহীহ সুনান আত্ তিরমিযী), দারিমী ১৯৮৩।
وَعَنْ أَبِي الْمَلِيحِ بْنِ أُسَامَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَهَى عَنْ جُلُودِ السِّبَاعِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ وَزَاد التِّرْمِذِيّ والدارمي: أَن تفترش
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৭-[১৮] আবুল মালীহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হিংস্র জন্তুর চামড়ার মূল্য অপছন্দ করতেন। (তিরমিযী)[1]
وَعَن أبي الْمليح: أَنه ذكره ثمن جُلُود السبَاع. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي اللبَاس من جَامعه وَسَنَده جيد
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৮-[১৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উকায়ম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ মর্মে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পত্র এসেছেঃ তোমরা মৃত জীবজন্তুর চামড়া ও রগ দ্বারা ফায়দা উঠাবে না। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَن عبد الله بن عكيم قَالَ: أَتَانَا كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْ لَا تَنْتَفِعُوا مِنَ الْمَيْتَةِ بِإِهَابٍ وَلَا عَصَبٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে হিংস্র পশুর চামড়া ও রগ (শিরা) ব্যবহার করতে; কেননা সেটা অপবিত্র। তবে হাদীসটি দুর্বল।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫০৯-[২০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত জীবের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর এর থেকে উপকৃত হতে নির্দেশ দিয়েছেন। (মালিক ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَرَ أَنْ يُسْتَمْتَعَ بِجُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ. رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: মৃত পশুর চামড়া রং করলে পবিত্র হয়ে যায়। আর সেটা দ্বারা ফায়দা উঠানো যাবে।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১০-[২১] মায়মূনাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরায়শ গোত্রের কিছু লোক গাধার মতো বড় একটি মৃত বকরীকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ দিয়ে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন, তোমরা যদি এর চামড়া ছিলে নিতে (তাহলে হয়তো তোমাদের কাজে লাগতো)। তারা বলল, এটা তো মৃত (যাবাহ করা নয়)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি এবং সলম গাছের পাতা একে পবিত্র করে। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن مَيْمُونَة مر على النَّبِي الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِجَالٌ مِنْ قُرَيْشٍ يَجُرُّونَ شَاةً لَهُمْ مِثْلَ الْحِمَارِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ أَخَذْتُمْ إِهَابَهَا» قَالُوا إِنَّهَا مَيْتَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُطَهِّرُهَا الْمَاءُ والقرظ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: মৃত ছাগলের বা গরুর চামড়া খুলে নেয়া জায়িয আছে। পানি বাবলা পাতা দ্বারা ধৌত করলে বা রং করলে পবিত্র হয়ে যায়। রং দেয়ার মধ্যে পানি ব্যবহার প্রয়োজন হয় বিধায় তাতে ময়লা ও অপবিত্রতা দূর হয়।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৫১১-[২২] সালামাহ্ ইবনুল মুহাব্বিক্ব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাবূকের যুদ্ধের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পরিবারের নিকট গেলেন। সেখানে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি মশক লটকানো দেখতে পেলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (তাত্থেকে) পানি চাইলেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! এটা তো মরা (জন্তুর পাকা করা) চামড়া। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটাকে দাবাগত করাই হলো এর পবিত্রতা। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن سَلمَة ابْن المحبق: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَة تَبُوك أَتَى على بَيْتٍ فَإِذَا قِرْبَةٌ مُعَلَّقَةٌ فَسَأَلَ الْمَاءَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا مَيْتَةٌ: «فَقَالَ دِبَاغُهَا طهورها» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: তাবূক যুদ্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাড়ীর লটকানো মশকের কাছে এসে পানি চাইলেন। লোকেরা বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! মশকটি মৃত পশুর থেকে তৈরি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সেটা রং করায় পবিত্র হয়ে গেছে। ইমাম খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, মৃত কিংবা জীবিত পশুর চামড়া রং করলে পবিত্র হয়।