পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৬-[১৩] ইয়াহ্ইয়া ইবনু ’আবদুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এক কাফিলার সাথে বের হলেন। এদের মধ্যে ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ)-ও ছিলেন। পথ চলতে চলতে তারা একটি হাওযের কাছে পৌঁছলেন। তখন ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) বললেন, হে হাওযের মালিক! তোমার হাওযে হিংস্র জন্তুরাও কি পানি পান করতে আসে? ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, হে হাওযের মালিক! আমাদেরকে এ সংবাদ দিও না। এ পানির ঘাটে কখনো আমরা আসি আর কখনো আসে জন্তু জানোয়ার (তাতে অসুবিধা কী?)। (মালিক)[1]
عَن يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: إِنَّ عُمَرَ بن الْخطاب خَرَجَ فِي رَكْبٍ فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حَتَّى وَرَدُوا حَوْضًا فَقَالَ عَمْرُو: يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ هَلْ تَرِدُ حَوْضَكَ السِّبَاعُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ لَا تُخْبِرْنَا فَإِنَّا نَرِدُ عَلَى السِّبَاعِ وَتَرِدُ عَلَيْنَا. رَوَاهُ مَالك
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে হিংস্র প্রাণীর ঝুটা পবিত্র হওয়াই প্রমাণ পাওয়া যায় এবং এ হাদীসের সমর্থনেও হাদীস বিদ্যমান। ইবনু মাজায় আবূ সা‘ঈদ (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, হিংস্র প্রাণী যে পরিমাণ পানি গ্রহণ করেছে তা তার পেটে। আর যা অবশিষ্ট রয়েছে তা আমাদের জন্য পবিত্র ও পানীয়। (পান করার যোগ্য)
পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৭-[১৪] ইমাম রযীন (রহঃ) এ হাদীসটিকে আরো বৃদ্ধি করে বর্ণনা করে বলেছেনঃ কোন কোন বর্ণনাকারী ’উমারের কথার মধ্যে এ কথাও উল্লেখ করেছেন, ’’আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তা থেকে জন্তু জানোয়ার পেটে যা নিয়েছে তা তাদের জন্য, আর যা অবশিষ্ট আছে তা আমাদের জন্য পাক-পবিত্র ও পানীয়।
وَزَاد رزين قَالَ: زَاد بعض الروَاة فِي قَول عمر: وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَهَا مَا أَخَذَتْ فِي بُطُونِهَا وَمَا بَقِي فَهُوَ لنا طهُور وشراب»
ব্যাখ্যা: এ হাদীসের ব্যাখ্যা ৪৮৬ নং দ্রষ্টব্য।
পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৮-[১৫] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মক্কা ও মদীনার মধ্যে অবস্থিত কূপগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, এসব কূপে জন্তু-জানোয়ার, কুকুর ও গাধা পানি পান করতে আসে। এগুলোর পানি কি পবিত্র? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, জন্তু-জানোয়াররা পেটে যা গ্রহণ করেছে তা তাদের জন্য, আর যা অবশিষ্ট আছে তা আমাদের জন্য পবিত্র। (ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْحِيَاضِ الَّتِي بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ تَرِدُهَا السبَاع وَالْكلاب والحمر وَعَن الطُّهْرِ مِنْهَا فَقَالَ: لَهَا مَا حَمَلَتْ فِي بُطُونِهَا وَلَنَا مَا غَبَرَ طَهُورٌ. رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه
পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৯-[১৬] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করো না। কারণ এ পানি শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টি করে। (দারাকুত্বনী)[1]
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: لَا تَغْتَسِلُوا بِالْمَاءِ الْمُشَمَّسِ فَإِنَّهُ يُورِثُ البرص. رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ
ব্যাখ্যা: হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সূর্যের পানি (সূর্যের কিরণে উত্তপ্ত) দ্বারা গোসল করা মাকরূহ। তবে শাফি‘ঈ মাযহাবের বিশুদ্ধ মত হলো সূর্যের পানি কম বা বেশী হোক, শরীরে তা ব্যবহার করা মাকরূহ। তবে ইমাম শাফি‘ঈ-এর পরবর্তী অনুসারীদের মতে তা মাকরূহ নয় এবং এটাই অন্য তিন ইমামদের মত এবং অগ্রগণ্য মত।
কারণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ বিষয়ে কোন সহীহ দলীল নেই। আর সব বিষয় মৌলিকভাবে বৈধতার উপরই থাকবে যতক্ষণ না শারী‘আত কর্তৃক অবৈধতা বা মাকরূহাতের প্রমাণ পাওয়া যাবে।