পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৭৭-[৪] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাঠে-ময়দানের (জমে থাকা) পানি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। সেখানে বিভিন্ন জাতের জীব-জন্তু ও হিংস্র প্রাণী এসে পানি পান করে থাকে (এসব পানি কি পাক-পবিত্র?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দুই কুল্লা পরিমাণ পানি হলে তা নাপাক হয় না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, দারিমী, ইবনু মাজাহ্)[1]
আবূ দাঊদ-এর আর এক বর্ণনার শব্দ হলো, ’’এ পানি নাপাক হয় না।’’
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمَاءِ يَكُونُ فِي الْفَلَاةِ مِنَ الْأَرْضِ وَمَا يَنُوبُهُ مِنَ الدَّوَابّ وَالسِّبَاع فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ الْمَاءُ قُلَّتَيْنِ لَمْ يَحْمِلِ الْخَبَثَ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ والدارمي وَابْنُ مَاجَهْ وَفِي أُخْرَى لِأَبِي دَاوُدَ: «فَإِنَّهُ لَا ينجس»
ব্যাখ্যা: পানি ২ কুল্লা (পাঁচ মণ) পরিমাণ হলে তাতে নাপাক কোন বস্ত্তর সংমিশ্রণে তা নাপাক হবে না। আর ২ কুল্লা বা পাঁচ মণের কম হলে নাপাক হবে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৭৮-[৫] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একদিন) জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি ’’বুযা-’আহ্’’ কূপের পানি দিয়ে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে পারি? কেননা এ কূপটিতে হায়যের নেঁকড়া, মরা কুকুর ও বিভিন্ন ধরনের দুর্গন্ধময় আবর্জনা ফেলা হয়। উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি পবিত্র। কোন জিনিসই সেটাকে নাপাক করতে পারে না। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ قَالَ: قيل يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَوَضَّأُ مِنْ بِئْرٍ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُلْقَى فِيهَا الْحِيَضُ وَلُحُومُ الْكِلَابِ وَالنَّتْنُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (بُضَاعَةَ) বুযা-‘আহ্ নামক কূপে অধিক পরিমাণ পানি থাকায় কোন নাপাকী পতিত হলেও তা স্থির থাকেনি এবং পানির কোন গুণাবলীও হয়ত নষ্ট হয়নি। তাই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত কূপের পানি পবিত্র বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহই ভালো জানেন।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৭৯-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! আমরা সমুদ্র ভ্রমণে যাই এবং সাথে সামান্য মিঠা পানি নিয়ে যাই। তাই এ পানি দিয়ে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করলে খাবার পানির অভাবে আমরা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ি। এ অবস্থায় আমরা কি সমুদ্রের (লবণাক্ত) পানি দিয়ে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে পারি? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মৃত জীবও হালাল। (মালিক, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَرْكَبُ الْبَحْرَ وَنَحْمِلُ مَعَنَا الْقَلِيلَ مِنَ الْمَاءِ فَإِنْ تَوَضَّأْنَا بِهِ عَطِشْنَا أفنتوضأ من مَاء الْبَحْرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ» . رَوَاهُ مَالك وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সমুদ্রের পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন বৈধ এবং এর উপর সকল ‘উলামাহ্ একমত। তবে ইবনু ‘উমার (রাঃ) ও ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) এর বর্ণনায় আছে যে, সমুদ্রের পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন যথেষ্ট নয়। এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত।
আর সাহাবীগণের মতামত মারফূ‘ (সহীহ) হাদীসের সাংঘর্ষিক হলে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮০-[৭] আবূ যায়দ (রহঃ) ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’জিনের রাতে’ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ’মশকে’ কী আছে? আমি বললাম, ’নবীয’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, খেজুর পাক, পানিও পবিত্রকারী। আহমাদ ও তিরমিযী শেষের দিকে বৃদ্ধি করে বলেছেন, এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা দিয়ে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করলেন। (আবূ দাঊদ, আহমাদ ও তিরমিযী;[1]
ইমাম তিরমিযী বলেন, আবূ যায়দ একজন মাজহূল [অপরিচিত] লোক)
وَعَنْ أَبِي زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ لَيْلَةَ الْجِنِّ: «مَا فِي إِدَاوَتِكَ» قَالَ: قلت: نَبِيذ. فَقَالَ: «تَمْرَةٌ طَيِّبَةٌ وَمَاءٌ طَهُورٌ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ: فَتَوَضَّأَ مِنْهُ
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: أَبُو زيد مَجْهُول وَصَحَّ
ব্যাখ্যা: (لَيْلَةَ الْجِنِّ) এটা এমন রাত, যে রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিনেরা এসেছিল। জিন্ জাতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাদের সম্প্রদায়ের নিকট নিয়ে গিয়েছিল যাতে দীন ইসলামের হুকুম-আহকাম শিখতে পারে।
‘নাবীয ’ দ্বারা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) কর বৈধ। তবে হাদীসটি নিতান্তই য‘ঈফ। কাজেই তা দ্বারা দলীল গ্রহণ করা সঠিক নয়। যেমন মুসতাদরাক হাকিমে সহীহ সানাদে বর্ণিত রয়েছে, ইবনু মাস্‘উদ (রাঃ) বলেন যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম না। কাজেই উল্লিখিত হাদীসের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। অতএব, পানি না পাওয়া গেলে নাবীয থাকলেও পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা ওয়াজিব। কারণ নাবীয কোন পানি নয়।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮১-[৮] সহীহ সূত্রে ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ)-এর অপর ছাত্র ’আলক্বামাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, ’আমি জিনের রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম না।’ (মুসলিম)[1]
عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَمْ أَكُنْ لَيْلَةَ الْجِنِّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) জিনদের ঘটনা এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাদের শিক্ষা গ্রহণের সময় ও তার পরে কিংবা পূর্বেও তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন না। ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) বলেন যে, সে সময় (জিনদের রাত্রি) রসূলের সাথে থাকতে আমার খুব ইচ্ছা ছিল। ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)-এর এই কথা ইবনু কুতায়বাহ্ সহ কতিপয় আলোচ্য হাদীসের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, জিনদের রাত্রিতে রসূলের নিকট ইবনু মাস্‘ঊদ ব্যতীত কেউ ছিল না তা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮২-[৯] কাবশাহ্ বিনতু কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)-এর পুত্রবধূ। আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)তাঁর নিকট ছিলেন। তিনি তাঁর জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু)-র পানি ঢাললেন। একটি বিড়াল এলো এবং উযূ (ওযু/ওজু/অজু)-র পাত্র হতে পানি পান করতে লাগলো। আর তিনি পাত্রটি তার জন্য কাত করে ধরলেন যে পর্যন্ত পান করা শেষ না হলো। কাবশাহ্ বলেন, তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আমি তাঁর দিকে চেয়ে আছি। তিনি আমাকে বললেন, আমার ভাতিজী! তোমার কাছে আশ্চর্য লাগছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশে পাশে ঘন ঘন বিচরণকারী বা বিচরণকারিণী। (মালিক, আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]
وَعَن كَبْشَة بنت كَعْب بن مَالك وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ: أَنَّ أَبَا قَتَادَة دخل فَسَكَبَتْ لَهُ وَضُوءًا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ تَشْرَبُ مِنْهُ فَأَصْغَى لَهَا الْإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ أَتَعْجَبِينَ يَا ابْنَةَ أخي فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهَا لَيست بِنَجس إِنَّهَا من الطوافين عَلَيْكُم والطوافات» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ
وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
ব্যাখ্যা: উল্লিখিত হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিড়াল জাতিগতভাবেই পবিত্র এবং তার ঝুটাও নাপাক নয় এবং তা (বিড়ালের ঝুটা) দ্বারা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) এমনকি তা পান করতেও কোন দোষ নেই।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৩-[১০] দাউদ ইবনু সা-লিহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে তার মাতার সূত্রে বর্ণিত। তার (মায়ের) মুক্তিদানকারিণী মুনীব একবার তার মাকে কিছু ’হারীসাহ্’ নিয়ে ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। তার মা বলেন, আমি গিয়ে তাকে সালাতরত পেলাম। তিনি তখন আমাকে (হাত দিয়ে) ইশারা করলেন, ’তা রেখে দাও’। তখন একটি বিড়াল এলো এবং তা হতে কিছু খেল। এরপর ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে বিড়ালের খাওয়া স্থান থেকেই খেলেন এবং বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিড়াল নাপাক নয়। ওটা তোমাদের আশেপাশে ঘন ঘন বিচরণকারী জীব। তিনি [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] আরো বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট (পানি) দিয়ে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে দেখেছি। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن دَاوُد بن صَالح بن دِينَار التمار عَنْ أُمِّهِ أَنَّ مَوْلَاتَهَا أَرْسَلَتْهَا بِهَرِيسَةٍ إِلَى عَائِشَةَ قَالَتْ: فَوَجَدْتُهَا تُصَلِّي فَأَشَارَتْ إِلَيَّ أَنْ ضَعِيهَا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ فَأَكَلَتْ مِنْهَا فَلَمَّا انْصَرَفَتْ عَائِشَةُ مِنْ صَلَاتِهَا أَكَلَتْ مِنْ حَيْثُ أَكَلَتِ الْهِرَّةُ فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهَا لَيست بِنَجس إِنَّمَا هِيَ من الطوافين عَلَيْكُم» . وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يتَوَضَّأ بفضلها. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সালাতে রত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনীয় ইশারা বা ইঙ্গিত করা বৈধ। এমনকি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক সহীহ হাদীস ইমাম তাহাবীর সেই ব্যাখ্যাকে খণ্ডন করছে। তিনি (তাহাবী) ক্বাতাদার হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন যে, বিড়ালের পবিত্রতা দ্বারা কাপড়ের সাথে স্পর্শ করা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ- বিড়াল যদি কারো কাপড়ে লাগে তবে তার কাপড় নাপাক হবে না। তবে এ হাদীস দ্বারা বিড়ালের ঝুটা পবিত্র হওয়া সাব্যস্ত হবে না, যা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস দ্বারা প্রত্যাখ্যাত।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৪-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, আমরা কি গাধার উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, বরং সকল হিংস্র জানোয়ারের উচ্ছিষ্ট পানি দিয়েও। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَن جَابر قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَتَوَضَّأُ بِمَا أَفْضَلَتِ الْحُمُرُ؟ قَالَ: «نَعَمْ وَبِمَا أَفْضَلَتِ السِّبَاعُ كُلُّهَا» . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السّنة
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, গাধার ঝুটাও পবিত্র। কেউ বলেছেন, তা পরিপূর্ণ নাপাক। কেউ বলেছেন তা সন্দেহপূর্ণ। উল্লেখ্য যে, হাদীসে গাধা বলতে গৃহপালিত গাধাকে বুঝানো হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানির বিবরণ
৪৮৫-[১২] উম্মু হানী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মু’মিনীন মায়মূনাহ্ (রাঃ)একটি গামলার পানি দিয়ে গোসল করেছেন, যাতে খামীরের আটার অবশিষ্ট ছিল। (নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَن أم هَانِئ قَالَتْ: اغْتَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَمَيْمُونَةُ فِي قَصْعَةٍ فِيهَا أَثَرُ الْعَجِين. رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: উল্লেখ্য যে, উক্ত পাত্রে খামিরের পরিমাণ খুব বেশী ছিল না যে, পানির পরিবর্তন সাধন করবে। কাজেই সামান্য পবিত্র বস্ত্তর মিশ্রণে পানি অপবিত্র হয় না।