পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২২-[৩২] সাবিত ইবনু আবূ সফিয়্যাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জা’ফার-এর পিতা মুহাম্মাদ বাক্বির (ইবনু যায়নুল আবিদীন)-কে বললাম, আপনার কাছে কি জাবির (রাঃ) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো এক একবার, কখনো দুই দুইবার, আবার কখনো তিনবার করে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) র অঙ্গগুলো ধৌত করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]

عَنْ ثَابِتِ بْنِ أَبِي صَفِيَّةَ قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي جَعْفَرٍ هُوَ مُحَمَّدٌ الْبَاقِرُ حَدَّثَكَ جَابِرٌ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ مرّة مرّة ومرتين مرَّتَيْنِ وَثَلَاثًا ثَلَاثًا. قَالَ: نعم. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

عن ثابت بن ابي صفية قال: قلت لابي جعفر هو محمد الباقر حدثك جابر: ان النبي صلى الله عليه وسلم توضا مرة مرة ومرتين مرتين وثلاثا ثلاثا. قال: نعم. رواه الترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের মধ্যে তিনটি অবস্থার বর্ণনা করা হয়েছে। হাদীসে উযূর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ১ বার ও ২ বার এবং ৩ বার করে ধৌত করা যায়, এ বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। আর উযূ (ওযু/ওজু/অজু) সহীহ ও সঠিক হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৩-[৩৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই দুইবার করে উযূ (ওযু/ওজু/অজু)-র অঙ্গগুলো ধুলেন। অতঃপর বললেন, এটা হলো আলোর উপর আলো।[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ وَقَالَ: هُوَ «نُورٌ عَلَى نُورٍ»

وعن عبد الله بن زيد قال: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم توضا مرتين مرتين وقال: هو «نور على نور»

ব্যাখ্যা: قوله (تَوَضَّأَ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ) ‘‘উযূর যে সমস্ত অঙ্গগুলো ধৌত করতে হয় তা দু’বার করে ধৌত করা, (এটা আলোর উপর আলো)’’। অর্থাৎ- উযূর অঙ্গগুলো দু’বার করে ধৌত করার কারণ হলো আলো বৃদ্ধি করা। ইমাম ত্বীবী বলেনঃ ঐ উক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে বলা যায়, অবশ্যই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মাতের উযূর অঙ্গগুলো অতি উজ্জ্বল হবে ও চমকাতে থাকবে। এটা হবে উযূর উযূ জনিত হিদায়াতের কারণে। অথবা সুন্নাত ও ফার্‌যের (ফরযের/ফরজের) অনুশাসন মেনে চলার উপর। আল্লাহ তাঁর নূরের পথপ্রদর্শন করবেন যাকে ইচ্ছা তাকে।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৪-[৩৪] ’উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন তিনবার করে উযূ (ওযু/ওজু/অজু)-র অঙ্গগুলো ধুয়েছেন। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এটা হলো আমার ও আমার আগের নবীগণের উযূ (ওযু/ওজু/অজু) এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর ওযূ।[1]

وَعَنْ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا وَقَالَ: «هَذَا وُضُوئِي وَوُضُوءُ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي وَوُضُوءُ إِبْرَاهِيمَ» . رَوَاهُمَا رَزِينٌ وَالنَّوَوِيُّ ضَعَّفَ الثَّانِي فِي شرح مُسلم

وعن عثمان رضي الله عنه قال: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم توضا ثلاثا ثلاثا وقال: «هذا وضوىي ووضوء الانبياء قبلي ووضوء ابراهيم» . رواهما رزين والنووي ضعف الثاني في شرح مسلم

ব্যাখ্যা: قوله (تَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا) অর্থাৎ- উযূর অঙ্গগুলো ধৌত করা তিনবার করে এবং বলেনঃ এটা পরিপূর্ণ উযূ (ওযু/ওজু/অজু) আমার পূর্বের নাবীদের উযূ (ওযু/ওজু/অজু) এবং ইব্রাহীম (আঃ)-এর উযূ। খাস করা ব্যাপকতা প্রকাশ করে এবং এর মাধ্যমে দলীল পেশ করে যে, নিশ্চয়ই উযূ এ উম্মাতের জন্য নির্দিষ্ট নয়। অন্য কিতাবে রয়েছে নিশ্চয়ই ইব্রা-হীম ও সারাহ্ উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করেছেন ও সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন এবং জুরায়জ উযূ করেছেন ও সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। আহমাদ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন যে ব্যক্তি একবার করে উযূর কর্ম সম্পাদন করে সে যেন উযূর মূল অত্যাবশ্যক কর্তব্য পালন করল। আর যে দু’বার করে উযূ করে তার জন্য ২টি প্রতিদান হবে। যে ব্যক্তি তিনবার করে উযূর কর্মগুলো পালন করে এটাই হবে আমার উযূ ও পূর্ববর্তী নাবীদের উযূ।


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৫-[৩৫] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাতের জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন। আর আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তির জন্য যে পর্যন্ত উযূ (ওযু/ওজু/অজু) নষ্ট বা ভঙ্গ না হয় সে পর্যন্ত এক উযূই যথেষ্ট ছিল। (দারিমী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَكَانَ أَحَدُنَا يَكْفِيهِ الْوُضُوءُ مَا لَمْ يُحْدِثْ. رَوَاهُ الدِّرَامِي

وعن انس قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يتوضا لكل صلاة وكان احدنا يكفيه الوضوء ما لم يحدث. رواه الدرامي

ব্যাখ্যা: قوله (كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ) অর্থাৎ- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাতের জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করা আবশ্যক। তিরমিযীর রিওয়ায়াতে রয়েছে ব্যক্তি পবিত্র হোক বা অপবিত্র হোক।

প্রকাশ্য হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, এটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অভ্যাস ছিল। আরো সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরূপ করছিলেন মুসতাহাব হিসেবে। এটা সুন্নাহ হিসেবে পালন করা পছন্দনীয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৬-[৩৬] মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া ইবনু হিব্বান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর ছেলে ’উবায়দুল্লাহ কে বললাম, আমাকে বলুন তো, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) কি প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন, চাই উযূ থাকুক কি না থাকুক, আর তিনি কার থেকে এ ’আমল অর্জন করেছেন? ’উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বললেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিকট আসমা বিনতু যায়দ ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, ’আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ্ আবূ ’আমির ইবনুল গসীল (রাঃ)এ হাদীস তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রত্যেক সালাতে উযূ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, চাই তাঁর উযূ থাকুক কি না থাকুক। এ কাজ তাঁর ওপর কঠিন হয়ে পড়লে প্রত্যেক সালাতে মিসওয়াক করতে নির্দেশ দেয়া হলো, উযূ (ওযু/ওজু/অজু) মাওকূফ করা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না উযূ ভঙ্গ হয়। ’উবায়দুল্লাহ বললেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) মনে করতেন যে, তার মধ্যে প্রত্যেক সালাতে করার শক্তি রয়েছে। তাই তিনি মৃত্যু পর্যন্ত এ ’আমল করেছেন। (আহমাদ)[1]

وَعَن مُحَمَّد بن يحيى بن حبَان الْأنْصَارِيّ ثمَّ الْمَازِني مَازِن بني النجار عَن عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قلت لَهُ أَرَأَيْتَ وُضُوءَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ عَمَّنْ أَخَذَهُ؟ فَقَالَ: حَدَّثَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أبي عَامر ابْن الْغَسِيلِ حَدَّثَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أُمِرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرَ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَوُضِعَ عَنْهُ الْوُضُوءُ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ قَالَ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً عَلَى ذَلِكَ كَانَ يَفْعَله حَتَّى مَاتَ. رَوَاهُ أَحْمد

وعن محمد بن يحيى بن حبان الانصاري ثم المازني مازن بني النجار عن عبيد الله بن عبد الله بن عمر قال قلت له ارايت وضوء عبد الله بن عمر لكل صلاة طاهرا كان او غير طاهر عمن اخذه؟ فقال: حدثته اسماء بنت زيد بن الخطاب ان عبد الله بن حنظلة بن ابي عامر ابن الغسيل حدثها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان امر بالوضوء لكل صلاة طاهرا كان او غير طاهر فلما شق ذلك على رسول الله صلى الله عليه وسلم امر بالسواك عند كل صلاة ووضع عنه الوضوء الا من حدث قال فكان عبد الله يرى ان به قوة على ذلك كان يفعله حتى مات. رواه احمد

ব্যাখ্যা: নিশ্চয়ই ‘আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ্- তাকে বলা হয় ইবনুল গসীল। অর্থাৎ- ধৌত কৃতের ছেলে। কেননা তার আববার নাম হানযালাহ্ غَسِيْلُ الْمَلَائِكَةِ অর্থ যাকে মালাক (ফেরেশতা) গোসল দিয়েছেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই আমি দেখেছি মালায়িকাহ্-কে তাকে গোসল দিতে। যেমন- (الإ ستيعاب) গ্রন্থে রয়েছে ১ম খ-, ১০৫ পৃঃ।

প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করা ও মিসওয়াক করা অতি উত্তম। ইমাম ত্বীবী বলেন, মিসওয়াক করা মর্যাদাপূর্ণ এমনকি তা ওয়াজিবের স্থলাভিষিক্ত করা যায়। ওয়াজিবের নিকটবর্তী। তাই মিসওয়াক করাটা প্রতি সালাতে কষ্টকর হলেও করাটা অতি উত্তম। আর উযূর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) না থাকলে উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করতে হবে। উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  থাকলে পুনরায় উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  করা অত্যাবশ্যক নয়, করলে ভালো।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৭-[৩৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় সা’দ (রাঃ) উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে সা’দ! এত অপচয় কেন? সা’দ আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! উযূর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ আছে। যদিও তুমি প্রবহমান নদীর কিনারা থাকো। (আহমাদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَرَّ بِسَعْدٍ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ: «مَا هَذَا السَّرَفُ يَا سَعْدُ» . قَالَ: أَفِي الْوُضُوءِ سَرَفٌ؟ قَالَ: «نَعَمْ وَإِنْ كُنْتَ عَلَى نَهْرٍ جَارٍ» . رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص ان النبي صلى الله عليه وسلم: مر بسعد وهو يتوضا فقال: «ما هذا السرف يا سعد» . قال: افي الوضوء سرف؟ قال: «نعم وان كنت على نهر جار» . رواه احمد وابن ماجه

ব্যাখ্যা: উযূর অঙ্গগুলো ধৌত করার মাঝে, তিনবারের অধিক করা, অথবা পরিমাণের দিক দিয়ে অতিরিক্ত করা যেমন প্রয়োজনের বেশী ব্যবহার করার মধ্যে পড়ে। তিনি বললেন, উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করার মাঝেও কি অপচয় রয়েছে? বলা হয় অপচয়ের মধ্যে কোন কল্যাণ নিহিত নেই। আনুগত্যে ও ‘ইবাদাতে অপচয় নেই। যতটুকু পানি পূর্ণাঙ্গ উযূর জন্য প্রয়োজন তার অতিরিক্তই অপচয়।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৮-[৩৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ), ইবনু মাস্’ঊদ ও ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উযূ করলো এবং ’বিস্‌মিল্লা-হ’ (আল্লাহর নাম নিয়ে) পড়ে উযূ করলো, সে তাঁর গোটা শরীরকে (গুনাহ হতে) পবিত্র করল। আর যে ব্যক্তি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করলো অথচ ’বিস্‌মিল্লা-হ’ বলল না, সে শুধু উযূর অঙ্গগুলোকে পবিত্র (পরিষ্কার) করল।[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَوَضَّأَ وَذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ فَإِنَّهُ يُطَهِّرُ جَسَدَهُ كُلَّهُ وَمَنْ تَوَضَّأَ وَلَمْ يَذْكُرِ اسْمَ الله لم يطهر إِلَّا مَوضِع الْوضُوء»

وعن ابي هريرة وابن مسعود وابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من توضا وذكر اسم الله فانه يطهر جسده كله ومن توضا ولم يذكر اسم الله لم يطهر الا موضع الوضوء»

ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত উযূর শুরুতে ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলতে হবে। কেননা এটা পুরো শরীরকে পবিত্র করে গুনাহসমূহ থেকে। পবিত্র করে না শুধু উযূর নির্দিষ্ট স্থানের পাপসমূহ করে, অর্থাৎ- ছোট পাপরাশি। পরিপূর্ণ ও ফাযীলাত প্রাপ্তির উযূ (ওযু/ওজু/অজু)  বিসমিল্লা-হ দ্বারাই শুরু করা বাঞ্ছনীয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন

৪২৯-[৩৯] আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করার সময় নিজের আঙ্গুলে পরা আংটি নেড়ে-চেড়ে নিতেন।[1]

দারাকুত্বনী উপরের দু’টি হাদীসই বর্ণনা করেছেন এবং ইবনু মাজাহ শুধু দ্বিতীয় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

وَعَن أبي رَافع قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا تَوَضَّأَ وُضُوءَ الصَّلَاةِ حَرَّكَ خَاتَمَهُ فِي أُصْبُعه. رَوَاهُمَا الدَّارَقُطْنِيّ. وروى ابْن مَاجَه الْأَخير

وعن ابي رافع قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذا توضا وضوء الصلاة حرك خاتمه في اصبعه. رواهما الدارقطني. وروى ابن ماجه الاخير

ব্যাখ্যা: মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেছেন, গোসলকে আয়ত্বকরণ ফরয; অতঃপর সুন্নাত হচ্ছে আংটি নড়াচড়া করা যাতে আংটির নীচে পানি পৌঁছায় ।

এমনিভাবে আংটির সাথে সাদৃশ্য রেখে চুড়ি ও অলংকার নেড়ে চেড়ে পানি পৌঁছানো প্রয়োজন। এ দু’টোকে বর্ণনা করেছেন দারাকুত্বনী।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে