পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের ‘আযাব

১৩০-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃতকে যখন কবরে শায়িত করা হয় তখন তার নিকট নীল চোখবিশিষ্ট দু’জন কালো মালাক (ফেরেশতা) এসে উপস্থিত হন। তাদের একজনকে মুনকার, অপর একজনকে নাকীর বলা হয়। তারা মৃতকে (রসূলের প্রতি ইঙ্গিত করে) জিজ্ঞেস করে, এ ব্যক্তির ব্যাপারে দুনিয়াতে তুমি কি ধারণা পোষণ করতে? সে বলবে, তিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল। তখন মালাক দু’জন বলবেন, আমরা আগেই জানতাম তুমি এ উত্তরই দিবে। অতঃপর তার কবরকে দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হয় এবং সেখানে তার জন্য আলোর ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। তারপর তাকে বলা হয়, ঘুমিয়ে থাক। তখন কবরবাসী বলবে, (না,) আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই এবং তাদের এ সুসংবাদ দিতে চাই। মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) বলবেন, তুমি এখানে বাসর ঘরের বরের ন্যায় ঘুমাতে থাক, যাকে তার পরিবারের সবচেয়ে প্রিয়জন ব্যতীত আর কেউ ঘুম ভাঙ্গাতে পারে না। অতঃপর সে কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন না আসা পর্যন্ত এভাবে ঘুমিয়ে থাকে। যদি মৃত ব্যক্তি মুনাফিক্ব হয় তাহলে সে বলবে, লোকেদেরকে তাঁর সম্পর্কে যা বলতে শুনতাম আমিও তাই বলতাম, কিন্তু আমি জানি না। তখন মালায়িকাহ্ বলেন, আমরা পূর্বেই জানতে পেরেছিলাম যে, তুমি এ কথাই বলবে। অতঃপর জমিনকে বলা হবে, তার উপর চেপে যাও। সুতরাং জমিন তার উপর এমনভাবে চেপে যাবে, যাতে তার এক দিকের হাড় অপর দিকে চলে যাবে। কবরে সে এভাবে ’আযাব ভোগ করতে থাকবে, যে পর্যন্ত (ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে) আল্লাহ তা’আলা তাকে কবর থেকে না উঠাবেন। (তিরমিযী)[1]

باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثاني

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قُبِرَ الْمَيِّتُ أَتَاهُ مَلَكَانِ أَسْوَدَانِ أَزْرَقَانِ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا الْمُنْكَرُ وَالْآخَرُ النَّكِيرُ فَيَقُولَانِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرجل فَيَقُول مَا كَانَ يَقُول هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولَانِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ هَذَا ثُمَّ يُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ سَبْعُونَ ذِرَاعًا فِي سَبْعِينَ ثُمَّ يُنَوَّرُ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ نَمْ فَيَقُولُ أَرْجِعُ إِلَى أَهْلِي فَأُخْبِرُهُمْ فَيَقُولَانِ نَمْ كَنَوْمَةِ الْعَرُوسِ الَّذِي لَا يُوقِظُهُ إِلَّا أَحَبُّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ مُنَافِقًا قَالَ سَمِعت النَّاس يَقُولُونَ فَقُلْتُ مِثْلَهُ لَا أَدْرِي فَيَقُولَانِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ ذَلِكَ فَيُقَالُ لِلْأَرْضِ الْتَئِمِي عَلَيْهِ فتلتئم عَلَيْهِ فتختلف فِيهَا أَضْلَاعُهُ فَلَا يَزَالُ فِيهَا مُعَذَّبًا حَتَّى يَبْعَثَهُ الله من مضجعه ذَلِك» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا قبر الميت اتاه ملكان اسودان ازرقان يقال لاحدهما المنكر والاخر النكير فيقولان ما كنت تقول في هذا الرجل فيقول ما كان يقول هو عبد الله ورسوله اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله فيقولان قد كنا نعلم انك تقول هذا ثم يفسح له في قبره سبعون ذراعا في سبعين ثم ينور له فيه ثم يقال له نم فيقول ارجع الى اهلي فاخبرهم فيقولان نم كنومة العروس الذي لا يوقظه الا احب اهله اليه حتى يبعثه الله من مضجعه ذلك وان كان منافقا قال سمعت الناس يقولون فقلت مثله لا ادري فيقولان قد كنا نعلم انك تقول ذلك فيقال للارض التىمي عليه فتلتىم عليه فتختلف فيها اضلاعه فلا يزال فيها معذبا حتى يبعثه الله من مضجعه ذلك» . رواه الترمذي

Chapter: Confirmation of the Punishment in the Grave - Section 2


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “When the dead is buried two black and blue angels, one called al-Munkar and the other an-Nakir, come to him and ask him what opinion he held about this man. If he is a believer he replies, ‘He is the servant and messenger of God. I testify that there is no god but God and that Muhammad is His servant and apostle.’ They say that they knew he would say so. A space of 4900 square cubits is then made for him in his grave, it is illuminated for him, and he is told to sleep. He will then express a desire to return to his family to tell them, but will be told to sleep like one newly married who is wakened only by the member of his family who is dearest to him, until God resurrects him from that resting-place of his. But if he is a hypocrite he will say, ‘I heard men expressing a belief and I held the same, but I really do not know.’ They will tell him they knew he would say so; then the earth will be told to press in upon him and it will do so. His ribs will be pressed together and he will remain there suffering punishment till God resurrects him from that resting-place of his.”

Tirmidhi transmitted it.

ব্যাখ্যা: (إِذَا اُقْبِرَ الْمَيِّتُ) ‘যখন মৃতকে কবর দেয়া হয়’ এটা বলা হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মের উপর খেয়াল করে। নচেৎ মৃত ব্যক্তি বলতে তো সব মৃত ব্যক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। অথচ সব মৃত্যুকে কবর দেয়া হয় না। এখানে কবর বলতে বারযাখী জীবনে পদার্পণ করা, চাই সে মাটিতে হোক কিংবা মাছের পেটে হোক অথবা আগুনেই পুড়ে যাক।

(الْمُنْكَرُ وَالْاۤخَرُ النَّكِيرُ) ‘‘মুনকার তাকে বলা হয় যে কাউকে চিনে না। আর নাকীর তাকে বলা হয় যাকে কেউ চিনে না। এ মালাক (ফেরেশতা) দু’জনের নাম মুনকার ও নাকীর এজন্য রাখা হয়েছে যে, মৃত ব্যক্তি তাদের কাউকেই চিনে না। তাদের ‘‘আকৃতির’’ মতো আকৃতি কখনো দেখেনি। কিছু কিছু ‘আলিমগণ বলেন যে, গুনাহগারদের প্রশ্নকারী মালাকের নাম মুনকার ও নাকীর। আর নেক্কার বান্দাদের প্রশ্নকারী মালায়িকাহ্’র নাম মুবাশ্বির ও বাশীর।

(فَيَقُوْلَانِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ هذَا) অর্থাৎ- মালায়িকাহ্’র কথাঃ ‘‘আমরা আগেই জানতাম যে, তুমি এ উত্তরই দিবে’’। প্রশ্ন হলো তারা কিভাবে জানতে পারলো যে, মৃত ব্যক্তি এই উত্তর দিবে? উত্তর হলো, আল্লাহ তা‘আলার জানানোর মাধ্যমে অথবা তার কপালে যে সৌভাগ্যের চিহ্ন আছে তা অবলোকন করে। যেমন ইমাম ইবনু হিব্বান (রহঃ) হাদীস নিয়ে এসেছেন ‘‘মু’মিন হলে তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) তার মাথার নিকট তার যাকাত তার ডানে, তার সওম তার বামে অবস্থান করে।’’

 (يُفسَحُ لَهٗ فِيْ قَبْرِه سَبْعُونَ ذِرَاعًا فِي سَبْعِينَ) ‘‘তার কবরকে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সত্তর গজ প্রশস্ত করে দেয়া হবে’’। বলা হয়ে থাকে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে, মৃতের কবর অনেক প্রশস্ত করে দেয়া হবে। যেমন- কোন কোন বর্ণনায় এসেছে- مد بصره‘‘তার চোখের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করে দেয়া হবে।’’ এও হতে পারে যে, এ প্রশস্ততা ‘আমলকারীর ভিন্নতার কারণে ভিন্ন ভিন্ন হবে।

(سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ قَوْلًا فَقُلْتُ مِثْلَهٗ لَا أَدْرِى) ‘‘লোকেদেরকে তাঁর সম্পর্কে যা বলতে শুনতাম আমিও তাই বলতাম, কিন্তু আমি জানি না।’’ অর্থাৎ- লোকেদেরকে আমি বলতে শুনতাম যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন নাবী তাই আমিও বলতাম যে, তিনি নাবী। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি জানতাম না যে, তিনি নাবী কি-না।

(فَيُقَالُ لِلْأَرْضِ الْتَئِمِي عَلَيْهِ) ‘‘জমিনকে বলা হবে, তার উপর চেপে যাও।’’ অর্থাৎ- তুমি তার ওপর একত্রিত হয়ে সংকীর্ণ হয়ে যাও।

فَتَخْتَلِفُ أَضْلَاعُهٗ ‘‘তার এক দিকের হাড় অপর দিকে চলে যাবে।’’ অর্থাৎ- জমিন তার উপর এমনভাবে চাপ প্রয়োগ করবে যে, পাঁজরের হাড়গুলো যেভাবে ছিল সেভাবে আর থাকবে না। বরং চাপের আধিক্যের কারণে পাঁজরের এক পাশের হাড় অন্যপাশের পাঁজরের হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করবে। আর এ চেপে যাওয়াটা বাস্তবেই ঘটবে তা কোন ধারণা বা কল্পনা নয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের ‘আযাব

১৩১-[৭] বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবরে মৃত ব্যক্তির (মু’মিনের) নিকট দু’জন মালাক (ফেরেশতা) আসেন। অতঃপর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তাকে বসিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ’’তোমার রব কে?’’ সে উত্তরে বলে, ’’আমার রব হলেন আল্লাহ।’’ তারপর মালায়িকাহ্ জিজ্ঞেস করেন, ’’তোমার দীন কী?’’ সে ব্যক্তি উত্তর দেয়, ’’আমার দীন হলো ইসলাম।’’ আবার মালায়িকাহ্ জিজ্ঞেস করেন, ’’তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে যে ব্যক্তি প্রেরিত হয়েছিল, তিনি কে?’’ সে বলে, ’’তিনি হলেন আল্লাহর রসূল (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।’’ তারপর মালায়িকাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করেন, ’’এ কথা তোমাকে কে বলেছে?’’ সে বলে, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি এবং তার উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এটাই হলো আল্লাহ তা’আলার এ বাণীর ব্যাখ্যাঃ ’’আল্লাহ তা’আলা সেসব লোকেদেরকে (দীনের উপর) প্রতিষ্ঠিত রাখেন যারা প্রতিষ্ঠিত কথার (কালিমায়ে শাহাদাতের) উপর ঈমান আনে... আয়াতের শেষ পর্যন্ত- (সূরাহ্ ইবরাহীম ১৪: ২৭)।

অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আকাশমণ্ডলী থেকে একজন আহবানকারী ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে। সুতরাং তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও। আর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দাও। অতএব তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেয়া হবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ফলে তার দিকে জান্নাতের বাতাস ও সুগন্ধি দোলা দিতে থাকবে এবং দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত তার কবরকে প্রশস্ত করে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাফিরদের মৃত্যু প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ’’তারপর তার রূহকে তার শরীরে ফিরিয়ে আনা হয় এবং তাকে দু’জন মালাক এসে তাকে উঠিয়ে বসান এবং বসিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ’’তোমার রব কে?। তখন সে উত্তরে বলে, ’’হায়! হায়!! আমি তো কিছুই জানি না।’’ তারপর তারা তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, ’’তোমার দীন কী?’’ সে বলে, হায়! হায়!! তাও তো আমার জানা নেই। তারপর তারা জিজ্ঞেস করেন, ’’এ ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল?’’ সে বলে, ’’হায়! হায়!! এটাও তো জানি না।’’ তারপর আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করে বলেন, এ ব্যক্তি মিথ্যা বলেছে। সুতরাং তার জন্য আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে আগুনের পোশাক পরিয়ে দাও। আর জাহান্নামের দিকে তার জন্য একটি দরজা খুলে দাও। সে অনুযায়ী তার জন্য দরজা খুলে দেয়া হয়।

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তার কবরকে তার জন্য সঙ্কুচিত করে দেয়া হয়, যাতে তার একদিকের হাড় অপরদিকের হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর একজন অন্ধ ও বধির মালাক নিযুক্ত করে দেয়া হয়, যার সাথে লোহার এক হাতুড়ি থাকে। সে হাতুড়ি দিয়ে যদি পাহাড়ের উপর আঘাত করা হয় তাহলে সে পাহাড় গুঁড়া গুঁড়া হয়ে মাটি হয়ে যাবে। সে অন্ধ মালাক এ হাতুড়ি দিয়ে সজোরে তাকে আঘাত করতে থাকে। (তার বিকট চীৎকারের শব্দ) পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত জিন্ ও মানুষ ছাড়া সকল মাখলূক্বই শুনতে পাবে। এর সাথে সাথে সে মাটিতে মিশে যাবে। অতঃপর পুনরায় তার মধ্যে রূহ্ ফেরত দেয়া হবে (এভাবে অনবরত চলতে থাকবে)। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]

باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثاني

عَن الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولَانِ لَهُ مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ رَبِّيَ اللَّهُ فَيَقُولَانِ لَهُ مَا دِينُكَ فَيَقُولُ ديني الْإِسْلَام فَيَقُولَانِ لَهُ مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ قَالَ فَيَقُول هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَقُولَانِ وَمَا يُدْرِيكَ فَيَقُولُ قَرَأْتُ كِتَابَ اللَّهِ فَآمَنْتُ بِهِ وَصَدَّقْتُ زَاد فِي حَدِيث جرير فَذَلِك قَول الله عز وَجل (يثبت الله الَّذين آمنُوا بالْقَوْل الثَّابِت)
الْآيَة ثمَّ اتفقَا قَالَ فينادي مُنَاد من السَّمَاء أَن قد صدق عَبدِي فأفرشوه مِنَ الْجَنَّةِ وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ وألبسوه من الْجنَّة قَالَ فيأتيه من روحها وطيبها قَالَ وَيفتح لَهُ فِيهَا مد بَصَره قَالَ وَإِن الْكَافِر فَذكر مَوته قَالَ وتعاد رُوحُهُ فِي جَسَدِهِ وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولَانِ لَهُ مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ هَاهْ هَاهْ لَا أَدْرِي فَيَقُولَانِ لَهُ مَا دِينُكَ فَيَقُولُ هَاهْ هَاهْ لَا أَدْرِي فَيَقُولَانِ مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ فَيَقُولُ هَاهْ هَاهْ لَا أَدْرِي فَيُنَادِي مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ أَنَّ كَذَبَ فَأَفْرِشُوهُ مِنَ النَّارِ وَأَلْبِسُوهُ مِنَ النَّارِ وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى النَّارِ قَالَ فَيَأْتِيهِ مِنْ حَرِّهَا وَسَمُومِهَا قَالَ وَيُضَيَّقُ عَلَيْهِ قَبْرُهُ حَتَّى تَخْتَلِفَ فِيهِ أَضْلَاعُهُ ثمَّ يقيض لَهُ أعمى أبكم مَعَهُ مِرْزَبَّةٌ مِنْ حَدِيدٍ لَوْ ضُرِبَ بِهَا جبل لصار تُرَابا قَالَ فَيَضْرِبُهُ بِهَا ضَرْبَةً يَسْمَعُهَا مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمغْرب إِلَّا الثقلَيْن فَيصير تُرَابا قَالَ ثمَّ تُعَاد فِيهِ الرّوح» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

عن البراء بن عازب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «وياتيه ملكان فيجلسانه فيقولان له من ربك فيقول ربي الله فيقولان له ما دينك فيقول ديني الاسلام فيقولان له ما هذا الرجل الذي بعث فيكم قال فيقول هو رسول الله صلى الله عليه وسلم فيقولان وما يدريك فيقول قرات كتاب الله فامنت به وصدقت زاد في حديث جرير فذلك قول الله عز وجل (يثبت الله الذين امنوا بالقول الثابت) الاية ثم اتفقا قال فينادي مناد من السماء ان قد صدق عبدي فافرشوه من الجنة وافتحوا له بابا الى الجنة والبسوه من الجنة قال فياتيه من روحها وطيبها قال ويفتح له فيها مد بصره قال وان الكافر فذكر موته قال وتعاد روحه في جسده وياتيه ملكان فيجلسانه فيقولان له من ربك فيقول هاه هاه لا ادري فيقولان له ما دينك فيقول هاه هاه لا ادري فيقولان ما هذا الرجل الذي بعث فيكم فيقول هاه هاه لا ادري فينادي مناد من السماء ان كذب فافرشوه من النار والبسوه من النار وافتحوا له بابا الى النار قال فياتيه من حرها وسمومها قال ويضيق عليه قبره حتى تختلف فيه اضلاعه ثم يقيض له اعمى ابكم معه مرزبة من حديد لو ضرب بها جبل لصار ترابا قال فيضربه بها ضربة يسمعها ما بين المشرق والمغرب الا الثقلين فيصير ترابا قال ثم تعاد فيه الروح» . رواه احمد وابو داود

Chapter: Confirmation of the Punishment in the Grave - Section 2


Al-Bara’ b. ‘Azib reported God’s messenger as saying, “Two angels will come to him, make him sit up, and ask him who his Lord is, to which he will reply that his Lord is God. They will ask him what his religion is, and he will reply that his religion is Islam. They will ask him about this man who was sent on a mission among his people, and he will reply that he is God’s messenger. They will ask him what made him aware of this, and he will reply that he read God’s Book, believed in it, and considered it true, which is verified by God’s words, ‘God establishes those who believe with the word that stands firm*...’ Then a crier will call from heaven, ‘My servant has spoken the truth, so spread a bed for him from paradise, clothe him from paradise, and open a door for him into paradise.’ A door will then be opened for him towards paradise, some of its air and perfume will come to him, and a space will be made for him in it as far as the eye can see.” He also mentioned the death of the infidel, saying, “His spirit will be restored to his body, two angels will come, make him sit up and ask him who his Lord is, to which he will reply, ‘Alas, alas, I do not know.’ They will ask him what his religion is, and he will reply, ‘Alas, alas, I do not know.’ They will ask him about this man who was sent on a mission among his people, and he will reply, ‘Alas, alas, I do not know.' Then a crier will call from heaven, ‘He has lied, so spread a bed for him from hell, clothe him from hell, and open a door for him into hell.' Then some of its heat and pestilential wind will come to him, and his grave will become restricted so that his ribs will be pressed together. One who is blind and dumb will then be placed in charge of him, having a sledgehammer such that if a mountain were struck with it it would become dust. He will give him a blow with it and he will utter a shout which will be heard by everything between the east and the west except by men and jinn, and he will become dust. Then his spirit will be restored to him."

Ahmad and Abu Dawud transmitted it.

* Quran, 14:27.

ব্যাখ্যা: মালাক মু’মিন ব্যক্তির নিকট আসবে। প্রশ্ন করবে, এই ব্যক্তির পরিচয় কি, তিনি কি রসূল? অথবা এ ব্যাপারে তোমার বিশ্বাস কি? তুমি যে আল্লাহর একত্ব, ইসলাম এবং রিসালাতের খবর দিলে এটা তুমি কিভাবে জেনেছ?

صَدَّقْتُ তিনি যা বলেছেন তা সত্যায়ন করেছি এবং কুরআনে যা পড়েছি তাও সত্যায়ন করেছি। অতএব কুরআনে পেয়েছি যে, আমি সহ সমগ্র সৃষ্টিকুলের স্রষ্টা এক অদ্বিতীয়, আর তিনি হলেন আল্লাহ। আর আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় জীবন বিধান কেবল ইসলাম। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারই প্রেরিত নাবী।

মু’মিন ব্যক্তি এই যথাযথ উত্তর দিতে পারাই আল্লাহ তা‘আলার (সূরাহ্ ইবরাহীম ১৪ঃ ২৭) আয়াতের বাস্তবতা।

يُثَبِّتُ اللّهُ الَّذِيْنَ امَنُوْا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ

‘‘যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আল্লাহ শাশ্বত বাণীর অবলম্বনে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।’’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের ‘আযাব

১৩২-[৮] ’উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি যখন কোন কবরের নিকট দাঁড়াতেন, কেঁদে দিতেন, (আল্লাহর ভয়ে চোখের পানিতে) তার দাড়ি ভিজে যেত। একদা তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, জান্নাত ও জাহান্নামের কথা স্মরণ হলে, আপনি কাঁদেন না। আর আপনি এ জায়গায় (কবরস্থানে) দাঁড়িয়ে কাঁদছেন? তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আখিরাতের মঞ্জীলসমূহের মধ্যে কবর হলো প্রথম মঞ্জীল। কেউ যদি এ মঞ্জীলে মুক্তি পেয়ে যায়, তাহলে পরের মঞ্জীলসমূহ অতিক্রম করা তার জন্য সহজসাধ্য হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি এ মঞ্জীলে মুক্তি লাভ করতে পারলো না, তার জন্য পরবর্তী মঞ্জীলসমূহ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি [’উসমান (রাঃ)] বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাও বলেছেন, কবর থেকে বেশি কঠিন কোন ভয়ঙ্কর জায়গা আমি কক্ষনো দেখিনি। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]

باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثاني

وَعَن عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ أَنه إِذَا وَقَفَ عَلَى قَبْرٍ بَكَى حَتَّى يَبُلَّ لِحْيَتَهُ فَقِيلَ لَهُ تُذْكَرُ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَلَا تَبْكِي وَتَبْكِي مِنْ هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْقَبْرَ أَوَّلُ مَنْزِلٍ مِنْ مَنَازِلِ الْآخِرَةِ فَإِنْ نَجَا مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَيْسَرُ مِنْهُ وَإِنْ لَمْ يَنْجُ مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَشَدُّ مِنْهُ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَأَيْت منْظرًا قطّ إِلَّا الْقَبْر أَفْظَعُ مِنْهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيث غَرِيب

وعن عثمان رضي الله عنه انه اذا وقف على قبر بكى حتى يبل لحيته فقيل له تذكر الجنة والنار فلا تبكي وتبكي من هذا فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ان القبر اول منزل من منازل الاخرة فان نجا منه فما بعده ايسر منه وان لم ينج منه فما بعده اشد منه قال وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما رايت منظرا قط الا القبر افظع منه» . رواه الترمذي وابن ماجه. وقال الترمذي هذا حديث غريب

Chapter: Confirmation of the Punishment in the Grave - Section 2


‘Uthman told that when he stood over a grave he would weep so sorely that the tears moistened his beard. Someone said to him, “You remember paradise and hell, without weeping, yet you are weeping over this." He replied that God’s messenger said, “The grave is the first stage of the next world ; if one escapes from it what follows is easier than it, but if one does not escape from it what follows is more severe than it." He further quoted God’s messenger as saying, “I have never seen a sight as horrible as the grave."

Tirmidhi and Ibn Majah transmitted it, and Tirmidhi said this is a gharib tradition.

ব্যাখ্যা : একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তরঃ

প্রশ্নঃ ‘উসমান (রাঃ) তো জান্নাতের সানাদপ্রাপ্তদের একজন। এ সত্ত্বেও তিনি কবরের কাছে গিয়ে কান্নাকাটির কারণ কি?

এর উত্তর কয়েকটি হতে পারেঃ

১. জান্নাতের ঘোষণা হলেই কবরের ‘আযাব থেকে মুক্তি হয়ে গেল বিষয়টি এমন নয়।

২. হতে পারে পরিস্থিতি কঠিন হওয়ায় তিনি যে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত এটা ভুলে গিয়েছিলেন।

৩. হতে পারে তিনি কবরের চাপ থেকে ভয় পেয়েছেন। যেমন সা‘দ (রাঃ)-এর হাদীসে এটাই প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এই পাপ থেকে নাবীগণ ব্যতীত কেউই রেহাই পাবে না। মুল্লা ‘আলী কারী  (রহঃ) এমনটাই বলেছেন।

৪। আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  নিজেও কবরের ‘আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন অথচ তিনি ছিলেন নাবী! আর যে যত আল্লাহর বেশী প্রিয় সে তত বেশী আল্লাহকে এবং আল্লাহর শাস্তিকে ভয় পেতেন। ‘উসমান (রাঃ)-এর ব্যাপারটি এমনি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের ‘আযাব

১৩৩-[৯] উক্ত রাবী [’উসমান (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাইয়্যিতের দাফন সম্পন্ন করে অবসর গ্রহণকালে কবরের নিকট দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে লক্ষ্য করে বলতেন, তোমাদের ভাইয়ের জন্য (আল্লাহ তা’আলার নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা কর ও দু’আ কর, যেন তাকে এখন (মালায়িকার প্রশ্নোত্তরে) ঈমানের উপর সুদৃঢ় থাকার শক্তি-সামর্থ্য দেন। কেননা এখনই তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। (আবূ দাঊদ)[1]

باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثاني

وَعَن عُثْمَان رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ: «اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ ثُمَّ سَلُوا لَهُ بِالتَّثْبِيتِ فَإِنَّهُ الْآنَ يُسْأَلُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عثمان رضي الله عنه قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا فرغ من دفن الميت وقف عليه فقال: «استغفروا لاخيكم ثم سلوا له بالتثبيت فانه الان يسال» . رواه ابو داود

Chapter: Confirmation of the Punishment in the Grave - Section 2


He [Uthman] also said that when the Prophet finished the burial of the dead he stood over it and said, “Ask forgiveness for your brother, then ask that he may be strengthened, for he is now being questioned."

Abu Dawud transmitted it.

ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি, দাফন শেষে মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করা এবং তার অবিচলতার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করা শার‘ঈ নিয়ম বিদ্‘আত নয়। আর জীবিত ব্যক্তির দু‘আ মৃত ব্যক্তিদের উপকার দেয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কবরের ‘আযাব

১৩৪-[১০] আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাফিরদের জন্য তাদের কবরে নিরানব্বইটি সাপ নির্ধারণ করা হয়। এ সাপগুলো তাকে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত কামড়াতে ও দংশন করতে থাকবে। যদি তার কোন একটি সাপ জমিনে নিঃশ্বাস ফেলে, তবে এ জমিনে আর কোন ঘাস-তৃণলতা জন্মাবে না। (দারিমী) তিরমিযীও এ ধরনের হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি নিরানব্বইটির স্থানে সত্তরের উল্লেখ করেছেন।[1]

باب إثبات عذاب القبر - الفصل الثاني

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «يُسَلط عَلَى الْكَافِرِ فِي قَبْرِهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ تِنِّينًا تنهشه وتلدغه حَتَّى تقوم السَّاعَة وَلَو أَنَّ تِنِّينًا مِنْهَا نَفَخَ فِي الْأَرْضِ مَا أَنْبَتَتْ خَضِرًا» . رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ نَحْوَهُ وَقَالَ: «سَبْعُونَ بدل تِسْعَة وَتسْعُونَ»

عن ابي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يسلط على الكافر في قبره تسعة وتسعون تنينا تنهشه وتلدغه حتى تقوم الساعة ولو ان تنينا منها نفخ في الارض ما انبتت خضرا» . رواه الدارمي وروى الترمذي نحوه وقال: «سبعون بدل تسعة وتسعون»

Chapter: Confirmation of the Punishment in the Grave - Section 2


Abu Sa'id reported God’s messenger as saying, “Ninety-nine dragons will be given power over an infidel in his grave, and will bite and sting him till the last hour comes. If one of those dragons were to breathe over the earth, it would bring forth no green thing."

Darimi transmitted it, and Tirmidhi transmitted something similar, but he said seventy instead of ninety-nine.

ব্যাখ্যা: এখানে সংখ্যাটি নির্দিষ্ট আর তা হলো ৯৯। যা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ওয়াহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

تِنِّيْنًا অত্যধিক বিষধর সাপ। এদের বিষের তীব্রতা এত অধিক যে, যদি এগুলোর থেকে কোন একটি সাপের শ্বাস-প্রশ্বাস জমিনে পৌঁছে তাহলে জমিন তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলবে। তাতে কোন সবুজ ফসলাদি ফলাবে না।

কোন বর্ণনায় ৯৯ আর কোন বর্ণনায় ৭০। এ দুই বর্ণনার সামাধান এভাবে দেয়া হয়েছে যে, ৯৯ হলো অনুসৃত কাফির আর ৭০ হলো অনুসরণকারী কাফিরগণের জন্য প্রযোজ্য।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে