পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৪৭৯-(৭৫/১১০৯) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) তার আলোচনায় বললেন, জানাবাত অবস্থায় কারো ভোর হলে তার সওম হবে না। এরপর এ কথাটি আমি আবদুর রহমান ইবনু হারিস (রাযিঃ) এর নিকট বর্ণনা করলাম। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করলেন। তারপর আবদুর রহমান চললেন। আমিও তার সাথে সাথে চললাম। আমরা আয়িশাহ এবং উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। এরপর আবদুর রহমান তাদের উভয়কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহতিলাম ব্যতিরেকে ও জানাবাতের অবস্থায় ভোর করতেন এবং সওম পালন করতেন। তারপর আমরা মারওয়ানের নিকট আসলাম এবং আবদুর রহমান তার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করলেন। এরপর মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি, তুমি আবূ হুরায়রার নিকট যাও এবং তার কথাটি রদ করে দাও। এরপর আমি আবূ হুরায়রার নিকট গেলাম। এ সময় আবূ বকর (রাযিঃ) ’আবদুর রহমানের সাথে ছিলেন।

আবদুর রহমান এ নিয়ে আবূ হুরায়রার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বললেন, তোমার নিকট তারা উভয়েই কি এ কথা বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারা উভয়েই এ কথা বলেছেন। তখন আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বললেন, বস্তুত তারাই সর্বাধিক অবগত। তারপর আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) তার এ কথাটিকে ফাযল ইবনু আব্বাসের প্রতি সম্পর্কিত করে বললেন, আমি এ কথাটি ফাযলের (ইবনু আব্বাস) থেকে শুনেছিলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনিনি। রাবী বলেন, এরপর আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) এ বিষয়ে তার মত পরিবর্তন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবদুল মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, তারা রমযানের কথা বলেছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ অনুরূপই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহতিলাম ব্যতিরেকেও জানাবাত অবস্থায় ভোর করতেন। এরপর সওম পালন করতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৫৬, ইসলামীক সেন্টার ২৪৫৫)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - يَقُصُّ يَقُولُ فِي قَصَصِهِ مَنْ أَدْرَكَهُ الْفَجْرُ جُنُبًا فَلاَ يَصُمْ ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ - لأَبِيهِ - فَأَنْكَرَ ذَلِكَ ‏.‏ فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ - رضى الله عنهما - فَسَأَلَهُمَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ ذَلِكَ - قَالَ - فَكِلْتَاهُمَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى مَرْوَانَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ ‏.‏ فَقَالَ مَرْوَانُ عَزَمْتُ عَلَيْكَ إِلاَّ مَا ذَهَبْتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَرَدَدْتَ عَلَيْهِ مَا يَقُولُ - قَالَ - فَجِئْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَأَبُو بَكْرٍ حَاضِرُ ذَلِكَ كُلِّهِ - قَالَ - فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَهُمَا قَالَتَاهُ لَكَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ هُمَا أَعْلَمُ ‏.‏ ثُمَّ رَدَّ أَبُو هُرَيْرَةَ مَا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنَ الْفَضْلِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ فَرَجَعَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَمَّا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ ‏.‏ قُلْتُ لِعَبْدِ الْمَلِكِ أَقَالَتَا فِي رَمَضَانَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ ‏.‏

حدثني محمد بن حاتم، حدثنا يحيى بن سعيد، عن ابن جريج، ح وحدثني محمد، بن رافع - واللفظ له - حدثنا عبد الرزاق بن همام، اخبرنا ابن جريج، اخبرني عبد الملك، بن ابي بكر بن عبد الرحمن عن ابي بكر، قال سمعت ابا هريرة، - رضى الله عنه - يقص يقول في قصصه من ادركه الفجر جنبا فلا يصم ‏.‏ فذكرت ذلك لعبد الرحمن بن الحارث - لابيه - فانكر ذلك ‏.‏ فانطلق عبد الرحمن وانطلقت معه حتى دخلنا على عاىشة وام سلمة - رضى الله عنهما - فسالهما عبد الرحمن عن ذلك - قال - فكلتاهما قالت كان النبي صلى الله عليه وسلم يصبح جنبا من غير حلم ثم يصوم - قال - فانطلقنا حتى دخلنا على مروان فذكر ذلك له عبد الرحمن ‏.‏ فقال مروان عزمت عليك الا ما ذهبت الى ابي هريرة فرددت عليه ما يقول - قال - فجىنا ابا هريرة وابو بكر حاضر ذلك كله - قال - فذكر له عبد الرحمن فقال ابو هريرة اهما قالتاه لك قال نعم ‏.‏ قال هما اعلم ‏.‏ ثم رد ابو هريرة ما كان يقول في ذلك الى الفضل بن العباس فقال ابو هريرة سمعت ذلك من الفضل ولم اسمعه من النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال فرجع ابو هريرة عما كان يقول في ذلك ‏.‏ قلت لعبد الملك اقالتا في رمضان قال كذلك كان يصبح جنبا من غير حلم ثم يصوم ‏.‏


Abu Bakr (he is Abu Bakr b. Abd al-Rahman b. Harith) reported:
I heard Abu Huraira (Allah be pleased with him) narrating that he who is overtaken by dawn in a state of seminal emission should not observe fast. I made a mention of it to 'Abd al-Rahman b. Harith (i. e. to his father) but he denied it. 'Abd al-Rahman went and I also went along with him till we came to'A'isha and Umm Salama (Allah be pleased with both of them) and Abd al-Rahman asked them about it. Both of them said: (At times it so happened) that the Messenger of Allah (ﷺ) woke up in the morning in a state of junub (but without seminal emission in a dream) and observed fast He (the narrator) said: We then proceeded till we went to Marwan and Abd al-Rahman made a mention of it to him. Upon this Marwan said: I stress upon you (with an oath) that you better go to Abu Huraira and refer to him what is said about it. So we came to Abu Huraira and Abu Bakr had been with us throughout and 'Abd al-Rahman made a mention of it to him, whereupon Abu Huraira said: Did they (the two wives of the Holy Prophet) tell you this? He replied: Yes Upon this (Abu Huraira) said: They have better knowledge. Abu Huraira then attributed that what was said about it to Fadl b. 'Abbas and said: I heard it from Fadl and not from the Messenger of Allah (ﷺ). Abu Huraira then retracted from what he used to say about it. Ibn Juraij (one of the narrators) reported: I asked 'Abd al-Malik, if they (the two wives) said (made the statement) in regard to Ramadan, whereupon he said: It was so, and he (the Holy Prophet) (woke up in the) morning in a state of junub which was not due to the wet dream and then observed fast.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৪৮২-(৭৮/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়িশাহ এবং উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ই বলেন, রমাযান মাসে ইহতিলাম ছাড়াই স্ত্রী সহবাসের কারণে জানাবাতের অবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভোর হতো, এরপর তিনি সওম পালন করতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৫৯, ইসলামীক সেন্টার ২৪৫৮)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي، بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمَا قَالَتَا إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلاَمٍ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ يَصُومُ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى، قال قرات على مالك عن عبد ربه بن سعيد، عن ابي، بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام عن عاىشة، وام سلمة زوجى النبي صلى الله عليه وسلم انهما قالتا ان كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليصبح جنبا من جماع غير احتلام في رمضان ثم يصوم ‏.‏


Abu Bakr b. 'Abd al-Rahman b. al-Harith b. Hisham reported on the authority of 'A'isha and Umm Salama, the wives of the Messenger of Allah (ﷺ):
The Messenger of Allah (ﷺ) at times got up in the morning in a state of junub on account of having a sexual intercourse (with his wives during night) but not due to sexual dreams in the month of Ramadan, and would observe fast.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৪৮৩-(৭৯/১১১০) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বাহ ও ইবনু হুজুর (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করার জন্য এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলো। এ সময় তিনি দরজার পেছন থেকে কথাগুলো শুনছিলেন। লোকটি বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! জানাবাতের অবস্থায় আমার ফজরের সময় হয়ে যায়, এমতাবস্থায় আমি সওম পালন করতে পারি কি? উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জানাবাতের অবস্থায় আমারও ফজরের সালাতের সময় হয়ে যায়, আমি তো সওম পালন করি। এরপর লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো আমাদের মতো নন। আল্লাহ তা’আলা আপনার পূর্বাপর সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার আশা, আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে সর্বাধিক ভয় করি এবং আমি সর্বাধিক অবগত ঐ বিষয় সম্পর্কে, যা থেকে আমার বিরত থাকা আবশ্যক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৬০, ইসলামীক সেন্টার ২৪৫৯)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ، جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - وَهُوَ ابْنُ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ الأَنْصَارِيُّ أَبُو طُوَالَةَ - أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى عَائِشَةَ أَخْبَرَهُ عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِيهِ وَهِيَ تَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُدْرِكُنِي الصَّلاَةُ وَأَنَا جُنُبٌ أَفَأَصُومُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَأَنَا تُدْرِكُنِي الصَّلاَةُ وَأَنَا جُنُبٌ فَأَصُومُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَسْتَ مِثْلَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّقِي ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن ايوب، وقتيبة، وابن، حجر قال ابن ايوب حدثنا اسماعيل بن، جعفر اخبرني عبد الله بن عبد الرحمن، - وهو ابن معمر بن حزم الانصاري ابو طوالة - ان ابا يونس، مولى عاىشة اخبره عن عاىشة، - رضى الله عنها - ان رجلا، جاء الى النبي صلى الله عليه وسلم يستفتيه وهي تسمع من وراء الباب فقال يا رسول الله تدركني الصلاة وانا جنب افاصوم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وانا تدركني الصلاة وانا جنب فاصوم ‏"‏ ‏.‏ فقال لست مثلنا يا رسول الله قد غفر الله لك ما تقدم من ذنبك وما تاخر ‏.‏ فقال ‏"‏ والله اني لارجو ان اكون اخشاكم لله واعلمكم بما اتقي ‏"‏ ‏.‏


'A'isha reported that a person came to the Apottle of Allah (ﷺ) asking for a fatwa (religious verdict). She ('A'isha) had been overhearing it from behind the curtain. 'A'isha added that he (the person) had said:
Messenger of Allah, (the time) of prayer overtakes me as I am in a state of junub; should I observe fast (in this state)? Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) said: (At times the time) of prayer overtakes me while I am in a state of junub, and I observe fast (in that very state), whereupon he said: Messenger of Allah, you are not like us Allah has pardoned all your sins, the previous ones and the later ones. Upon this he (the Holy Prophet) said: By Allah, I hope I am the most God-fearirg of you, and possess the best knowledge among you of those (things) against which I should guard.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫১-(২০৫/১১৬৫) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্ন দেখানো হল যে, (রমাযানের) শেষ সাত দিনের মধ্যে কদরের রাত নিহিত রয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি মনে করি যে, শেষের সাতদিন সম্পর্কে তোমাদের সকলের স্বপ্ন পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতএব যে ব্যক্তি তা অন্বেষণ করবে, সে যেন রমযানের শেষ সাতদিনের রাতগুলোতে তা অন্বেষণ করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬২৮, ইসলামীক সেন্টার ২৬২৭)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - أَنَّ رِجَالاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا يحيى بن يحيى، قال قرات على مالك عن نافع، عن ابن عمر، - رضى الله عنهما - ان رجالا، من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم اروا ليلة القدر في المنام في السبع الاواخر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ارى روياكم قد تواطات في السبع الاواخر فمن كان متحريها فليتحرها في السبع الاواخر ‏"‏ ‏.‏


Ibn 'Umar (Allah be pleased with them) reported that some persons among the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) were shown Lailat- ul-Qadr while sleeping in the last week (of Ramadan). Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said:
I see that your dreams agree regarding the last week; so he who wants to seek it should seek it in the last week (during the night).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫২-(২০৬/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (রমাযানের) শেষ সাতদিনের রাতগুলোতে লায়লাতুল কদর অন্বেষণ কর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬২৯, ইসলামীক সেন্টার ২৬২৮)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ - رضى الله عنهما - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا يحيى بن يحيى، قال قرات على مالك عن عبد الله بن دينار، عن ابن، عمر - رضى الله عنهما - عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ تحروا ليلة القدر في السبع الاواخر ‏"‏ ‏.‏


Ibn 'Umar (Allah be pleased with them) reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying:
Seek Lailat-ul-Qadr in the last week (of Ramadan).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৩-(২০৭/...) আমর আন নাক্বিদ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... সালিম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (পিতা) বলেন, এক ব্যক্তি (রমাযানের) ২৭ তম রাতে লায়লাতুল কদর দেখতে পেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকেও তোমাদের মতো স্বপ্ন দেখানো হয়েছে যে, তা রমাযানের শেষ দশকে নিহিত আছে। অতএব এর বেজোড় রাতগুলোতে তা অনুসন্ধান কর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩০, ইসলামীক সেন্টার ২৬২৯)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، - رضى الله عنه - قَالَ رَأَى رَجُلٌ أَنَّ لَيْلَةَ الْقَدْرِ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَاطْلُبُوهَا فِي الْوِتْرِ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏

وحدثني عمرو الناقد، وزهير بن حرب، قال زهير حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن سالم، عن ابيه، - رضى الله عنه - قال راى رجل ان ليلة القدر ليلة سبع وعشرين ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ارى روياكم في العشر الاواخر فاطلبوها في الوتر منها ‏"‏ ‏.‏


Salim reported on the authority of his father that a person saw Lailat-ul- Qadr on the 27th (of Ramadan). Thereupon Allah's Apostle (ﷺ) said:
I see that your dreams agree regarding the last ten (nights of Ramadan). So seek it on an odd number (of these ten nights).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৪-(২০৮/...) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... সলিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তার পিতা [’আবদুল্লাহ (রাযিঃ)] বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লায়লাতুল কদর সম্পর্কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কতিপয় লোককে দেখনো হল যে, তা রমাযানের প্রথম সাতদিনের মধ্যে, আবার কতিপয় লোককে দেখানো হয়েছে যে, তা শেষ সাতদিনের মধ্যে। অতএব (রমাযানের) শেষ দশকের মধ্যে তা অন্বেষণ কর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩১, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩০)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَاهُ، - رضى الله عنه - قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِلَيْلَةِ الْقَدْرِ ‏ "‏ إِنَّ نَاسًا مِنْكُمْ قَدْ أُرُوا أَنَّهَا فِي السَّبْعِ الأُوَلِ وَأُرِيَ نَاسٌ مِنْكُمْ أَنَّهَا فِي السَّبْعِ الْغَوَابِرِ فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثني حرملة بن يحيى، اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، اخبرني سالم بن عبد الله بن عمر، ان اباه، - رضى الله عنه - قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لليلة القدر ‏ "‏ ان ناسا منكم قد اروا انها في السبع الاول واري ناس منكم انها في السبع الغوابر فالتمسوها في العشر الغوابر ‏"‏ ‏.‏


Salim b. 'Abdullah b. 'Umar reported that his father said:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: So far as Lailat-ul-Qadr is concerned. some persons among you have seen it (in a dream) in the first week and some persons among you have been shown that it is in the last week; so seek it in the last ten (nights).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৫-(২০৯/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... উকবাহ ইবনু হুরায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) শেষ দশ দিনে কদরের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দুর্বল অথবা অপারগ হয়ে পড়ে, তবে সে যেন শেষের সাত রাতে অলসতা না করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩২, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩১)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُقْبَةَ، - وَهُوَ ابْنُ حُرَيْثٍ - قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ - يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ - فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ فَلاَ يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِي ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا محمد بن المثنى، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن عقبة، - وهو ابن حريث - قال سمعت ابن عمر، - رضى الله عنهما - يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ التمسوها في العشر الاواخر - يعني ليلة القدر - فان ضعف احدكم او عجز فلا يغلبن على السبع البواقي ‏"‏ ‏.‏


Ibn Umar (Allah be pleased with them) reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Seek it (Lailat-ul-Qadr) in the last (ten nights). If one among you shows slackness and weakness (in the earlier part of Ramadan), it should not be allowed to prevail upon him in the last week.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৬-(২১০/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... জাবালাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাযিঃ) কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি কদরের রাত অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন (রমাযানের) শেষ দশকে তা অনুসন্ধান করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৩, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩২)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَبَلَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ مَنْ كَانَ مُلْتَمِسَهَا فَلْيَلْتَمِسْهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا محمد بن المثنى، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن جبلة، قال سمعت ابن عمر، - رضى الله عنهما - يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ من كان ملتمسها فليلتمسها في العشر الاواخر ‏"‏ ‏.‏


Ibn Umar (Allah be pleased with them) reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
He who is anxious to seek it (Lailat-ul-Qadr) should seek it in the last ten (nights of Ramadan).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবালাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৭-(২১১/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ..... ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (রমযানের) শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধান কর অথবা তিনি বলেছেন, শেষের নয় রাতে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৪, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৩)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ جَبَلَةَ، وَمُحَارِبٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَحَيَّنُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏"‏ فِي التِّسْعِ الأَوَاخِرِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا علي بن مسهر، عن الشيباني، عن جبلة، ومحارب عن ابن عمر، - رضى الله عنهما - قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تحينوا ليلة القدر في العشر الاواخر ‏"‏ ‏.‏ او قال ‏"‏ في التسع الاواخر ‏"‏ ‏.‏


'Ibn 'Umar (Allah be pleased with both of them) reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Seek the time of Lailat-ul-Qadr in the last (ten nights), or he said: in the last nine (nights).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৮-(২১২/১১৬৬) আবূ তহির ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাকে স্বপ্লে কদরের রাত দেখানো হয়েছিল। অতঃপর আমার পরিবারের কেউ আমাকে ঘুম থেকে জাগানোর ফলে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা তা শেষ দশকে অন্বেষণ কর। রাবী হারমালাহ (রহঃ) বলেছেন, “আমি তা ভুলে গেছি"। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৫, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৪)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - أَنَّاللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِي بَعْضُ أَهْلِي فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ حَرْمَلَةُ ‏"‏ فَنَسِيتُهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو الطاهر، وحرملة بن يحيى، قالا اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن ابي هريرة، - رضى الله عنه - انالله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اريت ليلة القدر ثم ايقظني بعض اهلي فنسيتها فالتمسوها في العشر الغوابر ‏"‏ ‏.‏ وقال حرملة ‏"‏ فنسيتها ‏"‏ ‏.‏


Abu Huraira (Allah be pleased with him) reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
I was shown Lailat-ul-Qadr; then some members of my family awoke me up, then I was caused to forget it. So seek it in the last week. Harmala said: (The Prophet did not say:" I was made to forget," but he stated):" But I forgot it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৫৯-(২১৩/১১৬৭) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রমাযানের) মাঝের দশকে ইতিকাফ করেন। অতঃপর ২০তম দিন অতিবাহিত হবার পর এবং ২১তম দিনের সূচনাতে তিনি নিজ বাসস্থানে ফিরে আসেন এবং তার সঙ্গে যারা ইতিকাফ করেন, তারাও নিজ নিজ আবাসে প্রত্যাবর্তন করেন। অতঃপর একবার রমাযান মাসের মাঝের দশকে তিনি ইতিকাফ করলেন- যে রাতে তার ইতিকাফ হতে ফিরে আসার কথা, সে রাতে (পুনরায়) ইতিকাফ আরম্ভ করলেন ও লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আমি সাধারণত এ (মধ্যম) দশকে ইতিকাফ করতাম। এরপর শেষ দশকেও ইতিকাফ করা আমার কাছে সমীচীন মনে হল। অতএব যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করতে চায়, যেন নিজ ইতিকাফের স্থানে অবস্থান করে। আমি এ (কদরের) রাত স্বপ্নে দেখেছিলাম, কিন্তু আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তা অনুসন্ধান কর। আমি স্বপ্লে নিজেকে পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করতে দেখেছি।

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) বলেন, ২১ তম রাতে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়। তিনি যখন ফজরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) থেকে ফিরলেন, তখন আমি তার মুখমণ্ডল কাদা ও পানিতে সিক্ত দেখলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৬, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৫)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - وَهُوَ ابْنُ مُضَرَ - عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ فَإِذَا كَانَ مِنْ حِينِ تَمْضِي عِشْرُونَ لَيْلَةً وَيَسْتَقْبِلُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ يَرْجِعُ إِلَى مَسْكَنِهِ وَرَجَعَ مَنْ كَانَ يُجَاوِرُ مَعَهُ ثُمَّ إِنَّهُ أَقَامَ فِي شَهْرٍ جَاوَرَ فِيهِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ الَّتِي كَانَ يَرْجِعُ فِيهَا فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَمَرَهُمْ بِمَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ إِنِّي كُنْتُ أُجَاوِرُ هَذِهِ الْعَشْرَ ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ أُجَاوِرَ هَذِهِ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَبِتْ فِي مُعْتَكَفِهِ وَقَدْ رَأَيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ فَأُنْسِيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فِي كُلِّ وِتْرٍ وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مُطِرْنَا لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فِي مُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَقَدِ انْصَرَفَ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَوَجْهُهُ مُبْتَلٌّ طِينًا وَمَاءً ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا بكر، - وهو ابن مضر - عن ابن الهاد، عن محمد، بن ابراهيم عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن ابي سعيد الخدري، - رضى الله عنه - قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجاور في العشر التي في وسط الشهر فاذا كان من حين تمضي عشرون ليلة ويستقبل احدى وعشرين يرجع الى مسكنه ورجع من كان يجاور معه ثم انه اقام في شهر جاور فيه تلك الليلة التي كان يرجع فيها فخطب الناس فامرهم بما شاء الله ثم قال ‏ "‏ اني كنت اجاور هذه العشر ثم بدا لي ان اجاور هذه العشر الاواخر فمن كان اعتكف معي فليبت في معتكفه وقد رايت هذه الليلة فانسيتها فالتمسوها في العشر الاواخر في كل وتر وقد رايتني اسجد في ماء وطين ‏"‏ ‏.‏ قال ابو سعيد الخدري مطرنا ليلة احدى وعشرين فوكف المسجد في مصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فنظرت اليه وقد انصرف من صلاة الصبح ووجهه مبتل طينا وماء ‏.‏


Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported that Allah's Messenger (ﷺ) spent in devotion (in i'tikaf) the middle ten nights of the month of Ramadan, and when twenty nights were over and it was the twenty-first night, he went back to his residence and those who were along with him also returned (to their respective residences). He spent one month in devotion. Then he addressed the people on the night he came back (to his residence) and commanded them as Allah desired (him to command) and then said:
I used to devote myself (observe i'tikaf) during these ten (nights). Then I started devoting myself in the last ten (nights). And he who desires to observe i'tikaf along with me should spend the night) at his place of i'tikaf. And I saw this night (Lailat-ul-Qadr) but I forgot it (the exact night) ; so seek it;In the last ten nights on odd numbers. I saw (the glimpses of that dream) that I was prostrating in water and mud. Abu Sa'id al-Khudri said: It rained on the twenty-first night and the water dripped (from the roof) of the mosque at the place where the Messenger of Allah (ﷺ) observed prayer. I looked at him and as he completed the dawn prayer, (I found) his face was wet with mud and water.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬০-(২১৪/....) ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের মাঝের দশকে ইতিকাফ করতেন। অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, "সে যেন তার ইতিকাফের স্থানে অবস্থান করে।” তিনি আরো বলেন, “তার কপাল মুবারক কাদা ও পানিতে সিক্ত ছিল।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৭, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৬)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي رَمَضَانَ الْعَشْرَ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ فَلْيَثْبُتْ فِي مُعْتَكَفِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ وَجَبِينُهُ مُمْتَلِئًا طِينًا وَمَاءً ‏.‏

وحدثنا ابن ابي عمر، حدثنا عبد العزيز، - يعني الدراوردي - عن يزيد، عن محمد بن ابراهيم، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن ابي سعيد الخدري، - رضى الله عنه - انه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجاور في رمضان العشر التي في وسط الشهر ‏.‏ وساق الحديث بمثله غير انه قال ‏ "‏ فليثبت في معتكفه ‏"‏ ‏.‏ وقال وجبينه ممتلىا طينا وماء ‏.‏


Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) devoted (himself to prayer) in the middle (ten nights) of Ramadan. The rest of the hadith is the same except for these words:
" That he adhered to his place of i'tikaf and his forehead was besmeared with mud and water."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬১-(২১৫/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের প্রথম দশকে ইতিকাফ করলেন। এরপর তিনি মাঝের দশকেও একটি তুর্কি তাবুর মধ্যে ইতিকাফ করলেন এবং তাবুর দরজায় একটি চটাই ঝুলানো ছিল। রাবী বলেন, তিনি নিজ হাতে চাটাই ধরে তা তাবুর কোণে রাখলেন, এরপর নিজের মাথা বাইরে এনে লোকদের সাথে কথা বললেন এবং তারাও তার নিকট এগিয়ে এলো। তিনি বললেন, এ রাতের অনুসন্ধানকল্পে আমি (রমাযানের) প্রথম দশকে ইতিকাফ করলাম। অতঃপর মাঝের দশকে ইতিকাফ করলাম। এরপর আমার নিকট একজন আগন্তুক (লোক) এসে আমাকে বলল, লায়লাতুল কদর শেষ দশকে নিহিত আছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন ইতিকাফ করে।

লোকেরা তার সঙ্গে (শেষ দশকে) ইতিকাফ করল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বললেন, স্বপ্নে আমাকে তা কোন এক বেজোড় রাতে দেখানো হয়েছে এবং আমি যেন সে রাতে কাদা ও পানির মধ্যে ফজরের সিজদা করছি। (রাবী বলেন), তিনি ২১তম রাতের ভোরে উপনীত হয়ে ফজরের সালাতে দাঁড়ালেন এবং আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হল। ফলে ছাদ থেকে মসজিদে পানি বর্ষিত হল এবং আমি স্বচক্ষে কাদা ও পানি দেখতে পেলাম। তিনি ফজরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) শেষে যখন বের হয়ে এলেন, তখন তার কপাল ও নাকের ডগা সিক্ত ও কর্দমাক্ত ছিল। আর তা ছিল রমাযানের শেষ দশকের ২১তম রাত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৮, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৭)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَكَفَ الْعَشْرَ الأَوَّلَ مِنْ رَمَضَانَ ثُمَّ اعْتَكَفَ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ عَلَى سُدَّتِهَا حَصِيرٌ - قَالَ - فَأَخَذَ الْحَصِيرَ بِيَدِهِ فَنَحَّاهَا فِي نَاحِيَةِ الْقُبَّةِ ثُمَّ أَطْلَعَ رَأْسَهُ فَكَلَّمَ النَّاسَ فَدَنَوْا مِنْهُ فَقَالَ ‏"‏ إِنِّي اعْتَكَفْتُ الْعَشْرَ الأَوَّلَ أَلْتَمِسُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ اعْتَكَفْتُ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ ثُمَّ أُتِيتُ فَقِيلَ لِي إِنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَعْتَكِفَ فَلْيَعْتَكِفْ ‏"‏ ‏.‏ فَاعْتَكَفَ النَّاسُ مَعَهُ قَالَ ‏"‏ وَإِنِّي أُرِيتُهَا لَيْلَةَ وِتْرٍ وَأَنِّي أَسْجُدُ صَبِيحَتَهَا فِي طِينٍ وَمَاءٍ ‏"‏ ‏.‏ فَأَصْبَحَ مِنْ لَيْلَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَقَدْ قَامَ إِلَى الصُّبْحِ فَمَطَرَتِ السَّمَاءُ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فَأَبْصَرْتُ الطِّينَ وَالْمَاءَ فَخَرَجَ حِينَ فَرَغَ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَجَبِينُهُ وَرَوْثَةُ أَنْفِهِ فِيهِمَا الطِّينُ وَالْمَاءُ وَإِذَا هِيَ لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏.‏

وحدثني محمد بن عبد الاعلى، حدثنا المعتمر، حدثنا عمارة بن غزية الانصاري، قال سمعت محمد بن ابراهيم، يحدث عن ابي سلمة، عن ابي سعيد الخدري، - رضى الله عنه - قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اعتكف العشر الاول من رمضان ثم اعتكف العشر الاوسط في قبة تركية على سدتها حصير - قال - فاخذ الحصير بيده فنحاها في ناحية القبة ثم اطلع راسه فكلم الناس فدنوا منه فقال ‏"‏ اني اعتكفت العشر الاول التمس هذه الليلة ثم اعتكفت العشر الاوسط ثم اتيت فقيل لي انها في العشر الاواخر فمن احب منكم ان يعتكف فليعتكف ‏"‏ ‏.‏ فاعتكف الناس معه قال ‏"‏ واني اريتها ليلة وتر واني اسجد صبيحتها في طين وماء ‏"‏ ‏.‏ فاصبح من ليلة احدى وعشرين وقد قام الى الصبح فمطرت السماء فوكف المسجد فابصرت الطين والماء فخرج حين فرغ من صلاة الصبح وجبينه وروثة انفه فيهما الطين والماء واذا هي ليلة احدى وعشرين من العشر الاواخر ‏.‏


Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) observed i'tikaf (confined himself for devotion and prayer) in the first ten (days) of Ramadan; he then observed i'tikaf in the middle ten (days) in a Turkish tent with a mat hanging at its door. He (the Holy Prophet) took hold of that mat and placed it in the nook of the tent. He then put his head out and talked with people and they came near him, and he (the Holy Prophet) said:
I observed i'tikaf in the first ten (nights and days) in order to seek that night (Lailat-ul-Qadr). I then observed i'tikaf in the middle ten days. Then (an angel) was sent to me and I was told that this (night) is among the last ten (nights). He who among you likes to observe i'tikaf should do so; and the people observed it along with him, and he (the Holy Prophet) said: That (Lailat-ul-Qadr) was shown to me on an odd (night) and I (saw in the dream) that I was prostrating in the morning in clay and water. So in the morning of the twenty-first night when he (the Holy Prophet) got up for dawn (prayer). there was a rainfall and the mosque dripped, and I saw clay and water. When he came out after completing the morning prayer (I saw) that his forehead and the tip of his nose had (traces) of clay and water, and that was the twenty-first night among the last ten (nights).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬২-(২১৬/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আবূ সালামাহ্ (রহঃ) বলেন, আমরা পরস্পর কদরের রাত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এরপর আমি আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট এলাম এবং তিনি ছিলেন আমার বন্ধু। আমি তাকে বললাম, আপনি কি আমাদের সাথে খেজুর বাগানে যাবেন না? তিনি একটি চাঁদর পরিহিত অবস্থায় বের হলেন। আমি তাকে বললাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লায়লাতুল কদর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা রমযান মাসের মাঝের দশকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ইতিকাফ করলাম। আমরা ২১তম দিন ভোরে (ইতিকাফ থেকে) বের হলাম।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বললেন, আমাকে স্বপ্নযোগে কদরের রাত দেখানো হয়েছিল, কিন্তু আমি তা তুলে গেছি অথবা আমাকে ভুলানো হয়েছে। তোমরা শেষ দশ দিনের প্রতিটি বেজোড় রাতে তা অন্বেষণ কর। আমি আরও দেখেছি যে, আমি কাদা ও পানির মধ্যে সিজদা করছি। অতএব যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ইতিকাফ করেছে, সে যেন পুনরায় তার ইতিকাফে ফিরে যায়। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমরা (ইতিকাফের অবস্থায়) ফিরে গেলাম। আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখতে পাইনি। ইতিমধ্যে একখণ্ড মেঘ এলো এবং আমাদের উপর বৃষ্টি হল, এমন কি মসজিদের ছাদ হতে পানি প্রবাহিত হল। মসজিদের ছাদ খেজুর ডাটার ছাউনিযুক্ত ছিল। ফজরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করা হল এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কাদা ও পানির মধ্যে সিজদা দিতে দেখলাম, এমন কি আমি তার কপালে কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৩৯, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৮)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ تَذَاكَرْنَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَأَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ - رضى الله عنه - وَكَانَ لِي صَدِيقًا فَقُلْتُ أَلاَ تَخْرُجُ بِنَا إِلَى النَّخْلِ فَخَرَجَ وَعَلَيْهِ خَمِيصَةٌ فَقُلْتُ لَهُ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَقَالَ نَعَمْ اعْتَكَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الْوُسْطَى مِنْ رَمَضَانَ فَخَرَجْنَا صَبِيحَةَ عِشْرِينَ فَخَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ إِنِّي أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ وَإِنِّي نَسِيتُهَا - أَوْ أُنْسِيتُهَا - فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ كُلِّ وِتْرٍ وَإِنِّي أُرِيتُ أَنِّي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلْيَرْجِعْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْنَا وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً قَالَ وَجَاءَتْ سَحَابَةٌ فَمُطِرْنَا حَتَّى سَالَ سَقْفُ الْمَسْجِدِ وَكَانَ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِي الْمَاءِ وَالطِّينِ قَالَ حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ فِي جَبْهَتِهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا ابو عامر، حدثنا هشام، عن يحيى، عن ابي سلمة، قال تذاكرنا ليلة القدر فاتيت ابا سعيد الخدري - رضى الله عنه - وكان لي صديقا فقلت الا تخرج بنا الى النخل فخرج وعليه خميصة فقلت له سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكر ليلة القدر فقال نعم اعتكفنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم العشر الوسطى من رمضان فخرجنا صبيحة عشرين فخطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏ "‏ اني اريت ليلة القدر واني نسيتها - او انسيتها - فالتمسوها في العشر الاواخر من كل وتر واني اريت اني اسجد في ماء وطين فمن كان اعتكف مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فليرجع ‏"‏ ‏.‏ قال فرجعنا وما نرى في السماء قزعة قال وجاءت سحابة فمطرنا حتى سال سقف المسجد وكان من جريد النخل واقيمت الصلاة فرايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يسجد في الماء والطين قال حتى رايت اثر الطين في جبهته ‏.‏


Abu Salama reported:
'We discussed amongst ourselves Lailat-ul-Qadr. I came to Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) who was a friend of mine and said to him: Would you not go with us to the garden of date trees? He went out with a cloak over him. I said to him: Did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) making mention of Lailat-ul-Qadr? He said: Yes, (and added) we were observing i'tikaf with the Messenger of Allah (ﷺ) in the middle ten days of Ramadan, and came out on the morning of the twentieth and the Messenger of Allah (ﷺ) addressed us and said: I was shown Lailat-ul-Qadr, but I forgot (the exact night) or I was caused to forget it, so seek it in the last ten odd (nights), and I was shown that I was prostrating in water and clay. So he who wanted to observe i'tikaf with the Messenger of Allah (ﷺ) should return (to the place of i'tikaf). He (Abu Sa'id al-Khudri) said: And we returned and did not find any patch of cloud in the sky. Then the cloud gathered and there was (so heavy) a downpour that the roof of the mosque which was made of the branches of date-palms began to drip. Then there was prayer and I saw the Messenger of Allah (ﷺ) prostrating in water and clay till I saw the traces of clay on his forehead.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬৩-(২১০/...) আবদ ইবনু হুমায়দ, আবদুল্লাহ ইবনু ’আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে এ সানাদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে উভয়ের (মা’মার ও আল আওযাঈ) বর্ণনায় আছেঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) শেষ করে ফিরলেন তখন আমি তার কপালে ও নাকের ডগায় কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৪০, ইসলামীক সেন্টার ২৬৩৯)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، كَثِيرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِهِمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْصَرَفَ وَعَلَى جَبْهَتِهِ وَأَرْنَبَتِهِ أَثَرُ الطِّينِ ‏.‏

وحدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، ح وحدثنا عبد الله، بن عبد الرحمن الدارمي اخبرنا ابو المغيرة، حدثنا الاوزاعي، كلاهما عن يحيى بن ابي، كثير بهذا الاسناد ‏.‏ نحوه وفي حديثهما رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم حين انصرف وعلى جبهته وارنبته اثر الطين ‏.‏


This hadith has been reported on the authority of Yahya b. Abu Kathir with the same chain of transmitters (with a slight variation of these words):
I saw the Messenger of Allah (ﷺ) after he had completed (the prayer) and there was a trace of clay on his forehead and tip (of the nose).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬৪-(২১৭/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদরের রাত অন্বেষণের উদ্দেশে তা তার কাছে সুস্পষ্ট হবার পূর্বে রমযানের মধ্যেই দশদিন ইতিকাফ করলেন। দশদিন অতিবাহিত হবার পর তিনি তাবু তুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। অতএব তা গুটিয়ে ফেলা হল। অতঃপর তিনি জানতে পারলেন যে, তা শেষ দশ দিনের মধ্যে আছে। তাই তিনি পুনরায় তাবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন। তা খাটানো হল। এরপর তিনি লোকদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে লোক সকল! আমাকে কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং আমি তোমাদের তা জানানোর জন্য বের হয়ে এলাম। কিন্তু দু’ ব্যক্তি পরস্পর ঝগড়া করতে করতে উপস্থিত হল এবং তাদের সাথে ছিল শাইতান। তাই আমি তা ভুলে গেছি। অতএব তোমরা তা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে অন্বেষণ কর তোমরা তা ৯ম, ৭ম ও ৫ম রাতে অন্বেষণ কর।

রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবূ সাঈদ! আপনি সংখ্য সম্পর্কে আমাদের তুলনায় অধিক জ্ঞানী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমরাই এ বিষয়ে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। আমি বললাম ৯ম, ৭ম, ৫ম সংখ্যাগুলো কী? তিনি বললেন, যখন ২১তম রাত অতিবাহিত হয়ে যায় এবং ২২তম রাত শুরু হয়- তখন তা হচ্ছে ৯ম তারিখ, ২৩ রাত অতিক্রান্ত হবার পরবর্তী রাত হচ্ছে ৭ম তারিখ এবং ২৫তম রাত অতিবাহিত হবার পরের দিনটি হচ্ছে ৫ম তারিখ।

ইবনু খাল্লাদের বর্ণনায় يَحْتَقَّانِ এর শব্দের স্থলে يَخْتَصِمَانِ শব্দের উল্লেখ আছে (অর্থ একই, অর্থাৎ তারা ঝগড়া করে)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৪১, ইসলামীক সেন্টার ২৬৪০)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الأَوْسَطَ مِنْ رَمَضَانَ يَلْتَمِسُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ قَبْلَ أَنْ تُبَانَ لَهُ فَلَمَّا انْقَضَيْنَ أَمَرَ بِالْبِنَاءِ فَقُوِّضَ ثُمَّ أُبِينَتْ لَهُ أَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَأَمَرَ بِالْبِنَاءِ فَأُعِيدَ ثُمَّ خَرَجَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهَا كَانَتْ أُبِينَتْ لِي لَيْلَةُ الْقَدْرِ وَإِنِّي خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِهَا فَجَاءَ رَجُلاَنِ يَحْتَقَّانِ مَعَهُمَا الشَّيْطَانُ فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ الْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا سَعِيدٍ إِنَّكُمْ أَعْلَمُ بِالْعَدَدِ مِنَّا ‏.‏ قَالَ أَجَلْ ‏.‏ نَحْنُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْكُمْ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا التَّاسِعَةُ وَالسَّابِعَةُ وَالْخَامِسَةُ قَالَ إِذَا مَضَتْ وَاحِدَةٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَهْىَ التَّاسِعَةُ فَإِذَا مَضَتْ ثَلاَثٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا السَّابِعَةُ فَإِذَا مَضَى خَمْسٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا الْخَامِسَةُ .‏ وَقَالَ ابْنُ خَلاَّدٍ مَكَانَ يَحْتَقَّانِ يَخْتَصِمَانِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، وابو بكر بن خلاد قالا حدثنا عبد الاعلى، حدثنا سعيد، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد الخدري، - رضى الله عنه - قال اعتكف رسول الله صلى الله عليه وسلم العشر الاوسط من رمضان يلتمس ليلة القدر قبل ان تبان له فلما انقضين امر بالبناء فقوض ثم ابينت له انها في العشر الاواخر فامر بالبناء فاعيد ثم خرج على الناس فقال ‏ "‏ يا ايها الناس انها كانت ابينت لي ليلة القدر واني خرجت لاخبركم بها فجاء رجلان يحتقان معهما الشيطان فنسيتها فالتمسوها في العشر الاواخر من رمضان التمسوها في التاسعة والسابعة والخامسة ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا ابا سعيد انكم اعلم بالعدد منا ‏.‏ قال اجل ‏.‏ نحن احق بذلك منكم ‏.‏ قال قلت ما التاسعة والسابعة والخامسة قال اذا مضت واحدة وعشرون فالتي تليها ثنتين وعشرين وهى التاسعة فاذا مضت ثلاث وعشرون فالتي تليها السابعة فاذا مضى خمس وعشرون فالتي تليها الخامسة .‏ وقال ابن خلاد مكان يحتقان يختصمان ‏.‏


Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) observed i'tikaf in the middle ten days of Ramadan to seek Lailat-ul-Qadr before it was made manifest to him. When (these nights) were over, he commanded to strike the tent. Then it was made manifest to him that (Lailat-ul-Qadr) was in the last ten nights (of Ramadan), and commanded to pitch the tent (again). He then came to the people and said: O people, Lailat-ul-Qadr was made manifest to me and I came out to inform you about it that two persons came contending with each other and there was a devil along with them and I forgot it. So seek it in the last ten nights of Ramadan. Seek it on the ninth, on the seventh and on the fifth. I (one of the narrators) said: Abu Sa'id, you know more than us about numbers. He said: Yes, indeed we have better right than you. I said: What is this ninth, seventh, and fifth? He said: When twenty-one (nights are over) and the twenty-second begins, it is the ninth, and when twenty-three (nights) are over, that which follows (the last night) is the seventh, and when twenty-five nights are over, what follows it is fifth. Ibn Khallad said: Instead of the word Yahliqan (contending), he said Yakhtasiman, (they are disputing).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬৫-(২১৮/১১৬৮) সাঈদ ইবনু আমর ইবনু সাহল ইবনু ইসহাক ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল আশ’আস ইবনু কায়স আল কিন্‌দী ও আলী ইবনু খাশরম (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাকে কদরের রাত দেখানো হয়েছিল। অতঃপর তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে ঐ রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্নে আরও দেখানো হয়েছে যে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করছি। রাবী বলেন, অতএব ২৩ তম রাতে বৃষ্টি হল এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে (ফজরের) সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তার কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। রাবী আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাযিঃ) বলতেন, তা ছিল ২৩ তম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৪২, ইসলামীক সেন্টার ২৬৪১)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَهْلِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، الْكِنْدِيُّ وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، - وَقَالَ ابْنُ خَشْرَمٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، - عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ، سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَأَرَانِي صُبْحَهَا أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمُطِرْنَا لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْصَرَفَ وَإِنَّ أَثَرَ الْمَاءِ وَالطِّينِ عَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ يَقُولُ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏

وحدثنا سعيد بن عمرو بن سهل بن اسحاق بن محمد بن الاشعث بن قيس، الكندي وعلي بن خشرم قالا حدثنا ابو ضمرة، حدثني الضحاك بن عثمان، - وقال ابن خشرم عن الضحاك بن عثمان، - عن ابي النضر، مولى عمر بن عبيد الله عن بسر بن، سعيد عن عبد الله بن انيس، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اريت ليلة القدر ثم انسيتها واراني صبحها اسجد في ماء وطين ‏"‏ ‏.‏ قال فمطرنا ليلة ثلاث وعشرين فصلى بنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فانصرف وان اثر الماء والطين على جبهته وانفه ‏.‏ قال وكان عبد الله بن انيس يقول ثلاث وعشرين ‏.‏


'Abdullah b. Unais reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
I was shown Lailat-ul-Qadr; then I was made to forget it, and saw that I was prostrating in water and clay in the morning of that (night). He (the narrator) said: There was a downpour on the twenty-third night and the Messenger of Allah (ﷺ) led us in prayer, and as he went back, there was a trace of water and clay on his forehead and on his nose. He (the narrator) said: 'Abdullah b. Unais used to say that it was the twenty-third (night).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬৬-(২১৯/১১৬৯) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমযান মাসের শেষ দশ দিনে তোমরা কদরের রাত (ইবনু নুমায়রের বর্ণনায়) অন্বেষণ কর এবং (ওয়াকী’ এর বর্ণনায়) সন্ধানে সচেষ্ট হও। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৪৩, ইসলামীক সেন্টার ২৬৪২)।

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَوَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ ‏ "‏ الْتَمِسُوا - وَقَالَ وَكِيعٌ - تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابن نمير، ووكيع، عن هشام، عن ابيه، عن عاىشة، - رضى الله عنها - قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ابن نمير ‏ "‏ التمسوا - وقال وكيع - تحروا ليلة القدر في العشر الاواخر من رمضان ‏"‏ ‏.‏


'A'isha (Allah be pleased with her) and Ibn Numair reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Look for (and in the words of Waki, seek) Lailat-ul-Qadr in the last ten nights of Ramadan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting

পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়

২৬৬৭-(২২০/৭৬২) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও ইবনু উমার (রাযিঃ) ..... যির ইবনু হুবায়শ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) কে বললাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি গোটা বছর রাত জাগরণ করে- সে কদরের রাতের সন্ধান পাবে। তিনি (উবাই) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন, এর দ্বারা তিনি এ কথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, লোকেরা যেন কেবল একটি রাতের উপর ভরসা করে বসে না থাকে। অথচ তিনি অবশ্যই জানেন যে, তা রমযান মাসে শেষের দশ দিনের মধ্যে এবং ২৭তম রজনী। অতঃপর তিনি দৃঢ় শপথ করে বললেন, তা ২৭তম রজনী। আমি (যির) বললাম, হে আবূল মুনযির! আপনি কিসের ভিত্তিতে তা বলছেন? তিনি বললেন, বিভিন্ন আলামাত ও নিদর্শনের ভিত্তিতে- যে সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অবহিত করেছেন। যেমন, সেদিন সূর্য উদয় হবে কিন্তু তাতে আলোকরশ্মি থাকবে না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৬৪৪, ইসলামীক সেন্টার ২৬৪৩)

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنْ عَبْدَةَ، وَعَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، سَمِعَا زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ - رضى الله عنه - فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ‏.‏ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ أَرَادَ أَنْ لاَ يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ ثُمَّ حَلَفَ لاَ يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ فَقُلْتُ بِأَىِّ شَىْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ قَالَ بِالْعَلاَمَةِ أَوْ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لاَ شُعَاعَ لَهَا ‏.‏

وحدثنا محمد بن حاتم، وابن ابي عمر، كلاهما عن ابن عيينة، - قال ابن حاتم حدثنا سفيان بن عيينة، - عن عبدة، وعاصم بن ابي النجود، سمعا زر بن حبيش، يقول سالت ابى بن كعب - رضى الله عنه - فقلت ان اخاك ابن مسعود يقول من يقم الحول يصب ليلة القدر ‏.‏ فقال رحمه الله اراد ان لا يتكل الناس اما انه قد علم انها في رمضان وانها في العشر الاواخر وانها ليلة سبع وعشرين ‏.‏ ثم حلف لا يستثني انها ليلة سبع وعشرين فقلت باى شىء تقول ذلك يا ابا المنذر قال بالعلامة او بالاية التي اخبرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم انها تطلع يومىذ لا شعاع لها ‏.‏


Zirr b. Habaish reported:
I thu asked Ubayy b. Ka'b (Allah be pleased with him): Your brother (in faith) Ibn Mas'ud says: He who stands (for the night prayer) throughout the year would find Lailat-ul-Qadr, whereupon he said: May Allah have mercy upon him; (he said these words) with the intention that people might not rely only (on one night), whereas he knew that it (Lailat-ul-Qadr) is in the month of Ramadan and it is the twenty-seventh night. He then took oath (without making any exception, i. e. without saying In sha Allah) that it was the twenty-seventh night. I said to him: Abu Mundhir, on what ground do you say that? Thereupon he said: By the indication or by the sign which the Messenger of Allah (ﷺ) gave us, and that is that on that day (the sun) would rise without having any ray in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام) 14. Fasting
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »