পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৪৭. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা ’মুনজিয়্যাহ’ (’নাজাত দানকারী’) পাঠ কর আর তা হলো: “আলিফ লাম মীম (১) তানযীল।” [সুরা আস সিজদা: ১-২] কেননা, আমার নিকট বর্ণিত হয়েছে যে, কোন এক লোক কেবল এ সুরাটিই পাঠ করতো, এ ব্যতীত আর কোনো কিছুই পাঠ করতো না। আর সে ছিল অনেক পাপী। (মৃত্যুর পরে) এ ব্যক্তির উপর এ সুরা তার ডানা বিছিয়ে দিয়েছিল, এবং (তার জন্য আল্লাহর নিকট শাফা’আত করে) বলেছিল: হে রব্ব, তাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা, সে আমাকে প্রচুর পরিমাণে পাঠ করেছে। ফলে রব তার ব্যাপারে তার শাফা’আত কবুল করবেন। তিনি বলবেন, তার সকল পাপ পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দাও এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও।’[1]
তাখরীজ: মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৬ তে তিবরিযী দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্থিত করেছেন।
দেখুন, দুররে মানসুর ৫/১৭০-১৭১। এটি সামনেও আসছে।
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَتْنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ اقْرَءُوا الْمُنَجِّيَةَ وَهِيَ الم تَنْزِيلُ فَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَقْرَؤُهَا مَا يَقْرَأُ شَيْئًا غَيْرَهَا وَكَانَ كَثِيرَ الْخَطَايَا فَنَشَرَتْ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ وَقَالَتْ رَبِّ اغْفِرْ لَهُ فَإِنَّهُ كَانَ يُكْثِرُ قِرَاءَتِي فَشَفَّعَهَا الرَّبُّ فِيهِ وَقَالَ اكْتُبُوا لَهُ بِكُلِّ خَطِيئَةٍ حَسَنَةً وَارْفَعُوا لَهُ دَرَجَةً
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৪৮. কা’ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (“আলিফ লা-ম, মী-ম (১) তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] ও “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক:১) পাঠ করবে, তার জন্য ৭০ টি সাওয়াব লেখা হবে, এর জন্য ৭০ টি পাপ মোচন করা হবে এবং এর জন্য ৭০ টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।[1]
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ كَعْبٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ كُتِبَ لَهُ سَبْعُونَ حَسَنَةً وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا سَبْعُونَ سَيِّئَةً وَرُفِعَ لَهُ بِهَا سَبْعُونَ دَرَجَةً
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৪৯. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (“আলিফ লা-ম, মী-ম (১) তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] তার পাঠকের জন্য কবরে বিতর্ক করবে। সে বলবে: হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ হয়ে থাকি, তবে আপনি তার ব্যাপারে আমার শাফা’আত কবুল করুন। আর আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ না হয়ে থাকি, তবে আপনি আপনার কিতাব থেকে আমাকে মুছে দিন। আর এটি তার উপর ডানাবিস্তারকারী পাখির মতো হবে। এরপর সে তার জন্য আল্লাহর নিকট শাফা’আত করবে। এভাবে সে তাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আর “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক: ১) এর সম্পর্কে অনুরূপ (বর্ণনা করেছেন)। আর খালিদ ইবনু মা’দান এ দু’টি পাঠ না করে রাত্রি যাপন করতেন না।[1]
তাখরীজ: মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৬ তে তিবরিযী দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্থিত করেছেন।
দেখুন, দুররে মানসুর ৫/১৭১।
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا خَالِدٍ عَامِرَ بْنَ جَشِيبٍ وَبَحِيرَ بْنَ سَعْدٍ يُحَدِّثَانِ أَنَّ خَالِدَ بْنَ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ الم تَنْزِيلُ تُجَادِلُ عَنْ صَاحِبِهَا فِي الْقَبْرِ تَقُولُ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ مِنْ كِتَابِكَ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَإِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ كِتَابِكَ فَامْحُنِي عَنْهُ وَإِنَّهَا تَكُونُ كَالطَّيْرِ تَجْعَلُ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ فَيُشْفَعُ لَهُ فَتَمْنَعُهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَفِي تَبَارَكَ مِثْلَهُ فَكَانَ خَالِدٌ لَا يَبِيتُ حَتَّى يَقْرَأَ بِهِمَا
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৫০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’টি সূরাহ পাঠ না করে ঘুমাতেন করতেন না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪২৪ নং ৯৮৬৫; আহমাদ, আল মুসনাদ ৩/৩৪০; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৮৯৪; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৪৩;
ইবনু সুন্নী, আমলুল ইয়াম ওয়াল লাইলাহ নং ৬৭৫; হাকিম নং ৩৫৪৫ সেখানে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে…। তিনি বলেন, আসলে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেননি, তাকে এ বর্ণনা করেছেন সাফওয়ান কিংবা ইবনু সাফওয়ান। আর যদি এ সাফওয়ান সাফওয়ান ইবনু সালমি হয়ে তবে হাদীসটি সহীহ। আর যদি আবী সাফওয়ান ইবনু মাসউদ সূত্রে যা বর্ণনা করেছেন তা মুরসাল আর তিনি মাজহুল রাবী।
বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ১২০৭; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৪২ জাবির হতে সহীহ সনদে। আরও দেখুন, এ হাদীসের উপর তিরমিযীর টিকা ও মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৫৫ এবং দুররে মানসুর ৫/১৭০।
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَتَبَارَكَ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৫১. তাউস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এ দু’টি সুরাহ কে কুরআনের অন্য যে কোন সূরার চেয়ে অতিরিক্ত ৬০টি সাওয়াব প্রদানের মাধ্যমে মর্যাদাবান করা হয়েছে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪২৪ নং ৯৮৬৬; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩৩, ২৩৭; আব্দুর রাযযাক নং ৬০৩৫ ইবনু আবী কাছীর সূত্রে তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে সূরাহ সাজদা ও সুরাহ মুলক পাঠ করার নির্দেশ দিতেন। কারণ এ দু’টি সুরার প্রত্যেক আয়াত অন্য সুরার ৭০ আয়াতের সমান। আর যে ব্যক্তি এ দু’টি সুরাহ ইশার শেষে পাঠ করবে, সে যেন তার লাইলাতুল ক্বদরে পাঠ করলো।’ আমার বক্তব্য হলো, এ সনদ মু’দ্বাল। আল্লাহই ভাল জানেন।
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ لَيْثٍ عَنْ طَاوُسٍ قَالَ فُضِّلَتَا عَلَى كُلِّ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ بِسِتِّينَ حَسَنَةً
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৫২. মুররাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন কোন লোককে কবরে রাখা হবে, তখন তার নিকট কবরের পার্শ্বদেশ থেকে এক (ফেরেশতা) আগমণ করে। এরপর কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরাহ তার পক্ষ হতে বিতর্ক করতে আরম্ভ করে।’ তিনি (বর্ণনাকারী মুররাহ) বলেন, এরপর আমি ও মাসরুক্ব লক্ষ্য করে দেখলাম, কুরআনের ’তাবারাকা’ (সুরাহ মুলক) ব্যতীত আর কোনো সুরাহ-ই তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট নয়।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩৪;
ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৬০ মাওকুফ হিসেবে সহীহ সনদে; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩২; আব্দুর রাযযাক নং ৬০২৫; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৪০ নং ৮৬৫১ সনদ হাসান।
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ مُرَّةَ يَقُولُ أُتِيَ رَجُلٌ فِي قَبْرِهِ فَأُتِيَ جَانِبُ قَبْرِهِ فَجَعَلَتْ سُورَةٌ مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً تُجَادِلُ عَنْهُ حَتَّى قَالَ فَنَظَرْنَا أَنَا وَمَسْرُوقٌ فَلَمْ نَجِدْ فِي الْقُرْآنِ سُورَةً ثَلَاثِينَ آيَةً إِلَّا تَبَارَكَ