পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৬৬. কা’ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা কুরআনকে আঁকড়ে ধরো। কেননা, মনের উপলব্ধি, প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা, ইলমের ঝরণা, কালের বিবেচনায় আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নবতর কিতাব।[1] তিনি বলেন, তাওরাত কিতাবে আছে, হে মুহাম্মদ! আমি আপনার প্রতি নবতর তাওরাত নাযিল করেছি, যা অন্ধ দৃষ্টিকে, বধির কানকে এবং অনুভুতিহীন আবদ্ধ হৃদয়কে উন্মুক্ত করে দেবে।[2]
তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ৭৭।
[2] তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৪৮১ নং ১১৭৮৭ মুগীছ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r বলেছেন: “আমার নিকট নাযিল করা হয়েছে তাতে রয়েছে প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা, ইলমের ঝরণা; এর দ্বারা অন্ধ দৃষ্টিকে, অনুভুতিহীন আবদ্ধ হৃদয়কে এবং বধির কানকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য।আর তা আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নবতর কিতাব।”
এর সনদ মুগীছ পর্যন্ত সহীহ। তবে এটি মুগীছের উপর মাওকুফ (তার নিজের বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত)।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ عَنْ مُغِيثٍ عَنْ كَعْبٍ قَالَ عَلَيْكُمْ بِالْقُرْآنِ فَإِنَّهُ فَهْمُ الْعَقْلِ وَنُورُ الْحِكْمَةِ وَيَنَابِيعُ الْعِلْمِ وَأَحْدَثُ الْكُتُبِ بِالرَّحْمَنِ عَهْدًا وَقَالَ فِي التَّوْرَاةِ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي مُنَزِّلٌ عَلَيْكَ تَوْرَاةً حَدِيثَةً تَفْتَحُ فِيهَا أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًّا وَقُلُوبًا غُلْفًا
পরিচ্ছেদঃ ১৭. সুরা আন’আমের ফযীলত
৩৪৪৩. কা’ব হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা জুমু’আর দিনে সুরাহ হুদ পাঠ কর।”[1]
তাখরীজ: আবূ দাউদ, মারাসীল নং ৫৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৩৮। আরও দেখুন, দুররে মানছুর ১/৩১৯।
باب فَضَائِلِ الْأَنْعَامِ وَالسُّوَرِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْرَءُوا سُورَةَ هُودٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত
৩৪৪৮. কা’ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (“আলিফ লা-ম, মী-ম (১) তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] ও “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক:১) পাঠ করবে, তার জন্য ৭০ টি সাওয়াব লেখা হবে, এর জন্য ৭০ টি পাপ মোচন করা হবে এবং এর জন্য ৭০ টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।[1]
باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ كَعْبٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ كُتِبَ لَهُ سَبْعُونَ حَسَنَةً وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا سَبْعُونَ سَيِّئَةً وَرُفِعَ لَهُ بِهَا سَبْعُونَ دَرَجَةً
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭১-[৩৩] কা’ব [আহবার (রাঃ)] তাওরাতের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন, আমরা তাতে লিখিত পেয়েছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ রাসূল, তিনি আমার সর্বোৎকৃষ্ট বান্দা, তিনি দুশ্চরিত্র বা খারাপ এবং কঠোর ভাষী নন, বাজারে হৈ-হল্লাকারীও নন। মন্দের প্রতিশোধ মন্দের দ্বারা গ্রহণ করেন না, বরং ক্ষমা করে দেন। তাঁর জন্মস্থান মক্কায় এবং হিজরত করবেন মদীনাহ তাইয়িবায়। সিরিয়াও তাঁর আধিপত্যে আসবে। তার উম্মত হবে খুব বেশি প্রশংসাকারী তথা সুখে-দুঃখে ও আরামে-ব্যারামে সদা আল্লাহর গুণগান করবে এবং প্রত্যেক অবস্থান স্থলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সুউচ্চ স্থানে আরোহণকালে তারা আল্লাহর তাকবীর উচ্চারণ করবে। সূর্যের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবে, যখনই সালাতের সময় হবে তখনই সালাত আদায় করবে। তারা শরীরের মধ্যস্থলে (কোমরে) ইজার বাঁধবে। শরীরের পার্শ্ব (হাত-পা ইত্যাদি) ধুয়ে উযূ করবে। তাদের ঘোষণাকারী উচ্চস্থানে দাঁড়িয়ে ঘোষণা (আযান) দেবে। জিহাদে তাদের সারি এবং সালাতেও তাদের সারি হবে একইরূপ। রাত্রির বেলায় তাদের গুনগুন শব্দ উদ্ভাসিত হবে মৌমাছির গুনগুনের মতো। (মাসাবীহ, দারিমীও এটা কিঞ্চিৎ শাব্দিক পরিবর্তনসহ বর্ণনা করেছেন)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ فَضَائِلِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ)
وَعَنْ كَعْبٍ يَحْكِي عَنِ التَّوْرَاةِ قَالَ: نَجِدُ مَكْتُوبًا محمدٌ رسولُ الله عَبدِي الْمُخْتَار لَا فظٌّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ مَوْلِدُهُ بِمَكَّةَ وَهِجْرَتُهُ بِطِيبَةَ وَمُلْكُهُ بِالشَّامِ وَأُمَّتُهُ الْحَمَّادُونَ يَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ يَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي كُلِّ مَنْزِلَةٍ وَيُكَبِّرُونَهُ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ رُعَاةٌ لِلشَّمْسِ يُصَلُّونَ الصَّلَاةَ إِذَا جَاءَ وَقْتُهَا يتأزَّرون على أَنْصَافهمْ ويتوضؤون عَلَى أَطْرَافِهِمْ مُنَادِيهِمْ يُنَادِي فِي جَوِّ السَّمَاءِ صَفُّهُمْ فِي الْقِتَالِ وَصَفُّهُمْ فِي الصَّلَاةِ سَوَاءٌ لَهُمْ بِاللَّيْلِ دَوِيٌّ كَدَوِيِّ النَّحْلِ «. هَذَا لَفْظُ» الْمَصَابِيحِ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ مَعَ تَغْيِير يسير
اسنادہ ضعیف ، رواہ الدارمی (1 / 4 ۔ 5 ح 5) * الاعمش مدلس و عنعن
ব্যাখ্যা: তাওরাত ও ইঞ্জীল এগুলো ছিল মুহাম্মাদ (সা.) -এর জন্মের অনেক পূর্বের ধর্মীয় গ্রন্থ। তারপরও এগুলোতে লেখা ছিল মুহাম্মাদ নবী হয়ে প্রেরিত হবেন। তাওরাতে মুহাম্মাদ (সা.) -এর চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে লেখা ছিল।
(مُلْكُهُ بِالشَّامِ) রাসূলুল্লাহ (সা.) ও চার খলীফার খিলাফাতের শেষে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাবে, শাম বা সিরিয়াতে মু'আবিয়াহ্ ও বানু উমাইয়্যাহ্-এর নিকট। তারা মুসলিমদের মাঝে নেতৃত্ব প্রদান করবেন।
মুজাহিদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এখানে রাজত্ব দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নুবুওয়্যাত, দীন ইসলাম।
(رُعَاةٌ لِلشَّمْسِ يُصَلُّونَ الصَّلَاةَ إِذَا جَاءَ وَقْتُهَا) সূর্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবে যখনই সালাতের সময় হবে তখন সালাত আদায় করবে। অর্থাৎ সূর্য উদিত হওয়ার সময়, সূর্য যখন আকাশের মাঝামাঝি থাকবে ঐ সময় সূর্য ডুবে যাওয়ার সময়সহ সালাতের সকল ওয়াক্ত যথাসময়ে আদায় করা এবং ‘ইবাদতের অন্যান্য বিষয়গুলো আদায় করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)