পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত
৩৪০৯. আব্দুল মালিক ইবনু উমাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ফাতিহাতুল কিতাব (সুরা ফাতিহা) সকল রোগের ঔষধ।”[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৭০; মুত্তাকী আল হিন্দ, কানযুল উম্মাল নং ২৫০০ ও খতীব তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭০ এবং সুয়ূতী, দুররে মানসূর ১/৫ তে একে দারেমী ও বাইহাকীর শুয়াবুল ঈমানের দিকে সম্বোন্ধিত করেছেন। সুয়ুতী বলেন, এর রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত।’ আরো দেখুন, আসরারুল মারফু’আ নং ৩১৩ ও কাশফুল খ’ফা নং ১৮১৬।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فَاتِحَةِ الْكِتَابِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ
পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত
৩৪১০. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমি একদা মসজিদে নাববীতে সালাত আদায় করছিলাম,) এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গমণ করেন। তিনি বললেন, “আল্লাহ কি বলেননি যে, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন।” (সূরাহ আনফালঃ ২৪)?” তারপর তিনি আমাকে বললেন, “আমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই আমি কি তোমাকে কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব না?। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।” (সুরা ফাতিহাহ: ১) এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল তোমাদেরকেই দেয়া হয়েছে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর নং ৪৪৭৪;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ৬৮৩৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৭৭ তে।
এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৫; তাহাবী, মুশকিলীল আছার ২/৭৭; আলিমুদ্দীন সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১১৪।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى الْأَنْصَارِيِّ قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ قَالَ أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنْ الْمَسْجِدِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُمْ
পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত
৩৪১১. উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ফাতিহাতুল কিতাব (সুরা ফাতিহা) হলো ’সাব’উল মাছানী’ (বারবার পঠিত সাতটি আয়াত)।”[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৪৬; আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ, যাওয়াইদু আলাল মুসনাদ ৫/১১৪; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ ৫০০; হাকিম ১/৫৫৭ ও ২/২৫৭-২৫৮; বাইহাকী, সালাত ২/৩৭৫-৩৭৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮৮; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/৭৭-৭৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৭৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭১৪ তে।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي
পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত
৩৪১২. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তাওরাত ও ইনজিল ও যাবূর এবং কুরআনে এর অনুরূপ- অর্থাৎ ’উম্মুল কুরআন’ (ফাতিহা)-এর অনুরূপ কোনো সুরা নাযিল করা হয়নি। আর এটিই হলো ’সাবউল মাছানী’ (বারংবার পঠিত সাতটি আয়াত) এবং মহান কুরআন যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে।”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৮৭৫ ও তাফসীর নং ৩১২৫; সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১১৫-১১৬।
তবে এর মুতাবিয়াত রয়েছে কুতাইবার সুত্রে তিরমিযী তে যা এর সনদকে সহীহতে পরিণত করে।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا أُنْزِلَتْ فِي التَّوْرَاةِ وَلَا فِي الْإِنْجِيلِ وَالزَّبُورِ وَالْقُرْآنِ مِثْلُهَا يَعْنِي أُمَّ الْقُرْآنِ وَإِنَّهَا لَسَبْعٌ مِنْ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُعْطِيتُ
পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত
৩৪১৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল হামদুলিল্লাহ্ (সুরা ফাতিহাহ) হল, ’উম্মুল কুরআন’, ’উম্মুল কিতাব’ ও সা’বউল মাছানী’ (বারংবার পঠিত সাতটি আয়াত)।”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, তাফসীর নং ৩১২৪ তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ; আহমাদ, আল মুসনাদ ২/৪৪৮; বুখারী, তাফসীর নং ৪৭০৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮৭; বাইহাকী, সালাত ২/৩৭৬; আবূ দাউদ, সালাত ১৪৫৭; তাহাবী, মুশকিলীল আছার ২/৭৮।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَمْدُ لِلَّهِ أُمُّ الْقُرْآنِ وَأُمُّ الْكِتَابِ وَالسَّبْعُ الْمَثَانِي