পরিচ্ছেদঃ ১১. যে ব্যক্তি তিলাওয়াতে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে
৩৪০৭. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কুরআনের সুদক্ষ পাঠক সম্মানিত লিপিকার মালাকের (ফিরিশতার) সাথে থাকবে। আর খুব কষ্টদায়ক হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি (বারবার) কুরআন মাজীদ পাঠ করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর নং ৪৯৩৭; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৬৭ তে।
এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭০, ৭১, ৭২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৯, ৩০; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩, ৪, ৫; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৯৮; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ১৪/১৩৪; তামাম ফী ফাওয়াইদ নং ১১৯৬-১১৯৭।
باب فَضْلِ مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ وَهَمَّامٌ قَالَا حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهُوَ مَاهِرٌ بِهِ فَهُوَ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَؤُهُ وَهُوَ يَشْتَدُّ عَلَيْهِ فَلَهُ أَجْرَانِ
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে ব্যক্তি তিলাওয়াতে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে
৩৪০৮. ইসমাঈল ইবনু উবাইদুল্লাহ হতে বর্ণিত, ওয়াহব যিমারী বলেন, আল্লাহ যাকে কুরআন দিয়েছেন, আর সে দিন রাত্রি তা পাঠ করে এবং কুরআন অনুযায়ী আমল করে এবং তার আনুগত্যের মধ্যেই মৃত্যু বরণ করে, কিয়ামত দিবসে তিনি তাকে লিপিকার ও অনুগত-বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাথে উঠাবেন।
(বর্ণনাকারী) সাঈদ বলেন, লিপিকার অর্থ: ফিরিশতা এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তি অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামগণ আ:।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তির কুরআনের প্রতি আগ্রহী, আর তা তার থেকে ছুটে যায় (মুখস্ত রাখতে পারে না), কিন্তু সে তা (পড়া বা মুখস্ত করা) ছাড়ে না, তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তির কুরআনের প্রতি আগ্রহী, আর তা তার থেকে ছুটে যায় (মুখস্ত রাখতে পারে না), কিন্তু সে এর অনুসরণের মধ্যেই মৃত্যু বরণ করে, তবে সে ব্যক্তি তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের অন্যতম বলে গণ্য। আর তাকে লোকদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হবে, যেমন ঈগল পাখিকে সকল পাখির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন সবুজ-শ্যামল বাগানকে এর আশপাশের ভূমির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে।
এরপর কিয়ামত দিবসে তাকে বলা হবে: সেসব লোকগুলো কোথায়, যারা আমার কিতাব তিলাওয়াত করতো, পশুপালের পেছনে লেগে থাকা যাদেরকে (তা থেকে) ভূলিয়ে রাখতে পারিনি? ফলে তাদেরকে (জান্নাতে) অমরত্ব ও নিয়ামত সমুহ দেওয়া হবে। আর তাদের পিতা-মাতা যদি আনুগত্যের মাঝে মৃত্যুবরণ করে থাকে, তবে তাদের উভয়ে মাথায় রাজমুকুট পরানো হবে। তখন তারা বলবে: হে আমাদের রব, আমাদের আমল তো এ পর্যন্ত পৌঁছে না (এমন আমল তো আমরা করতে পারিনি যার বিনিময়ে আমরা এটি পেতে পারি)? তখন মহান আল্লাহ বলবেন, নিশ্চয়ই, কারণ তোমাদের সন্তানেরা আমার কিতাব পাঠ করতো (যার বিনিময়ে তোমাদেরকে তা দেওয়া হয়েছে)।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।
باب فَضْلِ مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ وَهْبٍ الذِّمَارِيِّ قَالَ مَنْ آتَاهُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فَقَامَ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ وَمَاتَ عَلَى الطَّاعَةِ بَعَثَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ السَّفَرَةِ وَالْأَحْكَامِ قَالَ سَعِيدٌ السَّفَرَةُ الْمَلَائِكَةُ وَالْأَحْكَامُ الْأَنْبِيَاءُ قَالَ وَمَنْ كَانَ حَرِيصًا وَهُوَ يَتَفَلَّتُ مِنْهُ وَهُوَ لَا يَدَعُهُ أُوتِيَ أَجْرَهُ مَرَّتَيْنِ وَمَنْ كَانَ عَلَيْهِ حَرِيصًا وَهُوَ يَتَفَلَّتُ مِنْهُ وَمَاتَ عَلَى الطَّاعَةِ فَهُوَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَفُضِّلُوا عَلَى النَّاسِ كَمَا فُضِّلَتْ النُّسُورُ عَلَى سَائِرِ الطَّيْرِ وَكَمَا فُضِّلَتْ مَرْجَةٌ خَضْرَاءُ عَلَى مَا حَوْلَهَا مِنْ الْبِقَاعِ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ قِيلَ أَيْنَ الَّذِينَ كَانُوا يَتْلُونَ كِتَابِي لَمْ يُلْهِهِمْ اتِّبَاعُ الْأَنْعَامِ فَيُعْطَى الْخُلْدَ وَالنَّعِيمَ فَإِنْ كَانَ أَبَوَاهُ مَاتَا عَلَى الطَّاعَةِ جُعِلَ عَلَى رُءُوسِهِمَا تَاجُ الْمُلْكِ فَيَقُولَانِ رَبَّنَا مَا بَلَغَتْ هَذَا أَعْمَالُنَا فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ ابْنَكُمَا كَانَ يَتْلُو كِتَابِي