পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮০. আব্দুল মালিক হতে বর্ণিত, আতা (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোনো এক লোক তার একটি মুকাতাব (অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দানের চুক্তিকৃত) দাস, কয়েকজন পূত্র ও কন্যা রেখে মৃত্যু বরণ করেন। এ লোকের কন্যাগণ এ দাসের মালিকানা (অভিভাবকত্ব)-এর অংশীদার হবে কি? তিনি বললেন, তার মুকাতাব চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লিখিত ধারা অনুসারে নারীরা মীরাছ পাবে, তবে নারীদেরকে বাদ দিয়ে কেবল পুরুষরাই এর (দাসের) মালিকানা লাভ করবে। যতক্ষণ না তারা (নারীরা) (অর্থের বিনিময়ে দাস মুক্তিদানের) চুক্তি করে, অথবা, তারা (কোনো দাসকে) মুক্তিদান করে (তখন তারা মালিকানা লাভ করবে।)[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, মুকাতাব ১০/৩৪১।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ فِي الرَّجُلِ يَمُوتُ وَيَتْرُكُ مُكَاتَبًا وَلَهُ بَنُونَ وَبَنَاتٌ أَيَكُونُ لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ شَيْءٌ قَالَ تَرِثُ النِّسَاءُ مِمَّا عَلَى ظَهْرِهِ مِنْ مُكَاتَبَتِهِ وَيَكُونُ الْوَلَاءُ لِلرِّجَالِ دُونَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا كَاتَبْنَ أَوْ أَعْتَقْنَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮১. লাইছ হতে বর্ণিত, তাউস (রহঃ) বলেন, নারীরা (কোনো দাসের) মালিকানা পাবে না, তবে যখন তারা (কোন দাসকে) মুক্তি দান করবে, অথবা তারা (নারীরা) যাকে মুক্তি দান করেছে, সেই মুক্ত দাস অপর কাউকে মুক্তি দান করবে, (তখন নারীরা এর মালিকানা লাভ করবে)।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক ১৬২৬৬ সহীহ সনদে তাউস বলেন, নারীরা মালিকানা উত্তরাধিকার সূত্রে পাবে।’ এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক ১৬২৬৭।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ لَيْثٍ عَنْ طَاوُسٍ قَالَ لَا تَرِثُ النِّسَاءُ مِنْ الْوَلَاءِ إِلَّا مَا أَعْتَقْنَ أَوْ أَعْتَقَ مَنْ أَعْتَقْنَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮২. ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীর (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক একটি মুকাতাব দাস রেখে মৃত্যু বরণ করে। এরপর মুকাতাব দাসটিও কিছু সম্পদ রেখে মৃত্যুবরণ করে। তখন ইবনুল মুসাইয়্যিব এবং আবূ সালামাহ ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ) মুকাতাব দাসের চুক্তির পরিমাণ সম্পদ তার মনিবের ছেলে-মেয়ে উভয়ের মাঝে তাদের প্রাপ্য মীরাছ অনুপাতে বন্টন করে দিলেন এবং লিখিত চুক্তির অতিরিক্ত সম্পদ মনিবের সন্তানদের মধ্যে নারীদের বাদ দিয়ে কেবল পুরুষ সন্তান (তথা ছেলেদের) মাঝে বন্টন করে দিলেন।[1]
তাখরীজ : আব্দুর রাযযাক ১৫৭৬৯; বাইহাকী, মুকাতাব ১০/৩৪১; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৪৭৮।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو سُفْيَانَ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ تُوُفِّيَ رَجُلٌ وَتَرَكَ مُكَاتَبًا ثُمَّ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا فَجَعَلَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا بَقِيَ مِنْ مُكَاتَبَتِهِ بَيْنَ بَنِي مَوْلَاهُ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ عَلَى مِيرَاثِهِمْ وَمَا فَضَلَ مِنْ الْمَالِ بَعْدَ كِتَابَتِهِ فَلِلرِّجَالِ مِنْهُمْ مِنْ بَنِي مَوْلَاهُ دُونَ النِّسَاءِ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৩. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, উমার, আলী এবং যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, মালিকানা পাবে নিকটবর্তী বয়স্ক আত্মীয়। আর নারীরা (কোনো দাসের) মালিকানার ওয়ারিস হয় না, যদি না তারা (কোনো দাসকে) মুক্ত করে কিংবা (অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দানের) চুক্তি করে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৮ নং ১১৫৫০; বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৬; আব্দুর রাযযাক ১৬২৬৩ এ সনদের হাসান ইবনু আম্মারাহ মাতরুক। এটি পুর্বে গত হয়েছে।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَزَيْدٍ أَنَّهُمْ قَالُوا الْوَلَاءُ لِلْكُبْرِ وَلَا يَرِثُونَ النِّسَاءَ مِنْ الْوَلَاءِ إِلَّا مَا أَعْتَقْنَ أَوْ كَاتَبْنَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৪. খালিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবী কিলাবাহ (রহঃ) হতে…[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৮-৩৮৯ নং ১১৫৫৪।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ خَالِدٍ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৫. এবং যুহরী (রহঃ) হতে, সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) হতে বর্ণিত,…[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৯ নং ১১৫৫৫।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৬. আবী যিনাদ হতে বর্ণিত, সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তারা সকলেই বলেছেন: নারীরা (কোনো দাসের) মালিকানার ওয়ারিস হয় না, যদি না তারা (কোনো দাসকে) মুক্ত করে কিংবা (অর্থের বিনিময়ে মুক্তি দানের) চুক্তি করে।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৪৮০।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُمْ قَالُوا لَا تَرِثُ النِّسَاءُ مِنْ الْوَلَاءِ إِلَّا مَا أَعْتَقْنَ أَوْ كَاتَبْنَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৭. আশ’আস (রহঃ) হতে বর্ণিত, হাসান (রহঃ) বলেন, নারীরা (কোনো দাসের) মালিকানা পাবে না, তবে যখন তারা (কোন দাসকে) মুক্তি দান করবে, অথবা তারা (নারীরা) যাকে মুক্তি দান করেছে, সেই মুক্ত দাস অপর কাউকে মুক্তি দান করবে, (তখন নারীরা এর মালিকানা লাভ করবে)। তবে লিয়ানকারীণী স্ত্রীলোক ব্যতীত। কেননা, সে স্ত্রীলোক তার সেই ছেলে কর্তৃক মুক্ত দাসের ওয়ারিস হবে, যাকে তার পিতা অস্বীকার করেছে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৮ নং ১১৫৫২; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৪৮১ সনদ সহীহ।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا مُعَاذٌ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ لَا تَرِثُ النِّسَاءُ مِنْ الْوَلَاءِ إِلَّا مَا أَعْتَقْنَ أَوْ أَعْتَقَ مَنْ أَعْتَقْنَ إِلَّا الْمُلَاعَنَةُ فَإِنَّهَا تَرِثُ مَنْ أَعْتَقَ ابْنُهَا وَالَّذِي انْتَفَى مِنْهُ أَبُوهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৮. সালিম (রহঃ) হতে বর্ণিত, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মেয়েদেরকে বাদ দিয়ে তাঁর পিতা (আব্দুল্লাহ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মুক্ত দাসদের ওয়ারিস হতেন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি। দেখুন, ৩১৮৯ নং হাদীসটি।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَرِثُ مَوَالِيَ عُمَرَ دُونَ بَنَاتِ عُمَرَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৮৯. খালিদ আল হাজ্জা হতে বর্ণিত, এক স্ত্রীলোক তার এক পুত্র রেখে মৃত্যু বরণ করে, ফলে তার সে পুত্র তার সম্পদ ও কয়েকটি দাস ওয়ারিস সূত্রে লাভ করে। এরপর স্ত্রীলোকের সে পুত্রটি মৃত্যুবরণ করে- এ সম্পর্কে আবী কিলাবাহ (রহঃ) বলেন, এ মহিলার আসাবা (নিকটাত্মীয়)-গণের নিকট এ দাসদের মালিকানা প্রত্যাবর্তিত হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৮-৩৮৯ নং ১১৫৫৪।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ فِي امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَتَرَكَتْ بَنِيهَا فَوَرِثُوهَا مَالًا وَمَوَالِيَ ثُمَّ مَاتَ بَنُوهَا قَالَ يَرْجِعُ الْوَلَاءُ إِلَى عَصَبَةِ الْمَرْأَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৯০. মানসূর (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোনো লোক তার এক দাসের সাথে মুকাতাবাহ (নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে মুক্তিদানের) চুক্তি করলো এরপর লোকটি মৃত্যুবরণ করলো, আর সে কয়েকটি কন্যা ও পুত্র রেখে গেল। এ (দাসের মালিকানা) সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েরা ব্যতীত পুত্রগণই এর মালিকানা লাভ করবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৯ নং ১১৫৫৭; বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩৪১।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ قَالَ سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ رَجُلٍ كَاتَبَ عَبْدًا لَهُ ثُمَّ مَاتَ وَتَرَكَ وَلَدًا رِجَالًا وَنِسَاءً قَالَ لِلذُّكُورِ دُونَ الْإِنَاثِ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৯১. ইউনূস (রহঃ) হতে বর্ণিত, যে স্ত্রীলোক তার এক মুক্তদাস রেখে মৃত্যুবরণ করে- তার সম্পর্কে হাসান (রহঃ) বলতেন, তার পুত্রগণ এর মালিকানা পাবে এবং তারা মৃত্যু বরণ করলে সেই স্ত্রীলোকের আসাবা (নিকটাত্মীয়) গণের নিকট এ দাসের মালিকানা প্রত্যাবর্তিত হবে।[1]
তাখরীজ : আব্দুর রাযযাক ১৬২৫৪।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَتَرَكَتْ مَوْلًى قَالَ الْوَلَاءُ لِبَنِيهَا فَإِذَا مَاتُوا رَجَعَ إِلَى عَصَبَتِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৯২. মুগীরাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, নারীরা (কোনো দাসের) মালিকানা স্বত্ব পাবে না, তবে যাকে (দাসকে) তারা নিজে মুক্ত করে, তা ব্যতীত।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৮৯ নং ১১৫৫৬, ১১৬৭১; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৪৮১ সনদ সহীহ; আব্দুর রাযযাক ১৬২৬১।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَيْسَ لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ شَيْءٌ إِلَّا مَا أَعْتَقَتْ هِيَ بِنَفْسِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৯৩. মুহাম্মদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর একটি মুক্ত দাস মৃত্যু বরণ করলে ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডেকে বললেন, উমারের (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কণ্যাগণের কী তার (এ দাসের মালিকানার) মীরাছে কোনো অংশ আছে? তিনি বললেন, আমি মনে করি তাদের এতে কোনো অংশ নাই, তবে আপনি যদি মনে করেন তাদেরকে কিছু দেবেন, তবে আমি তাদেরকে কিছু দিতে পারি।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক ১৫৭৭৬; বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৫।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ مَاتَ مَوْلًى لِعُمَرَ فَسَأَلَ ابْنُ عُمَرَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَالَ هَلْ لِبَنَاتِ عُمَرَ مِنْ مِيرَاثِهِ شَيْءٌ قَالَ مَا أَرَى لَهُنَّ شَيْئًا وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُعْطِيَهُنَّ أَعْطَيْتَهُنَّ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৯৪. হিশাম (রহঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীরাছের অংশ পাবে, সে-ই মালিকানা লাভ করবে।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ওয়ালা ১০/৩০৫।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ يُحْرِزُ الْوَلَاءَ مَنْ يُحْرِزُ الْمِيرَاثَ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নারীদের জন্য মালিকানা বা অভিভাবকত্ব লাভের বর্ণনা
৩১৯৫. আবূ বকর ইবনু আমর ইবনু হাযম হতে বর্ণিত যে, মুহারিব গোত্রের এক মহিলা তার এক দাসের মালিকানা দাসের নিজের জন্য সাব্যস্ত করলো, তথা সে তাকে মুক্তি দিল। তখন সে মুক্ত দাস নিজেকে আব্দুর রহমান ইবনু আমর ইবনু হাযমকে নিজের মালিকানা প্রদান করলো। এরপর স্ত্রীলোকটি মৃত্যুবরণ করলে তার মুক্ত দাসেরা উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট মোকদ্দমা দায়ের করলো। তখন তিনি তার বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ চাইলেন। তখন সে প্রমাণ হাজির করলো। তখন উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন, তুমি গিয়ে যাকে ইচ্ছা তোমার ওলী (মালিক/অভিভাবক) হিসেবে গ্রহণ করো।আবূ বকর বলেন, তখন সে আব্দুর রহমান ইবনু আমর ইবনু হাযমকে ওলী হিসেবে গ্রহণ করলো।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৬/১২৪ নং ৫১৮; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২২৬।
باب مَا لِلنِّسَاءِ مِنْ الْوَلَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّ امْرَأَةً مِنْ مُحَارِبٍ وَهَبَتْ وَلَاءَ عَبْدِهَا لِنَفْسِهِ فَأَعْتَقَتْهُ فَوَهَبَ وَلَاءَ نَفْسِهِ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَمَاتَتْ فَخَاصَمَتْ الْمَوَالِي إِلَى عُثْمَانَ فَدَعَا عُثْمَانُ الْبَيِّنَةَ عَلَى مَا قَالَ قَالَ فَأَتَى الْبَيِّنَةُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ اذْهَبْ فَوَالِ مَنْ شِئْتَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَالَى عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ