পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৬৯. উছমান ইবনুল আসওয়াদ হতে বর্ণিত, মুজাহিদ রাহি. বলেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করবে, তবে এ স্ত্রীলোক পুরুষের স্থলাভিষিক্ত হবে (কেননা, সেটা পুরুষের সাথে ’লিওয়াতাত’ এর মতো)। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: [“তারা তোমাকে (স্ত্রী লোকদের) হায়িয সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে; তুমি বলো, ওটা হচ্ছে কষ্টদায়ক অবস্থা। অতএব, হায়িয অবস্থায় স্ত্রীলোকদের থেকে (সঙ্গম না করে) বিরত থাক এবং উত্তমরূপে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের নিকট যেওনা। অতঃপর যখন তারা উত্তমরূপে পবিত্র হবে, তখন তাদের নিকট গমণ করো, যেখান দিয়ে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন।” (সুরা বাকারা: ২২২)] (এ আয়াতের) ’তোমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করবে’ অর্থ: হায়িয অবস্থায় যৌনাঙ্গ (দিয়ে সহবাস পরিত্যাগ করবে)। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: [“তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর।” (সুরা বাকারা: ২২৩)] (এর অর্থ:) দাড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) যৌনাঙ্গে।[1]
তাখরীজ: দুররে মানছুর ১/২৬৫ এ সুয়ূতী একে আব্দ ইবনু হুমাইদ এর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।
এছাড়া বর্ণনা করেছেন তাবারী, আত তাফসীর ২/৩৮৭-৩৮৮; ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২, ২৩৩ সহীহ সনদে; পূর্বের ১১৬০, ১১৬১, ১১৬৩ (অনূবাদে ১১৫৪, ১১৫৫, ১১৫৭) নং হাদীসগুলি দেখুন।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَهُوَ مِنْ الْمَرْأَةِ مِثْلُهُ مِنْ الرَّجُلِ ثُمَّ تَلَا وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمْ اللَّهُ أَنْ تَعْتَزِلُوهُنَّ فِي الْمَحِيضِ الْفَرْجَ ثُمَّ تَلَا نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭০. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে, “যে ব্যক্তি হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীলোকের সাথে সঙ্গম করে কিংবা স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে, অথবা গণকের কাছে যায় এবং সে যা বলে তা সত্য বলে বিশ্বাস করে, তবে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে ব্যক্তি তাতে কুফরী করলো।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/২৫২-২৫৩; আহমাদ ২/৪০৮, ৪৭৬; বুখারী, আল কাবীর ৩/১৬, ১৭; আবু দাউদ ৩৯০৪; তিরমিযী ১৩৫; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৯০১৬; ইবনু মাজাহ ৬৩৯; ইবনুল জারুদ নং ১০৭; উকাইলী, আদ দুয়া’ফা ১/৩১৮; ইবনু আদী, আল কামিল ২/৬৩৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/৪৫; বাইহাকী ৭/১৯৮।
তিরমিযী বলেন: আহলুল ইলম গণের নিকট এর অর্থ ‘কঠোরতা’ করা.... । কেননা, যদি হায়িয অবস্থায় স্ত্রী-গমণ (প্রকৃত) কুফর হতো, তবে এর জন্য কাফ্ফারা দেওয়ার আদেশ করা হতো না।’
দেখুন, ইবনু আব্বাসের হাদীস গত ১১৪৬ (অনূবাদে ১১৪০) নং এবং পরবর্তী ১১৮০ (অনূবাদে ১১৭৪) নং হাদীসটি। আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ৩/১৮০-১৮৮; তাবারাণী, মু’জামুল আওসাত নং ৯১৭৫; মাজমাউল বাহরাইন ৪/১৯০ নং ২৩১১।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ حَكِيمٍ الْأَثْرَمِ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوْ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭১. আবী কা’কা’ আজ জারমী রাহি. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এসে বলল, হে আবূ আব্দুর রহমান! আমি কি আমার স্ত্রীর সাথে যেখান দিয়ে ইচ্ছা মিলিত হতে পারবো? তিনি বললেন: হাঁ। লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করলো, আমি যে দিক দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করি, (সেদিক দিয়েই)? তিনি বললেন, হাঁ।
লোকটি আবার বললো, আমি যেভাবে ইচ্ছা করি, (সেভাবেই)? তিনি বললেন: হাঁ। তখন তাকে এক লোক বললো, হে আবূ আব্দুর রহমান, এ লোক মন্দ কাজ করার ইচ্ছা করছে। তিনি বললেন, না, বরং মহিলাদের পশ্চাদ্দার তোমাদের জন্য হারাম।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/২৫২; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/৪৬ অতি সংক্ষেপে যয়ীফ সনদে, উভয়েই মাওকুফ হিসেবে।
কিন্তু দাওলাবী, আল কু্ন্নী ২/৮৫ ইবনু মাসউদ হতে তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে....। এর রাবী বিসর মাজহুল। বুখারী তার সম্পর্কে বলেন: মুনকার (হাদীস বর্ণনায় অস্বীকৃত) এবং এ সনদ মাজহুল (অজ্ঞাত)।....
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الشَّقَرِيِّ عَنْ أَبِي الْقَعْقَاعِ الْجَرْمِيِّ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ آتِي امْرَأَتِي حَيْثُ شِئْتُ قَالَ نَعَمْ قَالَ وَمِنْ أَيْنَ شِئْتُ قَالَ نَعَمْ قَالَ وَكَيْفَ شِئْتُ قَالَ نَعَمْ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ هَذَا يُرِيدُ السُّوءَ قَالَ لَا مَحَاشُّ النِّسَاءِ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ سُئِلَ عَبْد اللَّهِ تَقُولُ بِهِ قَالَ نَعَمْ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭২. ইকরিমাহ রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে, কোনো লোকের জন্য তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে তার সাথে মিলিত হওয়াকে তিনি অপছন্দ (’মাকরূহ’ মনে) করতেন। এবং (কোনো ব্যক্তি এমন কাজ করলে) তিনি তাকে কঠিনভাবে তিরস্কার করতেন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ৭/১৯৯; তাবারী, আত তাফসীর ২০/১৪৪ যয়ীফ সনদে।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ دَاوُدَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ إِتْيَانَ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا وَيَعِيبُهُ عَيْبًا شَدِيدًا
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৩. আবী নাজীহ হতে বর্ণিত, [“তোমরা তো এমন এক অশ্লীল কর্ম করছো, যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেউ করেনি।” (সুরা ’আনকাবুত ২৯: ২৮)] (এ আয়াতের ব্যাখ্যায়) আমর ইবনু দীনার রাহি. বলেন: ’লূত সম্প্রদায়ের পূর্ব পর্যন্ত পূরুষ কর্তৃক পুরুষে উপগত হওয়ার কুকর্ম কখনো সংঘটিত হয়নি।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর ২/৩৯৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৫৪০০।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ الْعَالَمِينَ قَالَ مَا نَزَى ذَكَرٌ عَلَى ذَكَرٍ حَتَّى كَانَ قَوْمُ لُوطٍ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৪. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে, তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত দিবসে তার দিকে তাকাবেন না।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ২/৪৪৪; আবু দাউদ ২১৬২; বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ১৪০৬৯; নাসাঈ, আল কুবরা ৯০১৫। এর শব্দাবলী হলো: “যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করলো, সে অভিশপ্ত।” এর তাখরীজ আমরা মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৬২ এ দিয়েছি।
এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক- মা’মারের জামি’ তে ২০৯৫২ নং এ; এর সূত্রে নাসাঈ, আল কুবরা ৯১৪ নং এ; বাইহাকী ৭/১৯৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২২৯৭।
এর শাহিদ রয়েছে ইবনু আব্বাস হতে যা আমরা মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৭৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩০২, ১৩০৩ এবং সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২০৩, ৪২০৪, ৪৪১৮ তে আমরা তাখরীজ করেছি। আরও দেখুন, তারীখ জুরজান পৃ: ৩২৭ এবং ইবনু আদী, আল কামিল ৩/১১৩০।
আবার (অপর সনদে) ইবনু মাজাহ ১৯২৩; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৪৪; ইবনু আবী শাইবা ৪/২৫৩; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৯০১১, ৯০১২, ৯০১৮, ৯০১৯.....।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ مُخَلَّدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا لَمْ يَنْظُرْ اللَّهُ تَعَالَى إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৫. আলী ইবনু তালক হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি তোমাদের কারো সালাতের মধ্যে ’হাদাস’ (ওযু ভঙ্গ) হয়, তবে সে যেন ফিরে যায় এবং ওযু করে, তারপর (পূণরায়) সালাত আদায় করে।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন: “তোমরা স্ত্রীলোকদের পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করো না। আর আল্লাহ তা’আলা সত্য কথার (প্রকাশে) ব্যাপারে লজ্জা করেন না।”[1]আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, আলী ইবনু তালক কি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) ’সুহবত’ (সঙ্গ) লাভ করেছিলেন? তিনি বললেন: হাঁ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২০৩, ২০৪ ((আবু দাউদ ২০৫, ১০০৫; দারুকুতনী ১/১৫৩; বাইহাকী ২/২৫৫; বাগাবী শারহুস সুন্নাহ ৩/২৭৭ নং ৭৫২; আব্দুর রাযযাক ১/১৩৯ নং ৫২৯; তাহাবী ৩/৪৫; আহমাদ ১/৮৬; তিরমিযী নং ১১৬৪, ১১৬৬। - মাওয়ারিদে মুহাক্বিক্বের টীকা হতে- অনুবাদক)) ; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২২৩৭, ৪১৯৯, ৪২০১ এ।
এছাড়া দেখুন, মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৫১; সুনানে বাইহাকী ৭/১৯৮; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৯০২৩-৯০২৬।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ عَنْ عِيسَى بْنِ حِطَّانَ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ سَلَّامٍ الْحَنَفِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ طَلْقٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَحْدَثَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَنْصَرِفْ وَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ يُصَلِّي وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ سُئِلَ عَبْد اللَّهِ عَلِيُّ بْنُ طَلْقٍ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ نَعَمْ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৬. সাঈদ্ ইবনু ইয়াসার আবী হুব্বাব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা কে বললাম, দাসীদের সাথে যদি আমি ’তাহমীদ’ করি, সে ব্যাপারে আপনার মত কি? তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: ’তাহমীদ’ করা কি? তখন আমি পশ্চাদ্দারে (সঙ্গম করা)-এর কথা উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন: মুসলিমদের মাঝেও একাজ কেউ করে না-কি?[1]
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৪১ সহীহ সনদে; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৮৯৭৯;
ইবনু কাছীর তার তাফসীর ১/৩৮৯ এ এ হাদীস সম্পর্কে বলেন: ‘এটি তার তথা ইবনু উমার হতে সাব্যস্ত রয়েছে।
আর এটি আবী হানীফা, শাফিঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বল ও তার সাথীদেরও মত।
আবার এটি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব, আবী সালামাহ, ইকরিমাহ, তাউস, আতা, সাঈদ ইবনু জুবাইর, উরওয়া ইবনু জুবাইর, মুজাহিদ ইবনু জাবির, হাসান ও অন্যান্য সালাফদের মত যে: তারা এটিকে কঠিনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন; আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন কর্মকারীর উপর ‘কুফর’ শব্দ প্রয়োগ করেছেন। আর এটি জমহুর (অধিকাংশ) উলামার মত।’
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ يَعْقُوبَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي الْحُبَابِ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ مَا تَقُولُ فِي الْجَوَارِي حِينَ أُحَمِّضُ بِهِنَّ قَالَ وَمَا التَّحْمِيضُ فَذَكَرْتُ الدُّبُرَ فَقَالَ هَلْ يَفْعَلُ ذَاكَ أَحَدٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৭. হারাম ইবনু আব্দুল্লাহ বলেন: আমরা বনী ওয়াকিফ গোত্রের এক মজলিসে নারীদের অবস্থা এবং তাদের সাথে মিলিত হওয়ার অবস্থা সম্পর্কে পরস্পর আলোচনা করছিলাম। তখন খুযাইমাহ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তা’আলা সত্য কথা (প্রকাশের) ব্যাপারে লজ্জা করেন না। তোমরা স্ত্রীলোকদের পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করো না।”[1]
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُصَيْنٍ الْأَنْصَارِيِّ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِي وَكَانَ مِنْ أَسْنَانِي حَدَّثَنِي هَرَمِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ تَذَاكَرْنَا شَأْنَ النِّسَاءِ فِي مَجْلِسِ بَنِي وَاقِفٍ وَمَا يُؤْتَى مِنْهُنَّ فَقَالَ خُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَعْجَازِهِنَّ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৮. মুজাহিদ রাহি. বলেন, তারা (লোকেরা) হায়িযের সময় নারীদের (যৌনাঙ্গে সঙ্গম করা)-কে পরিত্যাগ করতো, কিন্তু তখন তাদের পশ্চাদ্দার দিয়ে সঙ্গম করতো। তখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো, ফলে আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করলেন: [“তারা তোমাকে (স্ত্রী লোকদের) হায়িয সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে; তুমি বলো, ওটা হচ্ছে কষ্টদায়ক অবস্থা। অতএব, হায়িয অবস্থায় স্ত্রীলোকদের থেকে (সঙ্গম না করে) বিরত থাক এবং উত্তমরূপে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের নিকট যেওনা। অতঃপর যখন তারা উত্তমরূপে পবিত্র হবে, তখন তাদের নিকট গমণ করো, যেখান দিয়ে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন।” (সুরা বাকারা: ২২২)] (তা হলো) যৌনাঙ্গ, আর একে অতিক্রম করবে না।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর ২/৩৮১।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا خُصَيْفٌ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ كَانُوا يَجْتَنِبُونَ النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ وَيَأْتُونَهُنَّ فِي أَدْبَارِهِنَّ فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمْ اللَّهُ فِي الْفَرْجِ وَلَا تَعْدُوهُ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৭৯. আবাদ ইবনু সালিহ তাউস, সাঈদ, মুজাহিদ ও আতা রাহিমাহুমুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন, তারা এটিকে কঠিনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন; আর তারা বলতেন, এমন কর্ম ’কুফর’।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৭৪ সহীহ সনদে; দেখুন দুররে মানছুর ১/২৬২-২৬৭।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنِي ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ طَاوُسٍ وَسَعِيدٍ وَمُجَاهِدٍ وَعَطَاءٍ أَنَّهُمْ كَانُوا يُنْكِرُونَ إِتْيَانَ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ وَيَقُولُونَ هُوَ الْكُفْرُ