পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮২. মা’মার হতে বর্ণিত, কাতাদা রাহি. (মহিলাদের) নিফাসের (প্রসূতি অবস্থার) সময়সীমা সম্পর্কে বলেন, তা তাদের পরিবারের অন্যান্য নারীদের সময়সীমা অনুসারে হবে, যেমন পবিত্রতার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১২০০।
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو سُفْيَانَ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ قَتَادَةَ فِي النُّفَسَاءِ كَطُهْرِ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهَا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮৩. ইউনুস থেকে বর্ণিত, হাসান রাহি. প্রসূতি (নিফাসগ্রস্ত) মহিলা সম্পর্কে বলেন, সে সালাত আদায় করা হতে চল্লিশ দিন বিরত থাকবে। তারপর যদি সে পবিত্রাবস্থা লক্ষ্য করে তো তা (ভালোই)। আর যদি সে পবিত্রাবস্থা দেখতে না পায়, তবে এরপর সে পাঁচ-ছয়দিন যাবত সালাত হতে বিরত থাকবে। যদি সে পবিত্রতা লক্ষ্য করে তো ভালোই। তা না হলে সে এরপর থেকে পঞ্চাশ দিন হওয়া পর্যন্ত যে কয়দিন অবশিষ্ট থাকবে, সে কয়দিনও সে সালাত আদায় হতে বিরত থাকবে। এরপর যদি সে পবিত্র হয়ে যায় তো ভালো, তা না হলে সে ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা বলে গণ্য হবে।[1]
তাখরীজ: এটি ৮৫৯ (অনুবাদে ৮৫৫) নং এ গত হয়েছে। আরও দেখুন পরবর্তী টীকাটি।
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ فِي النُّفَسَاءِ تُمْسِكُ عَنْ الصَّلَاةِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَإِنْ رَأَتْ الطُّهْرَ فَذَاكَ وَإِنْ لَمْ تَرَ الطُّهْرَ أَمْسَكَتْ عَنْ الصَّلَاةِ أَيَّامًا خَمْسًا سِتًّا فَإِنْ طَهُرَتْ فَذَاكَ وَإِلَّا أَمْسَكَتْ عَنْ الصَّلَاةِ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْخَمْسِينَ فَإِنْ طَهُرَتْ فَذَاكَ وَإِلَّا فَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮৪. হাসান রাহি. হতে বর্ণিত, উছমান ইবনু আবিল আ’স চল্লিশ দিন তার (নিফাসগ্রস্ত) প্রসূতি স্ত্রীলোকদের নিকটবর্তী হতেন না। এবং হাসান বলেন, নিফাস (প্রসূতি)-এর মেয়াদকাল পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত। এরচেয়ে বেশিদিন ধরে (নিফাসকালীন স্রাব) হলে সে মহিলা ইসতিহাযাগ্রস্ত ।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১২০১; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ১১৮; পরবর্তী টীকাটি দেখুন।
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ أَنَّهُ كَانَ لَا يَقْرَبُ النُّفَسَاءَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا وَقَالَ الْحَسَنُ النُّفَسَاءُ خَمْسَةٌ وَأَرْبَعُونَ إِلَى خَمْسِينَ فَمَا زَادَ فَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ
إسناده منقطع الحسن لم يسمع من عثمان شيئا
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮৫. (অপর সূত্রে) হাসান রাহি. হতে বর্ণিত, উছমান ইবনু আবিল আ’স বলেন: নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা চল্লিশ দিন। যদি এ সময়ের মধ্যে পবিত্র হয়ে যায়, তো ভালো; আর (পবিত্র) না হলে সে এ সীমা (চল্লিশ দিন) অতিক্রম করবে না। এমনকি সে সালাত আদায় করতে থাকবে।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ১/৩৪১ আগের সনদটির চেয়েও অধিক যয়ীফ।...; আব্দুর রাযযাক নং ১২০২ এ সনদে অজ্ঞাত রাবী রয়েছে; হাফিজ তালখীসুল হাবীর ১/১৭১ এ বলেন, এটি মুনকাতি’ এবং মাশহুর হলো এটি উছমান এর কথা হিসেবে মাওকুফ। আরও দেখুন, দারুকুতনী ১/২২০ নং ৬৭, ৬৮, ৬৯।
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ وَقْتُ النُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَإِنْ طَهُرَتْ وَإِلَّا فَلَا تُجَاوِزْهُ حَتَّى تُصَلِّيَ
إسناده ضعيف لضعف إسماعيل بن مسلم والحسن لم يسمع من عثمان شيئا
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮৬. আশ’আস হতে বর্ণিত, আতা বলেন, নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) মহিলার (পূর্ব) অভ্যাস থাকে, (তবে সেটি হবে তার সময়সীমা;) তা নাহলে সে চল্লিশ দিন অপেক্ষা করবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/৩৬৮, সহীহ সনদে।
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ إِنْ كَانَ لِلنُّفَسَاءِ عَادَةٌ وَإِلَّا جَلَسَتْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮৭. ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত, আতা রাহি. বলেন, নিফাস হচ্ছে হায়েয।[1]
তাখরীজ: ((মুহাক্কিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।-অনুবাদক।))
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ النِّفَاسُ حَيْضٌ
إسناده ضعيف وابن جريج قد عنعن وهو مدلس
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. নিফাস (প্রসূতি) অবস্থার সময়সীমা এবং এ সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
৯৮৮. ইউসুফ ইবনু মাহাক থেকে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন: নিফাসগ্রস্ত (প্রসূতি) মহিলা চল্লিশ দিন অথবা, অনুরূপ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/৩৬৮; বাইহাকী ১/৩৪১; সামনে ৯৯৭ (অনুবাদে ৯৯১) নং এ আসছে।
بَابُ: وَقْتِ النُّفَسَاءِ وَمَا قِيلَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَنْتَظِرُ النُّفَسَاءُ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ نَحْوَهَا
إسناده صحيح