পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৭. সালাত আদায়কারীর সুতরা বা (বেড়া দণ্ড) প্রসঙ্গে
২৭৮. ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন যখন বের হতেন তখন তাঁর সম্মুখে ছোট নেযা (বল্লম) পুঁতে রাখতে নির্দেশ দিতেন। সেদিকে মুখ করে তিনি সালাত আদায় করতেন। আর লোকজন তাঁর পেছনে দাঁড়াতো। সফরেও তিনি তাই করতেন। এ হতে শাসকগণও এ পন্থা অবলম্বন করেছেন।
سترة المصلي
حَدِيْثُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ أَمَرَ بِالْحَرْبَةِ فَتُوضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَالنَّاسُ وَرَاءَهُ وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ فَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذَهَا الْأُمَرَاءُ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৭. সালাত আদায়কারীর সুতরা বা (বেড়া দণ্ড) প্রসঙ্গে
২৭৯. ইব্নু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবী ﷺ তাঁর উটনীকে সামনে রেখে সালাত আদায় করতেন। (বুখারী পর্ব ৮ঃ /৯৮ হাঃ ৫০৭, মুসলিম ৪/৪৭, হাঃ ৫০২)
سترة المصلي
حَدِيْثُ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يُعَرِّضُ رَاحِلَتَهُ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৭. সালাত আদায়কারীর সুতরা বা (বেড়া দণ্ড) প্রসঙ্গে
২৮০. আবূ জুহায়ফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি বিলাল (রাযি.)-কে আযান দিতে দেখেছেন। (এরপর তিনি বলেন) তাই আমি তাঁর (বিলালের) ন্যায় আযানের মাঝে মুখ এদিক সেদিক (ডানে-বামে) ফিরাই।
سترة المصلي
حَدِيْثُ أَبِي جُحَيْفَةَ أَنَّهُ رَأَى بِلَالًا يُؤَذِّنُ فَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُ فَاهُ هَهُنَا وَهَهُنَا بِالْأَذَانِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৭. সালাত আদায়কারীর সুতরা বা (বেড়া দণ্ড) প্রসঙ্গে
২৮১. আবূ জুহায়ফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে চামড়ার একটি লাল তাঁবুতে দেখলাম এবং তাঁর জন্য উযূর পানি নিয়ে বিলাল (রাযি.)-কে উপস্থিত দেখলাম। আর লোকেরা তাঁর উযূর পানির জন্যে প্রতিযোগিতা করছে। কেউ সামান্য পানি পাওয়া মাত্র তা দিয়ে শরীর মুছে নিচ্ছে। আর যে পায়নি সে তার সাথীর ভিজা হাত হতে নিয়ে নিচ্ছে। অতঃপর বিলাল (রাযি.) রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি লৌহফলকযুক্ত ছড়ি নিয়ে এসে তা মাটিতে পুঁতে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা লাল ডোরাযুক্ত পোশাক পরে বের হলেন, তাঁর তহবন্দ কিঞ্চিৎ উঁচু করে পরা ছিল। সে ছড়িটি সামনে রেখে লোকদের নিয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। আর মানুষ ও জন্তু-জানোয়ার ঐ ছড়িটির বাইরে চলাফেলা করছিলো।
سترة المصلي
حَدِيْثُ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي قُبَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ أَدَمٍ وَرَأَيْتُ بِلَالًا أَخَذَ وَضُوءَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتُ النَّاسَ يَبْتَدِرُونَ ذَاكَ الْوَضُوءَ فَمَنْ أَصَابَ مِنْهُ شَيْئًا تَمَسَّحَ بِهِ وَمَنْ لَمْ يُصِبْ مِنْهُ شَيْئًا أَخَذَ مِنْ بَلَلِ يَدِ صَاحِبِهِ ثُمَّ رَأَيْتُ بِلَالًا أَخَذَ عَنَزَةً فَرَكَزَهَا وَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مُشَمِّرًا صَلَّى إِلَى الْعَنَزَةِ بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ وَرَأَيْتُ النَّاسَ وَالدَّوَابَّ يَمُرُّونَ مِنْ بَيْنِ يَدَيْ الْعَنَزَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৭. সালাত আদায়কারীর সুতরা বা (বেড়া দণ্ড) প্রসঙ্গে
২৮২. আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাবালক হবার নিকটবর্তী বয়সে একদা একটি গাধির উপর আরোহিত অবস্থায় এলাম। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মিনায় সালাত আদায় করছিলেন তার সামনে কোন দেয়াল না রেখেই। তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলাম এবং গাধিটিকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিলাম। আমি কাতারের ভেতর ঢুকে পড়লাম কিন্তু এতে কেউ আমাকে নিষেধ করেননি।
سترة المصلي
حَدِيْثُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ أَتَانٍ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ قَدْ نَاهَزْتُ الِاحْتِلَامَ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِمِنًى إِلَى غَيْرِ جِدَارٍ فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصَّفِّ وَأَرْسَلْتُ الْأَتَانَ تَرْتَعُ فَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ فَلَمْ يُنْكَرْ ذَلِكَ عَلَيَّ