পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
لِقَوْلِهِ تَعَالَى (يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لاَ تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلاَ تَقُولُوا عَلَى اللهِ إِلاَّ الْحَقَّ)
কারণ, আল্লাহ্ বলেছেনঃ ওহে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, আর আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ছাড়া কিছু বলো না.....। (সূরাহ আন-নিসা ৪/১৭১)
৭২৯৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ইফতার না করে লাগাতার সওম রেখো না। সাহাবীরা বললেন, আপনি তো ইফতার না করে লাগাতার সওম রাখেন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের মতো নই। আমি রাত কাটাই যাতে আমার রব আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তাঁরা লাগাতার সওম রাখা থেকে বিরত হলো না। ফলে তাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও দু’দিন অথবা (বর্ণনাকারী বলেছিলেন) দু’ রাত লাগাতার সওম রাখলেন। এরপর তাঁরা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি চাঁদ (আরও কয়েক দিন) দেরী করে উঠত, তাহলে আমিও (লাগাতার সওম রেখে) তোমাদের সওমের সময়কে বাড়িয়ে দিতাম, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য। [১৯৬৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০১)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ تُوَاصِلُوا قَالُوا إِنَّكَ تُوَاصِلُ قَالَ إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي فَلَمْ يَنْتَهُوا عَنْ الْوِصَالِ قَالَ فَوَاصَلَ بِهِمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَيْنِ أَوْ لَيْلَتَيْنِ ثُمَّ رَأَوْا الْهِلاَلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَوْ تَأَخَّرَ الْهِلاَلُ لَزِدْتُكُمْ كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said (to his companions), "Do not fast Al-Wisal." They said, "But you fast Al-Wisail." He said, "I am not like you, for at night my Lord feeds me and makes me drink." But the people did not give up Al-Wisal, so the Prophet (ﷺ) fasted Al-Wisal with them for two days or two nights, and then they saw the crescent whereupon the Prophet (ﷺ) said, "If the crescent had delayed, I would have continued fasting (because of you)," as if he wanted to vanquish them completely (because they had refused to give up Al Wisal).
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
৭৩০০. ইবরাহীম তায়মী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, একবার ’আলী (রাঃ) পাকা ইটের তৈরী একটি মিম্বরে উঠে আমাদের উদ্দেশে খুত্বা দিলেন। তাঁর সাথে একটা তলোয়ার ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহীফাতে লেখা আছে এ ব্যতীত অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। তারপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, ’আয়র’ পর্বত থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মাদ্বীনাহ হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে গণ্য হবে। যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করবে তার উপর আল্লাহ্, ফেরেশ্তামন্ডলী ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তার ফরজ ও নফল কোন ’ইবাদাতই কবূল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলিমের নিরাপত্তা একই স্তরের।
একজন নিম্ন স্তরের লোকও (অন্যকে) নিরাপত্তা দিতে পারবে। যদি কেউ অন্য মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তামন্ডলীর ও সকল মানুষের লা’নাত। আল্লাহ্ তার ফরজ ও নফল কোন ’ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কেউ তার (মুক্তি দাতা) মনিবের অনুমতি ছাড়া অন্যকে নিজের (গোলামী কালীন সময়ের) মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তামন্ডলীর ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তা’আলা তার ফার্য (ফরয), নফল কোন ’ইবাদাতই কবূল করবেন না। [১১১; মুসলিম ১৫/৮৫, হাঃ ১৩৭০, আহমাদ ১৩৭, ৬১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০২)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ خَطَبَنَا عَلِيٌّ عَلَى مِنْبَرٍ مِنْ آجُرٍّ وَعَلَيْهِ سَيْفٌ فِيهِ صَحِيفَةٌ مُعَلَّقَةٌ فَقَالَ وَاللهِ مَا عِنْدَنَا مِنْ كِتَابٍ يُقْرَأُ إِلاَّ كِتَابُ اللهِ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ فَنَشَرَهَا فَإِذَا فِيهَا أَسْنَانُ الإِبِلِ وَإِذَا فِيهَا الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ عَيْرٍ إِلَى كَذَا فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً وَإِذَا فِيهِ ذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً وَإِذَا فِيهَا مَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً.
Narrated Ibrahim At Taimi's father:
`Ali addressed us while he was standing on a brick pulpit and carrying a sword from which was hanging a scroll He said "By Allah, we have no book to read except Allah's Book and whatever is on this scroll," And then he unrolled it, and behold, in it was written what sort of camels were to be given as blood money, and there was also written in it: 'Medina is a sanctuary form 'Air (mountain) to such and such place so whoever innovates in it an heresy or commits a sin therein, he will incur the curse of Allah, the angels, and all the people and Allah will not accept his compulsory or optional good deeds.' There was also written in it: 'The asylum (pledge of protection) granted by any Muslims is one and the same, (even a Muslim of the lowest status is to be secured and respected by all the other Muslims, and whoever betrays a Muslim in this respect (by violating the pledge) will incur the curse of Allah, the angels, and all the people, and Allah will not accept his compulsory or optional good deeds.' There was also written in it: 'Whoever (freed slave) befriends (takes as masters) other than his real masters (manumitters) without their permission will incur the curse of Allah, the angels, and all the people, and Allah will not accept his compulsory or optional good deeds. '
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
৭৩০১. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে একটি কাজ করলেন এবং তাতে তিনি অবকাশ দিলেন। তবে কিছু লোক এর থেকে নিবৃত্ত থাকল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ খবর পৌঁছল। তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন ও ছানা পাঠ করলেন, তারপর বললেনঃ লোকদের কী হল যে, তারা এমন কাজ থেকে নিবৃত্ত থাকে যা আমি করি। আল্লাহর শপথ! আমি আল্লাহ্ সম্পর্কে তাদের চেয়ে বেশি জানি এবং আমি তাদের চেয়ে আল্লাহকে অনেক বেশি ভয় করি। [৬১০১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০৩)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا تَرَخَّصَ فِيهِ وَتَنَزَّهَ عَنْهُ قَوْمٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَتَنَزَّهُونَ عَنْ الشَّيْءِ أَصْنَعُهُ فَوَاللهِ إِنِّي أَعْلَمُهُمْ بِاللهِ وَأَشَدُّهُمْ لَهُ خَشْيَةً.
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) did something as it was allowed from the religious point of view but some people refrained from it. When the Prophet (ﷺ) heard of that, he, after glorifying and praising Allah, said, "Why do some people refrain from doing something which I do? By Allah, I know Allah more than they."
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
৭৩০২. ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’জন অতি ভাল লোক আবূ বকর (রাঃ) ও ’উমার (রাঃ) ধ্বংসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। বানী তামীমের প্রতিনিধি দল যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসল, তখন তাদের একজন [’উমার (রাঃ)] আকরা ইবনু হাবিস হানযালী নামে বানী মুজাশে গোত্রের ভ্রাতা এক লোকের দিকে ইঙ্গিত করলেন, অন্যজন [আবূ বকর (রাঃ)] আরেক জনের দিকে ইঙ্গিত করলেন। এতে আবূ বকর (রাঃ) ’উমার (রাঃ)-কে বললেন, আপনার ইচ্ছা হল আমার বিরোধিতা করা। ’উমার (রাঃ) বললেন, আমি আপনার বিরোধিতার ইচ্ছা করিনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে তাঁদের দু’জনেরই আওয়াজ উচ্চ হয়ে যায়। ফলে অবতীর্ণ হয়: ’’হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর গলার আওয়াজের উপর তোমাদের গলার আওয়াজ উচ্চ করো না.....’’ (সূরাহ আল-হুজুরাত ৪৯/২)।
ইবনু আবূ মুলাইকাহ বলেন, ইবনু যুবায়র (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এরপরে ’উমার (রাঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কোন কথা বলতেন, তখন গোপন বিষয়ে আলাপকারীর মত চুপে চুপে বলতেন, এমন কি তা শোনা যেত না, যতক্ষণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে আবার জিজ্ঞেস না করতেন। এ হাদীসের রাবী ইবনু যুবায়র তাঁর পিতা অর্থাৎ নানা আবূ বকর (রাঃ) থেকে উল্লেখ করেননি। [৪৩৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০৪)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ كَادَ الْخَيِّرَانِ أَنْ يَهْلِكَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ لَمَّا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفْدُ بَنِي تَمِيمٍ أَشَارَ أَحَدُهُمَا بِالأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ التَّمِيمِيِّ الْحَنْظَلِيِّ أَخِي بَنِي مُجَاشِعٍ وَأَشَارَ الْآخَرُ بِغَيْرِهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ إِنَّمَا أَرَدْتَ خِلاَفِي فَقَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ) إِلَى قَوْلِهِ (عَظِيمٌ)
قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَكَانَ عُمَرُ بَعْدُ وَلَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ عَنْ أَبِيهِ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ إِذَا حَدَّثَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ حَدَّثَهُ كَأَخِي السِّرَارِ لَمْ يُسْمِعْهُ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
Once the two righteous men, i.e., Abu Bakr and `Umar were on the verge of destruction (and that was because): When the delegate of Bani Tamim came to the Prophet, one of them (either Abu Bakr or `Umar) recommended Al-Aqra' bin H`Abis at-Tamimi Al-Hanzali, the brother of Bani Majashi (to be appointed as their chief), while the other recommended somebody else. Abu Bakr said to `Umar, "You intended only to oppose me." `Umar said, "I did not intend to oppose you!" Then their voices grew louder in front of the Prophet (ﷺ) whereupon there was revealed: 'O you who believe! Do not raise your voices above the voice of the Prophet..a great reward.' (49.2-3) Ibn Az-Zubair said, 'Thence forward when `Umar talked to the Prophet, he would talk like one who whispered a secret and would even fail to make the Prophet (ﷺ) hear him, in which case the Prophet (ﷺ) would ask him (to repeat his words).
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
৭৩০৩. উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অসুখের সময় বললেনঃ তোমরা আবূ বকরকে বল, লোকদের তিনি নিয়ে যেন সালাত আদায় করে নেন। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম যে, আবূ বকর (রাঃ) যদি আপনার জায়গায় দাঁড়ান তাহলে কান্নার কারণে মানুষকে তার আওয়াজ শোনাতে পারবেন না। কাজেই আপনি ’উমার (রাঃ)-কে আদেশ করুন, তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি আবার বললেন, তোমরা আবূ বকরকে বল, তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন।
’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি হাফসাহ (রাঃ)-কে বললাম, তুমি বল যে, আবূ বকর আপনার জায়গায় দাঁড়ালে কান্নার কারণে লোকেদেরকে তার আওয়াজ শোনাতে পারবেন না। কাজেই আপনি ’উমার (রাঃ)-কে আদেশ করুন। তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। হাফসাহ (রাঃ) তাই করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ঃ তোমরা তো ইউসুফ (আঃ)-এর মহিলাদের মত (যারা তাঁকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল)। আবূ বকরকে বল, তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। হাফসাহ (রাঃ) ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট হতে কখনই কল্যাণ পাইনি। [১৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০৫)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي مَرَضِهِ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ قَالَتْ عَائِشَةُ قُلْتُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ فَقَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّكُنَّ لأنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ لِأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا.
Narrated `Aisha:
(the mother of believers) Allah's Messenger (ﷺ) during his fatal ailment said, "Order Abu Bakr to lead the people in prayer." I said, "If Abu Bakr stood at your place (in prayers, the people will not be able to hear him because of his weeping, so order `Umar to lead the people in prayer." He again said, "Order Abu Bakr to lead the people in prayer " Then I said to Hafsa, "Will you say (to the Prophet), 'If Abu Bakr stood at your place, the people will not be able to hear him be cause of his weeping, so order `Umar to lead the people in prayer?" Hafsa did so, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said, "You are like the companions of Joseph (See Qur'an, 12:30-32). Order Abu Bakr to lead the people in prayer." Hafsa then said to me, "I have never received any good from you!"
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
৭৩০৪. সাহল ইবনু সা’দ সা’ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উওয়ায়মির (রাঃ) আসিম ইবনু আদীর কাছে এসে বলল, আপনার কী অভিমত, যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কাউকে পায় এবং তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে এজন্য আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? হে আসিম! আপনি আমার জন্য এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করুন। তিনি জিজ্ঞেস করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন বিষয়ে জিজ্ঞেস করাকে অপছন্দ করলেন এবং উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন। আসিম (রাঃ) ফিরে এসে তাকে জানাল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টিকে অপছন্দ মনে করেছেন। উওয়াইমির (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! অবশ্য অবশ্যই আমি নিজেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাব। তারপর তিনি আসলেন। আসিম (রাঃ) চলে যাবার পরেই আল্লাহ্ কুরআন অবতীর্ণ করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ কুরআনের আয়াত নাযিল করেছেন। তিনি তাদের দু’জনকেই (সে ও তার স্ত্রী) ডাকলেন। তারা উপস্থিত হল এবং ’লি’আন’ করল। তারপর উওয়ায়মির (রাঃ) বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি তাকে আটকে রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যারোপ করেছি, এ বলে তিনি তার সঙ্গে বিবাহ ছিন্ন করলেন। অবশ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ ছিন্ন করতে বলেননি। পরে ’লি’আন’কারীদের মাঝে এ প্রথাই চালু হয়ে গেল। নবী (মহিলাটি সম্পর্কে) বললেনঃ একে লক্ষ্য রেখ, যদি সে খাটো ওয়াহারার (এক রকমের পোকা) মত লালচে সন্তান প্রসব করে, তাহলে আমি মনে করব উওয়াইমির মিথ্যাই বলেছে। আর যদি সে কাল চোখওয়ালা ও বড় নিতম্বধারী সন্তান প্রসব করে, তাহলে মনে করব উওয়াইমির তার ব্যাপারে সত্যই বলেছে। পরে সে অপকর্মের ফল নিয়ে হাজির হয়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০৬)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
آدَمُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ جَاءَ عُوَيْمِرٌ الْعَجْلاَنِيُّ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَيَقْتُلُهُ أَتَقْتُلُونَهُ بِهِ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَكَرِهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا فَرَجَعَ عَاصِمٌ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَرِهَ الْمَسَائِلَ فَقَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللهِ لاَتِيَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ وَقَدْ أَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى الْقُرْآنَ خَلْفَ عَاصِمٍ فَقَالَ لَهُ قَدْ أَنْزَلَ اللهُ فِيكُمْ قُرْآنًا فَدَعَا بِهِمَا فَتَقَدَّمَا فَتَلاَعَنَا ثُمَّ قَالَ عُوَيْمِرٌ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا فَفَارَقَهَا وَلَمْ يَأْمُرْهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِفِرَاقِهَا فَجَرَتْ السُّنَّةُ فِي الْمُتَلاَعِنَيْنِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم انْظُرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَحْمَرَ قَصِيرًا مِثْلَ وَحَرَةٍ فَلاَ أُرَاهُ إِلاَّ قَدْ كَذَبَ وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْحَمَ أَعْيَنَ ذَا أَلْيَتَيْنِ فَلاَ أَحْسِبُ إِلاَّ قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى الأَمْرِ الْمَكْرُوهِ.
Narrated Sahl bin Sa`d As-Sa`idi:
'Uwaimir Al-`Ajlani came to `Asim bin `Adi and said, "If a man found another man with his wife and killed him, would you sentence the husband to death (in Qisas,) i.e., equality in punishment)? O `Asim! Please ask Allah's Messenger (ﷺ) about this matter on my behalf." `Asim asked the Prophet (ﷺ) but the Prophet disliked the question and disapproved of it. `Asim returned and informed 'Uwaimir that the Prophet disliked that type of question. 'Uwaimir said, "By Allah, I will go (personally) to the Prophet." 'Uwaimir came to the Prophet (ﷺ) when Allah had already revealed Qur'anic Verses (in that respect), after `Asim had left (the Prophet (ﷺ) ). So the Prophet (ﷺ) said to 'Uwaimir, "Allah has revealed Qur'anic Verses regarding you and your wife." The Prophet (ﷺ) then called for them, and they came and carried out the order of Lian. Then 'Uwaimir said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Now if I kept her with me, I would be accused of telling a lie." So 'Uwaimir divorced her although the Prophet (ﷺ) did not order him to do so. Later on this practice of divorcing became the tradition of couples involved in a case of Li'an. The Prophet (ﷺ) said (to the people). "Wait for her! If she delivers a red short (small) child like a Wahra (a short red animal). then I will be of the opinion that he ('Uwaimir) has told a lie but if she delivered a black big-eyed one with big buttocks, then I will be of the opinion that he has told the truth about her." 'Ultimately she gave birth to a child that proved the accusation.
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৫. দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।
৭৩০৫. ইবনু শিহাব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মালিক ইবনু আওস নাযরী (রহ.) আমাকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অবশ্য মুহাম্মাদ ইবনু যুবায়র ইবনু মুতঈম এ ব্যাপারে কিছু কথা বলেছিলেন। পরে আমি মালিকের নিকট যাই এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। তখন তিনি বলেন, ’উমার (রাঃ)-এর সঙ্গে দেখা করার জন্য রওনা হয়ে তাঁর কাছে হাজির হলাম। এমন সময় তাঁর দ্বাররক্ষক ইয়ারফা এসে বলল, ’উসমান, ’আবদুর রহমান, যুবায়র এবং সা’দ (রাঃ) আসতে চাচ্ছেন। আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তাঁরা প্রবেশ করলেন এবং সালাম দিয়ে আসনে বসলেন। দ্বাররক্ষক (আবার) বলল, ’আলী এবং ’আব্বাসের ব্যাপারে আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি তাদের দু’জনকে অনুমতি দিলেন।
’আব্বাস (রাঃ) এসে বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার ও সীমালঙ্ঘনকারীর মাঝে ফায়সালা করে দিন। এবং তারা পরস্পরকে গালমন্দ করলেন। তখন দলটি বললেন ’উসমান ও তাঁর সঙ্গীরা, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ দু’জনের মাঝে ফায়সালা করে দিয়ে একজনকে অন্যজন হতে শান্তি দিন। ’উমার (রাঃ) বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধারণ করুন। আমি আপনাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি যার হুকুমে আসমান ও যমীন নিজ স্থানে
বিদ্যমান, আপনারা কি এ কথা জানেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন ঃ আমাদের সম্পদ ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টিত হয় না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবে গণ্য হয়? এ কথা দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকেই বুঝিয়েছিলেন। দলের সবাই বললেন, হ্যাঁ তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর ’উমার (রাঃ) ’আলী ও ’আব্বাস (রাঃ)-এর দিকে ফিরে বললেন, আপনাদের দু’জনকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেছিলেন? তাঁরা দু’জনেই আল্লাহর কসম দিয়ে বললেন, হ্যাঁ। ’উমার (রাঃ) বললেন, আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ এ সম্পদের একাংশ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন, অপর কারো জন্য দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে আল্লাহ্ বলেনঃ আল্লাহ্ ইয়াহূদীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়া কিংবা উটে চড়ে যুদ্ধ করনি...(৫৯ঃ ৬)। কাজেই এ সম্পদ একমাত্র রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। তারপর আল্লাহর কসম! তিনি আপনাদেরকে বাদ দিয়ে এককভাবে নিজের জন্য তা সঞ্চিত করে রাখেননি, কিংবা এককভাবে আপনাদেরকেও দিয়ে দেননি। বরং তিনি আপনাদের সকলকেই তাত্থেকে দিয়েছেন এবং সকলের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে তাত্থেকে এ পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পদ থেকে তাঁর পরিবারের জন্য তাদের বছরের খরচ দিতেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকত তা আল্লাহর মাল যে পথে ব্যয় হয় সে পথে খরচের জন্য রেখে দিতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবিত অবস্থায় এমন করতেন।
আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি! আপনারা কি এ ব্যাপারে জ্ঞাত আছেন? সকলেই বললেন, হ্যাঁ। তারপর ’আলী (রাঃ) ও ’আব্বাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞেস করছি! আপনারা কি এ ব্যাপারে জ্ঞাত আছেন? তারা দু’জনেই বললেন, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মৃত্যু দিলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্থলাভিষিক্ত। কাজেই তিনি সে সম্পদ অধিগ্রহণ করলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে খাতে এ সম্পদ ব্যয় করতেন তিনিও ঠিক সেভাবেই ব্যয় করতেন। আপনারা তখন ছিলেন।
তারপর ’আলী (রাঃ) ও ’আব্বাস (রাঃ)এর দিকে ফিরে বললেন, আপনারা দু’জন তখনও মনে করতেন যে আবূ বকর (রাঃ) এ ব্যাপারে এরূপ ছিলেন। আল্লাহ্ জানেন তিনি এ ব্যাপারে সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ, সত্যনিষ্ঠ ও হক্কের অনুসারী ছিলেন। তারপর আল্লাহ্ আবূ বকর (রাঃ)-কেও মৃত্যু দিলেন। তখন আমি বললাম, এখন আমি আবূ বকর ও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং দু’বছর আমি তা আমার তত্ত্বাবধানে রাখলাম এবং আবূ বকর (রাঃ) ও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা যে খাতে খরচ করতেন, আমিও তেমনি করতে লাগলাম। তারপর আপনারা দু’জন আমার কাছে এলেন। আপনাদের দু’জনের একই কথা ছিল, দাবিও ছিল একই।
আপনি এসেছিলেন নিজের ভাতিজার থেকে নিজের অংশ আদায় করে নেয়ার দাবি নিয়ে, আর ইনি (’আলী) এসেছিলেন তাঁর স্ত্রীর পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত অংশ আদায় করে নেয়ার দাবি নিয়ে। আমি বললাম, যদি আপনারা চান তাহলে আমি আপনাদেরকে তা দিয়ে দিতে পারি, তবে শর্ত এই যে, আপনারা আল্লাহর নামে এই ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন যে, এ সম্পদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) যে ভাবে খরচ করতেন এবং আমি এর দায়িত্ব নেয়ার পর যেভাবে তা খরচ করেছি, আপনারাও তেমনিভাবে ব্যয় করবেন। তখন আপনারা দু’জনে বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের হাতে দিয়ে দিন। ফলে আমি তা আপনাদের কাছে দিয়ে দিয়েছিলাম। আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করছি! আমি কি সেই শর্তাধীনে এদের কাছে সে সম্পদ দিয়ে দেইনি? সকলেই বলল, হ্যাঁ।
তখন তিনি ’আলী (রাঃ) ও ’আব্বাস (রাঃ)-এর দিকে তাকিয়ে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞেস করছি! আমি কি ঐ শর্তাধীনে আপনাদেরকে সে সম্পদ দিয়ে দেইনি? তাঁরা দু’জন বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আপনারা কি আমার নিকট হতে এর ভিন্ন কোন ফয়সালা পেতে চান? সে সত্তার কসম করে বলছি, যাঁর হুকুমে আকাশ ও যমীন নিজ স্থানে বিরাজমান, কিয়ামতের পূর্বে আমি এ বিষয়ে নতুন কোন ফয়সালা করব না। যদি আপনারা এর তত্ত্বাবধানে অক্ষম হন, তা হলেতা আমার নিকট সোপর্দ করুন। আপনাদের দু’জনের বদলে আমি একাই এর তত্ত্বাবধানের জন্য যথেষ্ট। [২৯০৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০৭)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ النَّصْرِيُّ وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ ذَلِكَ فَدَخَلْتُ عَلَى مَالِكٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ أَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ قَالَ نَعَمْ فَدَخَلُوا فَسَلَّمُوا وَجَلَسُوا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَأَذِنَ لَهُمَا قَالَ الْعَبَّاسُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ الظَّالِمِ اسْتَبَّا فَقَالَ الرَّهْطُ عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنْ الْآخَرِ فَقَالَ اتَّئِدُوا أَنْشُدُكُمْ بِاللهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ يُرِيدُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَفْسَهُ.
قَالَ الرَّهْطُ قَدْ قَالَ ذَلِكَ فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ قَالَ عُمَرُ فَإِنِّي مُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ إِنَّ اللهَ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَالِ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ فَإِنَّ اللهَ يَقُولُ (وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلٰى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ) الآيَةَ فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ وَاللهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ وَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللهِ فَعَمِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ حَيَاتَهُ أَنْشُدُكُمْ بِاللهِ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ فَقَالُوا نَعَمْ ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ أَنْشُدُكُمَا اللهَ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ ثُمَّ تَوَفَّى اللهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبَضَهَا أَبُو بَكْرٍ فَعَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ فِيهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمَا حِينَئِذٍ وَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ تَزْعُمَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ فِيهَا كَذَا وَاللهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ فِيهَا صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ ثُمَّ تَوَفَّى اللهُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا عَلَى كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنْ ابْنِ أَخِيكِ وَأَتَانِي هَذَا يَسْأَلُنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللهِ وَمِيثَاقَهُ لَتَعْمَلاَنِ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبِمَا عَمِلَ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ وَبِمَا عَمِلْتُ فِيهَا مُنْذُ وَلِيتُهَا وَإِلاَّ فَلاَ تُكَلِّمَانِي فِيهَا فَقُلْتُمَا ادْفَعْهَا إِلَيْنَا بِذَلِكَ فَدَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ أَنْشُدُكُمْ بِاللهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ قَالَ الرَّهْطُ نَعَمْ فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ قَالَ أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ فَوَالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَادْفَعَاهَا إِلَيَّ فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا
Narrated Malik bin Aus An-Nasri:
I proceeded till I entered upon `Umar (and while I was sitting there), his gate-keeper Yarfa came to him and said, " `Uthman, `Abdur-Rahman, Az-Zubair and Sa`d ask your permission to come in." `Umar allowed them. So they entered, greeted, and sat down. (After a while the gatekeeper came) and said, "Shall I admit `Ali and `Abbas?'' `Umar allowed them to enter. Al-`Abbas said "O Chief of the believers! Judge between me and the oppressor (`Ali)." Then there was a dispute (regarding the property of Bani Nadir) between them (`Abbas and `Ali). `Uthman and his companions said, "O Chief of the Believers! Judge between them and relieve one from the other." `Umar said, "Be patient! beseech you by Allah, with Whose permission the Heaven and the Earth Exist! Do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Our property is not to be inherited, and whatever we leave is to be given in charity,' and by this Allah's Messenger (ﷺ) meant himself?" On that the group said, "He verily said so." `Umar then faced `Ali and `Abbas and said, "I beseech you both by Allah, do you both know that Allah's Messenger (ﷺ) said so?" They both replied, "Yes". `Umar then said, "Now I am talking to you about this matter (in detail) . Allah favored Allah's Messenger (ﷺ) with some of this wealth which He did not give to anybody else, as Allah said: 'What Allah bestowed as Fai (Booty on His Apostle for which you made no expedition... ' (59.6) So that property was totally meant for Allah's Messenger (ﷺ), yet he did not collect it and ignore you, nor did he withhold it with your exclusion, but he gave it to you and distributed it among you till this much of it was left behind, and the Prophet, used to spend of this as the yearly expenditures of his family and then take what remained of it and spent it as he did with (other) Allah's wealth. The Prophet (ﷺ) did so during all his lifetime, and I beseech you by Allah, do you know that?" They replied, "Yes." `Umar then addressed `Ali and `Abbas, saying, "I beseech you both by Allah, do you know that?" Both of them replied, "Yes." `Umar added, "Then Allah took His Apostle unto Him. Abu Bakr then said 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ)' and took over all the Prophet's property and disposed of it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) used to do, and you were present then." Then he turned to `Ali and `Abbas and said, "You both claim that Abu Bakr did so-and-so in managing the property, but Allah knows that Abu Bakr was honest, righteous, intelligent, and a follower of what is right in managing it. Then Allah took Abu Bakr unto Him, 'I said: I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr.' So I took over the property for two years and managed it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ), and Abu Bakr used to do. Then you both (`Ali and `Abbas) came to me and asked for the same thing! (O `Abbas! You came to me to ask me for your share from nephew's property; and this (`Ali) came to me asking for his wives share from her father's property, and I said to you both, 'If you wish, I will place it in your custody on condition that you both will manage it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr did and as I have been doing since I took charge of managing it; otherwise, do not speak to me anymore about it.' Then you both said, 'Give it to us on that (condition).' So I gave it to you on that condition. Now I beseech you by Allah, did I not give it to them on that condition?" The group (whom he had been addressing) replied, "Yes." `Umar then addressed `Abbas and `Ali saying, "I beseech you both by Allah, didn't I give you all that property on that condition?" They said, "Yes." `Umar then said, "Are you now seeking a verdict from me other than that? By Him with Whose Permission the Heaven and the Earth exists I will not give any verdict other than that till the Hour is established; and if you both are unable to manage this property, then you can hand it back to me, and I will be sufficient for it on your behalf."