পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭১৯৯. ’উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ মর্মে বায়’আত করলাম যে, সুখে দুঃখে আমরা তাঁর কথা শুনব ও তাকে মেনে চলব। দায়িত্বশীলদের নির্দেশের ক্ষেত্রে মতভেদে লিপ্ত হব না। [১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭০৭ )
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَادَةُ بْنُ الْوَلِيدِ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ
Narrated 'Ubada bin As-Samit:
We gave the oath of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) that we would listen to and obey him both at the time when we were active and at the time when we were tired and that we would not fight against the ruler or disobey him.
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০০. যেখানেই থাকি না কেন সত্যের উপর দৃঢ় থাকব কিংবা বলেছিলেন, সত্য কথা বলব এবং আল্লাহর কাজে কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করব না। [৭০৫৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭০৭)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ وَأَنْ نَقُومَ أَوْ نَقُولَ بِالْحَقِّ حَيْثُمَا كُنَّا لاَ نَخَافُ فِي اللهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ
and would stand firm for the truth or say the truth wherever we might be, and in the Way of Allah we would not be afraid of the blame of the blamers.
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শীতের এক সকালে বের হলেন। মুহাজির ও আনসাররা তখন খন্দক খনন করছিল। তিনি বললেনঃ
হে আল্লাহ্! আখিরাতের কল্যাণই সত্যিকারের কল্যাণ,
অতএব তুমি আনসার ও মুহাজিরদের ক্ষমা করে দাও।
এর জবাবে তারা বলল, আমরা তারাই যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে বায়’আত করেছে
মৃত্যু অবধি জিহাদ করার জন্য।
[৭০৫৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭০৮)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي غَدَاةٍ بَارِدَةٍ وَالْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ فَقَالَ :
اللهُمَّ إِنَّ الْخَيْرَ خَيْرُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ
فَأَجَابُوا
نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدَا عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا.
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) went out on a cold morning while the Muhajirin (emigrants) and the Ansar were digging the trench. The Prophet (ﷺ) then said, "O Allah! The real goodness is the goodness of the Here after, so please forgive the Ansar and the Muhajirin." They replied, "We are those who have given the Pledge of allegiance to Muhammad for to observe Jihad as long as we remain alive."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০২. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তাঁর কথা শোনার ও তাঁকে মান্য করার জন্য বায়’আত নিতাম তখন তিনি আমাদের বলতেনঃ যতটা তোমরা করতে সক্ষম হও। [মুসলিম ৩৩/২২, হাঃ ১৮৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭০৯)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ كُنَّا إِذَا بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ يَقُولُ لَنَا فِيمَا اسْتَطَعْتُم
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Whenever we gave the Pledge of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) for to listen to and obey, he used to say to us, for as much as you can."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০৩. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু দ্বীনার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা যখন ’আবদুল মালিকের খিলাফাতের বিষয়ে একমত হল, তখন আমি ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর কাছে হাজির ছিলাম। তিনি পত্র লিখলেন যে, আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত অনুসারে আল্লাহর বান্দা, আমীরুল মু’মিনীন ’আবদুল মালিকের কথা যথাসাধ্য শোনার ও মেনে চলার অঙ্গীকার করছি। আমার ছেলেরাও তেমনি অঙ্গীকার করছে।[1] [৭২০৫, ৭২৭২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭১০)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ شَهِدْتُ ابْنَ عُمَرَ حَيْثُ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ كَتَبَ إِنِّي أُقِرُّ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِعَبْدِ اللهِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى سُنَّةِ اللهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ مَا اسْتَطَعْتُ وَإِنَّ بَنِيَّ قَدْ أَقَرُّوا بِمِثْلِ ذَلِكَ.
Narrated `Abdullah bin Dinar:
I witnessed Ibn `Umar when the people gathered around `Abdul Malik. Ibn `Umar wrote: I gave the Pledge of allegiance that I will listen to and obey Allah's Slave, `Abdul Malik, Chief of the believers according to Allah's Laws and the Traditions of His Apostle as much as I can; and my sons too, give the same pledge.'
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০৪. জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তাঁর কথা শোনার, তাঁকে মান্য করার ও সকল মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনার বিষয়ে বায়’আত করলাম। তিনি আমাকে এ কথা বলতে শিখিয়ে দিলেন যে, যতটা করতে আমি সক্ষম হই। [৫৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭১১)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ بَايَعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فَلَقَّنَنِي فِيمَا اسْتَطَعْتُ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.
Narrated Jarir bin `Abdullah:
I gave the Pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) that I would listen and obey, and he told me to add: 'As much as I can, and will give good advice to every Muslim.'
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০৫. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু দ্বীনার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন লোকেরা ’আবদুল মালিকের নিকট বায়’আত নিল, তখন ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) তার কাছে চিঠি লিখলেন- আল্লাহর বান্দা, মু’মিনদের নেতা আবদুল মালিকের প্রতি, আমি আমার সাধ্য মোতাবেক আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত অনুযায়ী তাঁর কথা শোনার ও তাকে মেনে চলার অঙ্গীকার করছি আর আমার ছেলেরাও তেমনি অঙ্গীকার করছে। [৭২০৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭১২)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ لَمَّا بَايَعَ النَّاسُ عَبْدَ الْمَلِكِ كَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ إِلَى عَبْدِ اللهِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِنِّي أُقِرُّ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِعَبْدِ اللهِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى سُنَّةِ اللهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ فِيمَا اسْتَطَعْتُ وَإِنَّ بَنِيَّ قَدْ أَقَرُّوا بِذَلِكَ.
Narrated `Abdullah bin Dinar:
When the people took the oath of allegiance to `Abdul Malik, `Abdullah bin `Umar wrote to him: "To Allah's Slave, `Abdul Malik, Chief of the believers, I give the Pledge of allegiance that I will listen to and obey Allah's Slave, `Abdul Malik, Chief of the believers, according to Allah's Laws and the Traditions of His Apostle in whatever is within my ability; and my sons too, give the same pledge."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০৬. ইয়াযীদ ইবনু আবূ ’উবায়দ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালামাকে জিজ্ঞেস করলাম, হুদাইবিয়াহর দিন আপনারা কোন্ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বায়’আত করেছিলেন? তিনি বললেন, মৃত্যুর উপর। [২৯৬০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭১৩)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ قُلْتُ لِسَلَمَةَ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ بَايَعْتُمْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ عَلَى الْمَوْتِ.
Narrated Yazid:
I said to Salama, "For what did you give the Pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) on the Day of Hudaibiya?" He replied, "For death."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪৩. রাষ্ট্রের প্রধান কিভাবে জনগণের নিকট হতে বায়‘আত গ্রহণ করবেন।
৭২০৭. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার (রাঃ) যে দলটিকে খলীফা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরা সমবেত হয়ে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করলেন। ’আবদুর রহমান (রাঃ) তাঁদেরকে বললেন, আমি তো এমন লোক নই যে এ ব্যাপারে (নির্বাচিত হওয়ার) আশা করব। কিন্তু আপনারা যদি ইচ্ছে করেন তবে আপনাদের থেকে একজনকে আমি নির্বাচিত করে দিতে পারি। তাঁরা একমত হয়ে ’আবদুর রহমানের উপর দায়িত্ব দিলেন। যখন তাঁরা ’আবদুর রহমানের উপর দায়িত্ব দিলেন, তখন সকল লোক ’আবদুর রহমানের প্রতি ঝুঁকে পড়ল। এমনকি আমি একজনকেও সেই দলের অনুসরণ করতে কিংবা তাঁদের পিছনে যেতে দেখলাম না। লোকেরা ’আবদুর রহমানের প্রতিই ঝুঁকে পড়ল এবং কয়েক রাত তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করতে থাকল। শেষে সেই রাত এল, যে রাতের শেষে আমরা ’উসমান (রাঃ)-এর হাতে বায়’আত করলাম।
মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, রাতের একাংশ অতিবাহিত হবার পর ’আবদুর রহমান (রাঃ) আমার কাছে আসলেন এবং দরজায় খটখট করলেন। ফলে আমি জেগে গেলাম। তিনি বললেন, তোমাকে ঘুমন্ত দেখছি। আল্লাহর কসম! আমি এ তিন রাতের মাঝে বেশি ঘুমাতে পারিনি। যাও, যুবায়র ও সাদকে ডেকে আন। আমি তাঁদেরকে তার কাছে ডেকে আনলাম। তিনি তাঁদের দু’জনের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। তারপর আমাকে আবার ডেকে বললেন, ’আলীকে আমার কাছে ডেকে আন। আমি তাঁকে ডেকে আনলাম। তিনি তাঁর সঙ্গে অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত গোপন পরামর্শ করলেন। তারপর ’আলী (রাঃ) তাঁর নিকট হতে উঠে গেলেন। তবে তিনি আশায় ছিলেন। আর ’আবদুর রহমান (রাঃ) ’আলী (রাঃ) থেকে কিছু (বিরোধিতার) আশঙ্কা করছিলেন। তারপর তিনি বললেন, ’উসমানকে আমার কাছে ডেকে আন। তিনি তাঁর সঙ্গে গোপনে পরামর্শ করলেন।
ফজরের সময় মুআযযিন (এর আযান) তাদের দু’জনকে পৃথক করল। লোকেরা যখন ফজরের সালাত পড়ল এবং সেই দলটি মিম্বরের নিকট জমায়েত হলো তখন তিনি মুহাজির ও আনসারদের যারা হাজির ছিলেন তাঁদেরকে ডেকে আনতে পাঠালেন এবং সেনা প্রধানদেরকেও ডেকে আনতে পাঠালেন এবং এরা সবাই উমরের সঙ্গে গত হাজ্জে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যখন সকলে এসে জমায়েত হন, তখন ’আবদুর রহমান (রাঃ) ভাষণ আরম্ভ করলেন। তারপর বললেন, হে ’আলী! আমি জনমত যাচাই করেছি, তারা ’উসমানের সমকক্ষ কাউকে মনে করে না। কাজেই তুমি অবশ্যই অন্য পথ ধরো না। তখন তিনি [’উসমান (রাঃ)-কে সম্বোধন করে] বললেন, আমি আল্লাহর, তাঁর রাসূলের ও তাঁর পরবর্তী উভয় খালীফার আদেশ অনুযায়ী আপনার নিকট বায়’আত করছি। অতঃপর ’আবদুর রহমান (রাঃ) তাঁর কাছে বায়’আত করলেন। অতঃপর মুহাজির, আনসার, সেনাপ্রধান এবং সাধারণ মুসলিম তাঁর কাছে বায়’আত করলেন।[1] [১৩৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭১৪)
بَاب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ مَالِكٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ الرَّهْطَ الَّذِينَ وَلاَّهُمْ عُمَرُ اجْتَمَعُوا فَتَشَاوَرُوا فَقَالَ لَهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَسْتُ بِالَّذِي أُنَافِسُكُمْ عَلَى هَذَا الأَمْرِ وَلَكِنَّكُمْ إِنْ شِئْتُمْ اخْتَرْتُ لَكُمْ مِنْكُمْ فَجَعَلُوا ذَلِكَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَلَمَّا وَلَّوْا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَمْرَهُمْ فَمَالَ النَّاسُ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَتَّى مَا أَرَى أَحَدًا مِنْ النَّاسِ يَتْبَعُ أُولَئِكَ الرَّهْطَ وَلاَ يَطَأُ عَقِبَهُ وَمَالَ النَّاسُ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُشَاوِرُونَهُ تِلْكَ اللَّيَالِي حَتَّى إِذَا كَانَتْ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَصْبَحْنَا مِنْهَا فَبَايَعْنَا عُثْمَانَ قَالَ الْمِسْوَرُ طَرَقَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بَعْدَ هَجْعٍ مِنْ اللَّيْلِ فَضَرَبَ الْبَابَ حَتَّى اسْتَيْقَظْتُ فَقَالَ أَرَاكَ نَائِمًا فَوَاللهِ مَا اكْتَحَلْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ بِكَبِيرِ نَوْمٍ انْطَلِقْ فَادْعُ الزُّبَيْرَ وَسَعْدًا فَدَعَوْتُهُمَا لَهُ فَشَاوَرَهُمَا ثُمَّ دَعَانِي فَقَالَ ادْعُ لِي عَلِيًّا فَدَعَوْتُهُ فَنَاجَاهُ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ ثُمَّ قَامَ عَلِيٌّ مِنْ عِنْدِهِ وَهُوَ عَلَى طَمَعٍ وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَخْشَى مِنْ عَلِيٍّ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي عُثْمَانَ فَدَعَوْتُهُ فَنَاجَاهُ حَتَّى فَرَّقَ بَيْنَهُمَا الْمُؤَذِّنُ بِالصُّبْحِ فَلَمَّا صَلَّى لِلنَّاسِ الصُّبْحَ وَاجْتَمَعَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ عِنْدَ الْمِنْبَرِ فَأَرْسَلَ إِلَى مَنْ كَانَ حَاضِرًا مِنْ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ وَأَرْسَلَ إِلَى أُمَرَاءِ الأَجْنَادِ وَكَانُوا وَافَوْا تِلْكَ الْحَجَّةَ مَعَ عُمَرَ فَلَمَّا اجْتَمَعُوا تَشَهَّدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ يَا عَلِيُّ إِنِّي قَدْ نَظَرْتُ فِي أَمْرِ النَّاسِ فَلَمْ أَرَهُمْ يَعْدِلُونَ بِعُثْمَانَ فَلاَ تَجْعَلَنَّ عَلَى نَفْسِكَ سَبِيلاً فَقَالَ أُبَايِعُكَ عَلَى سُنَّةِ اللهِ وَرَسُولِهِ وَالْخَلِيفَتَيْنِ مِنْ بَعْدِهِ فَبَايَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَبَايَعَهُ النَّاسُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ وَأُمَرَاءُ الأَجْنَادِ وَالْمُسْلِمُونَ.
Narrated Al-Miswar bin Makhrama:
The group of people whom `Umar had selected as candidates for the Caliphate gathered and consulted each other. `Abdur-Rahman said to them, "I am not going to compete with you in this matter, but if you wish, I would select for you a caliph from among you." So all of them agreed to let `Abdur-Rahman decide the case. So when the candidates placed the case in the hands of `Abdur-Rahman, the people went towards him and nobody followed the rest of the group nor obeyed any after him. So the people followed `Abdur-Rahman and consulted him all those nights till there came the night we gave the oath of allegiance to `Uthman. Al-Miswar (bin Makhrama) added: `Abdur-Rahman called on me after a portion of the night had passed and knocked on my door till I got up, and he said to me, "I see you have been sleeping! By Allah, during the last three nights I have not slept enough. Go and call Az-Zubair and Sa`d.' So I called them for him and he consulted them and then called me saying, 'Call `Ali for me." I called `Ali and he held a private talk with him till very late at night, and then 'Al, got up to leave having had much hope (to be chosen as a Caliph) but `Abdur-Rahman was afraid of something concerning `Ali. `Abdur-Rahman then said to me, "Call `Uthman for me." I called him and he kept on speaking to him privately till the Mu'adh-dhin put an end to their talk by announcing the Adhan for the Fajr prayer. When the people finished their morning prayer and that (six men) group gathered near the pulpit, `Abdur-Rahman sent for all the Muhajirin (emigrants) and the Ansar present there and sent for the army chief who had performed the Hajj with `Umar that year. When all of them had gathered, `Abdur- Rahman said, "None has the right to be worshipped but Allah," and added, "Now then, O `Ali, I have looked at the people's tendencies and noticed that they do not consider anybody equal to `Uthman, so you should not incur blame (by disagreeing)." Then `Abdur-Rahman said (to `Uthman), "I gave the oath of allegiance to you on condition that you will follow Allah's Laws and the traditions of Allah's Apostle and the traditions of the two Caliphs after him." So `Abdur-Rahman gave the oath of allegiance to him, and so did the people including the Muhajirin (emigrants) and the Ansar and the chiefs of the army staff and all the Muslims.