পরিচ্ছেদঃ ৭২/১. শিকারের সময় বিসমিল্লাহ্ বলা।
وَقَوْلِهِ تَعَالَى: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَيَبْلُوَنَّكُمُ اللَّهُ بِشَيْءٍ مِنَ الصَّيْدِ) إِلَى قَوْلِهِ: (عَذَابٌ أَلِيمٌ). وَقَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ: (أُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِيمَةُ الأَنْعَامِ إِلاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ) إِلَى قَوْلِهِ: (فَلاَ تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ)
’’হে মু’মিনগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করবেন মুহরিম অবস্থায়) শিকারের ব্যপারে........ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’’ পর্যন্ত- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৯৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হল- সেগুলো ছাড়া যেগুলোর বিবরণ তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে.......... কাজেই তাদেরকে ভয় করো না, কেবল আমাকেই ভয় কর।’’ (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/১-৩)
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: الْعُقُودُ الْعُهُودُ، مَا أُحِلَّ وَحُرِّمَ (إِلاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ) الْخِنْزِيرُ.
(يَجْرِمَنَّكُمْ) يَحْمِلَنَّكُمْ (شَنَآنُ) عَدَاوَةُ (الْمُنْخَنِقَةُ) تُخْنَقُ فَتَمُوتُ (الْمَوْقُوذَةُ) تُضْرَبُ بِالْخَشَبِ يُوقِذُهَا فَتَمُوتُ (وَالْمُتَرَدِّيَةُ) تَتَرَدَّى مِنَ الْجَبَلِ (وَالنَّطِيحَةُ) تُنْطَحُ الشَّاةُ، فَمَا أَدْرَكْتَهُ يَتَحَرَّكُ بِذَنَبِهِ أَوْ بِعَيْنِهِ فَاذْبَحْ وَكُلْ.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, الْعُقُودُ الْعُهُودُ অঙ্গীকারসমূহ যা কিছু হালাল করা হয় বা হারাম করা হয়। لاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ শূকর।يَجْرِمَنَّكُمْ তোমাদেরকে যেন প্ররোচিত করে। شَنَآنُ শত্রুতা। الْمُنْخَنِقَةُ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রাণী। الْمَوْقُوذَةُ প্রহারে মৃত প্রাণী। وَالْمُتَرَدِّيَةُ উঁচু স্থান থেকে পতিত হয়ে মারা যাওয়া প্রাণী। وَالنَّطِيحَةُ শিং এর আঘাতে মারা যাওয়া প্রাণী।
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, এর মধ্যে যে জন্তুটির তুমি লেজ বা চোখ নড়াচড়া করা অবস্থায় পাবে। সেটাকে যবহ করবে এবং আহার করবে। [1]
৫৪৭৫. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তীরের ফলার আঘাতে প্রাপ্ত শিকারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তীরের ধারালো অংশের দ্বারা যেটি নিহত হয়েছে সেটি খাও। আর ফলকের বাঁটের আঘাতে যেটি নিহত হয়েছে সেটি ’অকীয’ (অর্থাৎ থেতলে যাওয়া মৃতের মধ্যে গণ্য)। আমি তাঁকে কুকুরের দ্বারা প্রাপ্ত শিকার সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেনঃ যে শিকারকে কুকুর তোমার জন্য ধরে রাখে সেটি খাও। কেননা, কুকুরের ঘায়েল করা যবহর হুকুম রাখে। তবে তুমি যদি তোমার কুকুর বা কুকুরগুলোর সঙ্গে অন্য কুকুর পাও এবং তুমি আশঙ্কা কর যে, অন্য কুকুরটিও তোমার কুকুরের শিকার ধরেছে এবং হত্যা করেছে, তা হলে তা খেও না। কারণ, তুমি তো কেবল নিজের কুকুর ছাড়ার সময় বিসমিল্লাহ বলেছ। অন্যের কুকুরের জন্য তা বলনি। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৭)
মৃত প্রাণী হারামঃ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুযায়ী কোন মৃত প্রাণীর গোশত খাদ্য হিসেবে সবর্দা বর্জনীয় যা কুরআন অবিশ্বাসীরাও অনেকাংশে মেনে চলে। এর কারণ এই যে, কী কারণে প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে তা জানার অবকাশ নেই। তাছাড়া এমনও হতে পারে যে মারাত্মক কোন সংক্রামক ব্যাধি যথা যক্ষা, এনথ্রাকস ইত্যাদি অথবা কোন বিষাক্ত জিনিষের বিষ দ্বারা মৃত্যু ঘটেছে যার প্রভাব সেই গোশত গ্রহণকারী মানুষের উপরই বিস্তার করতে পারে। অতএব দেখা যায়, প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে নাযিলকৃত কুরআনের উল্লেখিত আয়াত নিশ্চয়ই বিজ্ঞান সম্মত।
রক্ত হারামঃ পবিত্র কুরআনে রক্ত বলতে প্রবহমান রক্তকেই বুঝায় যা যবাই করার সময় দেহ থেকে বেগে বহির্গত হয়। দুনিয়ার অধিকাংশ লোকই রক্তকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে না। প্রবহমান রক্তে নানরূপ বিষাক্ত জিনিষ ও রোগ জীবানু থাকতে পার যা বের হয়ে গেলে গোশত অধিক সময় ভাল থাকে। শুনা যায় যে কেবল হিন্দুদের একাংশের এবং স্ক্যান্ডেনেভিয়ান নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি) দেশবাসীদের মাঝে পশুর রক্ত খাওয়ার প্রচলন আছে।
শূকরের গোশত ও অন্যান্য হারাম খাদ্যঃ শূকরের গোশত হারাম হবার স্বপক্ষে যুক্তি রয়েছে। তিনটি সেমেটিক জাতির অর্থাৎ তিন প্রধান আহলে কিতাবের ইহূদী, খৃষ্টান ও মুসলিম) মধ্যে একমাত্র খৃষ্টানরাই শূকর ভোজী। শুকর হারাম হবার পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক কারণ থাকুক বা না থাকুক এটা আল্লাহর আদেশ তাই মানতেই হবে। তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুকর হারাম হবার স্বপক্ষে যে কারণগুলো পাওয়া যায় তা নিম্নে বর্ণনা করা গেল। তা ছাড়া আরও অনেক কারণ থাকতে পারে যা আমরা এখনও জানতে পারিনি। আল্লাহই ভাল জানেন।
শূকরের গোশত খেলে ট্রিচিনিয়াসিস নামক এক প্রকার কৃমি রোগ হয় যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণও হয়ে থাকে। ট্রিচিনিলা ইসপাইর্যালিস নামক এক প্রকার সুতার মত কৃমির শুককীট শূকরের গোশতে অবস্থান করে। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার পরও আমেরিকা, ক্যানাডা, ইউরোপ, চীন, রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি প্রগতিশীল দেশে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী ‘ট্রিচিনিয়াসিস’ রোগ দেখা যায়। ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯৫২ সনের ৩১শে মে সংখ্যার এক নিবন্ধে ডাঃ প্লেন শোফার্ড শূকরের গোশত ভক্ষণের বিপদ সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকা ও ক্যানাডায় প্রতি ষষ্ঠ ব্যক্তির একজনের গোশত পেশীতে ট্রিচিনিয়াসিস নামক ব্যাধির জীবাণু বিদ্যমান রয়েছে’’। টাইমস পত্রিকায় ১৯৪৬ সালের ৩রা ডিসেম্বরের সংখ্যার ৭৭ পৃষ্ঠায় ডাঃ এস পোল্ড বলেছেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ২৫ থেকে ৩৫ জন পর্যন্ত লোক তাদের দেহে ট্রিচিনিলা জীবানু নিয়ে বাস করছে’’। শুকরের গোশতের মাধ্যমে টিনিয়া সলিয়াম নামক অন্য এক প্রকার কৃমিও বিস্তার লাভ করে। কয়েক ফুট লম্বা এই ফিতা কৃমি শূকর গোশত ভক্ষণের মাধ্যমে মানুষের পেটে যায়। এই কৃমির শুককীট শূকরের গোশতে বিদ্যমান থাকে।
বিশ্ববিখ্যাত চীনা মুসলিম চিন্তাবিদ অধ্যাপক ইব্রাহীম টি ওয়াই মা তদ্বীয় রচিত Why Muslims Abstain From Porks নামক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘‘শূকরের গোশত পুরাতন ব্যাধিসমূহ জীবন্ত করে তোলে। বাত রোগ ও হাঁপানী রোগ পরিপুষ্ট করে থাকে। শূকরের গোশত ভক্ষণ করলে স্মরণ শক্তি দুর্বল হয় এবং তার ফলে মাথার চুলও পড়ে যায়। সকল প্রাণীর গোশতের মধ্যে শূকরই হচ্ছে সর্বপ্রকার অনিষ্টকর জীবানুর বৃহত্তম আধার। শূকর গোশত মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিষময় ও বিষাক্ত। শূকরের গোশতের প্রভাব মানুষের চরিত্রে ও ব্যবহারে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। শূকর স্বভাবতই অলস ও এবং তা অশ্লীল রুচির অধিকারী। কুরআন মাজীদে একবার নয় দু’বার নয় চার বার শূকরের গোশত ভক্ষণের নিষেধ বাণী বজ্রকণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে।
আল্লাহর নাম ছাড়া হত্যা করা প্রাণীর গোশত হারামঃ হালাল প্রাণীর গোশত আমাদের জন্য খাদ্য কিন্তু তাই বলে তাকে অনর্থক কষ্ট দিয়ে কিংবা হত্যার বিকৃত আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে হত্যা করা চলবে না। হালাল জীব হত্যা করতে হলে আল্লাহর নাম স্মরণ করে হত্যা করতে হবে। যাতে একথা মনে পড়ে যে, আল্লাহ এই প্রাণীকে আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন এবং এ গোশত আমাদের শরীর পুষ্টির জন্য প্রয়োজন বিধায় আল্লারই শিখানো পদ্ধতিতে যবেহ করা হচ্ছে। আর যবাই করার সময় بسم الله الله اكبر ‘‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’’ বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, হে প্রাণী, আমি আল্লাহর হুকুমেই তোমার জীবন শেষ করছি, কারণ মানুষের প্রয়োজনেই তোমার সৃষ্টি। তবে একথাও মনে আছে যে আল্লাহ সবার উচ্চে ও সর্বশক্তিশালী।
শ্বাসরোধ করে হত্যা করা প্রাণীর গোশত হারামঃ শ্বাসরোধ করা হিংস্রতার নমুনা। এটা ইসলাম আদৌ অনুমোদন করে না কেননা এ নিয়মে হত্যা করলে প্রাণীকে অনর্থক বেশী কষ্ট দেয়া হয়। ফলে মৃত প্রাণীর শরীরে অত্যধিক দুষিত রক্ত ও অতিরিক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড গ্যাস জমা হয় যা গোশতের ক্ষতি সাধন করে। যবাই করলে উক্ত ক্ষতি সাধন হয় না। রক্তক্ষরণের মাধ্যমে দুষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
কঠিন আঘাতে নিহত জন্তুর গোশত হারামঃ কঠিন আঘাতে নিহত জন্তুর গোশতে অতিরিক্ত ল্যাকটিক এসিড জমা হয় যা গোশতের ক্ষতি সাধন করে। এটা বর্বরতা ও হিংস্রতার নমুনা বটে। হিন্দুদের বলি আর পাশ্চাত্য দেশের বুলেটে নিহত করা বা যন্ত্রে কাটা ইত্যাদি কঠিন আঘাত ব্যতীত আর কিছুই নয়। হিন্দুরা প্রাণীকে বলি দেয় ঘাড়ের পিছন দিক থেকে কঠিন আঘাত দিয়ে, তাতে হাড়কে বিনা কারণে দ্বিখন্ডিত করা হয়। মেরুদন্ডের মধ্যস্থ স্পাইনাল কর্ডকে হঠাৎ দ্বিখন্ডিত করার ফলে অনেক প্রয়োজনীয় রস গোশতপেশী থেকে বের হয়ে যায়। তাছাড়া বলি দিয়ে হিন্দুরা প্রাণীর গলা চেপে ধরে প্রবাহিত রক্ত বের হতেও বাধা দেয়। এর তুলনায় যবাই অনেক কম আঘাতে হয় এবং তাতে স্পাইনাল কর্ড কাটা পড়ে না বলে গোশতসমূহ সংকুচিত হয় না এবং এতে গোশত নষ্টও হয় না। শুধু রক্তপাত হয়ে মৃত্যু ঘটে।
উচ্চস্থান থেকে পতিত হয়ে আঘাত প্রাপ্ত প্রাণীর গোশত হারামঃ কোন উচ্চ স্থান থেকে নিচে পতিত হয়ে আঘাত প্রাপ্ত প্রাণীর গোশতে ল্যাকটিক এসিড বেশী থাকবে। শক Shock) এর জন্য মৃত্যুর ফলে গোশতসমূহ কুচকিয়ে যায়। ফলে গোশতের গুণগত মান কমে যায়।
পশুর লড়াইতে নিহত প্রাণীর গোশত হারামঃ প্রাণীতে প্রাণীতে লড়াই লাগিয়ে শিংয়ের আঘাতে নিহত হালাল প্রাণীর গোশত হারাম। এটা একটি অসভ্য প্রথা এবং বর্বরতা। স্পেনে ‘বুল ফাইট’ নামক এক প্রকার বর্বর খেলা প্রচলিত আছে। এতে ষাঁড়কে বার বার আঘাত করে হত্যা করা হয়। ইসলাম এ গুলো হারাম করে দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে।
হিংস্র প্রাণীর কামড়ে নিহত জন্তুর গোশত হারামঃ হিংস্র জন্তুর কামড়ে নিহত হালাল প্রাণীর শরীরে কোন বিষাক্ত জিনিস প্রবেশ করতে পারে। তাই হালাল হওয়া সত্ত্বেও তা ভক্ষণ করা হারাম। যদি জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং হিংস্র জন্তুর আঘাত খুব অল্প সময় পূর্বে ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয় বা আঘাত অতি সামান্য হয়েছে এমতাবস্থায় গোশত দূষিত হবার সম্ভাবনা কম। হিংস্র জন্তু হালাল জন্তুর অংশ বিশেষ খেয়ে ফেললে জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাকে যবাই করলে খাওয়া হালাল, নয়ত হারাম।
বেদীর উপর বলি দেয়া প্রাণীর গোশত হারামঃ কোন বেদীর উপর হত্যা করার মানে কোন দেবদেবীর নামে বলি দেয়াকে বুঝায় এবং তা শিরক এবং খাওয়া হারাম। অনুরূপভাবে কোন কবর কিংবা মাজার অথবা রওজাতে পীরের নামে যবাই করা পশুর গোশত হারাম।
তীর ছুঁড়ে ভাগ করা গোশত হারামঃ তীর মেরে গোশত ভাগ করা বা লটারীর উদ্দেশ্য হলো জুয়া খেলা এবং লোক ঠকানো। এটা ইসলামে হারাম করা হয়েছে।
শিকারী প্রাণী দ্বারা ধৃত প্রাণী যবাই না করলে গোশত হারামঃ প্রশিক্ষণ দেয়া শিকারী প্রাণী কর্তৃক ধৃত হালাল প্রাণীকে জীবিতাবস্থায় আল্লাহর নামে যবাই করে নিতে হবে, যদি ধরে নিয়ে আসার পরে জীবিত থাকে। সাধারণতঃ কুকুরকে শিকারী প্রাণী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ কুকুর দু’ভাগে বিভক্তঃ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিকারী কুকুর আর প্রশিক্ষণ না দেয়া কুকুর। যদি প্রশিক্ষণ দেয়া শিকারী কুকুরকে আল্লাহর নাম নিয়ে অর্থাৎ বিসমিল্লাহ্ বলে শিকারের জন্য প্রেরণ করা হয় তাহলে সে কুকুর যদি শিকারকে হত্যাও করে তবুও তা খাওয়া যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে এই যে, তার সাথে প্রশিক্ষণ না দেয়া কুকুর যেন হত্যা করার কাজে অংশ গ্রহণ না করে। যদি তার সাথে অন্য সাধারণ কুকুর অংশ গ্রহণ করে তাহলে তার শিকার করা পশু খাওয়া যাবে না। যদি অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর কোন শিকারী প্রাণী শিকার করে নিয়ে আসে আর শিকারটি যদি জীবিত থাকে তাহলে শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রে তাকে যব্হ করে খাওয়া যাবে। তবে কুকুর যদি শিকার করা প্রাণীর কিছু অংশ খেয়ে ফেলে তাহলে তা খাওয়া যাবে না। [এ মর্মে বুখারী ৫৪৭৬, ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৬) ও মুসলিম ১৯২৯, ১৯৩০) সহ দেখুন ‘‘সহীহ্ আবী দাঊদ’’ ২৮৪৭), ‘‘সহীহ্ নাসাঈ’’ ৪৩০৫) ও ‘সহীহ্ তিরমিযী’ ১৪৬৫)]।
بَاب التَّسْمِيَةِ عَلٰى الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَيْدِ الْمِعْرَاضِ قَالَ " مَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْهُ، وَمَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَهْوَ وَقِيذٌ ". وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَيْدِ الْكَلْبِ فَقَالَ " مَا أَمْسَكَ عَلَيْكَ فَكُلْ، فَإِنَّ أَخْذَ الْكَلْبِ ذَكَاةٌ، وَإِنْ وَجَدْتَ مَعَ كَلْبِكَ أَوْ كِلاَبِكَ كَلْبًا غَيْرَهُ فَخَشِيتَ أَنْ يَكُونَ أَخَذَهُ مَعَهُ، وَقَدْ قَتَلَهُ، فَلاَ تَأْكُلْ، فَإِنَّمَا ذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تَذْكُرْهُ عَلَى غَيْرِهِ ".
Narrated Adi bin Hatim:
I asked the Prophet (ﷺ) about the game killed by a Mi'rad (i.e. a sharp-edged piece of wood or a piece of wood provided with a sharp piece of iron used for hunting). He said, "If the game is killed with its sharp edge, eat of it, but if it is killed with its shaft, with a hit by its broad side then the game is (unlawful to eat) for it has been beaten to death." I asked him about the game killed by a trained hound. He said, "If the hound catches the game for you, eat of it, for killing the game by the hound, is like its slaughtering. But if you see with your hound or hounds another dog, and you are afraid that it might have shared in hunting the game with your hound and killed it, then you should not eat of it, because you have mentioned Allah's name on (sending) your hound only, but you have not mentioned it on some other hound.