পরিচ্ছেদঃ ৭২/১. শিকারের সময় বিসমিল্লাহ্ বলা।
وَقَوْلِهِ تَعَالَى: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَيَبْلُوَنَّكُمُ اللَّهُ بِشَيْءٍ مِنَ الصَّيْدِ) إِلَى قَوْلِهِ: (عَذَابٌ أَلِيمٌ). وَقَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ: (أُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِيمَةُ الأَنْعَامِ إِلاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ) إِلَى قَوْلِهِ: (فَلاَ تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ)
’’হে মু’মিনগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করবেন মুহরিম অবস্থায়) শিকারের ব্যপারে........ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’’ পর্যন্ত- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৯৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হল- সেগুলো ছাড়া যেগুলোর বিবরণ তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে.......... কাজেই তাদেরকে ভয় করো না, কেবল আমাকেই ভয় কর।’’ (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/১-৩)
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: الْعُقُودُ الْعُهُودُ، مَا أُحِلَّ وَحُرِّمَ (إِلاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ) الْخِنْزِيرُ.
(يَجْرِمَنَّكُمْ) يَحْمِلَنَّكُمْ (شَنَآنُ) عَدَاوَةُ (الْمُنْخَنِقَةُ) تُخْنَقُ فَتَمُوتُ (الْمَوْقُوذَةُ) تُضْرَبُ بِالْخَشَبِ يُوقِذُهَا فَتَمُوتُ (وَالْمُتَرَدِّيَةُ) تَتَرَدَّى مِنَ الْجَبَلِ (وَالنَّطِيحَةُ) تُنْطَحُ الشَّاةُ، فَمَا أَدْرَكْتَهُ يَتَحَرَّكُ بِذَنَبِهِ أَوْ بِعَيْنِهِ فَاذْبَحْ وَكُلْ.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, الْعُقُودُ الْعُهُودُ অঙ্গীকারসমূহ যা কিছু হালাল করা হয় বা হারাম করা হয়। لاَّ مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ শূকর।يَجْرِمَنَّكُمْ তোমাদেরকে যেন প্ররোচিত করে। شَنَآنُ শত্রুতা। الْمُنْخَنِقَةُ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রাণী। الْمَوْقُوذَةُ প্রহারে মৃত প্রাণী। وَالْمُتَرَدِّيَةُ উঁচু স্থান থেকে পতিত হয়ে মারা যাওয়া প্রাণী। وَالنَّطِيحَةُ শিং এর আঘাতে মারা যাওয়া প্রাণী।
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, এর মধ্যে যে জন্তুটির তুমি লেজ বা চোখ নড়াচড়া করা অবস্থায় পাবে। সেটাকে যবহ করবে এবং আহার করবে। [1]
৫৪৭৫. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তীরের ফলার আঘাতে প্রাপ্ত শিকারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তীরের ধারালো অংশের দ্বারা যেটি নিহত হয়েছে সেটি খাও। আর ফলকের বাঁটের আঘাতে যেটি নিহত হয়েছে সেটি ’অকীয’ (অর্থাৎ থেতলে যাওয়া মৃতের মধ্যে গণ্য)। আমি তাঁকে কুকুরের দ্বারা প্রাপ্ত শিকার সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেনঃ যে শিকারকে কুকুর তোমার জন্য ধরে রাখে সেটি খাও। কেননা, কুকুরের ঘায়েল করা যবহর হুকুম রাখে। তবে তুমি যদি তোমার কুকুর বা কুকুরগুলোর সঙ্গে অন্য কুকুর পাও এবং তুমি আশঙ্কা কর যে, অন্য কুকুরটিও তোমার কুকুরের শিকার ধরেছে এবং হত্যা করেছে, তা হলে তা খেও না। কারণ, তুমি তো কেবল নিজের কুকুর ছাড়ার সময় বিসমিল্লাহ বলেছ। অন্যের কুকুরের জন্য তা বলনি। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৭)
بَاب التَّسْمِيَةِ عَلٰى الصَّيْدِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَيْدِ الْمِعْرَاضِ قَالَ " مَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْهُ، وَمَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَهْوَ وَقِيذٌ ". وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَيْدِ الْكَلْبِ فَقَالَ " مَا أَمْسَكَ عَلَيْكَ فَكُلْ، فَإِنَّ أَخْذَ الْكَلْبِ ذَكَاةٌ، وَإِنْ وَجَدْتَ مَعَ كَلْبِكَ أَوْ كِلاَبِكَ كَلْبًا غَيْرَهُ فَخَشِيتَ أَنْ يَكُونَ أَخَذَهُ مَعَهُ، وَقَدْ قَتَلَهُ، فَلاَ تَأْكُلْ، فَإِنَّمَا ذَكَرْتَ اسْمَ اللَّهِ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تَذْكُرْهُ عَلَى غَيْرِهِ ".
মৃত প্রাণী হারামঃ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুযায়ী কোন মৃত প্রাণীর গোশত খাদ্য হিসেবে সবর্দা বর্জনীয় যা কুরআন অবিশ্বাসীরাও অনেকাংশে মেনে চলে। এর কারণ এই যে, কী কারণে প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে তা জানার অবকাশ নেই। তাছাড়া এমনও হতে পারে যে মারাত্মক কোন সংক্রামক ব্যাধি যথা যক্ষা, এনথ্রাকস ইত্যাদি অথবা কোন বিষাক্ত জিনিষের বিষ দ্বারা মৃত্যু ঘটেছে যার প্রভাব সেই গোশত গ্রহণকারী মানুষের উপরই বিস্তার করতে পারে। অতএব দেখা যায়, প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে নাযিলকৃত কুরআনের উল্লেখিত আয়াত নিশ্চয়ই বিজ্ঞান সম্মত।
রক্ত হারামঃ পবিত্র কুরআনে রক্ত বলতে প্রবহমান রক্তকেই বুঝায় যা যবাই করার সময় দেহ থেকে বেগে বহির্গত হয়। দুনিয়ার অধিকাংশ লোকই রক্তকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে না। প্রবহমান রক্তে নানরূপ বিষাক্ত জিনিষ ও রোগ জীবানু থাকতে পার যা বের হয়ে গেলে গোশত অধিক সময় ভাল থাকে। শুনা যায় যে কেবল হিন্দুদের একাংশের এবং স্ক্যান্ডেনেভিয়ান নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি) দেশবাসীদের মাঝে পশুর রক্ত খাওয়ার প্রচলন আছে।
শূকরের গোশত ও অন্যান্য হারাম খাদ্যঃ শূকরের গোশত হারাম হবার স্বপক্ষে যুক্তি রয়েছে। তিনটি সেমেটিক জাতির অর্থাৎ তিন প্রধান আহলে কিতাবের ইহূদী, খৃষ্টান ও মুসলিম) মধ্যে একমাত্র খৃষ্টানরাই শূকর ভোজী। শুকর হারাম হবার পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক কারণ থাকুক বা না থাকুক এটা আল্লাহর আদেশ তাই মানতেই হবে। তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুকর হারাম হবার স্বপক্ষে যে কারণগুলো পাওয়া যায় তা নিম্নে বর্ণনা করা গেল। তা ছাড়া আরও অনেক কারণ থাকতে পারে যা আমরা এখনও জানতে পারিনি। আল্লাহই ভাল জানেন।
শূকরের গোশত খেলে ট্রিচিনিয়াসিস নামক এক প্রকার কৃমি রোগ হয় যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণও হয়ে থাকে। ট্রিচিনিলা ইসপাইর্যালিস নামক এক প্রকার সুতার মত কৃমির শুককীট শূকরের গোশতে অবস্থান করে। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার পরও আমেরিকা, ক্যানাডা, ইউরোপ, চীন, রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি প্রগতিশীল দেশে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী ‘ট্রিচিনিয়াসিস’ রোগ দেখা যায়। ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯৫২ সনের ৩১শে মে সংখ্যার এক নিবন্ধে ডাঃ প্লেন শোফার্ড শূকরের গোশত ভক্ষণের বিপদ সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকা ও ক্যানাডায় প্রতি ষষ্ঠ ব্যক্তির একজনের গোশত পেশীতে ট্রিচিনিয়াসিস নামক ব্যাধির জীবাণু বিদ্যমান রয়েছে’’। টাইমস পত্রিকায় ১৯৪৬ সালের ৩রা ডিসেম্বরের সংখ্যার ৭৭ পৃষ্ঠায় ডাঃ এস পোল্ড বলেছেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ২৫ থেকে ৩৫ জন পর্যন্ত লোক তাদের দেহে ট্রিচিনিলা জীবানু নিয়ে বাস করছে’’। শুকরের গোশতের মাধ্যমে টিনিয়া সলিয়াম নামক অন্য এক প্রকার কৃমিও বিস্তার লাভ করে। কয়েক ফুট লম্বা এই ফিতা কৃমি শূকর গোশত ভক্ষণের মাধ্যমে মানুষের পেটে যায়। এই কৃমির শুককীট শূকরের গোশতে বিদ্যমান থাকে।
বিশ্ববিখ্যাত চীনা মুসলিম চিন্তাবিদ অধ্যাপক ইব্রাহীম টি ওয়াই মা তদ্বীয় রচিত Why Muslims Abstain From Porks নামক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘‘শূকরের গোশত পুরাতন ব্যাধিসমূহ জীবন্ত করে তোলে। বাত রোগ ও হাঁপানী রোগ পরিপুষ্ট করে থাকে। শূকরের গোশত ভক্ষণ করলে স্মরণ শক্তি দুর্বল হয় এবং তার ফলে মাথার চুলও পড়ে যায়। সকল প্রাণীর গোশতের মধ্যে শূকরই হচ্ছে সর্বপ্রকার অনিষ্টকর জীবানুর বৃহত্তম আধার। শূকর গোশত মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিষময় ও বিষাক্ত। শূকরের গোশতের প্রভাব মানুষের চরিত্রে ও ব্যবহারে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। শূকর স্বভাবতই অলস ও এবং তা অশ্লীল রুচির অধিকারী। কুরআন মাজীদে একবার নয় দু’বার নয় চার বার শূকরের গোশত ভক্ষণের নিষেধ বাণী বজ্রকণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে।
আল্লাহর নাম ছাড়া হত্যা করা প্রাণীর গোশত হারামঃ হালাল প্রাণীর গোশত আমাদের জন্য খাদ্য কিন্তু তাই বলে তাকে অনর্থক কষ্ট দিয়ে কিংবা হত্যার বিকৃত আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে হত্যা করা চলবে না। হালাল জীব হত্যা করতে হলে আল্লাহর নাম স্মরণ করে হত্যা করতে হবে। যাতে একথা মনে পড়ে যে, আল্লাহ এই প্রাণীকে আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন এবং এ গোশত আমাদের শরীর পুষ্টির জন্য প্রয়োজন বিধায় আল্লারই শিখানো পদ্ধতিতে যবেহ করা হচ্ছে। আর যবাই করার সময় بسم الله الله اكبر ‘‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’’ বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, হে প্রাণী, আমি আল্লাহর হুকুমেই তোমার জীবন শেষ করছি, কারণ মানুষের প্রয়োজনেই তোমার সৃষ্টি। তবে একথাও মনে আছে যে আল্লাহ সবার উচ্চে ও সর্বশক্তিশালী।
শ্বাসরোধ করে হত্যা করা প্রাণীর গোশত হারামঃ শ্বাসরোধ করা হিংস্রতার নমুনা। এটা ইসলাম আদৌ অনুমোদন করে না কেননা এ নিয়মে হত্যা করলে প্রাণীকে অনর্থক বেশী কষ্ট দেয়া হয়। ফলে মৃত প্রাণীর শরীরে অত্যধিক দুষিত রক্ত ও অতিরিক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড গ্যাস জমা হয় যা গোশতের ক্ষতি সাধন করে। যবাই করলে উক্ত ক্ষতি সাধন হয় না। রক্তক্ষরণের মাধ্যমে দুষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
কঠিন আঘাতে নিহত জন্তুর গোশত হারামঃ কঠিন আঘাতে নিহত জন্তুর গোশতে অতিরিক্ত ল্যাকটিক এসিড জমা হয় যা গোশতের ক্ষতি সাধন করে। এটা বর্বরতা ও হিংস্রতার নমুনা বটে। হিন্দুদের বলি আর পাশ্চাত্য দেশের বুলেটে নিহত করা বা যন্ত্রে কাটা ইত্যাদি কঠিন আঘাত ব্যতীত আর কিছুই নয়। হিন্দুরা প্রাণীকে বলি দেয় ঘাড়ের পিছন দিক থেকে কঠিন আঘাত দিয়ে, তাতে হাড়কে বিনা কারণে দ্বিখন্ডিত করা হয়। মেরুদন্ডের মধ্যস্থ স্পাইনাল কর্ডকে হঠাৎ দ্বিখন্ডিত করার ফলে অনেক প্রয়োজনীয় রস গোশতপেশী থেকে বের হয়ে যায়। তাছাড়া বলি দিয়ে হিন্দুরা প্রাণীর গলা চেপে ধরে প্রবাহিত রক্ত বের হতেও বাধা দেয়। এর তুলনায় যবাই অনেক কম আঘাতে হয় এবং তাতে স্পাইনাল কর্ড কাটা পড়ে না বলে গোশতসমূহ সংকুচিত হয় না এবং এতে গোশত নষ্টও হয় না। শুধু রক্তপাত হয়ে মৃত্যু ঘটে।
উচ্চস্থান থেকে পতিত হয়ে আঘাত প্রাপ্ত প্রাণীর গোশত হারামঃ কোন উচ্চ স্থান থেকে নিচে পতিত হয়ে আঘাত প্রাপ্ত প্রাণীর গোশতে ল্যাকটিক এসিড বেশী থাকবে। শক Shock) এর জন্য মৃত্যুর ফলে গোশতসমূহ কুচকিয়ে যায়। ফলে গোশতের গুণগত মান কমে যায়।
পশুর লড়াইতে নিহত প্রাণীর গোশত হারামঃ প্রাণীতে প্রাণীতে লড়াই লাগিয়ে শিংয়ের আঘাতে নিহত হালাল প্রাণীর গোশত হারাম। এটা একটি অসভ্য প্রথা এবং বর্বরতা। স্পেনে ‘বুল ফাইট’ নামক এক প্রকার বর্বর খেলা প্রচলিত আছে। এতে ষাঁড়কে বার বার আঘাত করে হত্যা করা হয়। ইসলাম এ গুলো হারাম করে দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে।
হিংস্র প্রাণীর কামড়ে নিহত জন্তুর গোশত হারামঃ হিংস্র জন্তুর কামড়ে নিহত হালাল প্রাণীর শরীরে কোন বিষাক্ত জিনিস প্রবেশ করতে পারে। তাই হালাল হওয়া সত্ত্বেও তা ভক্ষণ করা হারাম। যদি জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং হিংস্র জন্তুর আঘাত খুব অল্প সময় পূর্বে ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয় বা আঘাত অতি সামান্য হয়েছে এমতাবস্থায় গোশত দূষিত হবার সম্ভাবনা কম। হিংস্র জন্তু হালাল জন্তুর অংশ বিশেষ খেয়ে ফেললে জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাকে যবাই করলে খাওয়া হালাল, নয়ত হারাম।
বেদীর উপর বলি দেয়া প্রাণীর গোশত হারামঃ কোন বেদীর উপর হত্যা করার মানে কোন দেবদেবীর নামে বলি দেয়াকে বুঝায় এবং তা শিরক এবং খাওয়া হারাম। অনুরূপভাবে কোন কবর কিংবা মাজার অথবা রওজাতে পীরের নামে যবাই করা পশুর গোশত হারাম।
তীর ছুঁড়ে ভাগ করা গোশত হারামঃ তীর মেরে গোশত ভাগ করা বা লটারীর উদ্দেশ্য হলো জুয়া খেলা এবং লোক ঠকানো। এটা ইসলামে হারাম করা হয়েছে।
শিকারী প্রাণী দ্বারা ধৃত প্রাণী যবাই না করলে গোশত হারামঃ প্রশিক্ষণ দেয়া শিকারী প্রাণী কর্তৃক ধৃত হালাল প্রাণীকে জীবিতাবস্থায় আল্লাহর নামে যবাই করে নিতে হবে, যদি ধরে নিয়ে আসার পরে জীবিত থাকে। সাধারণতঃ কুকুরকে শিকারী প্রাণী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ কুকুর দু’ভাগে বিভক্তঃ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিকারী কুকুর আর প্রশিক্ষণ না দেয়া কুকুর। যদি প্রশিক্ষণ দেয়া শিকারী কুকুরকে আল্লাহর নাম নিয়ে অর্থাৎ বিসমিল্লাহ্ বলে শিকারের জন্য প্রেরণ করা হয় তাহলে সে কুকুর যদি শিকারকে হত্যাও করে তবুও তা খাওয়া যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে এই যে, তার সাথে প্রশিক্ষণ না দেয়া কুকুর যেন হত্যা করার কাজে অংশ গ্রহণ না করে। যদি তার সাথে অন্য সাধারণ কুকুর অংশ গ্রহণ করে তাহলে তার শিকার করা পশু খাওয়া যাবে না। যদি অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর কোন শিকারী প্রাণী শিকার করে নিয়ে আসে আর শিকারটি যদি জীবিত থাকে তাহলে শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রে তাকে যব্হ করে খাওয়া যাবে। তবে কুকুর যদি শিকার করা প্রাণীর কিছু অংশ খেয়ে ফেলে তাহলে তা খাওয়া যাবে না। [এ মর্মে বুখারী ৫৪৭৬, ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৬) ও মুসলিম ১৯২৯, ১৯৩০) সহ দেখুন ‘‘সহীহ্ আবী দাঊদ’’ ২৮৪৭), ‘‘সহীহ্ নাসাঈ’’ ৪৩০৫) ও ‘সহীহ্ তিরমিযী’ ১৪৬৫)]।
Narrated Adi bin Hatim:
I asked the Prophet (ﷺ) about the game killed by a Mi'rad (i.e. a sharp-edged piece of wood or a piece of wood provided with a sharp piece of iron used for hunting). He said, "If the game is killed with its sharp edge, eat of it, but if it is killed with its shaft, with a hit by its broad side then the game is (unlawful to eat) for it has been beaten to death." I asked him about the game killed by a trained hound. He said, "If the hound catches the game for you, eat of it, for killing the game by the hound, is like its slaughtering. But if you see with your hound or hounds another dog, and you are afraid that it might have shared in hunting the game with your hound and killed it, then you should not eat of it, because you have mentioned Allah's name on (sending) your hound only, but you have not mentioned it on some other hound.
পরিচ্ছেদঃ ৭২/২. তীর লব্ধ শিকার।
وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فِي الْمَقْتُولَةِ بِالْبُنْدُقَةِ تِلْكَ الْمَوْقُوذَةُ وَكَرِهَه“ سَالِمٌ وَالْقَاسِمُ وَمُجَاهِدٌ وَإِبْرَاهِيمُ وَعَطَاءٌ وَالْحَسَنُ وَكَرِهَ الْحَسَنُ رَمْيَ الْبُنْدُقَةِ فِي الْقُر’ى وَالأَمْصَارِ وَلاَ يَر’ى بَأْسًا فِيمَا سِوَاهُ.
বন্দুকের গুলিতে শিকার সম্বন্ধে ইবনু ’উমার বলেছেনঃ এটি মাওকুযাহ বা থেতলে যাওয়া শিকারের অন্তর্ভুক্ত। সালিম, কাসিম, মুজাহিদ, ইবরাহীম, ’আত্বা ও হাসান বাসরী (রহ.) একে মাকরূহ মনে করেন। হাসানের মতে গ্রাম এলাকা ও শহর এলাকায় বন্দুক দিয়ে শিকার করা মাকরূহ। তবে অন্যত্র শিকার করতে কোন দোষ নেই।
৫৪৭৬. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তীরের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ যদি তীরের ধারালো অংশ দ্বারা আঘাত করে থাক তাহলে খাও, আর যদি ফলার আঘাত লেগে থাকে এবং শিকারটি মারা যায়, তাহলে খেও না। কেননা, সেটি ওয়াকীয বা থেতলে মরার মধ্যে গণ্য। আমি বললামঃ আমি তো শিকারের জন্য কুকুর ছেড়ে দেই। তিনি উত্তর দিলেনঃ যদি তোমার কুকুরকে তুমি বিসমিল্লাহ পড়ে ছেড়ে থাক, তা হলে খাও। আমি আবার বললামঃ যদি কুকুর কিছুটা খেয়ে ফেলে? তিনি বললেনঃ তা হলে খেও না, কারণ সে তা তোমার জন্য ধরে রাখেনি বরং সে ধরেছে নিজের জন্যই। আমি বললামঃ আমি আমার কুকুরকে পাঠিয়ে দেবার জন্য যদি তার সঙ্গে অন্য কুকুরকেও দেখতে পাই, তখন? তিনি বললেনঃ তাহলে খেও না। কেননা, তুমি তো কেবল তোমার কুকুরের উপর বিসমিল্লাহ বলেছ, অন্য কুকুরের উপর বিসমিল্লাহ বলনি। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৮)
بَاب صَيْدِ الْمِعْرَاضِ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمِعْرَاضِ فَقَالَ إِذَا أَصَبْتَ بِحَدِّه„ فَكُلْ فَإِذَا أَصَابَ بِعَرْضِه„ فَقَتَلَ فَإِنَّه“ وَقِيذٌ فَلاَ تَأْكُلْ فَقُلْتُ أُرْسِلُ كَلْبِي قَالَ إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ وَسَمَّيْتَ فَكُلْ قُلْتُ فَإِنْ أَكَلَ قَالَ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّه“ لَمْ يُمْسِكْ عَلَيْكَ إِنَّمَا أَمْسَكَ عَلٰى نَفْسِه„ قُلْتُ أُرْسِلُ كَلْبِي فَأَجِدُ مَعَه“ كَلْبًا آخَرَ قَالَ لاَ تَأْكُلْ فَإِنَّكَ إِنَّمَا سَمَّيْتَ عَلٰى كَلْبِكَ وَلَمْ تُسَمِّ عَلٰى آخَرَ.
Narrated `Adi bin Hatim:
I asked Allah's Messenger (ﷺ) about the Mi'rad. He said, "If you hit the game with its sharp edge, eat it, but if the Mi'rad hits the game with its shaft with a hit by its broad side do not eat it, for it has been beaten to death with a piece of wood. (i.e. unlawful)." I asked, "If I let loose my trained hound after a game?" He said, "If you let loose your trained hound after game, and mention the name of Allah, then you can eat." I said, "If the hound eats of the game?" He said "Then you should not eat of it, for the hound has hunted the game for itself and not for you." I said, "Some times I send my hound and then I find some other hound with it?" He said "Don't eat the game, as you have mentioned the Name of Allah on your dog only and not on the other."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৩. তীরের ফলকে আঘাতপ্রাপ্ত শিকার।
৫৪৭৭. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলোকে শিকারে পাঠিয়ে থাকি। তিনি বললেনঃ কুকুরগুলো তোমার জন্য যেটি ধরে রাখে সেটি খাও। আমি বললামঃ যদি ওরা হত্যা করে ফেলে? তিনি বললেনঃ যদি ওরা হত্যাও করে ফেলে। আমি বললামঃ আমরা তো ফলার দ্বারাও শিকার করে থাকি। তিনি বললেনঃ সেটি খাও, যেটি তীরে যখম করেছে; আর যেটি তীরের পার্শ্বের আঘাতে মারা গেছে সেটি খেও না। [১৭৫; মুসলিম ৩৪/১, হাঃ ১৯২৯, আহমাদ ১৯৩৮৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৯)
بَاب مَا أَصَابَ الْمِعْرَاضُ بِعَرْضِهِ
قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّا نُرْسِلُ الْكِلاَبَ الْمُعَلَّمَةَ قَالَ كُلْ مَا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ قُلْتُ وَإِنْ قَتَلْنَ قَالَ وَإِنْ قَتَلْنَ قُلْتُ وَإِنَّا نَرْمِي بِالْمِعْرَاضِ قَالَ كُلْ مَا خَزَقَ وَمَا أَصَابَ بِعَرْضِه„ فَلاَ تَأْكُلْ.
Narrated Adi bin Hatim:
I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We let loose our trained hounds after a game?" He said, "Eat what they hunt for you." I said, "Even if they killed (the game)?" He replied, 'Even if they killed (the game)." I said, 'We also hit (the game) with the Mi'rad?" He said, "Eat of the animal which the Mi'rad kills by piercing its body, but do not eat of the animal which is killed by the broad side of the Mi'rad.''
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৪. ধনুকের সাহায্যে শিকার করা।
وَقَالَ الْحَسَنُ وَإِبْرَاهِيمُ إِذَا ضَرَبَ صَيْدًا فَبَانَ مِنْه“ يَدٌ أَوْ رِجْلٌ لاَ تَأْكُلُ الَّذِي بَانَ وَكُلْ سَائِرَهُ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ إِذَا ضَرَبْتَ عُنُقَه“ أَوْ وَسَطَه“ فَكُلْه“ وَقَالَ الأَعْمَشُ عَنْ زَيْدٍ اسْتَعْصٰى عَلٰى رَجُلٍ مِنْ آلِ عَبْدِ اللهِ حِمَارٌ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَضْرِبُوه“ حَيْثُ تَيَسَّرَ دَعُوا مَا سَقَطَ مِنْه“ وَكُلُوهُ.
হাসান ও ইবরাহীম (রহ.) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি শিকারকে আঘাত করে, ফলে তার হাত কিংবা পা পৃথক হয়ে যায়, তাহলে পৃথক অংশটি খাওয়া যাবে না, অবশিষ্ট অংশটি খাওয়া যাবে। ইবরাহীম (রহ.) বলেছেনঃ তুমি যদি শিকারের ঘাড়ে কিংবা মধ্যভাগে আঘাত কর, তা হলে তা খাও। যায়েদের সূত্রে আ’মাশ (রহ.) বলেছেন যে, ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদের গোত্রের একটি গাধা নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। তখন তিনি আদেশ দিয়েছিলেনঃ তার দেহের যে অংশেই সম্ভব হয় সেখানেই আঘাত কর। তারপর যে অংশটি ছিঁড়ে তা বাদ দিয়ে বাকীটা খাও।
৫৪৭৮. আবূ সা’লাবা আল খুশানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস করি। আমরা কি তাদের থালায় খেতে পারি? তাছাড়া আমরা শিকারের অঞ্চলে থাকি। তীর ধনুকের সাহায্যে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দিয়ে শিকার করে থাকি। এমতাবস্থায় আমার জন্য কোনটি বৈধ হবে? উত্তরে তিনি বললেনঃ তুমি যে সকল আহলে কিতাবের কথা উল্লেখ করলে তাতে বিধান হলঃ যদি অন্য পাত্র পাও তাদের পাত্রে খাবে না। আর যদি না পাও, তাহলে তাদের পাত্রগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে আহার কর। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার তীর ধনুকের সাহায্যে শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের দ্বারা শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ, সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দ্বারা শিকার করেছ, সেটি যদি যবহ করতে পার তবে তা খেতে পার। [৫৪৮৮, ৫৪৯৬; মুসলিম ৩৪/১, হাঃ ১৯৩০, আহমাদ ১৭৭৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭০)
بَاب صَيْدِ الْقَوْسِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيُّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّا بِأَرْضِ قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ أَفَنَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ وَبِأَرْضِ صَيْدٍ أَصِيدُ بِقَوْسِي وَبِكَلْبِي الَّذِي لَيْسَ بِمُعَلَّمٍ وَبِكَلْبِي الْمُعَلَّمِ فَمَا يَصْلُحُ لِي قَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَإِنْ وَجَدْتُمْ غَيْرَهَا فَلاَ تَأْكُلُوا فِيهَا وَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَاغْسِلُوهَا وَكُلُوا فِيهَا وَمَا صِدْتَ بِقَوْسِكَ فَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ الْمُعَلَّمِ فَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ غَيْرِ مُعَلَّمٍ فَأَدْرَكْتَ ذَكَاتَه“ فَكُلْ.
Narrated Abu Tha`laba Al-Khushani:
I said, "O Allah's Prophet! We are living in a land ruled by the people of the Scripture; Can we take our meals in their utensils? In that land there is plenty of game and I hunt the game with my bow and with my hound that is not trained and with my trained hound. Then what is lawful for me to eat?" He said, "As for what you have mentioned about the people of the Scripture, if you can get utensils other than theirs, do not eat out of theirs, but if you cannot get other than theirs, wash their utensils and eat out of it. If you hunt an animal with your bow after mentioning Allah's Name, eat of it. and if you hunt something with your trained hound after mentioning Allah's Name, eat of it, and if you hunt something with your untrained hound (and get it before it dies) and slaughter it, eat of it."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৫. ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করা ও বন্দুক মারা।
৫৪৭৯. ’আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করছে। তখন তিনি তাকে বললেনঃ পাথর নিক্ষেপ করো না। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন অথবা রাবী বলেছেনঃ পাথর ছোঁড়াকে তিনি অপছন্দ করতেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এর দ্বারা কোন প্রাণী শিকার করা হয় না এবং কোন শত্রুকেও ঘায়েল করা হয় না। তবে এটি কারো দাঁত ভেঙ্গে ফেলতে পারে এবং চোখ ফুঁড়ে দিতে পারে। তারপর তিনি আবার তাকে পাথর ছুঁড়তে দেখলেন। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস বর্ণনা করেছিলাম যে, তিনি পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন অথবা তিনি তা অপছন্দ করেছেন। তা সত্ত্বেও তুমি পাথর নিক্ষেপ করছ? আমি তোমার সঙ্গে কথাই বলব না- এতকাল এতকাল পর্যন্ত। [৪৭৪১; মুসলিম ৩৪/১০, হাঃ ১৯৫৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭১)
بَاب الْخَذْفِ وَالْبُنْدُقَةِ
يُوسُفُ بْنُ رَاشِدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَاللَّفْظُ لِيَزِيدَ عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ أَنَّه“ رَأٰى رَجُلاً يَخْذِفُ فَقَالَ لَه“ لاَ تَخْذِفْ فَإِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهٰى عَنِ الْخَذْفِ أَوْ كَانَ يَكْرَهُ الْخَذْفَ وَقَالَ إِنَّه“ لاَ يُصَادُ بِه„ صَيْدٌ وَلاَ يُنْكٰى بِه„ عَدُوٌّ وَلٰكِنَّهَا قَدْ تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ ثُمَّ رَآه“ بَعْدَ ذ‘لِكَ يَخْذِفُ فَقَالَ لَه“ أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّه“ نَهٰى عَنِ الْخَذْفِ أَوْ كَرِهَ الْخَذْفَ وَأَنْتَ تَخْذِفُ لاَ أُكَلِّمُكَ كَذَا وَكَذَا.
Narrated `Abdullah bin Maghaffal:
that he saw a man throwing stones with two fingers (at something) and said to him, "Do not throw stones, for Allah's Messenger (ﷺ) has forbidden throwing stones, or he used to dislike it." `Abdullah added: Throwing stones will neither hunt the game, nor kill (or hurt) an enemy, but it may break a tooth or gouge out an eye." Afterwards `Abdullah once again saw the man throwing stones. He said to him, "I tell you that Allah's Messenger (ﷺ) has forbidden or disliked the throwing the stones (in such a way), yet you are throwing stones! I shall not talk to you for such-and-such a period."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৬. যে ব্যক্তি শিকার বা পশু রক্ষার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করে।
৫৪৮০. ইবনু ’উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি এমন কুকুর পালে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়; তার ’আমল থেকে প্রত্যহ দু’ কীরাত পরিমাণ কমে যাবে। [৫৪৮১, ৫৪৮২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭২)
بَاب مَنْ اقْتَنٰى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ اقْتَنٰى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ مَاشِيَةٍ أَوْ ضَارِيَةٍ نَقَصَ كُلَّ يَوْمٍ مِنْ عَمَلِه„ قِيرَاطَانِ.
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever keeps a (pet) dog which is neither a watch dog nor a hunting dog, will get a daily deduction of two Qirat from his good deeds."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৬. যে ব্যক্তি শিকার বা পশু রক্ষার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করে।
৫৪৮১. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর কিংবা পশু রক্ষাকারী কুকুর ছাড়া অন্য কোন কুকুর পোষে, সে ব্যক্তির সাওয়াব থেকে প্রতিদিন দু’ কীরাত পরিমাণ কমে যায়। [৫৪৮০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৩)
بَاب مَنْ اقْتَنٰى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ
الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا يَقُوْلُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ مَنْ اقْتَنٰى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبًا ضَارِيًا لِصَيْدٍ أَوْ كَلْبَ مَاشِيَةٍ فَإِنَّه“ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِه„ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "If someone keeps a dog neither for hunting, nor for guarding livestock, the reward (for his good deeds) will be reduced by two Qirats per day."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৬. যে ব্যক্তি শিকার বা পশু রক্ষার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করে।
৫৪৮২. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পশু রক্ষাকারী কিংবা শিকারী কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালে, তার ’আমল থেকে প্রতিদিন দু’ কীরাত পরিমাণ সাওয়াব কমে যায়। [৫৪৮০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৪)
بَاب مَنْ اقْتَنٰى كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ أَوْ مَاشِيَةٍ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ اقْتَنٰى كَلْبًا إِلاَّ كَلْبَ مَاشِيَةٍ أَوْ ضَارِيًا نَقَصَ مِنْ عَمَلِه„ كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَانِ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If someone keeps a dog neither for guarding livestock, nor for hunting, his good deeds will decrease (in reward) by two Qirats a day.'
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৭. শিকারী কুকুর যদি শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: (يَسْأَلُونَكَ مَاذَا أُحِلَّ لَهُمْ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَمَا عَلَّمْتُمْ مِنَ الْجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ) الصَّوَائِدُ وَالْكَوَاسِبُ.
(تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ اللَّهُ فَكُلُوا مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ) إِلَى قَوْلِهِ: (سَرِيعُ الْحِسَابِ).
(اجْتَرَحُوا) اكْتَسَبُوا
এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’লোকেরা জিজ্ঞেস করছে তাদের জন্য কী কী হালাল করা হয়েছে..........আল্লাহ হিসাব গ্রহণে ত্বরিৎগতি।’’ পর্যন্ত-সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৪)।
اجْتَرَحُوا তারা যা উপার্জন করেছে।
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنْ أَكَلَ الْكَلْبُ فَقَدْ أَفْسَدَهُ، إِنَّمَا أَمْسَكَ عَلَى نَفْسِهِ وَاللَّهُ يَقُولُ: (تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ اللَّهُ) فَتُضْرَبُ وَتُعَلَّمُ حَتَّى يَتْرُكَ. وَكَرِهَهُ ابْنُ عُمَرَ.
وَقَالَ عَطَاءٌ إِنْ شَرِبَ الدَّمَ وَلَمْ يَأْكُلْ، فَكُلْ.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ যদি কুকুর শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে, তবে সে শিকার নষ্ট করে ফেলল। কেননা, সে তো তখন নিজের জন্য ধরেছে বলে গণ্য হবে। অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ ’’যেগুলোকে তোমরা শিকার শিক্ষা দিয়েছ যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। কাজেই কুকুরকে প্রহার করতে হবে এবং শিক্ষা দিতে হবে, যাতে সে শিকার খাওয়া ত্যাগ করে।’’ ইবনু ’উমার এটিকে মাকরূহ বলতেন। ’আত্বা র) বলেছেন, কুকুর যদি রক্ত পান করে আর গোশ্ত না খায় তাহলে সেই শিকার) খেতে পারে।
৫৪৮৩. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলামঃ আমরা এমন সম্প্রদায়, যারা এ সকল কুকুরের দ্বারা শিকার করে থাকি। তিনি বললেনঃ তুমি যদি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলোকে বিসমিল্লাহ পড়ে পাঠিয়ে থাক তাহলে ওরা যেগুলো তোমাদের জন্য ধরে রাখে, তা খাও; যদিও শিকারকে কুকুর হত্যা করে ফেলে। তবে যদি কুকুর শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে (তাহলে খাবে না)। কেননা, তখন আমার আশঙ্কা হয় যে, সে শিকার নিজেরই উদ্দেশে ধরেছে। আর যদি তার সঙ্গে অন্য কুকুর মিলে যায়, তাহলে খাবে না। [১৭৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৫)
بَاب إِذَا أَكَلَ الْكَلْبُ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ بَيَانٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ إِنَّا قَوْمٌ نَصِيدُ بِهٰذِهِ الْكِلاَبِ فَقَالَ إِذَا أَرْسَلْتَ كِلاَبَكَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ وَإِنْ قَتَلْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْكُلَ الْكَلْبُ فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا أَمْسَكَه“ عَلٰى نَفْسِه„ وَإِنْ خَالَطَهَا كِلاَبٌ مِنْ غَيْرِهَا فَلاَ تَأْكُلْ.
Narrated Adi bin Hatim:
I asked Allah's Messenger (ﷺ). "We hunt with the help of these hounds." He said, "If you let loose your trained hounds after a game, and mention the name of Allah, then you can eat what the hounds catch for you, even if they killed the game. But you should not eat of it if the hound has eaten of it, for then it is likely that the hound has caught the game for itself. And if other hounds join your hound in hunting the game, then do not eat of it."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৮. শিকার যদি দু’ বা তিনদিন শিকারী থেকে অদৃশ্য থাকে।
৫৪৮৪. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তুমি যদি তোমার কুকুরকে বিসমিল্লাহ পড়ে পাঠাও, এরপর কুকুর শিকার পাকড়াও করে এবং মেরে ফেলে, তবে তুমি তা খেতে পার। আর যদি কুকুর কিছুটা খেয়ে ফেলে, তাহলে খাবে না। কেননা, সে তো নিজের জন্যই ধরেছে। আর যদি এমন কুকুরদের সঙ্গে মিশে যায়, যাদের উপর বিসমিল্লাহ পড়া হয়নি এবং সেগুলো শিকার ধরে মেরে ফেলে, তা হলে তা খাবে না। কেননা, তুমি তো জান না যে, কোন কুকুরটি হত্যা করেছে? আর যদি তুমি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে থাক; এরপর তা একদিন বা দু’দিন পর এমন অবস্থায় হাতে পাও যে, তার গায়ে তোমার তীরের আঘাত ব্যতীত অন্য কিছু নেই, তাহলে খাও। আর যদি তা পানির মধ্যে পড়ে থাকে, তা হলে তা খাবে না। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৬)
بَاب الصَّيْدِ إِذَا غَابَ عَنْه“ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ وَسَمَّيْتَ فَأَمْسَكَ وَقَتَلَ فَكُلْ وَإِنْ أَكَلَ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّمَا أَمْسَكَ عَلٰى نَفْسِه„ وَإِذَا خَالَطَ كِلاَبًا لَمْ يُذْكَرْ اسْمُ اللهِ عَلَيْهَا فَأَمْسَكْنَ وَقَتَلْنَ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَيُّهَا قَتَلَ وَإِنْ رَمَيْتَ الصَّيْدَ فَوَجَدْتَه“ بَعْدَ يَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ لَيْسَ بِه„ إِلاَّ أَثَرُ سَهْمِكَ فَكُلْ وَإِنْ وَقَعَ فِي الْمَاءِ فَلاَ تَأْكُلْ.
Narrated Adi bin Hatim:
The Prophet (ﷺ) said, "If you let loose your hound after a game and mention Allah's Name on sending it, and the hound catches the game and kills it, then you can eat of it. But if the hound eats of it, then you should not eat thereof, for the hound has caught it for itself. And if along with your hound, joined other hounds, and Allah's Name was not mentioned at the time of their sending, and they catch an animal and kill it, you should not eat of it, for you will not know which of them has killed it. And if you have thrown an arrow at the game and then find it (dead) two or three days later and, it bears no mark other than the wound inflicted by your arrow, then you can eat of it. But if the game is found (dead) in water, then do not eat of it."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৮. শিকার যদি দু’ বা তিনদিন শিকারী থেকে অদৃশ্য থাকে।
৫৪৮৫. ’আবদুল ’আলা দাঊদ সূত্রে আদী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে এবং দু’ তিন দিন পর্যন্ত সেই শিকারের খোঁজ করার পর মৃত অবস্থায় পায় এবং দেখে যে, তার গায়ে তার তীর লেগে আছে (তখন সে কী করবে?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইচ্ছা করলে সে খেতে পারে। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৬)
بَاب الصَّيْدِ إِذَا غَابَ عَنْه“ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً
وَقَالَ عَبْدُ الأَعْلٰى عَنْ دَاوُدَ عَنْ عَامِرٍ عَنْ عَدِيٍّ أَنَّه“ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْمِي الصَّيْدَ فَيَقْتَفِرُ أَثَرَهُ الْيَوْمَيْنِ وَالثَّلاَثَةَ ثُمَّ يَجِدُه“ مَيِّتًا وَفِيهِ سَهْمُه“ قَالَ يَأْكُلُ إِنْ شَاءَ.
And it has also been narrated by `Adi bin Hatim that he asked the Prophet (ﷺ) "If a hunter throws an arrow at the game and after tracing it for two or three days he finds it dead but still bearing his arrow, (can he eat of it)?" The Prophet (ﷺ) replied, "He can eat if he wishes."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/৯. শিকারের সঙ্গে যদি অন্য কুকুর পাওয়া যায়।
৫৪৮৬. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি ’বিসমিল্লাহ’ পড়ে আমার কুকুরকে পাঠিয়ে থাকি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যদি বিসমিল্লাহ পড়ে তোমার কুকুরটিকে পাঠিয়ে থাক, এরপর সে শিকার ধরে মেরে ফেলে এবং কিছুটা খেয়ে নেয়, তা হলে তুমি খেয়ো না। কেননা, সে তো নিজের জন্যই তা ধরেছে। আমি বললামঃ আমি আমার কুকুরটিকে পাঠালাম, পরে তার সঙ্গে অন্য কুকুরও দেখতে পেলাম। আমি জানি না উভয়ের কে শিকার ধরেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তা খেয়ো না। কেননা, তুমি তো তোমার কুকুরের উপরই ’বিসমিল্লাহ’ পড়েছ, অন্যটির উপর পড়নি। আমি তাঁকে তীরের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ যদি তুমি তীরের ধার দিয়ে আঘাত করে থাক, তাহলে খাও। আর যদি পার্শ্বের দ্বারা আঘাত কর আর তাতে তা মারা যায়, তাহলে সেটি ওয়াকীয- থেতলে মারার মধ্যে গণ্য হবে। কাজেই তা খেয়ো না। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৭)
بَاب إِذَا وَجَدَ مَعَ الصَّيْدِ كَلْبًا آخَرَ.
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنِّي أُرْسِلُ كَلْبِي وَأُسَمِّي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ وَسَمَّيْتَ فَأَخَذَ فَقَتَلَ فَأَكَلَ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنَّمَا أَمْسَكَ عَلٰى نَفْسِه„ قُلْتُ إِنِّي أُرْسِلُ كَلْبِي أَجِدُ مَعَه“ كَلْبًا آخَرَ لاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا أَخَذَه“ فَقَالَ لاَ تَأْكُلْ فَإِنَّمَا سَمَّيْتَ عَلٰى كَلْبِكَ وَلَمْ تُسَمِّ عَلٰى غَيْرِه„ وَسَأَلْتُه“ عَنْ صَيْدِ الْمِعْرَاضِ فَقَالَ إِذَا أَصَبْتَ بِحَدِّه„ فَكُلْ وَإِذَا أَصَبْتَ بِعَرْضِه„ فَقَتَلَ فَإِنَّه“ وَقِيذٌ فَلاَ تَأْكُلْ.
Narrated `Adi bin Hatim:
I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I let loose my hound after a game and mention Allah's Name on sending it." The Prophet (ﷺ) said, "If you let loose your hound after a game and you mention Allah's Name on sending it and the hound catches and kills the game and eats of it, then you should not eat of it, for it has killed it for itself." I said, "Sometimes when I send my hound after a game, I find another hound along with it and I do not know which of them has caught the game." He said, "You must not eat of it because you have not mentioned, the Name of Allah except on sending your own hound, and you did not mention it on the other hound." Then I asked him about the game hunted with a Mi'rad (i.e. a sharp edged piece of wood or a piece of wood provided with a sharp piece of iron used for hunting). He said, "If the game is killed with its sharp edge, you can eat of it, but if it is killed by its broad side (shaft), you cannot eat of it, for then it is like an animal beaten to death with a piece of wood."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১০. শিকারে অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে।
৫৪৮৭. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করে বললামঃ আমরা এমন সম্প্রদায়, যারা এ সকল কুকুরের দ্বারা শিকার করতে অভ্যস্ত। তিনি বললেনঃ তুমি যদি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে বিসমিল্লাহ বলে) তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলোকে পাঠাও, তাহলে কুকুরগুলো তোমার জন্য যা ধরে রাখবে, তুমি তা খেতে পার। তবে কুকুর যদি কিছুটা খেয়ে ফেলে, তাহলে তুমি খেয়ো না। কেননা, আমার আশঙ্কা হয় যে, সে তখন নিজের জন্যই ধরেছে। আর যদি তার সঙ্গে অন্যান্য কুকুর শামিল হয়, তাহলেও খেয়ো না। [১৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৮)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّصَيُّدِ
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنِي ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ بَيَانٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّا قَوْمٌ نَتَصَيَّدُ بِهٰذِهِ الْكِلاَبِ فَقَالَ إِذَا أَرْسَلْتَ كِلاَبَكَ الْمُعَلَّمَةَ وَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ إِلاَّ أَنْ يَأْكُلَ الْكَلْبُ فَلاَ تَأْكُلْ فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا أَمْسَكَ عَلٰى نَفْسِه„ وَإِنْ خَالَطَهَا كَلْبٌ مِنْ غَيْرِهَا فَلاَ تَأْكُلْ.
Narrated Adi Bin Hatim:
I asked Allah's Messenger (ﷺ), "We hunt with these hounds." He said, "If you send your trained hounds after a game and mention Allah's Name on sending, you can eat of what they catch for you. But if the hound eats of the game, then you must not eat of it, for I am afraid that the hound caught it for itself, and if another hound joins your hounds (during the hunt), you should not eat of the game."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১০. শিকারে অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে।
৫৪৮৮. আবূ সা’লাবা খুশানী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায়বাস করি, তাদের পাত্রে আহার করি। আর আমরা শিকারের অঞ্চলে থাকি, শিকার করি তীর ধনুক দিয়ে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় এমন কুকুর দিয়েও। অতএব আমাকে বলে দিন, এর মধ্যে আমাদের জন্য কোনটি হালাল? তিনি বললেনঃ তুমি যা উল্লেখ করেছ, তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস কর, তাদের পাত্রে খানা খাও। তবে যদি তাদের পাত্র ব্যতীত অন্য পাত্র পাও, তাহলে তাদের পাত্রে আহার করো না। আর যদি না পাও, তাহলে ঐগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে আহার করবে। আর তুমি উল্লেখ করেছ যে তুমি শিকারের অঞ্চলে থাক। তুমি যা তীর ধনুক দ্বারা শিকার কর, তাতে তুমি বিসমিল্লাহ পড়বে এবং তা খাবে। তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে যা শিকার কর, তাতে বিসমিল্লাহ পড়বে এং তা খাবে। আর তুমি যদি প্রশিক্ষণহীন কুকুর দ্বারা শিকার কর, সেক্ষেত্রে যদি যবহ করা যায়, তাহলে খেতে পার। [৫৪৭৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৭৯)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّصَيُّدِ
أَبُو عَاصِمٍ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ ح و حَدَّثَنِي أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي رَجَاءٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ قَالَ سَمِعْتُ رَبِيعَةَ بْنَ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيَّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ عَائِذُ اللهِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ يَقُوْلُ أَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّا بِأَرْضِ قَوْمٍ أَهْلِ الْكِتَابِ نَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ وَأَرْضِ صَيْدٍ أَصِيدُ بِقَوْسِي وَأَصِيدُ بِكَلْبِي الْمُعَلَّمِ وَالَّذِي لَيْسَ مُعَلَّمًا فَأَخْبِرْنِي مَا الَّذِي يَحِلُّ لَنَا مِنْ ذ‘لِكَ فَقَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ أَنَّكَ بِأَرْضِ قَوْمٍ أَهْلِ الْكِتَابِ تَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ فَإِنْ وَجَدْتُمْ غَيْرَ آنِيَتِهِمْ فَلاَ تَأْكُلُوا فِيهَا وَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَاغْسِلُوهَا ثُمَّ كُلُوا فِيهَا وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ أَنَّكَ بِأَرْضِ صَيْدٍ فَمَا صِدْتَ بِقَوْسِكَ فَاذْكُرْ اسْمَ اللهِ ثُمَّ كُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ الْمُعَلَّمِ فَاذْكُرْ اسْمَ اللهِ ثُمَّ كُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ الَّذِي لَيْسَ مُعَلَّمًا فَأَدْرَكْتَ ذَكَاتَه“ فَكُلْ.
Narrated Abu Tha`laba Al-Khushani:
I came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We are living in the land of the people of the Scripture and we take our meals in their utensils, and in the land there is game and I hunt with my bow and trained or untrained hounds; please tell me what is lawful for us of that." He said, "As for your saying that you are living in the land of the people of the Scripture and that you eat in their utensils, if you can get utensils other than theirs, do not eat in their utensils, but if you do not find (other than theirs), then wash their utensils and eat in them. As for your saying that you are in the land of game, if you hung something with your bow, and have mentioned Allah's Name while hunting, then you can eat (the game). And if you hunt something with your trained hound, and have mentioned Allah's Name on sending it for hunting then you can eat (the game). But if you hunt something with your untrained hound and you were able to slaughter it before its death, you can eat of it."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১০. শিকারে অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে।
৫৪৮৯. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মাররুয যাহরান নামক স্থানে একটি খরগোশের পেছনে ধাওয়া করলাম। লোকজন তার পেছনে ছুটল এবং তারা ব্যর্থ হয়। এরপর আমি পেছনে ছুটলাম। অবশেষে সেটি ধরে ফেললাম। তারপর আমি এটিকে আবূ ত্বলহার নিকট নিয়ে এলাম। তিনি এটির উভয় রান ও নিতম্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পাঠালেন। তিনি তা গ্রহণ করেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮০)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّصَيُّدِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَوْا عَلَيْهَا حَتّٰى لَغِبُوا فَسَعَيْتُ عَلَيْهَا حَتّٰى أَخَذْتُهَا فَجِئْتُ بِهَا إِلٰى أَبِي طَلْحَةَ فَبَعَثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِوَرِكَيْهَا أَوْ فَخِذَيْهَا فَقَبِلَهُ.
Narrated Anas bin Malik:
We provoked a rabbit at Marr Az-Zahran till it started jumping. My companions chased it till they got tired. But I alone ran after it and caught it and brought it to Abu Talha. He sent both its legs to the Prophet who accepted them.
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১০. শিকারে অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে।
৫৪৯০. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। অবশেষে তিনি মক্কার কোন এক রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছলে তিনি তাঁর কয়েকজন সঙ্গীসহ পেছনে পড়ে গেলেন। তাঁরা ছিলেন ইহরাম বাঁধা অবস্থায়। আর তিনি ছিলেন ইহরাম বিহীন। তিনি একটি বন্য গাধা দেখতে পেয়ে তার ঘোড়ার উপর উঠলেন। তারপর সাথীদেরকে অনুরোধ করলেন তাঁর হাতে তাঁর চাবুক তুলে দিতে। তাঁরা অস্বীকার করলেন। অবশেষে তিনি নিজেই সেটি তুলে নিলেন এবং গাধাটির পিছনে দ্রুত গতিতে ছুটলেন এবং সেটিকে হত্যা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের কেউ কেউ তা খেলেন, আবার কেউ কেউ তা খেতে অস্বীকার করলেন। পরিশেষে তাঁরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌঁছলেন তখন তাঁরা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেনঃ এটি তো এমন খাদ্য যা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের খাওয়ার জন্য দিয়েছেন। [১৮২১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮১)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّصَيُّدِ
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلٰى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ مَوْلٰى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّه“ كَانَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتّٰى إِذَا كَانَ بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَه“ مُحْرِمِينَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأٰى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَو‘ى عَلٰى فَرَسِه„ ثُمَّ سَأَلَ أَصْحَابَه“ أَنْ يُنَاوِلُوه“ سَوْطًا فَأَبَوْا فَسَأَلَهُمْ رُمْحَه“ فَأَبَوْا فَأَخَذَه“ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَه“ فَأَكَلَ مِنْه“ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبٰى بَعْضُهُمْ فَلَمَّا أَدْرَكُوا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلُوه“ عَنْ ذ‘لِكَ فَقَالَ إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللهُ.
Narrated Abu Qatada:
that once he was with Allah's Messenger (ﷺ) (on the way to Mecca). When he had covered some of the way to Mecca, he and some companions of his, who were in the state of lhram. remained behind the Prophet while Abu Qatada himself was not in the state of Ihram. Abu Qatada, seeing an onager rode his horse and asked his companions to hand him a whip, but they refused. He then asked them to hand him his spear, but they refused. Then he took it himself and attacked the onager and killed it. Some of the Companions of Allah's Messenger (ﷺ) ate of it, but some others refused to eat. When they met Allah's Apostle they asked him about that. He said, "It was meal given to you by Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১০. শিকারে অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে।
৫৪৯১. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ)-এর সূত্রে এরকমই বর্ণিত। তবে এতে আছে যে, তিনি বললেনঃ তোমাদের সঙ্গে কি তার কিছু মাংস আছে? [১৮২১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮২)
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّصَيُّدِ
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ مِثْلَه“ إِلاَّ أَنَّه“ قَالَ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِه„ شَيْءٌ.
Narrated Abu Qatada:
(the same Hadith above, but he added); The Prophet (ﷺ) asked, "Is there any of its meat left with you?"
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১১. পর্বতে শিকার করা।
৫৪৯২. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। অন্যরা ছিলেন ইহরাম বাঁধা অবস্থায়। আর আমি ছিলাম ইহরাম বিহীন এবং ঘোড়ার উপর সাওয়ার। পর্বত আরোহণে আমি ছিলাম দক্ষ। এমন সময়ে আমি লোকজনকে দেখলাম যে, তারা আগ্রহ নিয়ে কি যেন দেখছে। কাজেই আমিও দেখতে লাগলাম। হঠাৎ দেখি একটি বন্য গাধা। আমি লোকজনকে জিজ্ঞেস করলামঃ এটি কী? তারা উত্তর দিলঃ আমরা জানি না। আমি বললামঃ এটি বন্য গাধা? তারা বললঃ এটি তাই তুমি যা দেখছ। আমি আমার চাবুকের কথা ভুলে গিয়েছিলাম, তাই তাদের বললামঃ আমাকে আমার চাবুকটি তুলে দাও। তারা বললঃ আমরা তোমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করব না। কাজেই আমি নেমে চাবুকটি তুলে নিলাম।
তারপর সেটির পেছনে ছুটলাম। অবশেষে আমি সেটিকে ঘায়েল করলাম এবং তাদের কাছে নিয়ে এসে বললামঃ যাও, এটাকে তুলে নিয়ে এসো। তারা বললঃ আমরা ওটিকে স্পর্শ করব না। তখন আমি নিজেই সেটিকে তুলে তাদের কাছে নিয়ে এলাম। তাদের মধ্যে কয়েকজন তা খেতে অসম্মতি প্রকাশ করল। আর কয়েকজন তা খেল। আমি বললামঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট থেকে তোমাদের জন্য এ সম্পর্কে জেনে নেব। এরপর আমি তাঁকে পেলাম এবং এ ঘটনা শুনালাম। তিনি আমাকে বললেনঃ তোমাদের সঙ্গে সেটির অবশিষ্ট কিছু আছে কি? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ খাও। কারণ, এটি তো এমন খাদ্য যা আল্লাহ তোমাদের খাওয়ার জন্য দিয়েছেন। [১৫২১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮৩)
بَاب التَّصَيُّدِ عَلَى الْجِبَالِ
يَحْيٰى بْنُ سُلَيْمَانَ الْجُعْفِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا عَمْرٌو أَنَّ أَبَا النَّضْرِ حَدَّثَه“ عَنْ نَافِعٍ مَوْلٰى أَبِي قَتَادَةَ وَأَبِي صَالِحٍ مَوْلٰى التَّوْأَمَةِ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَهُمْ مُحْرِمُونَ وَأَنَا رَجُلٌ حِلٌّ عَلٰى فَرَسٍ وَكُنْتُ رَقَّاءً عَلَى الْجِبَالِ فَبَيْنَا أَنَا عَلٰى ذ‘لِكَ إِذْ رَأَيْتُ النَّاسَ مُتَشَوِّفِينَ لِشَيْءٍ فَذَهَبْتُ أَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ حِمَارُ وَحْشٍ فَقُلْتُ لَهُمْ مَا هٰذَا قَالُوا لاَ نَدْرِي قُلْتُ هُوَ حِمَارٌ وَحْشِيٌّ فَقَالُوا هُوَ مَا رَأَيْتَ وَكُنْتُ نَسِيتُ سَوْطِي فَقُلْتُ لَهُمْ نَاوِلُونِي سَوْطِي فَقَالُوا لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ فَنَزَلْتُ فَأَخَذْتُه“ ثُمَّ ضَرَبْتُ فِي أَثَرِه„ فَلَمْ يَكُنْ إِلاَّ ذ‘كَ حَتّٰى عَقَرْتُه“ فَأَتَيْتُ إِلَيْهِمْ فَقُلْتُ لَهُمْ قُومُوا فَاحْتَمِلُوا قَالُوا لاَ نَمَسُّه“ فَحَمَلْتُه“ حَتّٰى جِئْتُهُمْ بِه„ فَأَبٰى بَعْضُهُمْ وَأَكَلَ بَعْضُهُمْ فَقُلْتُ لَهُمْ أَنَا أَسْتَوْقِفُ لَكُمْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلمفَأَدْرَكْتُه“ فَحَدَّثْتُهُ الْحَدِيثَ فَقَالَ لِي أَبَقِيَ مَعَكُمْ شَيْءٌ مِنْه“ قُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ كُلُوا فَهُوَ طُعْمٌ أَطْعَمَكُمُوهُ اللهُ.
Narrated Abu Qatada:
I was with the Prophet (on a journey) between Mecca and Medina, and all of them, (i.e. the Prophet (ﷺ) and his companions) were in the state of Ihram, while I was not in that state. I was riding my horse and I used to be fond of ascending mountains. So while I was doing so I noticed that the people were looking at something. I went to see what it was, and behold it was an onager. I asked my companions, "What is that?" They said, "We do not know." I said, "It is an onager.' They said, "It is what you have seen." I had left my whip, so I said to them, "Hand to me my whip." They said, "We will not help you in that (in hunting the onager)." I got down, took my whip and chased the animal (on my horse) and did not stop till I killed it. I went to them and said, "Come on, carry it!" But they said, "We will not even touch it." At last I alone carried it and brought it to them. Some of them ate of it and some refused to eat of it. I said (to them), "I will ask the Prophet (ﷺ) about it (on your behalf)." When I met the Prophet, I told him the whole story. He said to me, "Has anything of it been left with you?" I said, "Yes." He said, "Eat, for it is a meal Allah has offered to you."
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১২. মহান আল্লাহর ইরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে.......। সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৯৬)
وَقَالَ عُمَرُ صَيْدُهُ مَا اصْطِيدَ، وَطَعَامُهُ مَا رَمَى بِهِ، وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الطَّافِي حَلاَلٌ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ طَعَامُهُ مَيْتَتُهُ إِلاَّ مَا قَذِرْتَ مِنْهَا، وَالْجِرِّيُّ لاَ تَأْكُلُهُ الْيَهُودُ وَنَحْنُ نَأْكُلُهُ.
وَقَالَ شُرَيْحٌ صَاحِبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ شَيْءٍ فِي الْبَحْرِ مَذْبُوحٌ.
وَقَالَ عَطَاءٌ أَمَّا الطَّيْرُ فَأَرَى أَنْ يَذْبَحَهُ.
وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ صَيْدُ الأَنْهَارِ وَقِلاَتِ السَّيْلِ أَصَيْدُ بَحْرٍ هُوَ قَالَ نَعَمْ، ثُمَّ تَلاَ: (هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَائِغٌ شَرَابُهُ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُونَ لَحْمًا طَرِيًّا). وَرَكِبَ الْحَسَنُ- عَلَيْهِ السَّلاَمُ- عَلَى سَرْجٍ مِنْ جُلُودِ كِلاَبِ الْمَاءِ.
وَقَالَ الشَّعْبِيُّ لَوْ أَنَّ أَهْلِي أَكَلُوا الضَّفَادِعَ لأَطْعَمْتُهُمْ. وَلَمْ يَرَ الْحَسَنُ بِالسُّلَحْفَاةِ بَأْسًا.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُلْ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ مَا صَادَهُ نَصْرَانِيٌّ أَوْ يَهُودِيٌّ أَوْ مَجُوسِيٌّ.
وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فِي الْمُرِي ذَبَحَ الْخَمْرَ النِّينَانُ وَالشَّمْسُ.
’উমার (রাঃ) বলেছেন, صَيْدُه যা শিকার করা হয়, আর طَعَامُه সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে। আবূ বকর (রাঃ) বলেছেনঃ মরে যা ভেসে উঠে তা হালাল।
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ طَعَامُه সমুদ্রে প্রাপ্ত মৃত জানোয়ার খাদ্য, তবে তন্মধ্যে যেটি ঘৃণিত সেটি ব্যতীত। বাইন জাতীয় মাছ ইয়াহূদীরা খায় না, আমরা খাই।
আবূ শুরায়হ (রাঃ) যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী তিনি বলেছেনঃ সমুদ্রের সব জিনিসই যবাহকৃত বলে গণ্য। ’আত্বা (রহ.) বলেছেনঃ সমুদ্রের) পাখি সম্পর্কে আমার মত সেটিকে যবহ করতে হবে। ইবনু জুরায়জ (রহ.) বলেন, আমি ’আত্বা (রহ.)-কে খাল, বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলামঃ এগুলো কি সমুদ্রের শিকারের অন্তর্ভুক্ত? তিনি উত্তর দিলেনঃ হাঁ। তারপর তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ ’’একটি সুমিষ্ট, সুস্বাদু, সুপেয়; অন্যটি লবণাক্ত, বিস্বাদ। তথাপি তোমরা সকল প্রকার পানি) থেকে তাজা মাংস আহার কর।’’ (সূরাহ ফাত্বির ৩৫/১২) হাসান ভোঁদড়ের চাড়মায় নির্মিত ঘোড়ার গদির উপর আরোহণ করেছেন। শা’বী (রহ.) বলেছেনঃ আমার পরিবারের লোকেরা যদি ব্যাঙ খেত, তাহলে আমি তাদের তা খাওয়াতাম। হাসান (রহ.) কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের মনে করতেন না। ইবনু ’আব্বাস বলেনঃ সমুদ্রের সব ধরনের শিকার খেতে পার, যদিও তা কোন ইয়াহূদী কিংবা খৃস্টান কিংবা অগ্নিপূজক শিকার করে থাকে। আবুদ্ দারদা বলেনঃ মাছ ও সূর্যের তাপ শরাবকে পাক করে।
৫৪৯৩. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’জায়শুল খাবত’ অভিযানে ছিলাম। আমাদের সেনাপতিকরা হয়েছিল আবূ ’উবাইদাহ (রাঃ)-কে। এক সময় আমরা অত্যধিক ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লে, সমুদ্র এমন একটি মৃত মাছ তীরে নিক্ষেপ করল যে, এত বড় মাছ কখনো দেখা যায়নি। এটিকে ’আম্বর’ বলা হয়। আমরা অর্ধমাস এটি খেলাম। আবূ ’উবাইদাহ এর একটি হাড় তুলে ধরলেন এবং এর নীচে দিয়ে একজন অশ্বারোহী (অনায়াসে) অতিক্রম করে গেল। [২৪৮৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮৪)
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو أَنَّه“ سَمِعَ جَابِرًا يَقُوْلُ غَزَوْنَا جَيْشَ الْخَبَطِ وَأُمِّرَ أَبُو عُبَيْدَةَ فَجُعْنَا جُوعًا شَدِيدًا فَأَلْقَى الْبَحْرُ حُوتًا مَيِّتًا لَمْ يُرَ مِثْلُه“ يُقَالُ لَهُ الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا مِنْه“ نِصْفَ شَهْرٍ فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَظْمًا مِنْ عِظَامِه„ فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَهُ.
Narrated Jabir:
We went out in a campaign and the army was called The Army of the Khabt, and Abu 'Ubaida was our commander. We were struck with severe hunger. Then the sea threw a huge dead fish called Al- `Anbar, the like of which had never been seen. We ate of it for half a month, and then Abu 'Ubaida took one of its bones (and made an arch of it) so that a rider could easily pass under it.
পরিচ্ছেদঃ ৭২/১২. মহান আল্লাহর ইরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে.......। সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৯৬)
৫৪৯৪. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তিনশ’ সাওয়ার পাঠালেন- আমাদের সেনাপতি ছিলেন আবূ ’উবাইদাহ। উদ্দেশ্য ছিল আমরা যেন কুরাইশদের একটি কাফেলার অপেক্ষা করি। তখন আমাদের অত্যন্ত ক্ষিধে পেল। এমন কি আমরা (গাছের পাতা) খেতে আরম্ভ করলাম। ফলে এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় ’’জায়শুল খাবত’’। তখন সমুদ্র আম্বর নামক একটি মাছ পাড়ে নিক্ষেপ করে। আমরা এটি থেকে অর্ধমাস আহার করলাম। আমরা এর চর্বি তেল রূপে গায়ে মাখতাম। ফলে আমাদের শরীর সতেজ হয়ে উঠে। আবূ ’উবাইদাহ মাছটির পাঁজরের কাঁটাগুলোর একটি খাড়া করে ধরলেন, তখন একজন অশ্বারোহী তার নীচ দিয়ে অতিক্রম করে গেল। আমাদের মধ্যে কায়স ইবনু না’দ) এক ব্যক্তি ছিলেন, খাদ্যাভাব তখন ভীষণ আকার ধারণ করেছিল। তখন তিনি তিনটি উট যবাহ করেন। তারপর আরো তিনটি যবহ করেন। এরপর আবূ ’উবাইদাহ (রাঃ) তাঁকে নিষেধ করলেন। [২৪৮৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮৫)
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُوْلُ بَعَثَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مِائَةِ رَاكِبٍ وَأَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ نَرْصُدُ عِيرًا لِقُرَيْشٍ فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ حَتّٰى أَكَلْنَا الْخَبَطَ فَسُمِّيَ جَيْشَ الْخَبَطِ وَأَلْقَى الْبَحْرُ حُوتًا يُقَالُ لَهُ الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا نِصْفَ شَهْرٍ وَادَّهَنَّا بِوَدَكِه„ حَتّٰى صَلَحَتْ أَجْسَامُنَا قَالَ فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِه„ فَنَصَبَه“ فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَه“ وَكَانَ فِينَا رَجُلٌ فَلَمَّا اشْتَدَّ الْجُوعُ نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ نَهَاه“ أَبُو عُبَيْدَةَ.
Narrated Jabir:
The Prophet (ﷺ) sent us as an army unit of three hundred warriors under the command of Abu 'Ubaida to ambush a caravan of the Quraish. But we were struck with such severe hunger that we ate the Khabt (desert bushes), so our army was called the Army of the Khabt. Then the sea threw a huge fish called Al-`Anbar and we ate of it for half a month and rubbed our bodies with its fat till our bodies became healthy. Then Abu Ubaida took one of its ribs and fixed it over the ground and a rider passed underneath it. There was a man amongst us who slaughtered three camels when hunger became severe, and he slaughtered three more, but after that Abu 'Ubaida forbade him to do so.