পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
وَقَالَ وَرَّادٌ عَنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ لَوْ رَأَيْتُ رَجُلاً مَعَ امْرَأَتِي لَضَرَبْتُه“ بِالسَّيْفِ غَيْرَ مُصْفَحٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَعْجَبُونَ مِنْ غَيْرَةِ سَعْدٍ لأنَا أَغْيَرُ مِنْه“ وَاللهُ أَغْيَرُ مِنِّي.
সা’দ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ) বললেন, আমি যদি অন্য কোন পুরুষকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পাই; তাহলে আমি তাকে তরবারির ধারালো দিক দিয়ে আঘাত করব অর্থাৎ হত্যা করব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবিগণকে বললেন, তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ? (আল্লাহর কসম!) আমার আত্মমর্যাদাবোধ তার চেয়েও অনেক অধিক এবং আল্লাহর আত্মমর্যাদাবোধ আমার চেয়েও অনেক অধিক।
৫২২০. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাশীল কেউ নয় এবং এ কারণেই তিনি সকল অশ্লীল কাজ হারাম করেছেন আর (আল্লাহর) প্রশংসার চেয়ে আল্লাহর অধিক প্রিয় কিছু নেই। [৪৬৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪০)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। নিশ্চয় সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সুন্দরভাবে সুন্দর প্রশংসা করা ভালবাসেন। এবং তিনি তাঁর আনুগত্য, উপাসনা এবং স্মরণের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার বিষয়টিকেও ভালবাসেন; তাই মুসলিম ব্যক্তির একটি উত্তম কাজ হলো এই যে, সে যেন তার পালনকর্তার অধিকতর সুন্দরভাবে সুন্দর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কর্মে রত থাকে। যাতে তার পালনকর্তার সাথে তার সুসম্পর্ক সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত থাকে।
২। কোনো ব্যক্তি যখন সর্বশক্তিমান আল্লাহর সুন্দরভাবে সুন্দর প্রশংসা করতে থাকে, আল্লাহ তখন তাকে পুণ্যবাণ বা পুণ্যাত্মা করে দেন; সুতরাং সেই ব্যক্তি এর দ্বারা নিজেই উপকৃত হয়ে থাকে। কেননা মহান আল্লাহ তো সৃষ্টিজগৎ হতে অভাবমুক্ত। কোনো ব্যক্তি মহান আল্লাহর সুন্দরভাবে সুন্দর প্রশংসা করলে বা না করলে তাতে আল্লাহর কোনো মঙ্গলসাধন বা ক্ষতিসাধন হয় না।
৩। পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ কঠিন তীব্র ঈর্ষাপরায়ণ; সুতরাং তাঁর চেয়ে অধিকতর কঠিন তীব্র ঈর্ষাপরায়ণ আর কেউ নেই।
মহান আল্লাহ প্রকৃতপক্ষে ঈর্ষাপরায়ণ, এর মানে হলো এই যে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ পছন্দ করেন না যে, কোনো মানুষের কোনো প্রকার অকল্যাণ হোক কিংবা ক্ষতিসাধন হোক অথবা তার প্রতি কোনো প্রকার আক্রমণ হোক বা তার কষ্ট হোক, তার ধর্মের দিক দিয়ে বা জানও মানের দিক দিয়ে কিংবা তার মন বা বুদ্ধির দিক দিয়ে; তাই মহান আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন: ব্যভিচার, চুরি, অপহরণ, সুদ, মাদক দ্রব্য সেবন করা এবং সমস্ত প্রকারের অশালীন আচরণ ও অনৈতিক পথ অবলম্বন করা।
৪। ন্যায় পন্থায় ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে সৎলোক এবং পুণ্যবান লোকের প্রশংসা করা একটি পুণ্যের কাজ এবং সৎকর্ম; সৎলোক এবং পুণ্যবান লোকের মর্যাদার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।
৫। যখন অন্যায় পন্থায় অন্ধভাবে আন্দাজ করে কোনো অসৎলোকের প্রশংসা করা হবে কিংবা যে ব্যক্তি নিজের প্রশংসা শুনলে অহংকারে পড়ে যাবে, সেই লোকের বা ব্যক্তির প্রশংসা করা কোনো সময় বৈধ নয়; কেননা এই অন্যায় প্রশংসার দ্বারা সমাজের ক্ষতিসাধন হবে এবং যে ব্যক্তির কোনো মর্যাদা নেই বা সম্মান নেই, তাকে অন্যায়ভাবে মর্যাদা বা সম্মান দেওয়া হবে; এই অবস্থার কারণে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন:
"إذَا رَأَيْتُمُ الْمَدََّاحِيْنَ فَاحْثُوْا فِيْ وُجُوْهِهِمُ التُّرَابَ".
(صحيح مسلم, رقم الحديث ৬৯- (৩০০২),).
অর্থ: “তোমরা যখন মানুষের সামনে প্রশংসাকারীদেরকে দেখতে পাবে, তখন তাদের মুখে মাটি রেখে দিবে”।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৯ -(৩০০২) ]।
কিন্তু কোনো সৎলোক এবং পুণ্যবান লোকের সামনে ন্যায় পন্থায় তাঁর প্রশংসা করলে কোনো বাধা নেই; কেননা তিনি তো নিজের প্রশংসা শুনলে অহংকারে পড়ে যাবেন না; যেহেতু তাঁর মধ্যে পূর্ণরূপে তাকওয়া (অর্থাৎ: আল্লাহকে ভক্তিসহকারে ভয় করে তাঁর সঠিক ভক্ত হওয়ার বিষয়টি), বুদ্ধি এবং আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান বিদ্যমান রয়েছে।
بَاب الْغَيْرَةِ
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللهِ مِنْ أَجْلِ ذ‘لِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ وَمَا أَحَدٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنَ الله.ِ
Narrated `Abdullah bin Masud:
The Prophet, said, "There is none having a greater sense of Ghira than Allah. And for that He has forbidden the doing of evil actions (illegal sexual intercourse etc.) There is none who likes to be praised more than Allah does."
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২১. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাবোধ আর কারো নেই। তিনি তাঁর কোন বান্দা নর হোক কি নারী হোক তার ব্যভিচার তিনি দেখতে চান না। হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! যা আমি জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে হাসতে খুব কম এবং কাঁদতে অধিক অধিক। [১০৪৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪১)
بَاب الْغَيْرَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ مَا أَحَدٌ أَغْيَرَ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَرَى عَبْدَهُ أَوْ أَمَتَهُ تَزْنِي يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا ".
Narrated `Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "O followers of Muhammad! There is none, who has a greater sense of Ghira (self-respect) than Allah, so He has forbidden that His slave commits illegal sexual intercourse or His slave girl commits illegal sexual intercourse. O followers of Muhammad! If you but knew what I know, you would laugh less and weep more!"
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২২. আসমা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাবোধ আর কারো নেই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪২)
بَاب الْغَيْرَةِ
مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ يَحْيٰى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَه“ عَنْ أُمِّه„ أَسْمَاءَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ لاَ شَيْءَ أَغْيَرُ مِنَ اللهِ
Narrated Asma':
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "There is nothing (none) having a greater sense of Ghira (self-respect) than Allah." And narrated Abu Huraira that he heard the Prophet (saying the same).
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২৩. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ্ তা’আলার আত্মমর্যাদাবোধ আছে এবং আল্লাহর আত্মমর্যাদাবোধ এই যে, যেন কোন মু’মিন বান্দা হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে না পড়ে। [মুসলিম ৪৯/৬, হাঃ ২৭৬২, আহমাদ ৯০৩৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৩)
بَاب الْغَيْرَةِ
وَعَنْ يَحْيَى، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم. حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَغَارُ وَغَيْرَةُ اللَّهِ أَنْ يَأْتِيَ الْمُؤْمِنُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ ".
Narrated Abu Huraira:
The Prophet; said, "Allah has a sense of Ghira, and Allah's sense of Ghira is provoked when a believer does something which Allah has prohibited."
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২৪. আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুবায়র (রাঃ) আমাকে বিয়ে করলেন, তখন তার কাছে কোন ধন-সম্পদ ছিল না, এমন কি কোন স্থাবর জমি-জমা, দাস-দাসীও ছিল না; শুধুমাত্র কুয়ো থেকে পানি উত্তোলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম; কিন্তু ভালো রুটি তৈরি করতে পারতাম না। তাই আনসারী প্রতিবেশী মহিলারা আমার রুটি তৈরিতে সাহায্য করত। আর তারা ছিল খুবই উত্তম নারী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র (রাঃ)-কে একখন্ড জমি দিয়েছিলেন। আমি সেখান থেকে মাথায় করে খেজুরের আঁটির বোঝা বহন করে আনতাম। ঐ জমির দূরত্ব ছিল প্রায় দু’মাইল। একদিন আমি মাথায় করে খেজুরের আঁটি বহন করে নিয়ে আসছিলাম। এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাক্ষাৎ হল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কয়েকজন আনসারও ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে তাঁর উটের পিঠে বসার জন্য তাঁর উটকে আখ্! আখ্! বললেন, যাতে উটটি বসে এবং আমি তাঁর পিঠে আরোহণ করতে পারি।
আমি পরপুরুষের সঙ্গে একত্রে যাওয়ার ব্যাপারে লজ্জাবোধ করতে লাগলাম এবং যুবায়র (রাঃ)-এর আত্মসম্মানবোধের কথা আমার মনে পড়ল। কেননা, সে ছিল খুব আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, আমি খুব লজ্জাবোধ করছি। সুতরাং তিনি এগিয়ে চললেন। আমি যুবায়র (রাঃ)-এর কাছে পৌঁছলাম এবং বললাম, আমি খেজুরের আঁটির বোঝা মাথায় নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমার দেখা হয় এবং তাঁর সঙ্গে কিছু সংখ্যক সাহাবী ছিলেন। তিনি তাঁর উটকে হাঁটু গেড়ে বসালেন, যেন আমি তাতে সওয়ার হতে পারি। কিন্তু আমি তোমার আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে লজ্জা অনুভব করলাম। এ কথা শুনে যুবায়র (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! খেজুরের আঁটির বোঝা মাথায় বহন করা তাঁর সঙ্গে উটে চড়ার চেয়ে আমার কাছে অধিক লজ্জাজনক। এরপর আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) ঘোড়ার দেখাশুনার জন্য আমার সাহায্যের নিমিত্ত একজন খাদিম পাঠিয়ে দিলেন। এরপরই আমি যেন মুক্ত হলাম। [৩১৫১; মুসলিম ৩৯/১৪, হাঃ ২১৮২, আহমাদ ২৭০০৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৪)
بَاب الْغَيْرَةِ
مَحْمُودٌ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي الزُّبَيْرُ وَمَا لَه“ فِي الأَرْضِ مِنْ مَالٍ وَلاَ مَمْلُوكٍ وَلاَ شَيْءٍ غَيْرَ نَاضِحٍ وَغَيْرَ فَرَسِه„ فَكُنْتُ أَعْلِفُ فَرَسَه“ وَأَسْتَقِي الْمَاءَ وَأَخْرِزُ غَرْبَه“ وَأَعْجِنُ وَلَمْ أَكُنْ أُحْسِنُ أَخْبِزُ وَكَانَ يَخْبِزُ جَارَاتٌ لِي مِنَ الأَنْصَارِ وَكُنَّ نِسْوَةَ صِدْقٍ وَكُنْتُ أَنْقُلُ النَّو‘ى مِنْ أَرْضِ الزُّبَيْرِ الَّتِي أَقْطَعَه“ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلٰى رَأْسِي وَهِيَ مِنِّي عَلٰى ثُلُثَيْ فَرْسَخٍ فَجِئْتُ يَوْمًا وَالنَّو‘ى عَلٰى رَأْسِي فَلَقِيتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَه“ نَفَرٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَدَعَانِي ثُمَّ قَالَ إِخْ إِخْ لِيَحْمِلَنِي خَلْفَه“ فَاسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسِيرَ مَعَ الرِّجَالِ وَذَكَرْتُ الزُّبَيْرَ وَغَيْرَتَه“ وَكَانَ أَغْيَرَ النَّاسِ فَعَرَفَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي قَدْ اسْتَحْيَيْتُ فَمَضٰى فَجِئْتُ الزُّبَيْرَ فَقُلْتُ لَقِيَنِي رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلٰى رَأْسِي النَّو‘ى وَمَعَه“ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِه„ فَأَنَاخَ لأَ÷رْكَبَ فَاسْتَحْيَيْتُ مِنْه“ وَعَرَفْتُ غَيْرَتَكَ فَقَالَ وَاللهِ لَحَمْلُكِ النَّو‘ى كَانَ أَشَدَّ عَلَيَّ مِنْ رُكُوبِكِ مَعَه“ قَالَتْ حَتّٰى أَرْسَلَ إِلَيَّ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَ ذ‘لِكَ بِخَادِمٍ تَكْفِينِي سِيَاسَةَ الْفَرَسِ فَكَأَنَّمَا أَعْتَقَنِي.
Narrated Asma' bint Abu Bakr:
When Az-Zubair married me, he had no real property or any slave or anything else except a camel which drew water from the well, and his horse. I used to feed his horse with fodder and drew water and sew the bucket for drawing it, and prepare the dough, but I did not know how to bake bread. So our Ansari neighbors used to bake bread for me, and they were honorable ladies. I used to carry the date stones on my head from Zubair's land given to him by Allah's Messenger (ﷺ) and this land was two third Farsakh (about two miles) from my house. One day, while I was coming with the date stones on my head, I met Allah's Messenger (ﷺ) along with some Ansari people. He called me and then, (directing his camel to kneel down) said, "Ikh! Ikh!" so as to make me ride behind him (on his camel). I felt shy to travel with the men and remembered Az-Zubair and his sense of Ghira, as he was one of those people who had the greatest sense of Ghira. Allah's Messenger (ﷺ) noticed that I felt shy, so he proceeded. I came to Az-Zubair and said, "I met Allah's Messenger (ﷺ) while I was carrying a load of date stones on my head, and he had some companions with him. He made his camel kneel down so that I might ride, but I felt shy in his presence and remembered your sense of Ghira (See the glossary). On that Az-Zubair said, "By Allah, your carrying the date stones (and you being seen by the Prophet (ﷺ) in such a state) is more shameful to me than your riding with him." (I continued serving in this way) till Abu Bakr sent me a servant to look after the horse, whereupon I felt as if he had set me free.
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার একজন স্ত্রীর কাছে ছিলেন। ঐ সময় উম্মুহাতুল মু’মিনীনের আর একজন একটি পাত্রে কিছু খাদ্য পাঠালেন। যে স্ত্রীর ঘরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবস্থান করছিলেন সে স্ত্রী খাদিমের হাতে আঘাত করলেন। ফলে খাদ্যের পাত্রটি পড়ে ভেঙ্গে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাত্রের ভাঙ্গা টুকরোগুলো কুড়িয়ে একত্রিত করলেন, তারপর খাদ্যগুলো কুড়িয়ে তাতে রাখলেন এবং বললেন, তোমাদের আম্মাজীর আত্মর্যাদাবোধে আঘাত লেগেছে। তারপর তিনি খাদিমকে অপেক্ষা করতে বললেন এবং যে স্ত্রীর কাছে ছিলেন তাঁর নিকট হতে একটি পাত্র নিয়ে যার পাত্র ভেঙ্গেছিল, তার কাছে পাঠালেন এবং ভাঙ্গা পাত্রটি যে ভেঙ্গেছিল তার ঘরেই রাখলেন। [২৪৮১](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৫)
بَاب الْغَيْرَةِ
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ بَعْضِ نِسَائِه„ فَأَرْسَلَتْ إِحْد‘ى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِصَحْفَةٍ فِيهَا طَعَامٌ فَضَرَبَتْ الَّتِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِهَا يَدَ الْخَادِمِ فَسَقَطَتْ الصَّحْفَةُ فَانْفَلَقَتْ فَجَمَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِلَقَ الصَّحْفَةِ ثُمَّ جَعَلَ يَجْمَعُ فِيهَا الطَّعَامَ الَّذِي كَانَ فِي الصَّحْفَةِ وَيَقُوْلُ غَارَتْ أُمُّكُمْ ثُمَّ حَبَسَ الْخَادِمَ حَتّٰى أُتِيَ بِصَحْفَةٍ مِنْ عِنْدِ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا فَدَفَعَ الصَّحْفَةَ الصَّحِيحَةَ إِلٰى الَّتِي كُسِرَتْ صَحْفَتُهَا وَأَمْسَكَ الْمَكْسُورَةَ فِي بَيْتِ الَّتِي كَسَرَتْ.
Narrated Anas:
While the Prophet (ﷺ) was in the house of one of his wives, one of the mothers of the believers sent a meal in a dish. The wife at whose house the Prophet (ﷺ) was, struck the hand of the servant, causing the dish to fall and break. The Prophet (ﷺ) gathered the broken pieces of the dish and then started collecting on them the food which had been in the dish and said, "Your mother (my wife) felt jealous." Then he detained the servant till a (sound) dish was brought from the wife at whose house he was. He gave the sound dish to the wife whose dish had been broken and kept the broken one at the house where it had been broken.
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২৬. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি জান্নাতে প্রবেশ করে একটি প্রাসাদ দেখতে পেলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, এটি কার প্রাসাদ? তাঁরা (ফেরেশতাগণ) বললেন, এ প্রাসাদটি ’উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)-এর। আমি তার মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলাম; কিন্তু [তিনি সেখানে উপস্থিত ’উমার (রাঃ)-এর উদ্দেশে বললেন] তোমার আত্মমর্যাদাবোধ আমাকে সেখানে প্রবেশে বাধা দিল। এ কথা শুনে ’উমার (রাঃ) বললেন, হেআল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আপনার কাছেও আমি (’উমার) আত্মমর্যাদাবোধ প্রকাশ করব? [৩৬৭৯](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৬)
بَاب الْغَيْرَةِ
مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ الله ِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ أَوْ أَتَيْتُ الْجَنَّةَ فَأَبْصَرْتُ قَصْرًا فَقُلْتُ لِمَنْ هٰذَا قَالُوا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَدْخُلَه“ فَلَمْ يَمْنَعْنِي إِلاَّ عِلْمِي بِغَيْرَتِكَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا رَسُوْلَ اللهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا نَبِيَّ اللهِ أَوَعَلَيْكَ أَغَارُ.
Narrated Jabir:
The Prophet, said, "I entered Paradise and saw a palace and asked whose palace is this? They (the Angels) said, "This palace belongs to `Umar bin Al-Khattab.' I intended to enter it, and nothing stopped me except my knowledge about your sense of Ghira (self-respect (O `Umar)." `Umar said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Let my father and mother be sacrificed for you! O Allah's Prophet! How dare I think of my Ghira (self-respect) being offended by you?"
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/১০৮. আত্মমর্যাদাবোধ।
৫২২৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি একদিন ঘুমন্ত অবস্থায় জান্নাতে একটি প্রাসাদের প্রার্শ্বে একজন মহিলাকে ওযু করতে দেখলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এই প্রাসাদটি কার? আমাকে বলা হলো, এটা ’উমার (রাঃ)-এর। তখন আমি ’উমারের আত্মমর্যাদার কথা স্মরণ করে পিছন ফিরে চলে এলাম। এ কথা শুনে ’উমার (রাঃ) সেই মজলিসেই কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছেও কি আত্মসম্মানবোধ প্রকাশ করব। [৩২৪২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৭)
بَاب الْغَيْرَةِ
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي فِي الْجَنَّةِ فَإِذَا امْرَأَةٌ تَتَوَضَّأُ إِلٰى جَانِبِ قَصْرٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هٰذَا قَالُوا هٰذَا لِعُمَرَ فَذَكَرْتُ غَيْرَتَكَ فَوَلَّيْتُ مُدْبِرًا فَبَكٰى عُمَرُ وَهُوَ فِي الْمَجْلِسِ ثُمَّ قَالَ أَوَعَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَغَارُ.
Narrated Abu Huraira:
While we were sitting with Allah's Messenger (ﷺ), (he) Allah's Messenger (ﷺ) said, "While I was sleeping, I saw a woman performing ablution beside a palace. I asked, "Whose palace is this?' It was said, 'This palace belongs to `Umar.' Then I remembered his sense of Ghira and returned." On that `Umar started weeping in that gathering and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! How dare I think of my self-respect being offended by you?"